নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
লিঙ্গবৈষম্য কমিয়ে আনা এবং নারীর ক্ষমতায়নে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ। যদিও বাংলাদেশের নারীদের এখনো চাকরির ক্ষেত্রে নানা সামাজিক ও আইনি বাধা মোকাবেলা করতে হয়। গতকাল বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত ‘উইমেন, বিজনেস অ্যান্ড ল ২০১৬: গেটিং টু ইকুয়াল’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনি ক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য কমিয়ে আনার দিক থেকে বিশ্বের ১৭৩টি অর্থনীতির মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৪১তম, আর দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয়। লিঙ্গবৈষম্য কমিয়ে আনা এবং নারীর ক্ষমতায়নে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রথম অবস্থানে ভারত। এক্ষেত্রে প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত ১৭৩ অর্থনীতির মধ্যে ২১তম অবস্থানে দেশটি। এছাড়া এ তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশের মধ্যে ৫০তম অবস্থানে শ্রীলংকা, ৫৮তম নেপাল, ৭৩তম পাকিস্তান ও ৮৭তম আফগানিস্তান। তালিকায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে যথাক্রমে ফিজি, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনাম।
এদিকে বিশ্বব্যাংকের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার নারীদের বিশ্বের অন্যান্য অংশের মতো বৈষম্যের শিকার হতে হয়। বিশেষ করে বৈষম্যমূলক আইনের জন্য অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নারীরা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারীরা এখনো চাকরির ক্ষেত্রে নানা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। যেকোনো কারখানা অথবা কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের বাধা দেয়া হয়। উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশে খনিতে নারীদের কাজে বাধা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তরাধিকার সম্পত্তি ভোগে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল ও পাকিস্তানের নারীরা সমঅধিকার পান না। এমনকি বিচারকাজে নারীদের অংশগ্রহণের দিক থেকে নিচের দিকে বাংলাদেশ। তবে অর্থনীতিতে বর্তমানে বাংলাদেশে নারী শ্রমিকদের অংশগ্রহণ দাঁড়িয়েছে ৩৪ শতাংশ। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আগামী দশকে যদি নারী শ্রমিকদের অংশগ্রহণ ৮২ শতাংশে উন্নীত করা যায়, তবে প্রতি বছর জাতীয় প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়বে। এটি ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হতে সহযোগিতা করবে।
দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিতে যে ব্যবস্থাগুলো রয়েছে, তা নারীদের উদ্যোক্তা হয়ে ওঠা এবং কর্মক্ষেত্রের জন্য বাধার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, পুরো অঞ্চলটিতে লিঙ্গবৈষম্য দূর এবং নারীর ক্ষমতায়নে প্রয়োজনীয় সংস্কারের কাজটি এক প্রকার পিছিয়ে পড়েছে। গত দুই বছরে দক্ষিণ এশিয়ার মাত্র দুটি অর্থনীতিতে তিনটি প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হয়েছে। শুধু আফগানিস্তানই নারীদের জন্য ২০টি আইনি বাধা তৈরি করে রেখেছে। নারীদের ক্ষেত্রে আফগানিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিবন্ধক দেশ হিসেবে চিহ্নিত। দেশটিতে নারীর বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর কোথায় থাকবে, তা তারা নিজেরা নির্ধারণ করতে পারেন না। এমনকি পাসপোর্টের জন্য আবেদন বা জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে অনুমতি নেয়ার বিষয় রয়েছে। এখানে পুরুষরা যে কাজ করেন, তা নারীদের করতে দেয়া হয় না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দুই বছরে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ভারত একটি সংস্কারকাজ শুরু করেছে। সেখানে আইন করা হয়েছে, প্রতিটি তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানে অবশ্যই একজন নারী সদস্যকে পরিচালনা পর্ষদে রাখতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে ভারতই প্রথম, যারা এ ধরনের আইন করেছে। আর বিশ্বের মধ্যে নবম দেশ।
উল্লেখ্য, দুই বছর অন্তর এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এবার দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশকে প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সুত্র
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১১
মোঃ ইমরান কবির রুপম বলেছেন: নারীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে হবে।ভারতকে শুভেচ্ছা