নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
উনি সেকেন্ড ইস্ট বেঙ্গলের একজন সেনা অফিসার ছিলেন।
সেনা বিদ্রোহের দায়ে বিএনপির প্রেসিডেন্ট আবদুর রহমান বিশ্বাস তাকে বরখাস্ত করে এক কাপড়ে বিদায় করে।
১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার দয়ায় আপনার পেনসনের ব্যবস্থা হয়। চোরের মায়ের বড় গলা, প্রমাণে আপনি ঝাপিয়ে পরেন।
এত দ্রুত ভুলে যান কি করে?
আপনি একজন ধান্দাবাজ অফিসার ছিলেন। নিজের কল্যাণে আজীবন কাজ করেছেন তাই আপনার পার্টির নামও কল্যাণ পার্টি। আপনি মুক্তিযোদ্ধা হয়ে কিভাবে রাজাকারদের সাথে আঁতাত করেন। কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা শক্তিকে অবজ্ঞা করে স্বাধিনতা বিরোধী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে করেন ? এটা কারো বোধগম্য নয়। আজ সময় এসেছে আপনাদের মতো ভন্ড মুক্তিযোদ্ধাদেরকে রুখে দিতে। বংগভবন থেকে আপনাকে ফেরত দিছে এটা কোন অপমানিত নয় বরং আপনাকে ফেরত দেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান আরও অলংকৃত হয়েছে। ধিক-শত ধিক!! রাজাকারের দালাল হয়ে আপনি ওখানে যেতে কি (বংগভবন) একটুও লজ্জা করেনি!!!
শুরু থেকেই আপনি মুক্তিযোদ্ধা নামধারী বর্ণচোরা জামাতের এজেন্ট।
জামাতের টাকা খেয়ে বইও লিখেছেন "দ্য ব্যাটেলস অব ইসলাম"
আপনি নেমকহারামঃ দুই নেত্রী যখন জেলে, আপনি তখন বিশেষ মহলের ইন্ধন ও টাকায় নিজ কল্যাণের উদ্দেশ্যে কল্যাণ পার্টি গঠন করে ক্যান্টনমেন্ট আসন থেকে ইলেকশন করে মাত্র ৬০ ভোট পান। আপনি যে কুচক্রী ও রাজাকারের এজেন্ট তা ভোটের মাধ্যমে জনতা জানিয়ে ছিল।
কয়লা ধুলে ময়লা যায় না। রাজাকার আজীবনই রাজাকার, মুক্তিযোদ্ধা আজীবনই মুক্তিযোদ্ধা তার চেতনায় থাকে মুক্তিযুদ্ধ। স্বার্থের কারণে তারা রঙ পালটান না, রাজাকারের সাথে আতাত ও করেনা।
আপনাকে গণভবনে দাওয়াত দেয়াই ছিল মস্ত ভুল। আর গণভবনে ঢুকতে দেয়া হয়নি সে দুঃখে, রাজাকার শিরোমনি গোলাম আজম’এর ছেলে আপনার ব্যথায় কাতর হয়। সব শেয়ালের এক রা।
কোন সহযোদ্ধা আপনার দুঃখে সমবেদনা জানান নি, কেননা তারা আপনার কুচক্রী ও রাজাকারের এজেন্টের স্বরূপ জানতেন।
আপনার মত জামাতের পোষা এজেন্টকে ঢুকতে দেয়া হয়নি বলে জাতি তার ভুল শোধরানোর সুযোগ পেয়েছে।
নাইলে কোন মুক্তিযোদ্ধা শিবিরের কাছ থেকে সম্মাননা নেন? আসল মুক্তিযোদ্ধারা কি শিবিরের সাথে থাকে?
আপনার মতো একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা জামায়াতের ইসলামীর মতো রাজাকার আলবদরদের সাথে জোটবদ্ধ রাজনীতি করে দেশের স্বধিনতা আর স্বাধীন জাতীকে যেভাবে অসম্মান এবং অপমান করেছেন তার তুলনায় বংগভবনে আপনাকে ঢুকতে না দেয়াটা অতি সামান্য এবং তুচ্ছ ঘটনা মাত্র।
আপনি তো সেদিন-ই- বংগভবনে প্রবেশের যোগ্যতা হারিয়েছে যেদিন নিজামী - মোল্লার সাথে এক টেবিলে চা পান শুরু করেছিলেন। বংগবীর কাদের সিদ্দিকী আপনি - আপনাদের মতো বীরদের নিয়েই কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাস। আর সেই দায়বোধ থেকেই আপনারা যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন না। আপনাদের বুঝা উচিত আপনারা বাংলাদেশের আর দশ জন সাধারন নাগরিকের মতো কেউ নন। আপনাদের স্থান মর্যাদা জাতীর কাছে অনেক অনেক উর্ধ্বে। আপনাদের দেখানো পথেই ইতিহাস ধাবমান। সে ক্ষেত্রে আপনারাই যদি স্বার্থের লোভে ইতিহাসের পথ রোদ্ধ করেন তবে ইতিহাস আপনাদের ও ক্ষমা করবেনা। যার প্রমান আজ পেলেন। এরপর কি বলতে হবে জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহীম বীর প্রতীক ?
এখন আপনিই বলুন আপনি কোন বীর এর প্রতিক।
আপনার বীরপ্রতীক খেতাব ফিরিয়ে দিন, সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম।
আপনি হলেন বাংলাদেশের রাজাকার সমর্থিত ১নং আসল ভেজাইলা মুক্তিযোদ্ধা।
©somewhere in net ltd.