নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্কুলে অননুমোদিত বই পড়ানো নিয়ে মাউশির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩৬


জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)-এর অনুমোদিত বই ছাড়া অন্য কোন বই স্কুলে পাঠ্য করা যাবে না এমন নির্দেশনা বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শিক্ষা অধিদপ্তরের পার্শ্ববর্তী স্কুলগুলোতেই প্রকাশ্যে এসব নিম্মমানের ও অননুমোদিত বই পাঠ্য করা হয়েছে। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করছে—এমন অভিযোগ অভিভাবকদের।

অভিযোগ উঠেছে, শুধু এনসিটিবি নয়, অননুমোদিত পাঠ্যবই প্রকাশকদের কাছ থেকে মাউশির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছে। মাউশি কর্মকর্তারাও এসব অননুমোদিত বই পাঠ্য করার জন্য স্কুলগুলোতে চাপ দিচ্ছে। কারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারাও বিভিন্ন শ্রেণির নোট, গাইড ও সহায়ক বই লিখছেন। এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ন চন্দ্র সাহা ইত্তেফাককে বলেছেন, অননুমোদিত বই যাতে স্কুলে পাঠ্য করা না হয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এনসিটিবিরি পক্ষ থেকে মাউশিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। আর মাউশির মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক এলিয়াছ হোসেন বলেন, অভিযোগ থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজধানীর আরমানিটোলা এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলের প্রতিটি শ্রেণিতে অননুমোদিত বই পাঠ্য করা হয়েছে। ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি শ্রেণিতে অননুমোদিত বই তিনটি। আর প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি শ্রেণিতে এমন বইয়ের সংখ্যা ৭টি থেকে ৯ টি। এসব বই কেনার জন্য শিক্ষার্থীদের হাতে তালিকা ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্কুল কর্তৃপক্ষ পরিচালিত ও স্কুল ভবনে প্রতিষ্ঠিত একটি নির্দিষ্ট বইয়ের দোকান থেকে এসব বই কেনার জন্য বাধ্য করা হচ্ছে।

গতকাল এই বিদ্যালয়ে গিয়ে নানা অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। স্কুলের বইয়ের দোকানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির প্রতিটি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবককে জুপিটার প্রকাশনীন নোট, গাইড কিনতে এক প্রকার বাধ্য করা হচ্ছে। একজন শিক্ষক এই বই বিক্রি করছেন।

প্রতিষ্ঠানটির অষ্টম শ্রেণীর জন্য অননুমোদিত ইউনিভার্সল বুক ডিপোর ইংলিশ গ্রামার, ভাষা মুকুর বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি বই ক্রয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের অননুমোদিত কচিকণ্ঠ প্রকাশনীর একটি ইংরেজি বই কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। এভাবে এই শ্রেণিতে আরো একটি বাংলা ব্যাকরণ এবং একটি ইংলিশ গ্রামার বই কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে ।

বই কেনার জন্য দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এক অভিভাবক বলেন, স্কুলটি আমাদের সাথে কসাইয়ের মতো আচরণ করছে। দ্বিতীয় শ্রেণির বোর্ডের বই তিনটি। কিন্তু এই স্কুলে আরো সাতটি বই পাঠ্য করে স্কুলের নিজস্ব বইয়ের দোকান থেকে কেনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এই বই কেনার জন্য ১০৭০ টাকা দিতে হয়েছে।

দেশের প্রতিটি স্কুলের চিত্রই এমন। তবে নোট, গাইড কিনতে বাধ্য করার মতো এমন পরিবেশ অন্য কোথাও নেই—এমনটি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন মুনসী বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘শুধু আমাদের স্কুল নয়, দেশের প্রতিটি স্কুলেই এভাবে চলছে। অতীতেও আমরা এভাবে অননুমোদিত বই পাঠ্য তালিকায় রাখা হয়েছে।

রাজধানীর মিরপুরের এক স্কুলের এক প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘বইয়ের লিস্ট তো আছেই। আমার ওপর এটা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর আমিও শিক্ষার্থীদের ওপর এটা চাপিয়ে দিয়েছি। নইলে আমার চাকরি থাকবে না।’

অভিভাবকদের বক্তব্য, অননুমোদিত বই এবং নোট, গাইডের বিষয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরের ভূমিকা রহস্যজনক কেন। তাহলে কি তারাও এখান থেকে অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছে। নাকি দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে।

শিক্ষা ক্যাডারের এক সদস্য বলেন, শিক্ষা ক্যাডারের অনেক সদস্য নোট গাইড এবং বিভিন্ন ব্যাকরণ বই লেখেন। এবং এরা শিক্ষা কর্মকর্তা বা শিক্ষা অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তাকে ব্যবহার করে স্কুলগুলোকে সেসব বই কিনতে বাধ্য করে। কখনো কখনো প্রকাশকদের কাছ থেকে কমিশন নিয়েও স্কুলগুলোকে পাঠ্য করতে বাধ্য করা হয়।

সরকার ২০১০ সাল থেকে বিনামূল্যের বই বিতরণ করছে। ২০১৩ সাল থেকে সরকার বাংলা ব্যাকরণ ও ইংলিশ গ্রামার বইও বিনামূল্যে বিতরণ করে। ফলে প্রথম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত কোন বাড়তি বই স্কুলে পড়ানো যাবে না এমন নির্দেশনা এনসিটিবির।
সুত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.