নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

আট বছরে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে অনেক দূর

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:১৭


গত ৫ জানুয়ারি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন বছর পূর্তি। ২০১৪ সালের এই দিনে নির্বাচনের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে ১২ জানুয়ারি সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।

আগের পাঁচ বছর এবং বর্তমান তিন বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়েছে অনেক দূর। প্রধানমন্ত্রী গত বুধবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, গত আট বছরে চোখে পড়ার মতো অনেক উন্নয়ন আমরা করেছি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে উন্নয়ন হয়।

বিভিন্ন পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, স্বাধীনতার পর দরিদ্রসীমার নিচে ছিল ৯২ শতাংশ মানুষ। আর মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় ছিল ১০০ ডলার। সময়ের ব্যবধানে দেশে দারিদ্র্যের হার নেমে এসেছে সাড়ে ২৩ শতাংশে। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে অতিদারিদ্র্যের হার এখন ১২ দশমিক ১ শতাংশ। মোট দেশজ আয়ে (জিডিপি) ৬ শতাংশের বাধা অতিক্রম করে প্রথমবারের মতো প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ১১ শতাংশ। মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৬৫ মার্কিন ডলারে। স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তকমা ঝেড়ে ফেলার যোগ্যতা অর্জনের অনেকটাই দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ।

পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, ব্যক্তি খাতে প্রবৃদ্ধির সুবাদে সরকারের রাজস্ব আয় প্রত্যাশিত হারেই বেড়েছে। অবকাঠামোসহ নানা খাতে সরকার প্রতি বছর ব্যয় করছে লাখ কোটি টাকার বেশি। এক সময় খাদ্য চাহিদা পূরণ ও বাজেট বাস্তবায়নে বিদেশিদের মুখের দিকে চেয়ে থাকতে হয়েছে। বাংলাদেশ এখন আর খাদ্যসহায়তা নেয় না। পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্পও নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে চলছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উড্ডয়নের অপেক্ষায় রয়েছে।

এছাড়া অর্থায়নের অভাবে ১৯৬৪ সাল থেকে আটকে থাকা রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।১ লাখ ১৩ হাজার ৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি বাস্তবায়নের অপেক্ষায়। আর্থিক খাতে বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেকটা সফলতা দেখাচ্ছে সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, স্বাধীনতার পর দেশের অর্থনীতি অনেক এগিয়েছে। এর স্বীকৃতিও পাওয়া গেছে বিভিন্ন মহল থেকে। তবে এটাও ঠিক যে, আমাদের সক্ষমতার সবটুকু ব্যবহার করা যায়নি। অর্থনীতিতে আমাদের প্রায় সব অর্জন এসেছে খেটে খাওয়া মানুষের হাত ধরে।

বিদায়ী বছরে প্রথমবারের মতো মোট দেশজ আয়ে (জিডিপি) ৭ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি দেখেছে বাংলাদেশ।বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণে সাম্প্রতিক সময়ে নেয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প। এসব প্রকল্প ঘিরেই আগামীতে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও উৎপাদনে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। তিন বছরের মধ্যেই ৮ শতাংশের ঘরে উঠবে প্রবৃদ্ধি। নতুন বছর ঘিরে এমনটা প্রত্যাশা করছেন সবাই।

১ লাখ ৪৭ হাজার বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষের বাস। বিশাল এ জনগোষ্ঠীকে জনশক্তিতে রূপ দেয়ায় তারা অভিশাপ হিসেবে চিহ্নিত হয়নি। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) হিসাবে বাংলাদেশের ৬৬ শতাংশ মানুষ এখন কর্মক্ষম। ২০২২ সালে কর্মক্ষম মানুষের হার ৬৯ শতাংশে উন্নীত হবে।

অপরদিকে বিশ্বব্যাংকের হিসাবে প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ মানুষ কর্মবাজারে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ। বিপুল জনশক্তির কর্মের নিশ্চয়তা দিতে অবকাঠামো উন্নয়নে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ।

বিদায়ী বছরে নিজস্ব অর্থায়নে অনেকটাই দৃশ্যমান হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রকল্পের অবকাঠামো। চলতি বছরের মধ্যে সেতুর মূল কাঠামো গড়ে তুলতে কর্মযজ্ঞ চলছে নদীর দুই পাড়ে। প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ৩৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

অবকাঠামো খাতে বেশ বড় কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এসব প্রকল্পের কাজ শেষে দেশের চেহারা অনেকটাই পাল্টে যাবে। পদ্মা সেতুর নির্মাণ শেষ হলে মোট দেশজ আয় ১ শতাংশের বেশি বাড়বে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

এছাড়া রাজধানীর যানজট নিরসনে মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ চলছে। বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিকায়নের কাজ চলছে। ইতোমধ্যেই ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক চার লেনে রূপান্তর করা হয়েছে। চার লেনের কাজ চলছে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ রেলপথগুলো ডাবল লাইনে উন্নীত করার কাজও চলছে।

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রকল্প হিসেবে মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। আলোচিত কয়েকটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে ফাস্ট ট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং কমিটি। এসব প্রকল্পের মধ্যে পদ্মা সেতু ছাড়াও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। চলছে মেট্রোরেল নির্মাণের দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া।

রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্পের উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে ২০১৮-এর ডিসেম্বরের মধ্যে। দ্রুত কাজ শেষ করতে এটিকে ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পে যোগ করা হয়েছে। জ্বালানি চাহিদা পূরণে মহেশখালীতে নির্মাণ হচ্ছে এলএনজি টার্মিনাল। তরল প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানির জন্যই এ টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

দক্ষ জনশক্তি বাড়াতে স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় তৈরি পোশাক, নির্মাণ, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, চামড়া এবং জাহাজ নির্মাণ খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহের মাধ্যমে ৪৭ হাজার ৪শ’ জন এবং বেসরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহের মাধ্যমে ২ লাখ ৬০ হাজার জনকে দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান ও ১ লাখ ৮২ হাজার জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টির কাজ চলছে।

কৃষিনির্ভরতা থেকে বেরিয়ে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির দিকে যাচ্ছে দেশ। জিডিপিতে কৃষির অবদান কমে বাড়ছে শিল্প খাতে।১৫ বছর ধরে জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) বাস্তবায়নে সফলতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ। এ খাতে প্রতি বছর ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিলেও দাতারা শেষ পর্যন্ত ছাড় করেছে গড়ে ১৭৯ কোটি ডলার। লক্ষ্য অর্জনে অর্থ সঙ্কট বাংলাদেশের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। নিজস্ব সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে ২১টি টার্গেটের ১৩টি নির্ধারিত সময়ের আগেই অর্জন করা হয়েছে।

বাজেট বাস্তবায়নে বরাবর বড় ব্যর্থতা থাকলেও এবার অর্থনীতির প্রায় সবগুলো সূচক ইতিবাচক। রাজনৈতিক অবস্থা পরিস্থিতিশীল থাকায় চলতি অর্থবছর বাজেট বাস্তবায়ন নিয়ে বড় কোনো দুশ্চিন্তা নেই সরকারের। ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার বিশাল ব্যয়ের বাজেট বাস্তবায়নে অর্থমন্ত্রীর প্রধান ভরসার খাত রাজস্ব আয়। আগস্ট পর্যন্ত দুই মাসে রাজস্ব আয়ে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। দেশে বর্তমানে জিডিপির মাত্র ১১ শতাংশ কর আদায় হয়। এ হার ১৪ থেকে ১৫ শতাংশে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী।

গত আট বছরে দেশে কৃষি খাতে অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে। মাছ, মাংস, ডিম ও দুধ উৎপাদনে প্রতি বছর সরকার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করছে, তার শতভাগ পূরণ হচ্ছে। কৃষি বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন আবিষ্কার দেশকে শুধুই অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য ড. শামসুল আলম বলেন, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দ্বারপ্রান্তে। সামাজিক নিরাপত্তাসহ বেশ কিছু খাতে গুরুত্ব দেয়ায় সব মানুষের সক্ষমতাই বেড়েছে। ফলে বেড়েছে জীবনযাত্রার মান। শিল্পভিত্তিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার দিকনির্দেশনা সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় রয়েছে বলে জানান সরকারের সিনিয়র সচিব পর্যায়ের এ কর্মকর্তা।
সূত্র

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার কি অবস্হা? আরো ব্লগিং করা লাগবে, নাকি ছুটিতে লাস ভেগাস?

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


"বিদায়ী বছরে প্রথমবারের মতো মোট দেশজ আয়ে (জিডিপি) ৭ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি দেখেছে বাংলাদেশ।বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণে সাম্প্রতিক সময়ে নেয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প। "

-৭, ১৭ শতাংশ না লিখে ৭০ শতাংশ লিখে ফেললে ল্যাঠা চুকে যেতো একবারেই, আর পোস্ট দেয়া লাগতো না!

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:২৮

রিয়াজ০০৮৬ বলেছেন: বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে - ভাল্লাগছে ভাই। লাস ভেগাস নিশ্চিত।

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আগের পাঁচ বছর এবং বর্তমান তিন বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়েছে অনেক দূর। প্রধানমন্ত্রী গত বুধবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, গত আট বছরে চোখে পড়ার মতো অনেক উন্নয়ন আমরা করেছি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে উন্নয়ন হয়। উন্নয়নই জনগন কামনা করে।

৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: এক্সপ্যাট্রিয়েটদের রেমিটেন্স আমাদের অর্থনীতি সুসংহত রাখতে মূল ভূমিকা পালন করছে। আগের সব সরকার এই যায়গাটা তৈরী করে গেছে যার ফল ভোগ করছে বর্তমান সরকার। অন্যদিকে বিদেশে বাংলাদেরশের শ্রমবাজার বিস্তৃত করতে এই সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। ক্রেডিট নিতে চাইলে পেছনের গল্পগুলো বলার মত উদার হওয়াটাও দরকার। কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকার কখনওই তা হতে পারেনি।

৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২

বিলুনী বলেছেন: @পদ্ম পুকুর , ভালই বলেছ ভাইয়া হে,
বিগত জেট সরকার ( জোট এর পকৃত অর্থ নাকি মিথ্যুক ) যে জায়গা গুলি তৈরী করে গেছে তার কিছু নমুনা :
১) সে সময় কার বুদ্ধু চের্টার একাউটেন্ট অর্থ মন্ত্রী সায়ফুর রহমান অন্ধের মত মুক্ত বাজার আর্থনীতি ডকুমেন্টে সই করে বাংলাদেশের বাজারকে ভারতীয় ও চাইনিজদের হাতে তুলে দিয়ে যায় । যার ফলে সে সময় থেকে ভারতের সাথে প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার বানিজ্য ঘাটতি লেগে থাকে, যার হাত থেকে বাংলাদেশ আর বেরুয়ে আসতে পারছেনা ।
২) বিগত জোট সরকার দেশে দুই ডিজিটের ইনফ্লেশন রেখে যায় যার ফলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা ছিল শুন্যের কোঠায়
৩) বিদ্যুত বাড়াতে পারেনি এক ফোটাও তার পরে শুধু খাম্বা রেখে যায় ।
৪) হাওয়া ভবন সৃস্টি করে হাজার হাজার কোটি টাকা লোটপাট করে খায়
৫) মায়ানমার বোর্ডার খুলে ৫ লক্ষ রুহিংগাদেরকে এ দেশেছে ঢুকায়,
৬) এই রুহিংগাদেরকে বাংলাদেশী ভিসা দিয়ে বিদেশের শ্রম বাজারে পাঠিয়ে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের বারটা বাজায়, ও রেমিটেন্ম প্রবাহে বিঘ্ন সৃস্টির সুন্দর একখার রাস্তা তৈরী করে দিয়ে যায় ।
৭) ভারতের সাথে টালবাহনা করে ফারাক্কা ইস্যুকে জাতি সংঘে তুলার কথা বলে ভারতকে এক তরফা ভাবে পানি তুলে নিয়ে
দেশকে বছর দশেক ধরে মরুভুমি বানায়, যার ফলে দেশক খাদ্য ঘ্টতি ও মংগার দেশ হয়ে যায় ।
৮) পানির নীচে ও হাওয়ার উপরে ভেসে প্রকল্পে ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোন দিয়ে ব্যাংকিং সেকটরের বারটা বাজায় ।
৯) ভারতের টিভি চ্যানেল গুলিকে এদেশে সম্প্রচারের পারমিশন দিয়ে দেশের সাংস্কৃতিক সেকটরের বারটট বাজায়
১০) দেশে মাসের পর মাস ধরে আগুন সত্রাসেরর সৃস্টি করে অর্থনীতির ভিতকে ধংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে যায়
১১) দেশে উচ্চ শিক্ষাকে ব্যহত করে লক্ষাধিক টেলেন্টকে ভারত, আমিরিকা বৃটেন সহ বিভিন্ন দেশে পারি জমাতে বাধ্য করে এর ফলে হাজার কোটি টাকা তাদের শিক্ষা ব্যয় বাবদ দেশ হতে ড্রেন আউট করে , এতে করে একদিকে দেশ মেধা হারায় অন্য দিকে বৈদেশিক মুদ্রা হারায় ।
১২) সবচেয়ে বড় কথা দেশের কিছু তরুন সমাজকে মৌলবাদী ধর্মীয় উন্মাদনায় ধাবিত করে দেশে জংঘীবাদের উত্থান ঘটায়
যার রেশ এখনো টানতে হচ্ছে দেশবাসীকে ।
১৩) রাজাকারের গাড়ীতে জাতীয় পতাকা তুলে জাতির কপালে কংলক তিলক লেপে দিয়ে মুক্তি যুদ্ধের চেতনাকে ধুলিস্যাত করে দেশকে বর্বর পাকি চেতনায় নিয়ে যেতে অশেষ কসুর করেছে ।
যাহোক , বিগত সরকার কি সব উন্নয়নের ফাউন্ডেশন দিয়ে গেছে এগুলি তার কিছু সামান্য নমুনা , সব লিখতে গেলে শুধু তা লম্বাই হবে ।

৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩৬

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: অবশ্যই উন্নতি করেছে। গ্রামে সেটা লক্ষনীয়।
রফতানী বেড়েছে। কর্মসংস্থান হচছে, সরকারী চাকুরের বেতন প্রায় দ্বিগুন হয়েছে।
বাংলাদেশিরা নগদ অর্থে ক্যনাডায়, মালেশিয়ায় বাড়ী কিনছে।
বিত্তবানরা তাদের সন্তানদের বিদেশে উচু শিক্ষায় পাঠাচ্ছে।
ট্র্যফিক বাতি ছাড়াই যানবাহন চলাচল হচ্ছে, রাস্তা কাটা বন্ধ করার ফলে একমুখি রাস্তা, দ্বিমুখি হয়ে গেছে। রিকসাগুলো দুইদিকেই চলে। বর্তমানে তাই রাস্তা অতিক্রমে দু দিকেই তাকাতে হচ্ছে (আগে ডান দিকে তাকালেই হোত)।
হাইওয়েতে বাসগুলো তাদের ইচ্ছে মত ছোট য়ানবাহনকে হাইড্রলিক ভেঁপু দিয়ে সরিয়ে চলাচল করছে।
জনগনের বডি ফিট থাকছে (লোকাল বাসে উঠতে হলে আপনাকে বডি ফিট রাখতে হবে, না হলে দৌড়ে উঠতে পারবেন না, নামতে ও পারবেন না)।
ইত্যাদি অনেক উদাহরন দেয়া যাবে।

৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:২৮

জাহিদ হাসান বলেছেন: জনশক্তি সব সময়ই পজেটিভ কিছু না,কিছু সময় নেগেটিভও । এই বিপুল জনমানুষের কারনে সরকারের সব সেবা পরিপূর্নভাবে জনগনের কাছে পৌছে না। সরকারের উচিত দেশের ১ কোটি মানুষকে বিদেশে অভিবাসন ও নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
জনশক্তি সব সময়ই পজেটিভ কিছু না,কিছু সময় নেগেটিভও । এই বিপুল জনমানুষের কারনে সরকারের সব সেবা পরিপূর্নভাবে জনগনের কাছে পৌছে না। সরকারের উচিত দেশের ১ কোটি মানুষকে বিদেশে অভিবাসন ও নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করা।

নয়তো, উপরোক্ত ছবিটির কত জ্বালা তা আমরা ঢাকা শহরের বাসিন্দারাই বুঝি। দিন দিন এ সমস্যা বাড়তেই আছে। কমার কোন লক্ষন নেই, হবেও না। যদি না উপরে যে পদ্ধতি বলেছি, তা অনুসরণ করা হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.