নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে নির্মিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের রেল স্টেশন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটক আকর্ষণ করার জন্যই সেখানে আইকনিক ইন্টারন্যাশনাল রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ঝিনুক আকৃতির এ স্টেশন দেখলেই বোঝা যাবে এটি সমুদ্র সৈকতের স্টেশন। স্টেশনটির অবস্থান হবে কক্সবাজার বাস টার্মিনালের বিপরীতে চৌধুরীপাড়ায়।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের জুন মাসেই রেলস্টেশন ও দোহাজারী-কক্সবাজার রেল লাইনের নির্মাণকাজ শুরু হতে পারে। প্রথমে রেললাইন হবে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত। রামু হবে জংশন। আর সেখান থেকে একটি লাইন চলে যাবে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। তখন ঢাকা থেকে সরাসরি ট্রেনে পৌঁছানো যাবে কক্সবাজারে। পরবর্তী সময়ে কক্সবাজার থেকে আরেকটি লাইন পূর্ব দিকে যাবে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুমে। ২০২০-২২ সালের মধ্যেই সব কাজ শেষ হওয়ার কথা। আর এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক রেল নেটওয়ার্ক ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়েতে যুক্ত হবে বাংলাদেশের রেলপথ। এ রেলওয়ে নেটওয়ার্ক মিয়ানমার-বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান-ইরান হয়ে যাবে ইউরোপের তুরস্ক পর্যন্ত।
বাংলাদেশ রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব ফিরোজ সালাহউদ্দিন বলেন, রেলওয়ের দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের নিকটে ঘুমধুম পর্যন্ত প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৮টি অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি। তাই এ প্রকল্পটির দ্রুত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আশা করা যায়, চলতি বছরের জুন অথবা জুলাই মাসের মধ্যে পুরোদমে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। আর এটা শেষ হলে শুধু দেশ নয়, বিদেশ থেকেও হাজার হাজার পর্যটক কক্সবাজারসহ চট্টগ্রামে জড়ো হবে। তিনি আরো বলেন, এ প্রকল্পের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থাপনা হবে ঝুিনক আকৃতির কক্সবাজার রেলস্টেশন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, প্রস্তাবিত রেললাইনের ‘রুট এলাইনমেন্ট’ পিলার দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। চলছে জমি অধিগ্রহণ কাজ। উঁচু-নিচু টিলা, বনভূমি ও সমতল সবুজ প্রান্তর পেরিয়ে রেললাইনটি শেষ হবে সমুদ্রতীরের একেবারে কাছে। এ জন্য ইতোমধ্যে পরিবেশ অধিদফতর ও বন বিভাগের অনাপত্তিপত্র নেওয়া হয়েছে। এ রুটে ১৪০ কিলোমিটার নতুন ‘ডুয়েল গেজ’ রেললাইন নির্মাণ করা হবে। বনভূমির যেসব স্থানে বন্যপ্রাণী ও হাতির বিচরণ এলাকা, সেসব স্থান চিহ্নিত করে ‘প্যাসেজ’ নির্মাণ করা হবে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত থাকবে ৯টি রেলস্টেশন। এগুলো হবে দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ইসলামাবাদ, রামু ও কক্সবাজার। তবে কক্সবাজারের প্রস্তাবিত রেলস্টেশন এলাকা এখনো ধানি জমি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ চৌধুরীপাড়ার ওই স্থানটি চিহ্নিত করে রেখেছে। রামু থেকে চৌধুরীপাড়ায় কক্সবাজার স্টেশনে আসতে লাইনের দুটি স্থানে সড়ক ক্রসিং থাকবে।
প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে এডিবির সঙ্গে প্রকল্প চুক্তি হলে জুন-জুলাই মাসেই শুরু হবে কাজ। ইতোমধ্যে দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণকাজ দু ভাগে বিভক্ত করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। প্রথম ভাগে দোহাজারী থেকে চকরিয়া পর্যন্ত ট্র্যাক নির্মাণ, রেলের সিগন্যালিং ও টেলিকমিউনিকেশন কাজ করা হবে। পরে চকরিয়া থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্র্যাক নির্মাণ এবং কক্সবাজার রেলস্টেশন নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্প পরিচালক জানান, দরপত্র বাছাই শেষে সম্মতির জন্য এডিবির কাছে পাঠানো হয়েছে। আর কনসালট্যান্ট নিয়োগের প্রস্তুতি চলছে। এডিবির সম্মতির পর ‘প্রাইস বিডিং’ করা হবে। সর্বনিম্ন দরদাতা ঠিক করে সেটি আবার এডিবিতে পাঠানো হবে। তারপর মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। আর মন্ত্রিসভা অনুমোদন করলে ঠিকাদারকে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হবে।
সুত্র
©somewhere in net ltd.