বাঙ্গালির এই পুরে মরার গল্প

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৪৩

বাঙ্গালির এই পুরে মরার গল্প শুরু হয় সেই ১৯৭১ সাল যুদ্ধ থেকে যখন পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিত তখন থেকে । তারপর দেশ স্বাধীন হল চলে গেল অনেক গুলো দিন ! তাও কিন্তু থেমে থাকেনি বাঙ্গালির পুড়ে মরার গল্প হয়ত রাস্তা পুড়ে মরছে নয় কাজে গিয়ে সেখানে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাচ্ছে ।
এক সময় শুনেছিলাম বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প নাকি বিশ্বের শীর্ষ স্থান দখল করবে কিন্তু তা আজ বিলীনের পথে এটির ধ্বংসও কিন্তু শুরু হয় সেই পুড়ে মরার গল্প থেকে ।
সেই তাজরিন গার্মেন্টসের কথা কি আপনাদের মনে আছে ? আছে সেই লেলিহান শিখার কথা যে আগুনে পুড়ে কয়লা হয় শত শত গার্মেন্টস কর্মী ।সেই থেকে শুরু আজও এই শিল্প বিলীনের পথে।
আমাদের দেশের সেনাবাহিনী ও বিডিআর ধ্বংসের গল্প শুরু হয় এই পুড়িয়ে মারার গল্প থেকে !
মনে আছে আপনাদের সেই ধ্বংসের কথা যার মাধ্যমে আমাদের বিডিআর ১৫০০০ হাজার সদস্য হল আসামি আর সেনাবাহিনী থেকে হারালাম আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ৬৪ জন সেনা অফিসার যার কারনে সেনাবাহিনী হল পঙ্গু ।
এখন শুরু হল আমাদের পুড়ে মরার গল্পের নতুন অধ্যায় যেখানে আপনি রাস্তায় বেরোলে আতংকে থাকবেন যে এই বুঝি গাড়ীতে কেউ পেট্রোল বোমা মারল এই বুঝি কেউ আমার সামনে ককটেল ফুটালো । এই বুঝি পুলিশ আমাকে বিনা অপরাধে থানায় ধরে নিয়ে গেল পিকেটার হিসেবে । আমাদের দেশ টা হচ্ছে এরূপ
যেখানে একজন বলল অবরোধ আর হরতাল আর সাথে সাথে কিছু মানুষ লেগে গেল সাধারন মানুষকে পুড়িয়ে মারার প্রতিযোগিতায় ! কেউ কেউ এই প্রতিযোগিতায় উৎসাহ দেয়ার জন্য অন্যদলের থেকে এসেও নীরবে অংশগ্রহণ করে চলে গেল । আরে পুড়বেন ই না কেন ? পরের দেশে আছেন যে সে তোঁ আপনাকে পুরে মারার অধিকার রাখবেই । আমাদের অবস্থা এখন অনেকটা সেই আগের দিনের দাস দের মত যে তাদের প্রভু চাইলেই তাকে যে কোন শাস্তি দিতে পারবে কিন্তু সেই দাস কোন প্রতিবাদ করতে পারবে না প্রতিবাদ করলেই সেই পুনরায় অত্যাচারিত হবে । কারন সে তাদের কিনা গোলাম !! আমরাও তাদের কিনা গোলাম হয়ে দাঁড়িয়েছি কারন আমরা তাদের নেতৃী হিসেবে নির্বাচিত করেছি ।
এভাবেই চলতে থাকবে বাঙ্গালীদের পুড়ে মরার গল্প ............ হয়ত কোন দিনই তা শেষ হবার নয় ।

০ টি +০/-০