| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলার অলস ছেলে
সকল সময় নতুন কিছু জানার ইচ্ছায় ছিলাম কিন্তু কিছুই জানা হয়নি জীবনে
জয় বাংলা! জয় বাংলা! জয় বাংলা!
স্লোগান দিয়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীন করে বাংলাদেশকে মুক্তি বাহিনী। বাংলাদেশকে রক্ষা করে পাক হানাদার বাহিনী আর রাজাকারের হাত থেকে। শহীদ হয়েছে লাখো বাঙ্গালী। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরও আমরা স্বাধীন কিনা তা নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন। আপনি রাজাকার থেকে বাঁচতে পেরেছেন কিনা নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন। আমি আঙ্গুল তুলে দেখাতে চাই না সে রাজাকার। কারন আমি নিজেও জানি না কারা এই রাজাকার কিন্তু ঐ রাজাকারের ষড়যন্ত্রের প্রভাব আজও আমাদের মাঝে বিস্তৃত । ৭১-রে রাজাকার যেমন মানুষ রূপধারী শয়তান ছিল আজও তারা ভাল পোশাক পরে সেই কাজই করছে। খুনের বদলে খুন চাইনা আমরা, আমরা চাই ন্যায় বিচার। আমাদের সমাজে আজ দোষীদের শাস্তি হয়না তার স্থানে সাঁজা পাচ্ছে নির্দোষ , নিরঅপরাধ মানুষ । খুনি প্রকাশে খুন করছে তার পর আবার সবার সামনে বুক ফুলিয়ে চলছে। তাদের সাঁজা দেয়ার কেও নেই। কিন্তু সাধারন মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতেই হচ্ছে ব্যর্থ। আমরা স্বাধীন হইনি আমাদের স্বাধীনতা আমাদের রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনা স্বাধীনতা আজ আর নেই । স্বাধীন বাংলায় আমাদের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। সবাই বলছে ভালো আছি কিন্তু কেউই আজ আর ভালো নেই । শান্তিতে আছে তারা যাদের গাড়ি পোড়ানো হয়না। কিন্তু কষ্টে দিন কাটে তাদের যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাসা থেকে বের হতে হচ্ছে বাসে চরতে হচ্ছে রাস্তায় হাটতে হচ্ছে শুধু মাত্র ২ মুঠো খাবারের জন্য, সন্তানের মুখে হাঁসি দেখার জন্য। কিন্তু সেই মানুষটি নিজেই বলতে পারেনা আজ বাসায় ফিরতে পারবে কিনা।হয় সে জ্বলবে পেট্রোল বোমার আগুনে, না হয় সে রাত কাটাবে কারাগারের অন্ধকার সেলে, কিন্তু দোষ ছিল কি তার? পেটের তাগিতে ঘর থেকে বাহির হওয়া। পেটের তাগিদে না হোক আমরা স্বাভাবিক জীবন যাপন কেন করতে পারবোনা?
আজ লিখছি আমার বন্ধুর জন্য। আমার বন্ধু যার মাসুম। তিন ভাই এক বোনের মাঝে সকলের ছোট সে । হঠাৎ করে বোনের বাসায় যেতে হয় তার রাতে। বোনের বাসায় যাবার পথে প্রায় ঘণ্টা তিনেক আগে সেখানে একটি ট্রাক পুড়িয়ে দেয় পিকেটারা আর তার শিকার হয় আমার নিরাপরাধ এই বন্ধুটি । ট্রাক পুড়ার প্রায় ঘণ্টা তিনেক পরে গিয়েও পিকেটার হিসেবে ধরা খেল পুলিশের কাছে বিষয়টি কি হাস্যকর হয়ে উঠল না । আপনারাই বলুন কেও যদি পেট্রোল বোমা ছুড়ে সে কি ৩-৪ ঘণ্টা ধরে ওখানেই বসে বসে থাকবে যে “আ্স আমারে ধর?” নাকি পিকেটিং করে চা দোকানে বসে খাবে যে পুলিশ আসুক তারপর আমি ধীরে সুস্থে আমি আটক হয়ে তাদের সাথে থানায় যাব পিকেটার হিসেবে?
হয়ত এভাবে লিখার জন্যও আমারও সাঁজা হয়ে জেতে পারে। তবুও আমার ভয় নেই। কারন একতা থাকলে কখন কোন শক্তি একতা ভাংতে পারেনা। এতক্ষণ যাদের নিয়ে বলছিলাম আমরা সাধারন জনগন তেমনি আমার বন্ধুও তার মাঝে একজন। ছোট বেলা থেকে একসাথে চলে এতটুকু বলতে পারি কখনো কোন খারাপ কাজে লিপ্ত হয়নি, কখনো রাজনীতির ধারে কাছে যায়নি, কখনো কারও গাঁয়ে হাত তুলেনি।আর এগুলই ছিল তার একমাত্র দোষ যার কারনে আজ সে কারাগারে। কিন্তু তার না করা, যে কোন ভালকাজ করলে হয়ত সে আজ কারাগারে থাকতো না। কথা শুধু একজনের নয়, এখানে এমন সকলের কথা যারা বিনা কারনে বিনা দোষে সাঁজা ভুগছে। আমার মনে হয় এমন শুধু একজন নয় , এমন হাজার হাজার কিংবা লাখ লোক বিনা অপরাধে সাঁজা কাটছে আজ । খুনি সন্ত্রাসী সাঁজা পেলে তাদের কিছু আসে যায়না, কিন্তু একজন নিরীহ মানুষ সাঁজা পেলে তার সম্পূর্ণ জীবন পরিবর্তন হয়ে যায়। হয় তার মাঝে ভাল মানুষটি চিরতরে মরে যায়, না হয় সেও নাম লিখায় খারাপের তালিকায়। জন্ম সুত্রে কেও সন্ত্রাসী হয়ে জন্মায় না সমাজ পরিবেশ তাকে বাধ্য করে তাকে খারাপ কাজে লিপ্ত হতে।আমার মতে তার মাঝে অন্যতম কারন এটি। দোষ না করে সে কারাগারে থাকলে সে অবশ্যই চাইবে দোষ করে রাজার হালে থাকতে। এভাবে জন্ম হয় অপরাধীর। এখন এরকম হাজার হাজার মাসুম জেলে আছে। তাদের মাঝে যে মানুষ আছে তা পশুতে পরিবর্তন হবেনা তার গ্যারান্টি কে নিবে? একজন পাগলও খুন করে ঘটনা স্থল থেকে পালিয়ে যায়।তাহলে এইটা কেমন যুক্তি হল ঘটনা স্থলে পরে যাকেই পাওয়া যাবে সেই আসামি। কে
সবাই বলে অবস্থা ভালনা ঘর থেকে বাহির হইস না। কিন্তু প্রয়োজন কি অবস্থা খারাপ দেখে? আগে বুঝতামনা অবস্থা কতটা খারাপ, কিন্তু সেটা বুঝার জন্য উপযুক্ত উদাহরণ আছে আমার কাছে। তার মানে হচ্ছে মানুষ চার দেয়ালে থেকে মরে যাক। অবস্থা খারাপ তাকে হাঁসপাতাল নেয়া যাবেনা?
আমি জানি আমার লিখা আপনাদের মনের কথা । আমি আজ বলেছি ওপেন সিক্রেট , কিন্তু সবার কাছে আমার প্রশ্ন এরকি কোন সমাধান নেই? এভাবে চলছে এভাবেই কি চলবে? সবাই বলে আমরা নতুন প্রজন্ম , নতুন প্রজন্ম কি এভাবেই ধংস হয়ে যাবে?
আমার আপনার শরীরে বাংলার রক্ত বইছে। আর সেই বাংলাদেশী রক্ত বলে- আমি স্বাধীনতা চাই, আমরা সবাই স্বাধীনতা চাই। এমন স্বাধীনতা যেখানে আমরা নির্ভয়ে নিঃশ্বাস নিতে পারি, নিশ্চিন্তে কথা বলতে পারি। স্বাধীনতা আমাদের কামনা, ৪৪ বছর পরও স্বাধীনতা চেয়ে যাবো।
জয় বাংলা!
২|
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪
বাংলার অলস ছেলে বলেছেন: আজ দেখলাম এভাবে আরও দুজন কে তাদের শিকারে পরিণত করেছে
৩|
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫০
নিলু বলেছেন: আমি এখনো বুঝতে পারিনি , স্বাধীনতা কাকে বলে এবং কেনও আমরা স্বাধীন হতে চাই , তবে আমি ,আমার বাবা বেচে থাকতে ভাবতাম , যদি এখনই , আমি বাড়ির প্রধান হতে পারতাম , তবে কতো না মজা করে , টাকা খরচ করতে পারতাম , আর যেখানে খুশী , সেখানেই চলে যেতাম , করতে হতো না কোনও জবাবদিহি , ধন্যবাদ,
৪|
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১২
বাংলার অলস ছেলে বলেছেন: বর্তমান সময়ে আপনি যেতে পারতেন ??
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১৬
দধীচি বলেছেন: পুলিশের ভুমিকা নিন্দাজনক।