![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্ব যখন এগিয়ে চলে আকাশ জয়ের পথে , আমরা তখন নিকাতলায় ফতোয়া খুঁজি পুখি পুস্তুক চুষে ।
মামা কি হইছে ? ষাঁড়ের মত চিৎকার করছ কেন ?
মামা অবস্তা বড্ড খারাপ । মশার কাঁমড়ে না ঘুমিয়ে এতক্ষণ মুজরো নাচ নাচলাম । তাহলে আর কি করার গাড়িতেই ঘুমিয়ে পড় ।রাত তিনটা বাজে ,ড্রাইভার ঘুম গেলেও হিমেলের চোখে ঘুম নেই । গাড়ি থেকে গোটা দশেক সিগারেট আর লাইটার নিয়ে , গাড়ি থেকে নেমে একটা সিগারেট ধরিয়ে ফেলল ।অন্ধকার রাতে গাড়ির একটা লাইটের আলো দিয়ে কিছুটা পথ দেখা যাচ্ছে । হিমেল সিগারেটের ধোঁয়ার গোল গোল আকার দেবার চেষ্টা করছে ।কিন্তু গোল গোল হচ্ছে না ,অনেকটা ডিমের মত হচ্ছে ।
আনমনা মনে গাড়ির এক পাশটা হেলান দিয়ে কিছুটা সময় ফেবুর পাতা দেখতে দেখতে ……. মৃদু পায়ের আওয়াজ ।পরিচিত কোন নারীর কন্ঠস্বর ,যেন তাকে ডাকছে অনেক দিন থেকে এভাবে ……..
চাঁদনী পসরে কে আমারে স্মরণ করে
কে আইসা দাঁড়াইছে গো আমার
দুয়ারে।
তাহারে চিনিনা আমি,
সে আমারে চিনে!
বাহিরে চাঁন্দের আলো, ঘর অন্ধকার-
খুলিয়া দিয়াছি ঘরের সকল দুয়ার তবু কেন সে আমার ঘরে আসেনা!
সে আমারে চিনে কিন্তু আমি চিনিনা..
সে আমারে থরে থরে ইশারায় কয় এই চাঁদের রাইতে তোমার হইছে গো সময়,
ঘর ছাড়িয়া বাহির হও ধরো আমার হাত-
তোমার জন্য আনছি গো আইজ, চাঁন্দেরও দাওয়াত।
চাঁন্দেরও দাওয়াত পায়ে হিমেল বেশ সমস্যায় পড়ে গেল ।কারণ রাত প্রায় তিনটার উপর বাজে ,তার মধ্যে এখানে এমন সুন্দর কন্ঠস্বরই বা কার ?? অদেখা কে দেখার আগ্রহ ছিল সব সময় ।লাইটার আর সিগারেট পকেটে গুজে দাওয়াত গ্রহণ করার জন্য যবে ,এমন সময় পেছন থেকে একটা হাত হিমেলের শার্টের কিছুটা অংশ ধরে ফেলল ।
পেছনে ফিরে ,মামা তুমি ঘুমাও নি !!না , কিন্তু এত রাতে কই যান । কোথায় আর যাব ঘুম ধরছে না তাই এদিক ওদিক হাটাহাটি করছি ।যাই করেন মামা বেশি দূরে যাবেন না , ঠিক আছে ।
সেলিম ঘুমানোর চেষ্টা করল । কিছুক্ষণ পড়ে হিমেল আবার শুনতে পেল ঐ একই কন্ঠস্বর, এবার ডাকছে যেন খুব আপন ভাবে ……….
একটু খানি আধাঁর হলে কি বা এমন ক্ষতি বল
আমার কষ্ট গুলো অন্ধ আর হিমশীতল হয়ে কুঁকড়ে আছে সেই কতদিন,
কত বিনিদ্র প্রহর... আমি তাদের মত নিস্তব্ধ হয়ে জেগে থাকি আর একটু আঁধারের প্রতীক্ষায়,
আমার শীতল আর নিরলপ্ত মগ্নতা তোমাকে কি মনে করিয়ে দেয় নি আমিও একদিন ভালবেসেছিলাম,
একদিন আমিও স্বপ্ন দেখেছিলাম, তোমাকে আলিঙ্গন করে বলেছিলাম আমি বাঁচতে চই,আমি বন্নিশিখা হতে চাই,
আমি মেঘের জলে আলোক জ্বালা রংধনু .........
হিমেল একটা লাইট হাতে নিয়ে কানে হেডফোন গুজে রাস্তা ধরে হাটা শুরু করল । হেডফোন খুলে স্পষ্ট শুনতে পেল নূপুরের ঝনঝন শব্দ ।ভাবতে থাকলো কোথাও নাচের আসর বসেছে । কিন্তু তার পায়ের দিকটা দেখে পুরাই অবাক.…সরিষার ফুলের অনেকগুলো দানা তার পায়ে লেগে আছে ।কিছুক্ষণ পড়ে বুঝতে পাড়লো ,সে রাস্তা থেকে এক কি:মি: এর মত সরিষার ক্ষেত দিয়ে চলে এসেছে ।. ..(চলবে )
©somewhere in net ltd.