![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গর্তে লুকানো কিছু সমকামিতা
ক.
দুজন গেলে আমাদের কথা গুরুত্ব দেবে না, ওর চে' বরং তিনজন নিয়ে যাওয়াটাই বেটার হবে। যাকে নায়েবে মোহতামিম বলা হয়, লম্বা লাল কালো মিশ্রিত দাড়িঅলা তিনি। আমাদেরকে এই ফজরের পরে দাড়ানো দেখে তিনি চশমার উপর থেকে চোখ বের করে বললেন, কী হয়েছে, বলেন? আমরা কী করে কথাটা শুরু করবো ইতস্ততবোধ করতে লাগলাম, তখন আমার পাশের ছাত্রটি বলতে শুরু করল, -অমুক কারী সাব হুজুর রাত্রি আমাদের ক্যারাত খানায় ঘুমায়, আর ছাত্ররা তার খেদমত করে। না.মোহতামিম সাঃ কিছুটা 'এ কত্ত বড় সাহস' বলার ভঙ্গিতে বললেন, কবে থেকে এরম করতেছে সে? আগে জানাওনি ক্যান? আমরা আমতা আমতা মুখ করে চুপচাপ বসে রইলাম। তারপর তিনি বললেন, যাও তোমরা, আমি দ্যাখপানি।
`
খ.
রাতে লাইট বন্ধ হয় শোয়া দশটায়। এর ভেতরে খাবার-দাবার খেয়ে বিছানা করে শুয়ে পড়তে হবে, এটাই সেখানের নিয়ম। বড় রুম, অথচ সেখানে রাত্রে থাকা ছাত্রের সংখ্যা নিতান্ত কম। আমি সহ পনের বিশজন। তো ঠিক শোয়া দশটায় লাইট অফ হল, গুমগুমে অন্ধকার। গরমে ফ্যান চলছে তার নিজস্ব শব্দে। খানিক পরে মৃদু ধাক্কায় দরজা খুলে চলে এলো সেই 'অমুক' নামের কারি সাব। কেউ কোন কথা বললো না, বা বলার সাহস পেল না। তখন আমার কান খাড়া হয়ে গেল গতদিনের মতো কিছু অদ্ভুৎ শব্দ শোনার অপেক্ষায়। এরঠিক আধঘন্টা অথবা চল্লিশ মিনিট পর গালে ভাত আটকে যাওয়ার মতো কারো গোঙরানির আওয়াজ শুনতে পেলাম। কে হতে পারে সেটা? আমার ভেতরে খুব আগ্রহ জন্মালো। একদিন পড়ে ওঠার পর কারি সাব আমাকে ডাক দিয়ে বললেন, রাত্রে আমার সাথে দেখা কোরো! মনে থাকে যেন! আমি রাতে চলে এলাম তার কাছে, সে আমাকে পা টিপতে বলল। আমি টিপে দিলাম। হাত টিপতে বলল, টিপলাম। আর ভাবতে লাগলাম তালি এরই নাম 'খেদমত'! তাহলে এটা নালিশ করার কী? হঠাৎ তিনি তার লোমঅলা এক পা আমার রানে উঠিয়ে আমার হাত যথাস্থানে নিয়ে গেলেন, আমার গা ঘেমে গেল তখন। এক ঝটকায় সরিয়ে নিলাম সব। এবং অন্ধকারে দৌড়ে আসলাম।
`
গ.
দিত্বীয় বছরে সে কারি সাব বিদায় নিল। কিন্তু আমি ছিলাম। বছরের শেষ দিক, বোধহয় বৃষ্টি হচ্ছিল তখন। এক দুপুরে মসজিদের তিনতলায় বসে আমি ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে বই পড়ছিলাম, ঐখানে নাকি কতৃপক্ষ কর্তৃক ওঠা নিষেধ। সেই না.মোহতামিম সাঃ আমাকে নিচ থেকে দেখে উপরে উঠে আসলেন, আমি তো খুব ভয় পেয়ে গেলাম কিনা জানি বলে এখন। কিন্তু সেসব কিচ্ছু না। উনি এসে আলতো করে বকা দিলেন, এই এখানে উঠছির ক্যানো? তাই বলে আমার লুঙ্গির উপর দিয়ে কিছু ছুঁলেন।
`
`
(আমারও একটি শৈশব ছিল/বাল্যস্মৃতি)
২| ২৩ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০২
তামিম উবায়দা বলেছেন: আমিও সেই কাজটা করছি।
৩| ২৩ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম!
সকলেই চেপে যায় বলেই গর্তের সংক্যা বাড়ে! কারীদের সংখ্যাও বাড়ে! দু:খজনক।
৪| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মাইরের বিকল্প নাই
৫| ৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪১
তাশমিন নূর বলেছেন: বাহ! সাহসী কাজ। লিখে যাও।
৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:৪৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এ ভবের রঙ্গ মেলায় কত কিই যে ঘটে । যাহোক সচেতনমুলক একটি পোস্ট যাদের জন্য লিখা তাদের বোধদয় হলে হয় ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: এই সব মানুষের মুখোশ উন্মোচন হওয়া উচিৎ।