![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
..I have wished a bird would fly away. And not sing by my house all day; And of course there must be something wrong In wanting to silence any song. ----Robert Frost (A minor bird)....
আমাদের দেশে, বিশেষ করে ঢাকায় এখন পুরাতন ফোন আর ক্যামেরা দিয়ে দোকান সয়লাব। এর একটা কারণ হচ্ছে ক্যামেরা অনেক বেশী বিক্রি হয়, মানুষ বেশীদিন ইউজ করেনা, সেল করে দিয়ে আপগ্রেড করে অন্য কনসিউমার প্রোডাক্ট এর মতো।এই ব্লগটা লেখা মূলত মানুষ কে একটা রাফ আইডিয়া দেওয়া যে কি কি করতে হয় ক্যামেরা বা মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে।
ক্যামেরার কথায় আসি। বাজারে প্রচুর রিফার্বিশড ক্যামেরা, এইসব দেখতে নতুনের মতোই চকচকে কিন্ত এগুলোর প্রোডাকশন ১০-১২ বছর বা ২০ বছরও হতে পারে, তার আগে বন্ধ। এখন এইসব থাকে কিভাবে? মানুষ বিভিন্ন রকম বুদ্ধি খাটিয়ে এইসব রাখে আর বেঁচে।
এসব কেনার উচিত অনুচিত এর ব্যপারে বলবো না, কারণ ভালো একটা রিফার্বিশড ক্যামেরাও অনেক দিন টিকতে পারে আবার নতুন ভালো ক্যামেরাও যেকোনো সময় নস্ট হতে পারে।
ক্যামেরা কেনার সময় কয়েকটা জিনিস চেক করে নিলে ভালো, এক হচ্ছে বক্স আর বক্স এর সাথে ক্যামেরা বডির সিরিয়াল নাম্বার। এরকম কয়েকটা সিরিয়াল নাম্বার থাকে, সব কয়টা মিললে ভালো। আরেকটা জিনিস, ক্যামেরার ফিল আর কোয়ালিটি। অনেক সময় ক্যামেরা হাতে নিলেই বোঝা যায় এটা নতুন না, কিংবা কোনো ঝামেলা আছে। এইজন্যে এক্সপেরিয়েন্সড কাউকে সাথে নিয়ে যাওয়া ভালো। আর নতুন ক্যামেরা বক্স এর ভেতরে খুব সুন্দর করে সাজানো থাকে, সব প্যাকেট এ খুব ভালোভাবে গোছানো থাকে। এইটা দেখলেও বোঝা যায় যে অরিজিনাল নন রিফার্বিশড ক্যামেরা। পুরাতন ক্যামেরায় প্যাকেটের কোয়ালিটিও ভালো থাকে না, দেখে সস্তা সস্তা মনে হয়। এজন্য কয়েকটা দোকান ঘুরে ফিরে ক্যামেরা আর ক্যামেরার প্যাকেট দেখে, সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। সেই সাথে আরেকটা বিষয়, শাটার কাউন্ট। শাটার কাউন্ট এ্যাকুরেট হয় না। আর এটা রিসেট করা যায়। আপনাকে ব্র্যান্ড নিউ ২০০ শাটার কাউন্টের ক্যামেরা বেচলেও সেটা ২ হাজার বা ২০ হাজার শাটার কাউন্টেরও হতে পারে। তাই শাটার কাউন্ট এর উপরে ভরসা করা ঠিক হবে না। ক্যামেরার লুক, ফিল, কম্ফোর্ট ভালো লাগলে নিতেও পারেন, শাটার কাউন্ট তেমন মেজর কোনো ইস্যু না। ক্যামেরার সিরিয়াল নাম্বার টা ক্যামেরার মেনুতেও দেখা যায়। নতুন মডেলের ক্যামেরা রিফার্বিশড কম হয়, যেসব এর প্রোডাকশন আগে থেকে অফ তারই রিফার্বিশড হয়। আর এই সময় করোনার কারণে তো আরও বেড়ে গেছে।
এবার আসি মোবাইলে। মোবাইলের ক্ষেত্রে, আইএমইআই (IMEI) ম্যাচড বক্স দেখবেন, বক্সের সাথে ফোনএর ব্যাকে যে স্টিকার থাকবে সেটা, যদি না থাকে তাহলে ডায়াল করতে হবে *#০৬# লিখে। অনেক সময় সিম ট্রের সাথে লেখা থাকে, অরিজিনাল ফোনে সিম ট্রের সাথে ওই নাম্বার ম্যাচ করবে। ফোনের যেকোনো হোল, স্পিকার গ্রিল টাইপের জায়গা চেক করবেন ধুলা বালি আছে কিনা। তাহলে বোঝা যায় কতোটা পুরাতন। ফোনের চার্জার, অন্য সব জিনিস বক্স এ কিভাবে সাজানো আছে দেখলেও বোঝা যায় নতুন না পুরাতন ফোন/রিফার্বিশড ফোন। ফোনের ক্ষেত্রে রিফার্বিশড কেনা উচিত না, নস্ট হতে পারে আর যেখানে ভালো ভালো অপশন আছে অল্প দামে।
আর কেনার পর সিরিয়াল নাম্বার অথবা আইএমইউআই আপনার ইনভয়েসে লেখা থাকবে, দাম আর আপনার সাক্ষর দিতে হবে। নতুন পুরাতন সব কেনার ক্ষেত্রে এইটা নিতে হবে আর পুরাতন ফোনের অরিজিনাল আগের রিসিপ্ট সেলার এর কাছে থাকে, আপনাকে তারা দিতেও পারে নাও দিতে পারে। ওয়ারেন্টি প্রোভাইড করা আর আপনার সিকিউরিটির জন্য আগের রিসিপ্ট সেলারের কাছে থাকাই ভালো।
এইসবই আসলে পুরাতন ফোন/ক্যামেরা কেনার কিছু গাইডলাইন, আরও রিসার্চ করে নিতে পারেন কেনার আগে, তবে আশা করি একটু সতর্ক থাকলে ভালো প্রোডাক্ট পাবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.