নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের সন্ধানে আমি

বল সত্য আসিয়াছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হইয়াছে। আর মিথ্যাতো বিপুপ্ত হওয়ার জন্যেই ।-সুরা বনী ইসরাইলঃ-৮১

সত্যের সন্ধানে আমি

বল সত্য আসিয়াছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হইয়াছে। আর মিথ্যাতো বিপুপ্ত হওয়ার জন্যেই।-সুরা বনী ইসরাইলঃ-৮১

সত্যের সন্ধানে আমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাবলীগ জামাতের অন্ধ গোঁড়ামি এবং কিছু না বলা কথা

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৫৩

প্রসঙ্গঃ- তাবলীগ জামাতের অন্ধ গোঁড়ামি এবং কিবলা কথাছু না



১। আপনি যদি কোরআন, সহীহ হাদিস ও যুক্তি দিয়ে যদি একটা গাছকেও বুঝান তাহলে মনে হয় গাছটা আপনার কথা মেনে নিবে কিন্তু একজন তাবলীগের ভাই কখনোও মানবেন না।



২। বড় বড় আলেমরা যে উনাদের দেখতে পারেন না সে ব্যাপারে উনাদের কোন মাথা ব্যথা নেই। বরং উল্টা ওইসব আলেমদের কার কি ভুল আছে সেগুলো ধরতে উনারা খুব পটু। অবশ্য উনাদের মতে এইসব বড় বড় আলেমরা কোন আলেমই না। যত বড় বড় আলেম সবই দেওবন্দে।



৩। উনারা জাকির নায়েকের পোশাকের ভুল ধরা নিয়ে ব্যস্ত। জাকির নায়েক কি বলে সে কথা শোনার ধৈর্য উনাদের কোনদিনই হবে না।



৪) তাবলীগ জামাতের যে ছেলেটা বা লোকটা কোনদিন জাকির নায়েকের কোন লেকচার শুনেনি এমনকি জাকির নায়েককে কোনদিন দেখেনি পর্যন্ত সেও বলবে, জাকির নায়েক সে তো একটা ভ্রান্ত। ওর মাঝে কোন সুন্নত নাই। ওই বেটা প্যান্ট শার্ট ও টাই পড়ে। ওই বেটা একটা গোমড়া।



৫) উনারা মাওলানা মওদুদি (রঃ) কে দেখতে পারেন না এবং উনার বইকে অস্পৃশ্য মনে করেন এই জন্যে না যে মাওলানা মওদুদি(রঃ) ভুল বলেছেন কিংবা ভুল লিখেছেন বরং ভারতীয় উপমহাদেশে মাওলানা মওদুদিই প্রথম আলেম যিনি তাবলীগ জামাত ও পীরদের আকিদাগত ভুলগুলোর বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন। মানুষ হিসেবে মাওলানা মওদুদির কিছু ভুল থাকতেই পারে তার মানে এই না যে তিনি কাফের হয়ে যাবেন।



৬) আমার এক তাবলীগের ছোট ভাই তো বলেই ফেলছে যে, ও যদি কোনদিন মতিউর রহমান মাদানীরে পায় তাহলে হত্যা করবে। কারণটা মনে হয় আপনারা সবাই জানেন।



৭) তাবলীগ জামাত সবচেয়ে মারাত্মক যে কাজটা করে সেটা হল, যে ছেলেটাই একবার তাবলীগে যাবে তার জন্যে কোরআন হাদিস অধ্যয়ন সারা জীবনের জন্যে নিযিদ্ধ করে দিবে। বলবে, দেখ তুমি যদি কোরআন হাদিস পড় তাহলে তুমি গোমড়া হয়ে যাবে কারণ কোরআন বুঝার জন্যে আগে তোমাকে ১৭ টা নিয়ম জানতে হবে। তারপর আবার কোরআনের কয়েক ধরনের অর্থ আছে যেমন জাহেরি ,বাতেনি আরও কত কি। আর হাদিস তুমি কেমনে বুঝবে, হাদিস তো আরবী ভাষায় লেখা হইছে। আর যেসব অনুবাদ করা হইছে এগুলো যে একবারে সঠিক এই কথা তোমাকে কে বলছে। তাই তোমার জন্যে কোরআন হাদিস না, বরং কোরআন হাদিস হচ্ছে আমাদের বড় বড় আলেমদের জন্যে। আমাদের আলেমরা পড়ে তোমাকে যা বলবে তুমি তাই মেনে নিবে। তুমি শুধু পড়বে সবুজ কাভারের কয়েকটা বই আর না বুঝে মাঝে মাঝে কোরআন তেলায়ত করবে, ও আচ্ছা ভুলেও এইসব বইয়ের ভিতরে বুজুর্গের যেসব কাহিনী লেখা আছে সেসব বুজুর্গদের নাম জিজ্ঞাসা করবে না কারণ উনারা বুজুর্গ, উনাদের নাম লিখা যায় না। আর ওই সব কাহিনী আসলেই সত্যি কিনা এবং তুমিই বা এইসব কাহিনী কোরআন হাদিসের মত করে কেন পড়বে এই ব্যাপারে কোন প্রশ্ন করবেনা।



আল্লাহ্‌ তুমি ওদেরকে সত্যটা উপলব্ধি করার তৌফিক দান কর। আমীন।

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০৪

নাঈম আহমেদ বলেছেন: ইলিয়াস রহঃ এর জারি করা পদ্ধতিতে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ করা কি শরীয়ত সম্মত? না কি বিদআত?
بسم الله الرحمن الرحيم

কুরআন হাদীসের দৃষ্টিতে তাবলীগ

তাবলীগ মুসলিম মিল্লাতের অতি পরিচিত একটি শব্দ। যার অর্থ প্রচার ও প্রসার। কিয়ামত পর্যন্ত আগত সকল বিশ্ব মানবের নিকট দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছাবার যে গুরু দায়িত্ব মুহাম্মদ সাঃ কর্তৃক সকল উম্মতে মুহাম্মদীর উপর অর্পিত হয়েছে, পরিভাষায় সেটাকেই তাবলীগ বলে।
মূলত রাসূল সাঃ বিশ্ব মানুষের কাছে দ্বীনের এ দাওয়াত পৌঁছাবার ও প্রচার-প্রসারের মহান দায়িত্ব নিয়েই পৃথিবীতে আগমণ করেছিলেন। যেমন আগমণ করেছিলেন রাসূল সাঃ এর পূর্বে অগণিত নবী ও রাসূল। রাসূল সাঃ কে তাবলীগ করার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন-
{ يَاأَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَآ أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ وَإِن لَّمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ [المائدة:67]
হে রাসূল! আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তা আপনি প্রচার করুন। যদি আপনি তা না করেন তাহলে আপনি আল্লাহর বার্তা প্রচার করলেন না। (সূরা মায়েদা : ৬৭)
রাসূল সাঃ হলেন সর্বশেষ নবী। তার পর পৃথিবীতে আর কোন নবী আসবে না। তাই বিদায় হজ্বের সময় রাসূল সাঃ বজ্র কণ্ঠের ঘোষণা فليبلغ الشاهد الغائب তথা “পস্থিত লোকেরা যেন দ্বীনের এ দাওয়াত অনুপস্থিত লোকদের কাছে পৌছে দেয়” এর মাধ্যমে সমস্ত উম্মতে মুহাম্মদীই তাবলীগ তথা দ্বীন প্রচারের ব্যাপারে দায়িত্বশীল হয়ে যায়। যে ব্যক্তি দ্বীন সম্পর্কে যা জানে তা’ই অন্যের কাছে পৌছে দেয়ার দায়িত্বশীল করে রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন-আমার পক্ষ থেকে একটি বাণী হলেও [মানুষের কাছে] পৌঁছে দাও। {তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৫৫৭০, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৩২৭৪, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৬২৫৬, সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-২৬৬৯}
সাহাবায়ে কিরাম রাসূল সাঃ এর উক্ত নির্দেশের বাস্তবায়ন ঘটিয়েছেন যথাযথভাবে। পরবর্তীতে সর্বযুগেই উলামায়ে উম্মত “ওলামায়ে কিরামই হলেন নবীদের ওয়ারিস” হাদীসের সফল বাস্তবায়নের জন্য জীবন বাজী রেখে সংগ্রাম করেছেন।
উল্লেখিত আয়াত ও হাদীস ছাড়াও অসংখ্য আয়াত ও হাদীসে তাবলীগ তথা দ্বীন প্রচার ও প্রসারের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন:
ادْعُ إِلِى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ وَجَادِلْهُم بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ (النحل: ١٢٥(
আপনি আপনার প্রতিপালকের দিকে আহবান করুন হিকমত বা প্রজ্ঞা দ্বারা এবং সুন্দর ওয়াজ-উপদেশ দ্বারা এবং তাদের সাথে উৎকৃষ্টতর পদ্ধতিতে আলোচনা-বিতর্ক করুন। (সূরা নাহল: ১২৫)
অন্যত্র মহান আল্লাহ বলেন
وَلْتَكُن مِّنكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَأُوْلَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ (آل عمران: ١٠٤(
আর যেন তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল হয়, যারা কল্যাণের প্রতি আহবান করবে, ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে। আর তারাই সফলকাম। (সূরা আলে ইমরান: ১০৪)
অন্যত্র মহান আল্লাহ বলেন:
كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَلَوْ آمَنَ أَهْلُ الْكِتَابِ لَكَانَ خَيْرًا لَّهُم مِّنْهُمُ الْمُؤْمِنُونَ وَأَكْثَرُهُمُ الْفَاسِقُونَ )آل عمران: ١١٠(
তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি, মানবজাতির (কল্যাণের) জন্য তোমাদের আবির্ভাব হয়েছে। তোমরা ন্যায়কার্যে আদেশ এবং অন্যায় কার্যে নিষেধ কর এবং আল্লাহতে বিশ্বাস কর। (সূরা আলে ইমরান: ১১০)
আল্লাহ তাবারকা ওয়া তাআলা আরও বলেন:
وَالْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاء بَعْضٍ يَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَيُقِيمُونَ الصَّلاَةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَيُطِيعُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ أُوْلَئِكَ سَيَرْحَمُهُمُ اللَّهُ إِنَّ اللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ (التوبة: ٧١ (
আর মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীরা একে অপরের বন্ধু, তারা ভাল কাজের আদেশ দেয় আর অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করে, আর তারা সালাত কায়েম করে, জাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে। এদেরকে আল্লাহ শীঘ্রই দয়া করবেন, নিশ্চয় আল্লাহ পরক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (সূরা তাওবা: ৭১)
সূরা তাওবার ১১২ আয়াতে, সূরা হজ্জের ৪১ আয়াতে, সূরা লুকমানের ১৭ আয়াতে ও অন্যান্য স্থানেও উল্লেখ করা হয়েছে যে, আল্লাহর প্রকৃত মুমিন বান্দাদের অন্যতম বৈশিষ্ট হলো সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ।
এ দায়িত্বপালনকারী মুমিনকেই সর্বোত্তম বলে ঘোষণা করা হয়েছে পবিত্র কোরআনে।
মহান আল্লাহ বলেন:
وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلاً مِّمَّن دَعَا إِلَى اللَّهِ وَعَمِلَ صَالِحًا وَقَالَ إِنَّنِي مِنَ الْمُسْلِمِينَ )فصلت: ٣٣(
ঐ ব্যক্তি অপেক্ষা কথায় কে উত্তম যে আল্লাহর প্রতি মানুষকে আহবান করে, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি তো মুসলিমদের একজন। ( সূরা ফুসসিলাত: ৩৩)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
الدِّيْنُ النَّصِيْحَةُ، قُلْنَا لِمَنْ قَالَ للهِ وَلِكِتَابِهِ وَلِرَسُولِهِ وَلِأئمَّةِ الْمُسْلِمِينَ وَعَامَّتهِمْ. (رواه مسلم)
দীন হলো নসিহত। সাহাবিগণ বললেন, কার জন্য ? বললেন, আল্লাহর জন্য, তাঁর কিতাবের জন্য, তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য, মুসলিমগণের নেতৃবর্গের জন্য এবং সাধারণ মুসলিমদের জন্য। (মুসলিম)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ নসিহতের জন্য সাহাবিগণের বাইআত তথা প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করতেন। বিভিন্ন হাদিসে জারির ইবনু আব্দুল্লাহ রা. মুগিরা ইবনু শুবা রা. প্রমুখ সাহাবি বলেন:
بَايَعْتُ رَسُوْل اللهِ صلى الله عليه وسلَّمَ عَلى إقَامَةِ الصَّلاةِ وَإيْتَاءِ الزَّكَاةِ وَالنُّصْحِ لِكُلِّ مسْلِمٍ (رواه البخاري)
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বাইয়াত বা প্রতিজ্ঞা করেছি, সালাত কায়েম, জাকাত প্রদান ও প্রত্যেক মুসলিমের নসিহত (কল্যাণ কামনা) করার উপর। (বোখারি)।
এ অর্থে তিনি সৎকার্যে আদেশ ও অসৎকার্যে নিষেধের বাইয়াত গ্রহণ করতেন। উবাদাহ ইবনু সামিত ও অন্যান্য সাহাবি রা. বলেন:
إنَّا بَايَعْنَاهُ عَلى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ ..وَعَلى الأمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهيِ عَنِ المُنْكَرِ وَ عَلى أنْ نَقُولَ في اللهِ تَبَارَكَ وَتَعَالى وَلا نَخَافُ لَومَةَ لائِمٍ فيهِ (أحمد صحيح)
আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে বাইয়াত করি আনুগত্যের… এবং সৎকর্মে আদেশ ও অসৎকর্মে নিষেধের এবং এ কথার উপর যে, আমরা মহিমাময় আল্লাহর জন্য কথা বলব এবং সে বিষয়ে কোন নিন্দুকের নিন্দা বা গালি গালাজের তোয়াক্কা করব না। (আহমাদ, বিভিন্ন গ্রহণযোগ্য সনদে)।

এ সমস্ত আয়াত ও হাদীসের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েই সকল যুগে ওলামায়ে কিরাম আপন দায়িত্ব পালনে সজাগ সতর্ক ছিলেন। অবশ্য সকল যুগে দাওয়াত ও তাবলীগের পদ্ধতি বা ধারা একই ছিল এমনটি নয়। যুগ চাহিদার ভিত্তিতে ওলামায়ে কিরাম কুরআন ও হাদীস বর্ণিত মূলনীতির আলোকে সমাজ ও জাতির জন্য ফলপ্রসু ও কল্যাণকর নতুন পন্থা ও পদ্ধতি উদ্ভাবন করে মানব জাতিকে রাহনুমায়ী করেছেন হিদায়েতের পথে। কখনো মক্তব-মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে। কখনো ওয়াজ ও নসীহতের মাধ্যমে। কখনো লিখনী ও বক্তৃতার মাধ্যমে। কখনো সহীহ হাদীস একত্র করা ও প্রচারের মাধ্যমে। কখনো খানকাহ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। দাওয়াত ও তাবলীগের এ সকল পন্থাই কুরআন হাদীস সমর্থিত। সম্প্রতিকালে দারুল উলুম দেওবন্দ ভারতের সূর্য সন্তান হযরত মাওলানা ইলিয়াস রহঃ এর কর্তৃক উদ্ভাবিত “দাওয়াত ও তাবলীগ” নামক দ্বীন প্রচারের এ পদ্ধতিটি সে ধারারই একটি কাজ। ইসলাম প্রচার ও প্রসারে এটি একটি নিরব বিপ্লব ও বটে।

তাবলীগ বিরোধী দু’টি বড় অভিযোগের জবাব

হক বাতিলের সংঘাত মুখর এ পৃথিবীতে বাতিলের সাথে অহর্নিষ সংগ্রাম করেই ইসলামকে সম্মুখে অগ্রসর হতে হয়েছে সর্বকালে। পরিণামে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হককেই বিজিত করেছেন যুগে যুগে। আর বাতিলকে করেছেন নিশ্চিহ্ন পরাভূত করে। তাবলীগ জামাআতের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি।
বর্তমান পৃথিবীতে এমন কোন বাতিল ফিরক্বা নেই, যারা আল্লাহর পধে আহবানকারী তাবলীগ জামাআতের উপর আক্রমণাত্মক হামলা করেনি। বিশেষ করে লা-মাযহাবী তথা কথিত আহলে হাদীস সম্প্রদায়। তারাই তাবলীগ জামাআতের উপর সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক হামলা করছে এবং তাবলীগ সম্পর্কে সবচে’ বেশি মিথ্যা অপবাদ রটিয়ে চলছে। শুধু বিরোধিতা করেই ক্ষান্ত হয়নি এ ইংরেজ সৃষ্ট দলটি। সাধারণ মুসলমানদের দ্বীন প্রচারী জামাআত থেকে দূরে রাখতে বিভ্ন্নি প্রকার মিথ্যা ছল-চাতুরীর আশ্রয় নিচ্ছে ঘৃণ্য পদ্ধতিতে। আল্লাহ তায়ালা সাধারণ মুসলমানদের এ বাতিল দলের প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সহীহ বুঝ দান করুন। ওদের অভিযোগ করা দু’টি অভিযোগের জবাব নিচে বিধৃত হল-

তাবলীগ জামাআত ইসলাম ধর্মে একটি নতুন বিদআত?

তাবলীগ জামাআত কোন নতুন দল বা সংগঠনের নাম নয়, বরং নবী করীম সাঃ এর তিরোধানের পূর্ব থেকেই বিদায় হজ্বের পর থেকে ব্যাপক হারে সাহাবায়ে কিরাম রাঃ এবং রাসূল সাঃ এর মৃত্যুর পর থেকে নিয়ে প্রত্যেক যুগেই কমবেশি সম্মিলিত ও বিচ্ছ্ন্নিভাবে দাওয়াতের এ দায়িত্ব পালিত হয়ে আসছিল।
হযরত ইলিয়াস রহঃ ব্যাপক আকারে ও সংগঠিতরূপে সেটির পুনঃজাগরণের চেষ্টা করেছেন মাত্র। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানেরই যেমন কর্মধারা ও সূচি থাকে, তিনিও তেমনি এ জামাতের জন্য কিছু কর্মধারা তৈরী করেছেন সাধারণ মানুষের জন্য প্রাথমিকভাবে অধিক উপকারী ও জরুরী বিষয় চিন্তা করে। পূর্ণ শরীয়তকে সামনে রেখে এর মাঝে কোন বিষয়গুলো প্রথমে আমলে আনতে পারলে পূর্ণ শরীয়তের উপর পাবন্দ হওয়া সহজ হয়ে যাবে তা চিন্তা করে একটি মূলনীতি নির্ধারণ করেছেন। যা কোনভাবেই শরীয়তের গন্ডির বাহির থেকে নয়। সেই সাথে শরয়ী কোন হুকুমকে অস্বিকার করে নয়।
যেমন বর্তমান মাদরাসা শিক্ষা শরীয়তের মাঝে নতুন কোন সংযোজন নয়, বরং সাহাবায়ে কিরামের মাঝে আসহাবে সুফফার যে জামাআত সার্বক্ষণিক দ্বীন চর্চায় নিমগ্ন থাকতেন সেটাই ছিল সর্ব প্রথম মাদরাসা। যদিও বর্তমান মাদরাসা পদ্ধতি আর আসহাবে সুফফার মাদরাসার মাঝে পদ্ধতিগত পার্থক্য রয়েছে। মৌলিকত্বে কোন পার্থক্য নেই। সে সময় কোন সিলেবাস ছিল না। ছিল না কোন ক্লাসিক্যাল অবকাঠামো। ছিল না সার্টিফিকেট দেওয়ার পদ্ধতি। ছিল না বিধিবদ্ধ শিক্ষক ষ্টাফের কোন মূলনীতি। কিন্তু পরবর্তীতে আম ফায়দার জন্য এবং দ্বীন চর্চায় অধিক উপকার অর্জনের নিমিত্তে একটি একাডেমিক পদ্ধতি আবিস্কার করা হয়েছে। যে আবিস্কার কোন বিদআত নয় মর্মে সকল ওলামায়ে কিরাম একমত। তেমনি তাবলীগ জামাআতের বর্তমান সাংগঠনিক ভিত্তি হিসেবে কিছু মূলনীতি নির্ধারণও কোন নতুন বিষয় নয়, বা বিদআত নয়। কারণ মাদরাসা শিক্ষার বর্তমান পদ্ধতিকে যেমন আমরা সওয়াবের কাজ মনে করি না, কিন্তু ইলমী দ্বীন চর্চাকে জানি সওয়াবের কাজ। তেমনি তাবলীগ জামাআতের পদ্ধতিটা মূলত সওয়াবের কারণ নয়, বরং এর দ্বারা যে কাজটি আঞ্জাম দেয়া হয় তথা তাবলীগ সেটি হল সওয়াবের কাজ। এ দু’টিতে কোন পার্থক্য নেই। সুতরাং তাবলীগ জামাআতকে দ্বীন এর মাঝে নতুন সংযোজন বলে বিদআত সাব্যস্ত করাটা বিদআতের সংজ্ঞা ও দ্বীন সম্পর্কে চূড়ান্ত পর্যায়ের অজ্ঞতার পরিচায়ক। কারণ বিদআত বলা হয়
عَنْ عَائِشَةَ رضى الله عنها قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « مَنْ أَحْدَثَ فِى أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ فِيهِ فَهُوَ رَدٌّ
হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-আমাদের দ্বীনের মাঝে যে ব্যক্তি নতুন বিষয় আবিস্কার করে যা তাতে নেই তাহলে তা পরিত্যাজ্য। {সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৪৬০৮, সহীহ বুখারী, হাদিস নং-২৫৫০, সহীহ মুসলিম-৪৫৮৯}
এই হাদিসে লক্ষ্য করুন কি কি শর্তে নব আবিস্কৃত বস্তুকে পরিত্যাজ্য বলেছেন নবীজী সাঃ।
১-সম্পূর্ণ নতুন বিষয়। যার কোন সামান্যতম প্রমাণ নবীযুগে বা সাহাবা যুগে নাই এমন বিষয় হতে হবে।
২-দ্বীনী বিষয় হতে হবে। সুতরাং দ্বীনী বিষয় ছাড়া যত নতুন বিষয়ই আবিস্কারই হোকনা কেন তা বিদআত নয়। যেমন বৈজ্ঞানিক আবিস্কার। নতুন নতুন আসবাব ইত্যাদী। এসব বিদআত নয়। কারণ এসব দ্বীনী বিষয় নয়। বরং বৈষয়িক বিষয়।
৩-দ্বীনের মাঝে নতুন আবিস্কার হতে হবে। দ্বীনের জন্য হলে সমস্যা নাই। কারণ দ্বীনের মাঝে নতুন আবিস্কার মানে হল এটা সওয়াবের কাজ। সুন্নাত, ওয়াজিব ইত্যাদী। আর দ্বীনের জন্য হলে সেটা মূলত সওয়াবের কাজ নয়, বরং সওয়াবের কাজের সহায়ক। যেমন মাদরাসা শিক্ষা একাডেমিক পদ্ধতি নববী যুগে ছিলনা। পরবর্তীতে আবিস্কার করা হয়েছে। এই একাডেমিক পদ্ধতিটি দ্বীনের মাঝে নতুন আবিস্কার নয়, বরং দ্বীনী কাজের জন্য সহায়ক হিসেবে আবিস্কার হয়েছে। অর্থাৎ দ্বীন শিখার সহায়ক। আর দ্বীন শিখাটা সওয়াবের কাজ। কিন্তু সিষ্টেমটা মূলত সওয়াবের কাজ নয় বরং সহায়ক। তেমনি তাবলীগের বর্তমান পদ্ধতিটি ইলিয়াস রহঃ আবিস্কার করেছেন দ্বীন প্রচারের সহায়ক হিসেবে। তথা দ্বীনের জন্য আবিস্কার। দ্বীন মাঝে আবিস্কার নয়। তাই এটি বিদআত হওয়ার কোন সুযোগই নেই।
যারা বলেন এ পদ্ধতি বিদআত, তারা মূলত দ্বীন সম্পর্কে চূড়ান্ত অজ্ঞতার পরিচয় দেন এসব কথা বলে।

তাবলীগ জামাআতের কাজ যেহেতু রাসূল সাঃ ও পরবর্তী সাহাবায়ে কিরামের প্রচার করা দ্বীন প্রচারেরই একটি সুসংহত রূপ মাত্র। তাই তাবলীগ জামাআতের কাজের সাথে সেসব ফযীলত শামিল হবে যা কুরআন সুন্নাহে বর্ণিত দ্বীন প্রচারের ফযীলত। যেমন দ্বীন শিক্ষার ফযীলত প্রাপ্ত হবে বর্তমান একাডেমিক পদ্ধতিতে পড়াশোনা করা মাদরাসা ছাত্ররা।

তাবলীগ জামাআতের ছয় উসুলে পূর্ণ ইসলাম নেই?

এ অভিযোগটিও একটি অজ্ঞতার পরিচয়বাহী ও হিংসাত্মক অভিযোগ। যার কোন ভিত্তি নেই। তাবলীগের ছয় উসুলের মাঝে পূর্ণ ইসলাম আছে একথা কোন তাবলীগী ভাই বলেন নাকি? তারাতো সর্বদা একথার দাওয়াত দেন যে, ছয় উসূলের উপর চললে পূর্ণ দ্বীনের উপর চলা সহজ হয়। একথা কোন তাবলীগী ভাই বলেন না যে ছয় উসূলই পূর্ণ দ্বীন। সাথে সাথে তাবলীগ তথা দ্বীনের দাওয়াত শুধু একথার উপর দেয়া হয় না যে, শুধুমাত্র ছয় উসূল মানতে হবে, বরং দাওয়াত দেয়া হয় পূর্ণ শরীয়তের পাবন্দ হতে হবে। তাই নয় কি? সুতরাং এ দাবি করা যে, যেহেতু ছয় উসূলে পূর্ণ দ্বীন নেই, তাই তাবলীগী ভাইয়েরা অপূর্ণাঙ্গ দ্বীনের দিকে আহবান করে। কারণ ছয় উসুলের দাওয়াতের মাধ্যমে পূর্ণ দ্বীনের দিকেই আহবান করা হয়।
যেমনটি আল্লাহ তায়ালা ছয়টি বিষয়ের অনুসরণ করলে বান্দা সফলকাম হয়ে যাবে মর্মে সূরায়ে মু’মিনূন এ ঘোষণা করেন-
قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ (1) الَّذِينَ هُمْ فِي صَلاتِهِمْ خَاشِعُونَ (2) وَالَّذِينَ هُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُونَ (3) وَالَّذِينَ هُمْ لِلزَّكَاةِ فَاعِلُونَ (4) وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ (5) الى اخر- وَالَّذِينَ هُمْ لأَمَانَاتِهِمْ وَعَهْدِهِمْ رَاعُونَ (8) وَالَّذِينَ هُمْ عَلَى صَلَوَاتِهِمْ يُحَافِظُونَ (9) أُوْلَئِكَ هُمُ الْوَارِثُونَ (10) الَّذِينَ يَرِثُونَ الْفِرْدَوْسَ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ (11)
১-নিশ্চয় সফলতা অর্জন করেছে মুমিনগণ। ২-যারা তাদের নামাযে আন্তরিকভাবে বিনীত। ৩-যারা অহেতুক বিষয় থেকে বিরত থাকে। ৪-যারা যাকাত সম্পাদনকারী। ৫-যারা নিজ লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করে। ৮-এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। ৯-এবং যারা নিজেদের নামাযের পরিপূর্ণ রক্ষাবেক্ষণ করে। ১০ এরাই হল সেই ওয়ারিশ। ১১-যারা জান্নাতুল ফিরদাউসের উত্তারাধিকার লাভ করবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে। {সূরা মুমিনুন-১-১১}

এ আয়াত সমূহে লক্ষ করুন-ছয়টি কাজ করলে আল্লাহ তায়ালা সফলকাম হওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছেন। সেই সাথে জান্নাতী হওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন। অথচ এ ছয় কাজে রোযার কথা নেই। নেই হজ্বের কথাও। তাহলে কি আল্লাহর বলা সফলকাম হওয়ার জন্য রোযা রাখার প্রয়োজন নেই? নেই হজ্ব ফরজ হলে হজ্ব আদায়েরও। এ দু’টি গুরত্বপূর্ণ ফরজ ছাড়াই কি ব্যক্তি জান্নাতী হয়ে যেতে পারে? কিভাবে?
এর জবাব যেমন-এ ছয়টির মাঝেই পূর্ণ দ্বীন শামিল। তেমনি তাবলীগের ছয় উসূলের দাওয়াতের দ্বারাও পূর্ণ দ্বীনের উপর আমলের দিকেই আহবান করা হয়। যা কিছুতেই দ্বীনকে সীমাবদ্ধ করা নয়, যেমন আল্লাহ তায়ালা সীমাবদ্ধ করেন নি।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সহীহ বুঝ দান করুন।

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
সহকারী মুফতী-জামিয়াতুল আস’আদ আল ইসলামিয়া-ঢাকা
ইমেইল[email protected]
[email protected]

২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০৪

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: তাই তোমার জন্যে কোরআন হাদিস না, বরং কোরআন হাদিস হচ্ছে আমাদের বড় বড় আলেমদের জন্যে। আমাদের আলেমরা পড়ে তোমাকে যা বলবে তুমি তাই মেনে নিবে। তুমি শুধু পড়বে সবুজ কাভারের কয়েকটা বই আর না বুঝে মাঝে মাঝে কোরআন তেলায়ত করবে, ও আচ্ছা ভুলেও এইসব বইয়ের ভিতরে বুজুর্গের যেসব কাহিনী লেখা আছে সেসব বুজুর্গদের নাম জিজ্ঞাসা করবে না কারণ উনারা বুজুর্গ, উনাদের নাম লিখা যায় না।
এই সব ফালতু কথা কোথায় শুনছেন আপনি। আমার আশে পাশের সবাই তাবলীগের,আর আমার নিজের ঘরের মানুষ ও,শুধু আমিই কোনদিন জামাতে যাইনি,তবে মাঝে মাঝে তালিমে বসতাম,কিন্তু আজ প্রায় ১৯ বছর ধরে এসবের মাঝে বাস করেও কোথাও ত এই কথা শুনিনি।

৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০৪

নাঈম আহমেদ বলেছেন: তাবলীগী নেসাব ফাযায়েলে আমালের উপর উত্থাপিত কয়েকটি অহেতুক প্রশ্নের জবাব

তাব্লিগের বয়ানে বলা হয় কোনো মুসলমান ভাইয়ের দাওয়াতের জন্য তার ঘরের
সামনে কিছু সময় অবস্থান করা শব-এ-কদর এর রাতে হাজর-এ-আসওয়াদ পাথরকে সামনে নিয়ে এবাদত করার চেয়েও বেশি দামি এ কথার কোন ভিত্তি আছে কি?

আল্লাহর রাস্তায় একটা আমল করলে ৪৯ কোটি গুন আমলের সওয়াব হয়’ এর দলিল কি?

আল্লাহর রাস্তায় এক সকাল/এক বিকাল বের হওয়া দুনিয়া এবং দুনিয়ার মাঝে যা আছে এর চেয়েও উত্তম নেকি’ এটা কোন হাদীস?

আল্লাহর রাস্তায় ধুলাবালি গায়ে লাগলে জাহান্নামের আগুন ত দুরের কথা জাহান্নামের ধুয়াও স্পর্শ করবে না’।
এটার দলিল কি?

রাহবার,মুতাকাল্লিম আর মামুর ভাইদের নিয়ে এক জামাত গাস্তে বের হয় আর এক জামাত মাসজিদ এ অবস্থান করে,যেখানে এক ভাই বয়ান করে,একজন জিকির এ থাকে আর একজন এস্তেগবাল এ থাকে।
এইটা কি নবীজি অথবা তাঁর সাহাবীদের মধ্যে প্রচলন ছিলো নাকি নতুন প্রচলন????

৩ দিন,৪০দিন আর ১২০ দিনের হাদিসের দলিল কি???দাওয়াত দেওয়ার জন্য/ইমান শিক্ষা করার জন্য কি দিন নিদিষ্ট করা লাগে ???সাহাবিরা কি এইভাবে নির্দিষ্ট কিছু দিনকে ঠিক করে আল্লাহর রাস্তায় বের হয়েছিলেন নাকি যখনি সময় হয়েছিলো তখনি আল্লাহর রাস্তায় হাজির হয়েছিলেন???

তাবলীগী ভাইয়েরা কুরআন হাদীসের আয়াত না বলে বয়ানে শুধু মুরুব্বীরা বলেন! মুরুব্বীরা বলেন! একথা বলে কেন?

জবাব

بسم الله الرحمن الرحيم

প্রারম্ভিকা

আজকাল আমাদের সমাজের অধিকাংশ মানুষ আলেম আর গায়রে আলেমের মাঝের পার্থক্য জানে না। হাস্যকর ব্যাপার হল-দু’ একটি বাংলা বা ইংরেজী ভাষায় হাদীসের কিতাব ও কুরআনের অনুবাদ পড়েই এখন অনেকে আল্লামা সেজে যাচ্ছেন। কিছু কিতাবের অনুবাদের রেফারেন্স মুখস্ত করে একের পর রেফারেন্স দিতে পারলেই আমাদের সমাজের সাধারণ লোকেরা বড় আল্লামা বানিয়ে দিচ্ছে লোকটিকে। লোকটির মাঝে আরবী বুঝার ক্ষমতা আছে কি না? অনুবাদ ছাড়াই মূল কিতাব থেকে মাসআলা বের করার যোগ্যতা আছে কি না? কুরআনের আয়াতের শানে নুজুল, শব্দের অলংকার, আরবী ব্যাকরণ, নাসেখ-মানসুখ, শানে ওরুদ, তাফসীর ইত্যাদী সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান রাখে কি না? ইত্যাদি যাচাই করা ছাড়াই অনুবাদের রেফারেন্সদাতাদের যে সমাজ আল্লামার মর্যাদা দিতে শিখে। সে সমাজের লোকেরা আলেমদের কাছে কেন যাবে?
আলেমদের কাছে না যাওয়ার কারণে। যারা কুরআন সুন্নাহকে মূল কিতাব থেকে, তার নাসেখ-মানসূখ, শানে ওরুদ ও শানে নুজুল, তাফসীর ইত্যাদিসহ মাসায়েল বর্ণনা করেন, ব্যাখ্যা দেন, তাদের কাছে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা বোধ না করা আমাদের সমাজে বিভ্রান্তির মূল কারণ।
নিজে নিজেই কিছু অনুবাদ পড়ে আল্লামা সাজার প্রবণতা ইদানিংকালে বেড়ে গেছে। কোন কিতাবের অনুবাদ পড়ে বুঝতে না পারলে, বা কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হলে নিজে নিজেই এর সামাধান খুঁজে। না পেলে প্রচার করতে শুরু করে কিতাবটি ভুল। শিরকে পূর্ণ। আদৌ কি বিষয়টি এমন কিনা? কোন বিজ্ঞ আলেম থেকে তা জেনে নেবার প্রয়োজনীয়তা বোধ না করায় গোমরাহ হচ্ছে এ সমাজের অনেক নতুন প্রজন্ম।
অষুখ হলে বিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে না গিয়ে নিজে নিজে চিকিৎসা করাকে কেউ নিরাপদ না মনে করলেও,
বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য ইঞ্জিনিয়ারের কাছে না গিয়ে নিজে নিজেই নির্মাণ শুরু করাকে বুদ্ধিমানের কাজ মনে করলেও, আজকের সমাজের মানুষেরা কুরআন সুন্নাহের মত স্পর্শকাতর বিষয়ে বিজ্ঞ ব্যক্তিদের শরনাপন্ন হওয়া ছাড়া নিজে নিজেই সব শিখে নেবার মত দুঃসাহস দেখাচ্ছে। আর গোমরাহীর অতলে যাচ্ছে তলিয়ে।
কোন কিতাবের ব্যাপারে কোন প্রশ্ন জাগলে এ বিষয়ে প্রাজ্ঞদের কাছে এর জবাব জানতে চাইতে হবে। নিজে নিজে সমাধান খুঁজে না পেলে বদনাম ছড়ানোটা আহমকীর নিদর্শন। নিজের অজ্ঞতাকে দলিল নেইয়ের উপর প্রমাণ পেশ করাটা বোকামী ছাড়া আর কী হতে পারে?
ফাযায়েলে আমাল ও আকাবীরে দেওবন্দ এবং হক্কানী ওলামাদের উপর উত্থাপিত অভিযোগের অবস্থা তা’ই। কিছু অতি পন্ডিত লোক কোন বিজ্ঞ ব্যক্তির তত্বাবধান ছাড়া নিজে নিজে কিতাবগুলো পড়ে। তারপর প্রশ্ন জাগে। নিজে নিজেই এর সমাধান খুঁজে। উত্তর না পেয়ে ছড়াতে শুরু করে এ কিতাব ভুল। শিরকে পূর্ণ।
ডাক্তারী বই নিজে নিজে পড়ে কোথাও প্রশ্ন জাগলে নিজে নিজে খুঁজে উত্তর না পেয়ে যদি উক্ত পাঠক ডাক্তারী ঐ বইকে ভুল সাব্যস্ত করে, তাহলে বিজ্ঞ ডাক্তারদের কাছে যেমন বিষয়টি চরম হাস্যকর হয়। তেমনি এ অতি পন্ডিত কুরআন সুন্নাহের অনুবাদ পাঠকদের অভিযোগের ধরণ দেখে হাসি পায় বিজ্ঞ আলেমদের।
ফাযায়েলে আমালের উপর উত্থাপিত এ প্রশ্নটিও তেমনি। যেভাবে প্রশ্নটি করা হয়েছে, মনে হচ্ছে প্রশ্নকারী বিশাল হাদীস বিশারদ। কুরআন সুন্নাহ সম্পর্কে বিরাট প্রাজ্ঞ লোক। নিম্নেই লক্ষ্য করে দেখুন প্রশ্নগুলো কুরআন সুন্নাহ সম্পর্কে কতটা অজ্ঞতা থাকলে করা হয়েছে।

১ এর উত্তর

عن أبي هريرة سمعت رسول الله صلى الله عليه و سلم يقول : ( موقف ساعة في سبيل الله خير من قيام ليلة القدر عند الحجر الأسود
অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি রাসূল সাঃ বলিতে শুনিয়াছি যে, তিনি বলেছেন- আল্লাহর রাস্তায় কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা শবে কদরে হাজরে আসওয়াদের সামনে ইবাদত করা হইতে উত্তম।

সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৬০৩
শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৩৯৮১
কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১০৫৬০
জামেউল আহাদীস, হাদীস নং- ২৪৩৪৮

২ এর উত্তর

আল্লাহর রাস্তায় বের হলে অনেক সওয়াব হবে। অনেক হাদীসে সংখ্যাও উল্লেখ করা হয়েছে সওয়াবের। তবে নির্দিষ্ট করে ৪৯ কোটি বলাটা উচিত হবে না। তবে অগণীত সওয়াব হয় আল্লাহর রাস্তায় বের হলে এটা নিশ্চিত। নিম্নের ৩টি হাদীস থেকে তা স্পষ্ট হয়।

عن خريم بن فاتك : قال رسول الله صلى الله عليه و سلم من أنفق نفقة في سبيل الله كتبت له بسبعمائة ضعف

অনুবাদ-হযরত খুরাইম বিন ফাতেক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় কোন কিছু খরচ করে তা তার আমলনামায় ৭ শত গুণ হিসেবে লেখা হয়।

সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৬২৫
সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৬৪৭
সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-৪৩৯৫
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৯০৩৬
মুসনাদে তায়ালিসী, হাদীস নং-২২৭
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৯৭৭০
শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৩২৯৪

এবার দেখুন আল্লাহর রাস্তায় আমল করলে খরচের থেকে কত বেশিগুণ সওয়াবের কথা হাদীসে এসেছে-
عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « إِنَّ الصَّلاَةَ وَالصِّيَامَ وَالذِّكْرَ تُضَاعَفُ عَلَى النَّفَقَةِ فِى سَبِيلِ اللَّهِ بِسَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ
হযরত সাহল বিন মুয়াজ রাঃ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-আল্লাহর রাস্তায় নামায, রোযা, এবং জিকিরের সওয়াব আল্লাহর রাস্তায় খরচের সওয়াবের তুলনায় ৭ শত গুণ বৃদ্ধি করে দেয়া হয়।

সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৫০০
সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৮৩৫৫
কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১৮৯০৬
জামেউল আহাদীস নং-৬৪৮৮

অন্য হাদীসে এসেছে-

عن سهل بن معاذ عن أبيه عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال إن الذكر في سبيل الله تعالى يضعف فوق النفقة بسبع مائة ضعف قال يحيى في حديثه بسبع مائة ألف ضعف
হযরত সাহল বিন মুয়াজ রাঃ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-আল্লাহর রাস্তায় আল্লাহকে স্মরণ করার সওয়াব আল্লাহর রাস্তায় খরচের সওয়াবের তুলনায় ৭ শত গুণ বৃদ্ধি করে দেয়া হয়।
অন্য বর্ণনায় এসেছে সাত লক্ষ গুণ বৃদ্ধি করে দেয়া হয়।

মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৫৬১৩
আল মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং-৪০৫
মুসনাদুস সাহাবা ফি কুতুবিত তিসআ, হাদীস নং-১৫১৮৬
কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১০৮৭৯
জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-৬৮৫৮

৩ এর উত্তর

عن انس قال رسول الله صلى الله عليه وسلم- غدوة في سبيل الله أو روحة خير من الدنيا وما فيها
অনুবাদ-আল্লাহর রাস্তায় এক সকাল অথবা এক বিকাল দুনিয়া ও দুনিয়ার ভিতর যা কিছু আছে, তা থেকে উত্তম।

সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬১৯৯,
সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৪৯৮৫,
সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৬৪৮,
সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৭৩৯৮,
সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-৪৩২৭,
আল মু’জামুল আওসাত, হাদীস নং-৮৬৬৭,
আল মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং-৫৮৩৫,
মুসনাদে আবী আওয়ানা, হাদীস নং-৭৩৫৪,
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১২৬০২,
মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৩৫৪৮,
মুসনাদুর রাবী, হাদীস নং-৪৬৬,
মুসনাদে আব্দ বিন হুমাইদ, হাদীস নং-২২৫,
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৯৮২০,
মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৯৫৪৩

৪ এর উত্তর

عن أبي هريرة أن النبي صلى الله عليه و سلم قال : ( لا يجتمع غبار في سبيل الله ودخان جهنم في جوف عبد مسلم
অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-আল্লাহর রাস্তার ধুলাবালি আর জাহান্নামের ধোঁয়া কোন মুসলিমের পেটে একত্র হতে পারে না।

সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২৭৭৪
সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১৮২৮৯
আদাবুল মুফরাদ, হাদীস নং-২৮১
সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-৪৩২০
আল মু’জামুল আওসাত, হাদীস নং-১৯১১
সহীহ ইবেন হিব্বান, হাদীস নং-৩২৫১
মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-২৭২২
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৭৪৮০
মুসনাদুল হুমায়দী, হাদীস নং-১০৯১
মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-৩৫৬২
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৯৮৪৬
শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৩৯৫২

৫ ও ৬ এর উত্তর

এ প্রশ্নটি একটি বোকামীসূলভ প্রশ্ন। দ্বীন প্রচারের পদ্ধতি ও মূলনীতি সম্পর্কে অজ্ঞতার পরিচয়বাহী এসব প্রশ্নাবলী। তাবলীগের চিল্লা, তিন দিন, এক সাল। গাস্ত ইত্যাদীর সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি যদি বেদআত হয়। তাহলে মাদরাসার একাডেমিক পদ্ধতি কেন বেদআত নয়? ক্লাসিক্যাল পদ্ধতিতে কেন মাদরাসাগুলোতে একের পর এক কিতাব পড়ানো হয়? এ পদ্ধতিতে কি রাসূল সাঃ দ্বীন শিখিয়েছেন? ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, আরবী বিশ্ববিদ্যাল, জামিয়াগুলোর পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর সনদ প্রদানও একটি বিদআত সাব্যস্ত হবে। কারণ এমন পদ্ধতিতে রাসূল সাঃ কুরআন হাদীস শিক্ষা দেন নি। এগুলোকে বেদআত বলাটা কি বুদ্ধিমানের কাজ হবে? না চূড়ান্ত পর্যায়ের আহমকীর নিদর্শন হবে এরকম প্রশ্ন করা?

তাবলীগ জামাআত কোন নতুন দল বা সংগঠনের নাম নয়, বরং নবী করীম সাঃ এর তিরোধানের পূর্ব থেকেই বিদায় হজ্বের পর থেকে ব্যাপক হারে সাহাবায়ে কিরাম রাঃ এবং রাসূল সাঃ এর মৃত্যুর পর থেকে নিয়ে প্রত্যেক যুগেই কমবেশি সম্মিলিত ও বিচ্ছ্ন্নিভাবে দাওয়াতের এ দায়িত্ব পালিত হয়ে আসছিল।
হযরত ইলিয়াস রহঃ ব্যাপক আকারে ও সংগঠিতরূপে সেটির পুনঃজাগরণের চেষ্টা করেছেন মাত্র। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানেরই যেমন কর্মধারা ও সূচি থাকে, তিনিও তেমনি এ জামাতের জন্য কিছু কর্মধারা তৈরী করেছেন সাধারণ মানুষের জন্য প্রাথমিকভাবে অধিক উপকারী ও জরুরী বিষয় চিন্তা করে। পূর্ণ শরীয়তকে সামনে রেখে এর মাঝে কোন বিষয়গুলো প্রথমে আমলে আনতে পারলে পূর্ণ শরীয়তের উপর পাবন্দ হওয়া সহজ হয়ে যাবে তা চিন্তা করে একটি মূলনীতি নির্ধারণ করেছেন। এরই অন্তর্ভূক্ত ৬ গুণ, ৩ দিন, এক চিল্লা, তিন চিল্লা, গাস্ত, ইত্যাদী। যা কোনভাবেই শরীয়তের গন্ডির বাহির থেকে নয়। সেই সাথে শরয়ী কোন হুকুমকে অস্বিকার করে নয়।
যেমন বর্তমান মাদরাসা শিক্ষা শরীয়তের মাঝে নতুন কোন সংযোজন নয়, বরং সাহাবায়ে কিরামের মাঝে আসহাবে সুফফার যে জামাআত সার্বক্ষণিক দ্বীন চর্চায় নিমগ্ন থাকতেন সেটাই ছিল সর্ব প্রথম মাদরাসা। যদিও বর্তমান মাদরাসা পদ্ধতি আর আসহাবে সুফফার মাদরাসার মাঝে পদ্ধতিগত পার্থক্য রয়েছে। মৌলিকত্বে কোন পার্থক্য নেই। সে সময় কোন সিলেবাস ছিল না। ছিল না কোন ক্লাসিক্যাল অবকাঠামো। ছিল না সার্টিফিকেট দেওয়ার পদ্ধতি। ছিল না বিধিবদ্ধ শিক্ষক ষ্টাফের কোন মূলনীতি। কিন্তু পরবর্তীতে আম ফায়দার জন্য এবং দ্বীন চর্চায় অধিক উপকার অর্জনের নিমিত্তে একটি একাডেমিক পদ্ধতি আবিস্কার করা হয়েছে। যে আবিস্কার কোন বিদআত নয় মর্মে সকল ওলামায়ে কিরাম একমত। তেমনি তাবলীগ জামাআতের বর্তমান সাংগঠনিক ভিত্তি হিসেবে কিছু মূলনীতি নির্ধারণও কোন নতুন বিষয় নয়, বা বিদআত নয়। কারণ মাদরাসা শিক্ষার বর্তমান পদ্ধতিকে যেমন আমরা সওয়াবের কাজ মনে করি না, কিন্তু ইলমী দ্বীন চর্চাকে জানি সওয়াবের কাজ। তেমনি তাবলীগ জামাআতের পদ্ধতিটা মূলত সওয়াবের কারণ নয়, বরং এর দ্বারা যে কাজটি আঞ্জাম দেয়া হয় তথা তাবলীগ সেটি হল সওয়াবের কাজ। এ দু’টিতে কোন পার্থক্য নেই। সুতরাং তাবলীগ জামাআতকে দ্বীন এর মাঝে নতুন সংযোজন বলে বিদআত সাব্যস্ত করাটা বিদআতের সংজ্ঞা ও দ্বীন সম্পর্কে চূড়ান্ত পর্যায়ের অজ্ঞতার পরিচায়ক। কারণ বিদআত বলা হয়
عَنْ عَائِشَةَ رضى الله عنها قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « مَنْ أَحْدَثَ فِى أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ فِيهِ فَهُوَ رَدٌّ
হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-আমাদের দ্বীনের মাঝে যে ব্যক্তি নতুন বিষয় আবিস্কার করে যা তাতে নেই তাহলে তা পরিত্যাজ্য। {সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৪৬০৮, সহীহ বুখারী, হাদিস নং-২৫৫০, সহীহ মুসলিম-৪৫৮৯}
এই হাদিসে লক্ষ্য করুন কি কি শর্তে নব আবিস্কৃত বস্তুকে পরিত্যাজ্য বলেছেন নবীজী সাঃ।
১-সম্পূর্ণ নতুন বিষয়। যার কোন সামান্যতম প্রমাণ নবীযুগে বা সাহাবা যুগে নাই এমন বিষয় হতে হবে।
২-দ্বীনী বিষয় হতে হবে। সুতরাং দ্বীনী বিষয় ছাড়া যত নতুন বিষয়ই আবিস্কারই হোকনা কেন তা বিদআত নয়। যেমন বৈজ্ঞানিক আবিস্কার। নতুন নতুন আসবাব ইত্যাদী। এসব বিদআত নয়। কারণ এসব দ্বীনী বিষয় নয়। বরং বৈষয়িক বিষয়।
৩-দ্বীনের মাঝে নতুন আবিস্কার হতে হবে। দ্বীনের জন্য হলে সমস্যা নাই। কারণ দ্বীনের মাঝে নতুন আবিস্কার মানে হল এটা সওয়াবের কাজ। সুন্নাত, ওয়াজিব ইত্যাদী। আর দ্বীনের জন্য হলে সেটা মূলত সওয়াবের কাজ নয়, বরং সওয়াবের কাজের সহায়ক। যেমন মাদরাসা শিক্ষা একাডেমিক পদ্ধতি নববী যুগে ছিলনা। পরবর্তীতে আবিস্কার করা হয়েছে। এই একাডেমিক পদ্ধতিটি দ্বীনের মাঝে নতুন আবিস্কার নয়, বরং দ্বীনী কাজের জন্য সহায়ক হিসেবে আবিস্কার হয়েছে। অর্থাৎ দ্বীন শিখার সহায়ক। আর দ্বীন শিখাটা সওয়াবের কাজ। কিন্তু সিষ্টেমটা মূলত সওয়াবের কাজ নয় বরং সহায়ক। তেমনি তাবলীগের বর্তমান পদ্ধতিটি ইলিয়াস রহঃ আবিস্কার করেছেন দ্বীন প্রচারের সহায়ক হিসেবে। তথা দ্বীনের জন্য আবিস্কার। দ্বীন মাঝে আবিস্কার নয়। তাই এটি বিদআত হওয়ার কোন সুযোগই নেই।
যারা বলেন এ পদ্ধতি বিদআত, তারা মূলত দ্বীন সম্পর্কে চূড়ান্ত অজ্ঞতার পরিচয় দেন এসব কথা বলে।

তাবলীগ জামাআতের কাজ যেহেতু রাসূল সাঃ ও পরবর্তী সাহাবায়ে কিরামের প্রচার করা দ্বীন প্রচারেরই একটি সুসংহত রূপ মাত্র। তাই তাবলীগ জামাআতের কাজের সাথে সেসব ফযীলত শামিল হবে যা কুরআন সুন্নাহে বর্ণিত দ্বীন প্রচারের ফযীলত। যেমন দ্বীন শিক্ষার ফযীলত প্রাপ্ত হবে বর্তমান একাডেমিক পদ্ধতিতে পড়াশোনা করা মাদরাসা ছাত্ররা।

৭ নং এর উত্তর

তাবলীগী সাথি ভাইরা বয়ান বা দাওয়াত দেওয়ার সময় সরাসরি কুরআন সুন্নাহের সরাসরি উদ্ধৃতি না দিয়ে তারা মুরব্বীরা বলেছেন বলাটা একটি প্রশংসনীয় পদ্ধতি। এটাকে সমালোচনার প্লাটফর্ম বানানোটাও বিদ্বেষমূলক করা হয়েছে।
কুরআন হাদীস খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। যে ইচ্ছে সে, যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে তা বলাটা একদম অনুচিত। দু’ লাইন বাংলা অনুবাদ পড়ে শাইখ সাজার কুশিক্ষা তাবলীগে শিক্ষা দেয়া হয় না। কুরআন ও হাদীস বর্ণনায় আদব ও সতর্কতার প্রতি লক্ষ্য করেই এ পদ্ধতিতে কথা বলে থাকেন তাবলীগী ভাইয়েরা।
আর এ পদ্ধতি সাহাবাদের থেকেই প্রাপ্ত। এরকম অনেক সাহাবায়ে কেরাম ছিলেন যারা রাসূল সাঃ বলেছেন একথা সরাসরি বলতে খুবই ভয় পেতেন। তাই এমনিতে মাসআলা বলে দিতেন কিন্তু একথা রাসূল সাঃ বলেছেন একথা সরাসরি বলতেন না। আল্লাহর নবীর দিকে মিথ্যার নিসবত হওয়ার ভয়ে। যেমন-
عبد الله بن الزبير عن أبيه قال قلت للزبير بن العوام ما لي لا أسمعك تحدث عن رسول الله صلى الله عليه و سلم كما أسمع ابن مسعود وفلانا وفلانا ؟ قال أما إني لم أفارقه منذ أسلمت . ولكني سمعت منه كلمة . يقول ( من كذب علي متعمدا فليتبوأ مقعده من النار )
অনুবাদ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন জুবাইর রাঃ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি হযরত জুবাইর বিন আওয়াম রাঃ কে একদা জিজ্ঞেস করলেন যে, আপনার কি হল? আপনি হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ ও অন্যান্যদের মত রাসূল সাঃ থেকে কোন হাদীস কেন বর্ণনা করেন না? তখন তিনি বললেন-শোন! আমি ইসলাম গ্রহণ করার পর রাসূল সাঃ থেকে পৃথক হইনি। [অর্থাৎ রাসূল সাঃ থেকে আমি অনেক হাদীসই শুনেছি, কিন্তু আমি বর্ণনা করিনা কারণ হল] কিন্তু আমি রাসূল সাঃ কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি আমার উপর ইচ্ছেকৃত মিথ্যার নিসবত করবে সে তার বাসস্থান জাহান্নামকে বানিয়ে নিবে। [এ ভয়ে আমি হাদীস বর্ণনা করি না। ]

সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩৬
সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৬৫৩

তো সাধারণ মানুষ সরাসরি কুরআন হাদীসের কথা না বলে মুরুব্বীরা বলেছেন বলাটা কি অধিক নিরাপদ বক্তব্য নয়? এটাতো প্রশংসনীয় পদ্ধতি। এটাকে সমালোচনা করার কি হল?
আল্লাহ তাআলা তাবলীগ জামাতের মত মকবুল জামাতের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে এর দ্বারা সকল মানুষের আরো বেশি দ্বীনের খিদমাত আঞ্জাম দেওয়ার তৌফিক দান করুন। আমীন। ছুম্মা আমীন।

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
সহকারী মুফতী-জামিয়াতুল আস’আদ আল ইসলামিয়া-ঢাকা
ইমেইল[email protected]
[email protected]

৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:১৯

বাসার০৪২ বলেছেন: গত ১০ বসর ধরে আমি তবলীগ জামাত সম্বন্ধে জানি। কিন্তু কোথাও তো আপনার উপরে উল্লেখিত ৭ কারণের ১ টা ও শুনি নাই। বরং সবই এর পজেতিভে শুনছি। আমার মনে হয় লেখক কে কেউ তাবলীগের বিরুধে লিখতে মাল পানি দিছে।

৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৪১

এম ইয়াছিন মজুমদার বলেছেন: বাসার০৪২ এর সাথে একমত হতে পারলাম না ।
গত ১০ বসর ধরে আমিও তবলীগ জামাত সম্বন্ধে জানি এবং আমি নিজেও পাঁচবার তবলীগে গিয়েছি ।
আমি মনে করি লেখক যথার্থই লিখেছেন ।

৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৪৭

মোঃ আবদুর রহিম বলেছেন: লেখক বলেছেন- তাবলীগ জামাতের লোকেরা না জেনে বিভিন্ন আলেম ওলামাদের ভুল ধরা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু আমি বলব- আপনি তাবলীগ জামাত সম্পের্কে না জেনে এ সব কথা লিখেছেন। যদি জানতেন, তা হলে নিশ্চয় এ কথাগুলো লিখতেন না।
সে ছোট বেলা থেকে তাবলীগ জামাতকে চিনি। তারা কখনো আপনার বলা কথাগুলো বলেন নায়।
বরং আমি আমার ব্যক্তিগত কথা বলতে পারি। মাদরাসার ছাত্র হওয়া সর্তেও নামাজ পড়তাম না। কিন্তু তাবলীগের সংস্পর্শে এসে আমার অর্জিত এলেমকে কাজে লাগাতে পেরেছি। নিজের জীবনের অনেকগুলো ভুল শুধরে নিতে পেরেছি।
তা্ ি বলব- আপনি অন্তত কিছু দিনের জন্য হলে ও তাবলীগের সংস্পর্শ লাভ করুন। দেখবেন, আপনার ভুল ভেঙে যাবে।
আর একটা কথা- আপনি হয়তো কোন এক ব্যক্তি থেকে কোন কথা শুনোছেন। তা নিয়ে পোস্ট লিখেছেন। এক বা দু জন মানুষকে দিয়ে আপনি পুরা তাবলীগ জামাত বা অন্যকিছুকে কখনো বিচার করতে পারবেন না।

৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:০১

কালো কুয়াশা বলেছেন: শয়তানের অন্যতম অস্ত্র মুসলমানদের মাঝে বিভেদ তৈরি করা। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।


আমরা অন্য মুসলমান ভাইয়ের দোষ অন্বেষণ না করে নিজের ভুল অন্বেষণ করে সংশোধন হওয়ার চেষ্টা করি।

ভালো কথা ভালো কাজের অনুসারী হই।

কিছু লোকের বাক্তিগত আক্রোশ থাকতেই পারে তাবলীগ জামাতের বিরুদ্ধে,
তাদের জন্য আল্লাহের কাছে দোয়া করি ,আল্লাহ তাদের হেদায়েত দিন।

আর যারা জালিমদের অন্তর্ভুক্ত, তাদের বিচার স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা করবেন।

৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:০৯

নাহিয়ান ব্লগ বলেছেন: এরা তো তাবলিগ কত প্রকার তা জানেনা ।
এজন্নই তো বলে, গেলে তাবলিগে, বৌ নিয়ে যাবে পাবলিকে ।
এদের অনেক আকিদাগত সমশা আচে ।

৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩২

নরাধম বলেছেন: আমি গত ৬-৭ বছর ধরে নিয়মিত তাবলীগে যাই, মাঝে মাঝে অনেক লম্বা সময় কাজের জন্য যেতে পারিনা, তবে আবার সময় পেলেই যাই, আলহামদুলিল্লাহ। আমি বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ঠ্র, কানাডা এই তিনজায়গায় তাবলীগের জামাত দেখেছি, গিয়েছি। কিন্তু আপনার বলা কথার একটাও সত্যতা পাইনি। তাবলীগে যাওয়াতে বরং কোরআন-হাদিস নিয়ে পড়ার, তফসীর পড়ার প্রতি আগ্রহ জন্মেছে। মওদুদী সম্পর্কে বা কোন আলেম সম্পর্কেই তাবলীগে কোন খারাপ কথা কোনদিন বলেনা। তবে মওদুদীকে উপমহাদেশের বেশিরভাগ আলেমরাই ভাল মনে করেনা, যদিও আমি নিজে তরা বই পড়ে ভাল লেগেছে। আপনি না জেনে এত লক্ষ লক্ষ লোকের নামে মিথ্যা ছড়াচ্ছেন এবং আমার ধারণা ভাল নিয়্যতেই ছড়াচ্ছেন। কিন্তু কিয়ামতের ময়দানে এত লক্ষ লক্ষ লোক আপনার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদের অভিযোগ আনলে কি করবেন?

১০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩২

ঠোটকাটা বলেছেন: লেখকের জন্য:
Click This Link

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:৫০

সত্যের সন্ধানে আমি বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:৫০

সত্যের সন্ধানে আমি বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩৮

বাসার০৪২ বলেছেন: @ এম ইয়াছিন মজুমদার, আমি
তবলীগ বুঝার জন্য ৪ মাস সময় লাগাইয়া এমন তো কোনও কথা শুনি নাই।

১২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৪

রবিনহুড বলেছেন: আপনি উপরের যে ৭ টি কারন দেখিয়েছেন তার মাঝে কতগুলো তাবলিগের কিছু লোকের মাঝে দেখা যায়।

তাবলিগ একটি বড় দল... এখানে শিক্ষিত অশিক্ষিত সব ধরনের লোকই আছে।

যেমন আওয়ামীলিগ বিএনপি একটি বড় দল.. এখানে ভাল মন্দ সব ধরনের লোক যেমন আছে তেমনি কিছু চোর ডাকাত ও আছে....

তার মানে কি যে আওয়ামিলীগ বিএনপির সবাই খারাপ? সেই চোর ডাকাত কি বলল তার মানে কি সেটা দলের বক্তব্য?

তেমনি তাবলীগে হয়তো কোন এক অশিক্ষিত লোক যোগ দিল... যার এলেম সম্পকে ভাল ধারনা ই নেই... সে হয়তো এই ধরনের ২/১ টা কথা বলে ফেলল... তার মানে কি তাবলিগের সবা্ই এই রকম কথা বলে?

অথচ আপনি অভিযোগ কিন্তু তাবলিগ জামাত বা দলের প্রতি। অথচ বক্তব্য টা দলের ২/১ জন অশিক্ষতি লোকের... যা দল কখনই সাপোর্ট করে না....


আমি বহুদিন ধরে তাবলিগ দেখে আসছি আপনার ৭ টি কথার কোনটাই কোন দিন খুজে পাইনি....

আপনি চিপা চাপা থেকে খুজে খুজে ২/১ জন অশিক্ষিত লোক কি বলল সেটা তাবলিগের বক্তব্য বলে চালানোর চেষ্টা করছেন.....

আপনি দয়া করে বলবেন কি তাবলিগের কোন মুরুব্বী কবে কোথায় এই কথা গুলো বলেছিল?

একটু রেফারেন্সদিন দেখি আমিও সত্যতা যাচাই করে আসি?


আম ভাবে কথা বলে কোন লাভ নেই..... সেটা আমিও বলতে পারি.... রেফারেন্স দিয়ে কথা বুলুন... অভিযোগ সম্পর্কে আপনার কোন রেফারেন্স নেই.... আমভাবে বক্তব্য আছে....


আপনার উদ্দেশ্য মহৎ নয়, এটা পরিষ্কার।

১৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৫২

মজলুম বলেছেন:
আপনার সবগুলোর উত্তড় দএই।

১ঃ আমিও তাবলীগ করি, তাবলীগে যাই। আমাকে ইসলাম নিয়ে বুঝানতো, দেখি আমি বুঝি কি না।

২ঃ এইডা ডাহা মিথ্যা। আলেমরা যখন তাবলীগে যায়, ওদেরকে খুবই সম্মানের সাথে দেখা হয়। ওদের কাছ হতে শিখতে চায়। আমার নিজের দেখা।

৩ এবং ৪ঃ ওদের মধ্যে থাকা কিছু নগন্য লোক তা বলতে পারে ওদের ইগনোরেন্সের জন্যে।

৫ঃ মদুদির নামের আগে মাওলানা লাগাইলেন? হে কবে মাওলানা হইছে? মওদুদিরে নিয়া তাবলীগের কোন মাথা ব্যাথা নাই। তার বিরুদ্বে কিছু বলতেও শুনি নাই কখনো।

৬ঃ একজনে কি কইলো, সেইটা দিয়া সব তাবলীগীদের দেখা ঠিক না।

৭ঃ এ পর্যন্ত আমার দেখা সবচেয়ে ডাহা মিথ্যা কথা। ওদের রুটিনের মধ্যেই আছে প্রতিদিন কোরান,হাদিস পড়ার। কম খাওয়া কম ঘুমানো, বেশী ইবাদাতের জন্যই বেশী তাগিদ দেয় ওরা।

আমি শপত করে বলতে পারি আপনি কখনো তাবলীগে যান নি, না গিয়েই ওদের বিরুদ্বে অপপ্রচার ছড়াচ্ছেন টিপিক্যালি জামাতিদের মতো।

নরাধমের মতো আমিও বলি হাশরের ময়দানে হিসাব দিবেন কিভাবে এত মিথ্যা বলে।

আজকে যে অমুসলিমরা মুসলিম হচ্ছে সারা বিশ্বে, এর বেশীরভাগই এই বিশ্বব্যাপী চলা তাবলীগীদের অবদান।

১৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৫৮

কালো কুয়াশা বলেছেন: তেমনি তাবলীগে হয়তো কোন এক অশিক্ষিত লোক যোগ দিল... যার এলেম সম্পকে ভাল ধারনা ই নেই... সে হয়তো এই ধরনের ২/১ টা কথা বলে ফেলল... তার মানে কি তাবলিগের সবা্ই এই রকম কথা বলে?

অথচ আপনি অভিযোগ কিন্তু তাবলিগ জামাত বা দলের প্রতি। অথচ বক্তব্য টা দলের ২/১ জন অশিক্ষতি লোকের... যা দল কখনই সাপোর্ট করে না....

>>> একমত

লেখক পোস্টে কোন রেপ্লাই করছেন না দেখে মনে হচ্ছে তিনি বিভেদ ছড়ানোর জন্য পোস্ট করেছেন। আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন। আমিন

১৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০৪

আরিফুল ইসলা৩৬৫ বলেছেন: কে সঠিক পথে আছে তা শুধু মহান আল্লাহ ভাল জানেন। আমরা খুব সহজে একে অপরকে কাফের বা ইসলাম বিরোধী বলে থাকি। আমাদের মনে রাখা উচিত আমরা কেও মহা জ্ঞানী নই আর তাই আমাদের সতর্ক থাকা উচিত। এখানে যারাই মন্তব্য করেছেন তাদের বেশির ভাগ অপর কে না জেনে মন্তব্য করছেন যা আমাদের মাঝে শুধু বিভ্রান্তই ছড়াবে। আর তাই অন্ধ বিশ্বাস না করে এবং তাবলীগ কে না জেনে মন্তব্য না করি। আর যারা তাবলীগ করেন তাদের বলি বিতর্ক না করে সথিক তথ্য সরবরাহ করুন। ইসলাম একটি পুরনাজ্ঞ জীবন বেবস্থা আর তাই ইসলাম কে শুধু তালিম আর দাওয়াত মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা কতটুকু যোক্তিক?

১৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:১২

রবিনহুড বলেছেন: ৫ নং পয়েন্টের মওদুদী সম্পকে আমার কিছু জানার আছে।

আপনি মওদুদীর নামের সাথে "মওদুদি (রঃ)" বলেছেন।
এখন বলুন তো এই

১. "(রঃ)" শব্দটার মানে কি?
২. এই শব্দটা কাদের নামের সাথে ব্যবহার করতে হয়? (এটা একটা ইসলামিক পরিভাষা, এর ব্যবহারের কিছু নিয়ম কানুন আছে সেই নিয়ম গুলো একটু বলুন, দেখি আপনি কতটা কি জেনে বুঝে কথা বলেন)

একজনকে ডাক্তার ইন্জিনিয়ার বা কোন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হতে হলে তাকে সেই বিষয়ে উচ্চতর জ্ঞান অর্জন করতে হয়। তা না হলে ঘরে বসে বসে দুইটা বই পড়েই সেই বিষয়ে কি বিশেষজ্ঞ হওয়া যায়? কখনই যায় না...

এটা সম্ভব হলে তো মানুষ কষ্ট করে পিএইচ ডি করত না... ঘরে বসেই পড়া লেখা করেই বিশেষজ্ঞ হতো....


এখান বলেন তো মওদুদি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ইসলামী বিষয়ে ডিগ্রী নিয়েছেন?
সেই প্রতিষ্ঠান ও ডিগ্রীর নাম কি?

উনার ২/১ জন শিক্ষকের নাম বলুন তো?


জানি এখন আপনি কোন রেফারেন্স সহ উত্তর দিতে পারবেন না.....
পারবেন শুধু কথা অন্যদিকে নিতে আর ত্যানা প‌্যাচাতে.....


এই সব ত্যানা প‌্যাচানো কথা বার্তা বাদ দিয়ে সুনির্দিষ্ট রেফারেন্স নিয়ে কথা বলুন....
আশা করি সবার কাছে ভাল লাগবে...




ভাই মনে হয় জামাতী করেন...

লেন্জা ইজ ভেরী ডিফিকাল্ট টু হাইড... ;)

১৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:১৮

আরিফুল ইসলা৩৬৫ বলেছেন: মজলুম ভাই কে বলছি, লেখক না হয় না জেনে ভুল মন্তব্য করেছেন কিন্তু আপনি তো বললেন আপনি তাবলীগ করেন, আপনি কি করে একজন মাওলানা সম্পর্কে না জেনে মন্তব্য করলেন? তাহলে লেখক আর আপনার মাঝে কি পার্থক্য রইল? আপনি নিজেই প্রমান করলেন যারা তাবলীগ করে তারা শুধু অপর আলেমদের ভুল ধরাতে ব্যাস্ত থাকে। ভাই দয়া করে আমরা অপরকে সম্মান করতে শিখি কেও ভুল বললে তাকে ভুল ধরিয়ে দেই আক্রমন না করি। ভাই যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন মাফ করবেন।

১৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২৫

আরিফুল ইসলা৩৬৫ বলেছেন: রবিনহুড ভাই দেখি (র) নিয়ে রীতিমতো পি এইচ ডি করে ফেলেছেন। কারো সম্পর্কে মন্তব্য করার আগে নিজেকে জানি।

১৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৩৯

মজলুম বলেছেন: @আরিফুল ইসলা৩৬৫ , মওদুদি মাওলানা হইলো কবে? সেতো কোন মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে নাই। কিছু বই পইড়া আলেম হওয়া আর কিছু বই পইড়া হাতুড়ি ডাক্তার হওয়া এক সমান।

মওদুদির ব্যাকগ্রাউন্ড আগে জাইনা তার পর আইসেন। এখন ঘুমায়া পড়েন।

২০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৪৮

নজিবুল্লাহ বলেছেন: তাবলীগ জামাত যেমন দ্বীনের বৃহত্তম খেদমত এর আঞ্জাম দিচ্ছে, ঠিক তেমনি জামাতে ইসলামও বৃহত্তম ময়দানে দ্বীনের খেদমত করছে যদিও নিজেদের ব্যাক্তিগত জীবনেই ইসলামের চর্চা তাদের মধ্যে নেই। তাবলিগ জামাত যেমন প্রশংসনীয় মুবাল্লিাগের সার্টিফিকেট পাবার যোগ্য ঠিক তেমনি জাকির নায়েকও বর্তমান যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মুবাল্লিগের মর্যাদার দাবী রাখে। হক্কানী পীর সাহবেগণও ইসলামের আরেক চুড়ান্ত সেক্টরের খেদমতের আঞ্জাম দিচ্ছে। সকলেই ইসলামের খাদেম কেউ ই বাতিল নয়। এক একজন এক এক সেক্টরের খেদমত করে যাচ্ছে। কিন্ত সমস্য তখনই দাড়ায় যখন এক দল আরেক দলের খেদমতকে অস্বিকার করে বা গৌন দৃষ্টিতে দেখে। ইসলামের রাজনৈতিক দল, পীর সাহেবগণ ও দেওবন্দী ওলামায় কেরামও তাবলিগ জামাত সকলেই একই বাগানের ভিন্ন ভিন্ন ঘ্রান প্রদানকারী ফুল এর মতই। এক এক ফুল এর এক এক রকম ঘ্রান। এখন গোলাপ যদি বলে হাসনাহেনা এই বাগানের সৌন্দর্য নষ্ট করছে তাহলে এটা যেমন গোলাপ ফুলের মূর্খতা ঠিক তেমনি অন্য কোন ফুল যদি গোলাপকে অস্বিকার করে তবে সেটাও তার মুর্খতা। আমার মতে বেদাতী-বেশরীয়তী পীর দরবার গুলো বাদে ভারত উপমহাদেশের সকল ইসলামিক দলই ইসলামের মহান খেদমতের আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে অক্লান্ত ভাবে। সকলেই প্রশংসার দাবীদার। কারো খেদমতকেই খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। এবং কারো পক্ষেই অপর পক্ষ্যের খেদমত এর আঞ্জাম দেয়া সম্ভবও নয় এবং অপর কে অস্বিকার করাও সম্ভব নয় । কেউ দলীল তলব করলে আমি সকলকে বিস্তারীত দলীল সহ আমার এ অভিমতের সপক্ষ্যে প্রমাণ পেশ করতে পারব। তাই সকলের প্রতি অনুরোধ কেউ কারো বিরুদ্ধে না লেগে কিভাবে বৃহত্তর মুসলিম ঐক্য কায়েম করা যায় সেদিকে দৃষ্টি দেয়া। আজ ইসলামের ঘোড়তম দুর্দিন। নাস্তিক, কাফির ও বেইমানরা যখন আমাদেরকে শেষ করে দেয় তখন তারা দেখেনা কে তাবলীগী কে জামাতী বা কে পীর পন্থি।

২১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৫২

চিন্তায় আছি বলেছেন: জামাতী ছাগুর গন্ধ পাইতেছি,

তাবলীগ জামাতের পিছে না লেগে, নিজের দোষ খুঁজতে থাকুন, কামে লাগবো

আল্লাহ আপনাকে সঠিক বুঝ দান করুন

২২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:১৬

পেস মেকার বলেছেন: ছাগু ফাইসা গেছে ! লা জওয়াব ! ভাগছে নিজের পোস্ট থেকে ।

২৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৫

উদ্ভাসিত বলেছেন: পোস্ট একটু পইড়াই ছাগলের দুর্গন্ধ পাইয়া গেসি।
আমার জামাতি মামা ঠিক যা কয় (জামাত-শিবির থেইকা যে বয়ান দেয়া হয় ) পুরা কপি পেস্ট।
ছাগুরা আবার তাবলীগের লোকগরে গালি দেয় কারন এরা জামাতে ভোটায় না।
অথচ আমার জামাতি মামা আর টা জামাতি বুইরা আবাল গুলা বিতরের নামাজ এক রাকাত বইলা ফতোয়া দেয়। রুকুতে জাওার আগে তাকবীর দিয়া কি বিড়বিড় করে /:)

২৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:০৭

কাঠুরে বলেছেন: মউদুদি মাওলানা? =p~ =p~ =p~

রবিনহুড বলেছেন:
ভাই মনে হয় জামাতী করেন...

লেন্জা ইজ ভেরী ডিফিকাল্ট টু হাইড...

২৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:১০

কাঠুরে বলেছেন: মউদুদি যদি মাওলানা হয়,
তয় সন্ধ্যার পর রাস্তায় খারাইয়া খারাইয়া মলম বেঁচে যারা, হেরা হগলে ডাক্তার।
;) ;) ;)

২৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:২৭

নাঈম_নাজিউর বলেছেন: আরেকটা জিনিস বলেন নাই-
তাবলিগ জামাতের পোলাপাইন আচোদা জামাতি-ইসলামি গো মৌলবাদিতারে সাপোর্ট চোদায় না।

দেশের সবগুলা ইসলামিল দলের পোলাপাইনরেই দেখছি/মিশছি সবার চিন্তা ভাবনা এক যে ইসলামি শাসন কায়েম করব দেশে (স্বপ্নে) কিন্তু সমস্যা এক জায়গায় এই যে আপনার মত-কেউ কাউরে দেখতে পারে না একদল আরেকদলের পুটুতে লাইগা থাকে। তো এমনেই চলতে থাকেন আপনারা।

২৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৭

এম ইয়াছিন মজুমদার বলেছেন: ২০ নং মন্তব্যে নাজিবুল্‌লাহ ভাই খুব সুন্দর লিখেছেন। আপনার সাথে আমি পুরোপুরি একমত। সবাই যদি আপনার মত উদার মানসিকতা নিয়ে বিচার বিশ্লেষন করলে তাহলে মুসলমানদের অনেক সমস্যা বিশেষ করে অনৈক্য কমে যেত।

২৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৮

নিঃসঙ্গ পথিক.. বলেছেন: লেখক মনে হচ্ছেন দীর্ঘ সময় তাবলীগের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন, নইলে এত বিস্তারিত জানলেন কি করে!!!

তা, কত সময় ধরে তাবলীগ করছেন?

২৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৫২

কালো কুয়াশা বলেছেন: http://www.quraneralo.com/unity-of-muslim/ পড়ুন

৩০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:১০

ফাহান্ন বলেছেন: najibullah, salam.
NORADHOM mia moududir boi pora suru korchen ebong valo legeche jene chomotkrito hoilam! Apni e ki shei harry seldon, noradhom!

৩১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২০

বুলবুল আহ্‌মেদ বলেছেন: একজন তবলিগ ওলার আজন্ম লালিত স্বপ্ন হচ্ছে তার সন্তানকে হাফেয ও আলেম বানানো। দেশের যে কোন কওমি মাদ্রাসা হতে আরাম্ভ করে দেওবন্দ পর্যন্ত যত ছাত্র পাবেন তাদের ৭০% তবলীগ ওলাদের সন্তান বা আত্নীয়।

সন্তানকে হাদীস কোরান শিখতে মাদ্রাসায় পাঠাব, ছেলে বড় হয়ে খাবে কী? এই প্রশ্ন তবলীগ অলারা করেনা।

৩২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:০৪

শান্ত কুটির বলেছেন: মাহবুবুল আজাদ বলেছেন "তাই তোমার জন্যে কোরআন হাদিস না, বরং কোরআন হাদিস হচ্ছে আমাদের বড় বড় আলেমদের জন্যে। আমাদের আলেমরা পড়ে তোমাকে যা বলবে তুমি তাই মেনে নিবে। তুমি শুধু পড়বে সবুজ কাভারের কয়েকটা বই আর না বুঝে মাঝে মাঝে কোরআন তেলায়ত করবে, ও আচ্ছা ভুলেও এইসব বইয়ের ভিতরে বুজুর্গের যেসব কাহিনী লেখা আছে সেসব বুজুর্গদের নাম জিজ্ঞাসা করবে না কারণ উনারা বুজুর্গ, উনাদের নাম লিখা যায় না।
এই সব ফালতু কথা কোথায় শুনছেন আপনি। আমার আশে পাশের সবাই তাবলীগের,আর আমার নিজের ঘরের মানুষ ও,শুধু আমিই কোনদিন জামাতে যাইনি,তবে মাঝে মাঝে তালিমে বসতাম,কিন্তু আজ প্রায় ১৯ বছর ধরে এসবের মাঝে বাস করেও কোথাও ত এই কথা শুনিনি।"

আমি তাবলিগে গিয়েছিলাম একসময় ৪০ দিনের জন্য এমন কথা আমিও কখনও শুনিনি।

৩৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:০৯

ওই চোরা বলেছেন: এসব গাট্টিওয়ালাদের দেখলেই মেজাজ চ্রমে চলে যায় আমার। মসজিদের মুসল্লিদের তিক্ত করে তুলে বেটারা। এমন অবস্থা করে যে যারা একবার মসজিদে নামায পড়ে গেছে পরের ওয়াক্তে সে আর যাবেইনা।

৩৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:০৫

ঠোটকাটা বলেছেন: ওই চোরা বলেছেন: এসব গাট্টিওয়ালাদের দেখলেই মেজাজ চ্রমে চলে যায় আমার। মসজিদের মুসল্লিদের তিক্ত করে তুলে বেটারা। এমন অবস্থা করে যে যারা একবার মসজিদে নামায পড়ে গেছে পরের ওয়াক্তে সে আর যাবেইনা।


কারণ চোরা সবসময় পালিয়ে বেড়ায় বা পালানোর চিন্তা করে।

৩৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৫৯

Jokiad বলেছেন: ৬) আমার এক তাবলীগের ছোট ভাই তো বলেই ফেলছে যে, ও যদি কোনদিন মতিউর রহমান মাদানীরে পায় তাহলে হত্যা করবে। কারণটা মনে হয় আপনারা সবাই জানেন। ami jani na.bolen

৩৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮

জাতির বিবেক বলেছেন: এটা একটা বালের পোষ্ট। ভাই আপনি তাবলিগ জামাতে না গিয়ে ব্লগ লিখে ফেললেন?? উদ্দেশ্যমুলক পোষ্ট।

৩৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪

নামের কী দরকার বলেছেন: রূপকথা সুন্দর হয়েছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.