নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ হওয়ার সাধনা আমার চির বহমান, যদি চূড়ান্ত নিশ্বাসেও না হতে পারি তবে ক্ষমা করো বিধাতা, ক্ষমা করো হে প্রভু আর রহমান। ক্ষমা করো তোমরা যারা পেয়েছো আঘাত, তোমরা যারা পাবে অথচ থাকবে নিরাপরাধ।
ঢাকার মগবাজারে অবস্থিত আদ-দ্বীন মহিলা মেডিকেল কলেজে ২০১৫ সালের এমবিবিএস ভর্তি প্রক্রিয়ায় ব্যপকভাবে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।গত ৩০/১০/১৫ তারিখে আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজে ফলাফল দেয়া হয়।নোটিশ বোর্ডে উল্লেখ করা হয় মেধা তালিকা অনুযায়ী ২ নভেম্বর পর্যন্ত ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে। তারপর তিন তারিখ হতে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি করা হবে।কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় দুই তারিখের মধ্যেই অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি করে আসন পূর্ণ করা হয়েছে।এতে মেধা তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়েছে।ভুক্তভোগী একজন অভিভাবক মির্জা জামাল উদ্দীন জানান ”আমি আমার ভাগ্নিকে পাবনা থেকে নিয়ে এসেছিলাম ভর্তির জন্য। নুসরাত জামান (ভর্তি প্রার্থী),রোল নম্বর-৪০৩৪৪০. মেরিট পজিশন-১০৩৫৮।নোটিশ বোর্ডে লিখেছে মেরিট পজিশন ৩৪০০-১৭৪৭৩ পর্যন্ত ২ নভেম্বর বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ভর্তি হতে পারবে।কিন্তু আমরা ২ তারিখ দুপুর দুটায় গিয়ে দেখি জায়গায় জায়গায় নোটিশ টানিয়ে দিয়েছে ভর্তির আসন খালি নাই।” এমন ভাবে আরো অনেকেই এসে ফিরে গেছে বলে উনি জানান।এতে করে ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষা জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছেন। সবচেয়ে বেশী বিপদে পড়েছেন যারা ভর্তি ফি বাবদ পনেরো লক্ষ দশ হাজার টাকা ব্যাংক ড্রাফট করে ভর্তি হতে এসেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।ভর্তির সময় ব্যাংক ড্রাফট করে আনতে নির্দেশ ছিল কলেজ কর্তৃপক্ষের।অভিভাবকেরা নোটিশ বোর্ড অনুযায়ী ভর্তি হতে এসেছিলেন।মির্জা জামাল উদ্দীন জানান ”বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হলো যারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছেন ব্যাংক ড্রাফট করে নিয়ে।ওদের কষ্টের কথা শুনে খারাপ লেগেছে। আবার প্রথম ওয়েটিং লিষ্ট দিয়েছে। দ্বিতীয় ওয়েটিং লিষ্ট দিয়েছে। সব ভন্ডের দল।” এখন তারা অভিভাবকেরা জানেন না এই টাকা কিভাবে ফেরত পাবেন। ছাত্রছাত্রী এখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ না পেয়ে অন্য কোথাও যে ভর্তি হবেন তারও উপায় নেই। এই টাকা কবে নাগাদ ফেরত পাওয়া যাবে কর্তৃপক্ষ তা নিশ্চিত করে নাই।অথচ দেশের প্রায় সকল বেসরকারী মেডিকেল কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষের দিকে।
আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন অনিয়মে অভিভাবকেরা রাগে,ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। তারা এর সুষ্ঠু সমাধান চান। শিক্ষা ক্ষেত্রে এমন অনিয়ম মেনে নেয়া যায় না।অভিযোগ উঠেছে টাকার বিনিয়মে এই সকল আসন বিক্রি করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। নিয়ম বহির্ভূতভাবে নির্দিষ্ট দিনের আগেই কিভাবে ওয়েটিং লিস্ট থেকে ভর্তি করা যায় তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন অভিভাবকরা। তারা বলেছেন এতেই প্রমাণ হয় এখানে অনেক বড় দূর্নিতী হয়েছে।
তানজির খান
কবি, ব্লগার ও নাগরিক সাংবাদিক
[email protected]
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:১২
তানজির খান বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই
২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৬
ডার্ক ম্যান বলেছেন: ডাকাতের এই দেশে সবাই দস্যু
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:১৩
তানজির খান বলেছেন: হা হা হা ভাল বলেছেন তো! সবাই ডাকাত হয়ে উঠেছে আইনের শাসনের অভাবে
৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১২
আবু শাকিল বলেছেন: যথাযত কতৃপক্ষে র দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ।
পোষ্ট দাতাকে ধন্যবাদ ।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১
তানজির খান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১২
মুদ্দাকির বলেছেন: seems like no one cares