নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি জানবে আমায়? আমি ভেসে গেছি পদ্মপাতায়। ডুবে গেছি পৃথিবীর নিদারুণ অবহেলায়। ফেইসবুক https://www.facebook.com/tanzir.khan.3

তানজির খান

মানুষ হওয়ার সাধনা আমার চির বহমান, যদি চূড়ান্ত নিশ্বাসেও না হতে পারি তবে ক্ষমা করো বিধাতা, ক্ষমা করো হে প্রভু আর রহমান। ক্ষমা করো তোমরা যারা পেয়েছো আঘাত, তোমরা যারা পাবে অথচ থাকবে নিরাপরাধ।

তানজির খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী সাহিত্যিক ও কিছু প্রশ্ন

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০

বাংলা সাহিত্যে শরৎচন্দ্র চট্রোপাধ্যায়, হুমায়ূন আহমেদ বা সমরেশ মজুমদার এর মত জনপ্রিয় নারী উপন্যাসিক আসে নাই কেন? যাদের বই প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে পাঠক হুমড়ি খেয়ে পড়বে, এক বই মেলায় একের পর এক সংস্করণ আসবে সপ্তাহ না ঘুরতেই। নিঃসন্দেহে অনেক বড় বড় লেখিকা আমরা পেয়েছি কিন্তু কেন তদের মত তুমুল জনপ্রিয় উপন্যাসিক পাই নাই? অথচ আমরা দেখি অনেক উচুমানের নারী উপন্যাসিক আমাদের ছিল সব সময়ই। তাহলে কেন সেই অতটা জনপ্রিয়, পাঠক নন্দিত, প্রকাশকের কাঙ্ক্ষিত লেখিকা পাই নাই? এখানে পাঠকের বা পাঠকের দৃষ্টিভঙ্গির দায় কতটুকু?

শুধু সাহিত্য মান নিয়ে আমি বলছি না। আমি বলছি সাহিত্যমানের সাথে পাঠকপ্রিয়তা নিয়েও। তুখোড় সাহিত্য মান সমৃদ্ধ লেখা নিয়েও অনেকে উপরের উল্লেখিত লেখকেদের জনপ্রিয়তা ছাড়িয়ে যেতে পারে নাই। অনেকেই জেনে আশ্চর্য হবেন রবীন্দ্র যুগেও উপন্যাসিক হিসাবে শরৎ এর জনপ্রিয়তা ছিল শীর্ষে। এ কালের হুমায়ূন আহমেদ এর কথাই ধরুন, তার লেখার সাহিত্যমান নিয়ে অনেক সাহিত্য বোদ্ধা গাইগুই করলেও কিন্তু উনার চেয়ে জনপ্রিয় সাহিত্যিক শরৎ এর পরে আর কেউ আসে নাই, এটাই সত্য। এমন কি কেউ কেউ তাকে শরৎ এর চেয়েও বেশী জনপ্রিয় বলে থাকেন।

বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অনেক অবদান রয়েছে। অনেক বড় বড় লেখিকাও পেয়েছি। যেমন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, সুফিয়া কামাল, আশির দশকে পাওয়া গেছে তসলিমা নাসরিন,কৃষ্ণা বসু এবং মলি­কা সেনগুপ্ত কে। এছাড়াও রয়েছেন আশাপূর্ণা দেবী, মহাশ্বেতা দেবী , নবনীতা দেব সেন। কিন্তু কেউ কি জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌছেছেন? অনেকেই তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন এটা সত্য। বর্তমানে যারা আছেন তাদের মাঝে তসলীমা নাসরিন অন্যতম। উনার তুমুল জনপ্রিয়তা রয়েছে কিন্তু বিগত কোন সময়েই উনি বাংলা সাহিত্যে জনপ্রিয়তায় শীর্ষে অবস্থান করেন নি।

জনপ্রিয়তা আর সাহিত্যমান আলাদা এটা সত্য। কিন্তু সাহিত্যের পুরো ইতিহাসে কেন একজন লেখিকাকেও পাওয়া যাবেনা শীর্ষে বা কাছাকাছি। আমার এই জিজ্ঞাসার মাঝে আমি যেটা জানতে চাই তা হল পাঠক হিসাবে আমাদের কোন দায় আছে কিনা তা জানা, সমাজের কোন দায় আছে কিনা তা জানা। বাঙালী পুরুষ শাসিত ভোগবাদী সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি কি এই জন্য দায়ী? এই প্রশ্ন প্রাসঙ্গিকভাবেই আসে কারন টেলিভিশন বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে বিলবোর্ড পর্যন্ত কারনে অকারনে নারীকে দেখা যায়। যে পণ্যের সাথে নারীর কোন দূরতম যোগাযোগও নেই সেখানেও নারীকে উপস্থাপিত হতে দেখা যায়। তাহলে কি আমরা নারীর বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ দেখতে চাই না?

আমার কাছের এক বন্ধুর প্রেমিকা একটি নাম করা মেডিকেল কলেজে পড়ত। বন্ধুটি তার প্রেমিকাকে জিজ্ঞেস করেছিল এমবিবিএস শেষ করার পর তুমি কোন ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ হতে চাও পরবর্তী পড়াশোনার মাধ্যমে। সেই প্রেমিকা বলেছিল বাংলাদেশে মেয়েদের পথ দুইটা, নয় গাইনি বিশেষজ্ঞ হওয়া নতুবা শিশু বিশেষজ্ঞ হওয়া। সে কারন জিজ্ঞেস করতেই মেয়েটি বলেছিল বাংলাদেশে কেউ নারী ডাক্তারের কাছে আসে না এই দুটি ছাড়া। তার মানে মেডিসিন, কিডনি আরো কত বিশেষজ্ঞ আছে সেই সকল ডাক্তার পুরুষ না হলে কেউ যায় না? সে মেয়েটি নাকি বলেছিল যায় না বললেই চলে। আমি নিজে অবশ্য সত্য মিথ্যা অতটা জানিনা। তবে নিজের জীবনে মেডিসিনের অনেক ডাক্তার কে দেখিয়েছি সেখানে একজন ব্যাতিত সকল ডাক্তার পুরুষ ছিল। আমি ইচ্ছে করে নারী ডাক্তার দেখাই নাই সে রকম নয়, যাদের কাছে ভাল মেডিসিনের ডাক্তারের রেফারেন্স চেয়েছি তারা সবাই কোন না কোন পুরুষ ডাক্তারের নামই বলেছে। হয়তো ওই বন্ধুর প্রেমিকার কথাই ঠিক, কোন রুগী আসেনা তাই সেই ভাবে অন্যসব ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারও খুব বেশী গড়ে উঠেনি।

বুদ্ধি বৃত্তিক বিকাশে নারীর সবচেয়ে বড় বাধা কি তাহলে পুরুষ শাসিত সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী? এই সমাজ কি নারীকে আজও ভোগের বস্তু মনে করে? শুধুমাত্র টিভি সিনেমার পর্দায় নারী কাঙ্ক্ষিত আর কোথাও কি এই সমাজ নারীকে দেখতে চায় না?

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫

কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।ধন্যবাদ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১

তানজির খান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভাই আপনার মতামত জানালে ভাল লাগতো যে কেন আমাদের সাহিত্যে নারীর এত অবদান থাকা সত্ত্বেও আমরা তুমুল জনপ্রিয় লেখিকা পাই নাই?

শুভকামনা রইল ভাই

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: এর অনেক কারণ আছে| সাহিত্যিক নারী না পুরুষ এটা ফ্যাক্ট| ফ্যাক্ট হলো তারা কী লিখছেন| তসলিমার কথাই ভাবুন| ও যা লিখছে তা চর্বিতচর্বন ছাড়া কিছু না| ওর কোন উন্নত সাহিত্য দেখাতে পারবেন না আপনি|
জনপ্রিয়তা অবশ্য অনেকেই পায়| সেটা ধরে থাকতে পারে না| একদিন ঈপ্সিতা চৌধুরীর ব্লগে একজন কমেন্ট করেছিল| আপনি নারীই থেকে গেলেন! তার লতাপাতা পোস্টের দিকে তাকালেই কথাটার সত্যতা
জানা যায়
সত্যিকথা বলতে নারী কোন সাহিত্যিকই জনপ্রিয়তা পাওয়ার মত কিছু করেননি| এটা গুরুত্বপূর্ণও নয়| তারা লিখছেন| এগিয়ে এসেছেন| সামনে আমরা পাব হয়তো তাদের|
শরৎকে আপনি এখানে অনেকটা ছোট করে তুলে ধরছেন| ওর স্থান অনেক উপরে

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

তানজির খান বলেছেন: অরন্যক রাখাল ভাই, আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ। আমি আসলে এই জায়গাতেই কথা বলছিলাম যে কেন একজন নারী বহুমাত্রিক লেখা নিয়ে আসে নাই। তসলিমা নাসরিনের লেখা একদম ফেলে দেবার উপায় নেই কিন্তু। হ্যা তার নাম যতবার উচ্চারণ হয়েছে তার বেশীর ভাগ হয়তো ভিন্ন কারনে। হুমায়ূন আহমেদও কিন্তু লতাপাতাই বেশী করেছেন। তারপরও উনি অনন্য হয়েছেন। সাধারণ পাঠক কিন্তু হুমায়ুনের লতাপাতাই বেশী গ্রহন করেছে। আমি নিজেও তার ব্যাতিক্রম নই, আমিও তার লতাপাতাতেই মুগ্ধ ছিলাম। তাকে শ্রদ্ধাকরি সব সময়। পাঠকে হিসাবে যদি দায় আমাদের না থাকে নারি উপন্যাসিক গড়ে ওঠায় ক্ষেত্রে তবে কিছুটা মন্দের ভাল। তবে যদি থাকে তবে জাতি হিসাবে আমরা হয়তো এখনো তিমিরেই রয়েছি।


শুভকামনা ভাই, অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

রাইসুল ইসলাম রাণা বলেছেন: এজন্যে মূলত পাঠকের দৃষ্টি ভঙ্গি দায়ী। নিজেকে দিয়েই বলি,নারী লেখিকাদের পড়লে নিজেকে মেয়ে মেয়ে মনে হয়,এজন্যে খুব কম পড়ি।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১

তানজির খান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে ভাই। ভাল কে ভাল বলা ,মন্দ কে মন্দ বলা শিখতে হবে। শুভকামনা রইল।

৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫

প্রামানিক বলেছেন: বাস্তবতার ভিত্তিতে চমৎকার লিখেছেন। আসলেই আমাদের লোক সংখ্যার অর্ধেক নারী কিন্তু সেই তুলনায় জনপ্রিয় লেখিকা তো দূরের কথা নারী লেখকের সংখ্যাও বাড়ছে না।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২

তানজির খান বলেছেন: ঠিক বলেছেন প্রামানিক ভাই। শুভকামনা রইল, একদিন দিন বদলাবে নিশ্চয়ই।

৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১১

সুমন কর বলেছেন: আমার এই জিজ্ঞাসার মাঝে আমি যেটা জানতে চাই তা হল পাঠক হিসাবে আমাদের কোন দায় আছে কিনা তা জানা, সমাজের কোন দায় আছে কিনা তা জানা। --

লেখার মানই মূখ্য বিষয়।

ভালো বলেছেন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩

তানজির খান বলেছেন: সুমন ভাই অনেক ধন্যবাদ মতামতের জন্য। শুভকামনা ভাই

৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩

আবু শাকিল বলেছেন: ইয়ো ইয়ো যুগে ভাল নারী লেখিকা না আসার কারন এক-ভাল লেখিকা আছেন।তারা ভাল লিখেন কিন্তু তাদের বই টাকা দিয়ে কিনে পড়তে চায় না।পাঠক রা তাদের বইয়ের প্রচ্ছদ দেখতেই বেশি আনন্দ পান।তাই টাকা দিয়ে বই কিনেন না।পাঠকদের এই লুল স্বভাবের কারনে প্রতিভাবান লেখিকরা পাঠক জনপ্রিয়তা না পাওয়ায়।বই প্রকাশ থেকে বিরত থাকেন।
দুই-
নারী লেখিকা জনপ্রিয়তার না পাবার আরেকটা কারন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
নারী লেখিকারা দুই/তিন টি বই প্রকাশ করেই লেখালেখি ছেড়ে দেন।তারপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখিকার ট্যাগ লাগাইয়া চুন্দুর চুন্দুর পানের পিক থুক্কু ছবি দেন।সেই ছবির ঝলকানিতে তাদের লেখা এঁটেল মৃত্তিকায় চাপা পড়ে।এখন সেই প্রতিভাবান লেখিকারা দিনে ৪০০/৫০০ লাইক খেয়ে লেখিকা হিসেবে আত্নতৃপ্তির ঢেকুর তোলেন।পরে আর আর ভাল বই প্রকাশ করার সময় পান না।
কথাগুলি আমার ব্যাক্তিগত এবং স্বাধীন মত প্রকাশ।কেউ আমার মন্তব্যে দা-কুড়াল-কোদাল চালাইতে চাইলে নিজ আমার আপত্তি নাই।
তবে হ্যা ব্লগে অনেক প্রতিভাবান লেখিকা আমি দেখেছি। যারা বই প্রকাশ করার ইচ্ছায় লেখালেখি চালিয়ে নেন আগামী দশ বছরে দেশের সেরা নারী লেখিকা হয়ে যাবেন।তাদের মধ্যে আরজু পনি,শায়মা,জুন,রোদেলা নীলা,সাবরিনা সিরাজী তিতির, রেজওয়ানা আলী তনিমা,মহান অতন্দ্র,অর্বাচীন পথিক আরো দু/একজন আছেন।নাম মনে পড়ছে না।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

তানজির খান বলেছেন: খুব সুন্দর বিশ্লেষণ ধর্মী মন্তব্য পড়ে খুব ভাল লাগলো। আত্নতৃপ্তি সব শেষ করে দেয়। আপনার যুক্তি খুব যুক্তি সঙ্গত। অনেকেই উঠে আসবেন নিশ্চিত, হয়তো সময় লাগবে।

শুভকামনা রইল ভাই

৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনুগ্রহ করে ব্যক্তিগত কোন সাইটের লিংক পোস্টে সংযুক্ত না করার অনুরোধ রইল।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯

তানজির খান বলেছেন: ধন্যবাদ কাল্পনিক ভাই। আমি মনে রাখব আপনার এই উপদেশ। শুভকামনা রইল

৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

আবু শাকিল বলেছেন: ঈপ্সিতা চৌধুরী এবং অপর্না মৃন্ময় এরা সবাই প্রতিভাবান লেখিকা।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০১

তানজির খান বলেছেন: জী, নিশ্চয়ই । শুভেচ্ছা রইল ভাই ।

৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: সেইদিন একজন মহিলা কবির সাথে কথা হৈলো। জিগাইলাম, নতুন বই বাইর হৈবো? সে কৈলো প্রাণ বাড়ায় যায় আর বই! থাকেন তো সংসারে ফু দিয়া। কামের বেটি রহিমাগো কষ্ট আপনি কেমনে বুঝবেন? আপনার বৌরে জিগায়েন।
যদি বলেন কিছু ভালো লেখিকার নাম দিতে, আমি শখানেক নাম দিতে পারবো আপনাকে। তারা এখনও সংসারের নিগঢ়ে বন্দী হন নি। ভালো থেকে জনপ্রিয় হতে যে পথ পরিক্রমা তার মধ্যেই বেশিরভাগই ঝরে যান। আর যারা টিকে থাকেন, তারা মূলত তাদের জীবনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যন্ত্রণাময় কাব্য লেখেন।

They need some breathing space.

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬

তানজির খান বলেছেন: খুব সঠিক একটি পয়েন্ট তুলে এনেছেন ভাই। এভাবে ভেবে দেখিনি হয়তো। এখানেও কিন্তু আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজের দায় অনেকখানি। আমরাই তাদের রান্না ঘরে বেধে রেখেছি। নারী পুরুষের সমতা ও সমঝতার সমাজ না গড়ে উঠেলে এ অবস্থা পরিবর্তন কঠিন।

শুভকামনা রইল ভাই

১০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪

খোলা মনের কথা বলেছেন: পুরুষের মত প্রফেশানালী লেখালেখি নারীর কমই আছেন। আর যারা আছেন তাদের লেখালেখির পাশাপাশি ঘরের কাজ গুলোও দেখা শোনা করা লাগে। পুরুষের মত লেখালেখি পাশাপাশি রিলাক্স খুব কম সংখ্যাক নারী লেখক পেয়ে থাকে। যেখানে পুরুষ লেখকের অন্যান্য কাজের যোগানটা নারী হতে পেয়ে থাকে সেখানে নারী লেখকের এমন সুবিধা পায় বলে আমি মনে করি না। যেখানে পুরুষ লেখক লেখালেখির কাজে রিলাক্স ফিল করে সেখানে নারী লেখক কাজের পর আর রিলক্স লেখার সময় হয় না। এভাবে আস্তে আস্তে নারী লেখকগন মিইয়ে যায়। তবে দৃষ্টিভাঙ্গিও একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০২

তানজির খান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মতামতের জন্য। আপনার প্রথম লাইনের সাথে আমি পুরোপুরি একমত নই। তবে পরের বিশ্লেষণ সাথে একমত। আসলেই আমাদের সমাজে নারীকে অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়।

শুভকামনা রইল ভাই, বারবার দেখা হবে লেখায়

১১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০২

তানজির খান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মতামতের জন্য। আপনার প্রথম লাইনের সাথে আমি পুরোপুরি একমত নই। তবে পরের বিশ্লেষণ সাথে একমত। আসলেই আমাদের সমাজে নারীকে অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়।

শুভকামনা রইল ভাই, বারবার দেখা হবে লেখায়

১২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

তার আর পর নেই… বলেছেন: আরন্যক এর মন্তব্য পড়ে বড় খারাপই লাগলো। আরো ভালভাবে চিন্তা করতে পারতো।
ছোটবেলায় একটা কবিতা পড়েছিলাম 'আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে ' লিখেছিলেন জীবনানন্দদাশের মা। যখন জেনেছিলাম তখন অবাক হয়েছিলাম। এত আগে একজন মহিলা এত সুন্দর করে ভেবেছিলেন। এত কাজ সামলে, ছেলেমেয়েদের দেখাশোনা করে …
হুমায়ূন আহমেদও তার অনেক বইতে লিখেছেন, কিভাবে তার বড় চার সন্তান বড় হয়েছেন তিনি কখনো দেখেননি। যেটা ফিল করেছেন তিনি তাঁর ছোট দুই সন্তানকে দেখে।
তসলিমা নাসরিন বোধ হয় এই সংসার থেকে বের হতে পেরেছিলেন বলেই লিখালিখি চালিয়ে যেতে পেরেছেন।
কোন নারীই বোধ হয় সন্তান ছেড়ে অন্য কিছু ভাবতে পারেননা।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

তানজির খান বলেছেন: আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ। আমার লেখায় আপনাকে স্বাগতম। যুক্তি দিয়ে তর্ক চলতেই পারে, যুক্তিতর্কের জয় হোক। আমার লেখা পড়বার জন্য ধন্যবাদ

১৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অবশ্যই আমি কাউকে ছোট করার জন্য কিছু বলিনি| জনপ্রিয় হওয়াটা ফ্যাক্ট না কিন্তু জনপ্রিয় হওয়ার কথা বাদ দিলেও যদি শুধু সাহিত্যের কথা বলেন, সেটাই বা আমরা কোথায় পাচ্ছি?
একজন পাঠক কোন লেখা পড়ার সময় কেন বুঝবে সে নারী কিংবা পুরুষের লেখা পড়ছে? যে লিখেছে সে একজন লেখক| এটাই বড়| নারী লেখকদের (যদিও নারী লেখক বলতে খারাপ লাগছে, লেখক লেখকই) লেখা পড়লে তা মনে হয় না| এমনকি সেলিনা হোসেনকেও এই কাতারে ফেলা যায়| আনোয়ার সৈয়দ হককেও| অদিতি ফাল্গুনি বোগাস লিখেন|
আগে এটা মানা যেত| কারণ তারা পিছিয়ে ছিল| এযুগে যায় না|
আপনি ব্লগেও এই জিনিসটা পাবেন| আরজু পনি আর অপর্ণা মন্ময় ছাড়া আর কারো লেখার মধ্যে এই লেখক ফ্লেবারটা নেই| তাসমিন নুর ভাল লিখছেন

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১

তানজির খান বলেছেন: ভাই আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ। যুক্তি দিয়ে তর্ক চলুক, সৃজনশীল কাজে মতভেদ অনেক সময় সহজ পথ বাতলে দেয়। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা নিবেন।

১৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৫৭

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: খুব সুন্দর সমসাময়িক লেখা । লেখক তানজির খান তাঁর অপূর্ব লেখনী শৈলী আর মেধা দিয়ে খুব যত্ন করে ফুটিয়ে তুলেছেন ।
বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অবদান সম্পর্কে। আমি আমার নিজস্ব কিছু ধারনা থেকে বলব নারীদের পথের প্রতিবন্ধকতা আসলেই তেমন ভাবে এখন কাটেনি । আমি আমার কথাই বলছি আমি প্রায় ১২/১৩ বছর লেখালেখি করার কোন সময় পাইনি । সেই ২০০২ সালে শেষ লিখি । তারপর আবার এখন ৬ মাস থেকে লিখছি । অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে যে আমি আগে যেই লেখা লিখেছিলাম তাঁর একটা কপিও আমার কাছে নেই। ঘর সংসার সামলে তাঁর উপর আবার বিদেশে সেট্যাল হওয়া । বিদেশে এসে সংসার সন্তান সামলে লেখা পড়া করা তাঁর উপর আবার লেখা লেখির সময় করে উঠতে পারিনি আমি । এখন আমি বেশ গুছিয়ে আবার নিয়ম করে লিখছি । তারপরেও আরও বেশী লেখার সময় পাইনা। একটা উপন্যাস লেখায় হাত দিয়েছি কিন্তু সময় পাচ্ছিনা । এটাই আমার মনে হয় নারী লেখক বের হওয়ার পিছনে বেশ একটা অন্তরায় ।
আমি "খোলা মনের কথা" ভাইয়ের সাথে একমত । তিনি খুব সুন্দর করে বলেছেন ।

সব শেষ জনাব তানজির খান কে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাচ্ছি এত সুন্দর একটা বিষয়ের উপর লেখার জন্য । ভাল লাগলো অনেক । ভাল থাকবেন । অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১২

তানজির খান বলেছেন: প্রিয় কবি অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর বিশ্লেষণের আলোকে মন্তব্য করবার জন্য। "খোলা মনের কথা" ব্লগারের মতামত বিশ্লেষণ আসলেই বাস্তবভিত্তিক ছিল।

আপনার কাছ থেকে শোনা উৎসাহ ব্যঞ্জক শব্দ সব সময়ই বিশেষ কিছু। আপনার জন্য রইল অশেষ ভালবাসা ও শুভকামনা।

১৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ব্লগে দেখছি, নারীরা শুধু ( হয়তো শুধু) প্রেম, ভালোবাসা নিয়ে লিখেন, এবং সেখানে জীবনের অন্য সবদিক বাদ পড়ে যায়; ফলে, উনাদের লেখা মগজ থেকে সহজে মুছে যায়।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫১

তানজির খান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য ভাই। তবে অনেক নারীই কিন্তু বহুমাত্রিক লেখা লিখে থাকেন। হয়তো আমরা সামনে দিনগুলিতে ভাল নারী রাইটার পাবো। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল ভাই।

১৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: তবে আমার কাছে মনে হয় না পুরুষ শাসিত সমাজ বলে নারী লেখকদের লেখা কেউ পড়ে না, কারণ লেখা পড়ে লিঙ্গের আলাদাকরণ করা যায় না । লেখকের লেখাটাই মূল বিষয়, নারী কিংবা পুরুষ নয় । নারীদের লেখালেখির ক্যনভাস অনেক ছোট পুরুষদের থেকে । আর যে সব পুরুষ লেখকদের জনপ্রিয়তার কথা বলছেন তাদের এমন জনপ্রিয়তার অংশীদার কিন্তু নারী পাঠকেরও এক বিশাল অংশ রয়েছে । সো নারীরাও তাদের লেখা সর্বোপুরী গ্রহণ করেছে ।

হতে পারে নারীরা নানবিধ সাংসারিক, সামাজিক সীমাবদ্ধতার দরুণ তাদের লেখার ক্যনভাসও সীমাবদ্ধের মধ্যেই রয়ে যায় ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৪

তানজির খান বলেছেন: সুন্দর মতামত দিয়েছেন। নারীকে হয়তো আমরাই তিমিরে রেখেছি, তারপর আছে নানান শৃঙ্খল।

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য

১৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০০

ইনফেকটেড মাশরুম বলেছেন: এটা সমাজের একটা বাস্তবচিত্রও তুলে ধরে। পৃথিবীর অন্য অংশে যতটাই এগিয়ে যাক, উপমহাদেশে নারীরা এখনো একটা সীমিত পরিসরের বাইরে জীবনকে দেখতে পায়না। এবং নারী পাঠকেরা সেই সীমিত পরিসরের বাইরে যেতেও চায়না। আর পাঠ থেকেই লেখাটাও শুরু হয়। যেখানে নারীদের পাঠের অভ্যাস, এক্সেস, জীবনকে দেখবার সুযোগ সবকিছুই কম সেখানে তাদের লেখক হিসেবে উঠে আসাটাও কঠিন।

এই ব্যাপারে নারীদের অধিকারের জন্য আন্দোলনের কথাও বলি। অধিকার দাও, অধিকার নেই, অধিকার বাড়াও এমন কথাবার্তা নারীর জন্য সম্মানের কিছু না। খেয়াল করলে দেখবেন একটা পরিবারে কিংবা কর্মক্ষেত্রেও নারীর প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠেন একজন নারী। ঘরের বউ কেবল সংসার সামলাবে, নিজের মেয়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে সব নিয়ন্ত্রনে নেবে, এসব কানপড়া পুরুষের চেয়ে একজন নারীই দিয়ে দেয় বেশি, প্রভাব বেশি। কর্মক্ষেত্রেও দেখেছি একজন নারী সহকরমীর সবচেয়ে বেশি বদনাম করেন আরেকজন নারী সহকর্মী। নিজেরা নিজেদের বন্ধু হতে হবে আগে। নারীজাতি যদি নিজেরা নিজেদের ব্যাপারে একমত না হয়, তবে পুরুষ মুখে তুলে দিয়ে আসবেনা। নিজেরা নিজেদের দুর্ব্লতা, সংকীর্নতা ঝেড়ে ফেলতে পারলে পুরুষদের একটা বড় অংশ এমনি লাইনে চলে আসবে। এর বাইরেও সমাজ, ধর্মের নানা প্রভাব থাকে। এক ধর্মে নারীদের জন্য যেটা স্বাভাবিক, আরেক ধর্মে অনাচার। তাই সব সমাজ, সব দেশের নারী এক হবেনা কখনো, পুরুষও না। গারো সমাজ কিংবা নেপালী অনেক উপজাতির পুরুষেরা স্ত্রীর উপরেই নির্ভরশীল থাকবে, সমান পর্যায়ে আসতে, কিংবা যৌক্তিক অবস্থান আসতে শত বছর, হাজার বছর লাগতে পারে।

আর জনপ্রিয়তাকে যদি সাহিত্যের একটা মানদন্ড ধরেন, তবে হুমায়ুন অনেক জনপ্রিয়, অবিসংবাদিত সেরা। তসলিমার কবিতা ভালো, গল্প উপন্যাস বিতর্কিত, সাহিত্যমানে অনেক নারী উনার থেকে ভালোই লেখেন। আর সমাজ একজন তসলিমার জন্য বিশৃংখল হয়, বদলায় একজন রোকেয়া কিংবা সুফিয়ার হাত ধরে। একলাফে অনেকদুর টেনে নিয়ে আসে।

আর আমার সবচেয়ে বড় পর্যবেক্ষন হচ্ছে নারী সাহিত্যিকদের না উঠে আসবার পেছনে, তা হচ্ছে নারীদের গন্ডীবদ্ধ থাকা। প্রথা অথবা স্বভাবগত অনেক ব্যাপারও আছে। ব্লগেই দেখবেন ধর্ম, রাজনীতি, বিজ্ঞান, যৌনতা সহ নানা ব্যাপারে নারী ব্লগারদের অংশগ্রহন শুন্যের কোঠায়। উনারা এসব ব্যাপারে পোস্ট তো দুরের কথা, কমেন্টও দেন না। কিন্তু সাহিত্যে (উপন্যাসকে বেইজ ধরছি) ধর্ম, রাজনীতি, যৌনতা এসব ব্যাপার খুব নিবিড়ভাবে জড়িত। সংখ্যাও অনেকই কম। ১০ জনের মধ্যে যদি একজন অসাধারন হিসেবে উঠে আসবার কথা থাকে, সে হিসেবে এ দেশ থেকে একজন পুরুষেরই সম্ভাব্যতার হিসেবে উঠে আসবার সম্ভাবনা অনেক বেশি। ১০ জন উঠে আসলে ১ জন নারী উঠে আসতেও পারেন।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৪

তানজির খান বলেছেন: অত্যন্ত সুচিন্তিত মতামত দিয়েছেন। আপনার সাথে আমি একমত। নানান বিষয়ে নারী তার ট্যাবু ভাঙতে পারে নাই, সেই সাথে আছে শৃঙ্খল।

না আমি জনপ্রিয়তা লেখার মানদন্ড মানছি না। আমি শুধু জানতে চেয়েছি নারী কেন পিছিয়ে আছে এই প্রশ্নের উত্তর। তসলিমার কবিতা আসলেই তার উপন্যাস থেকে অনেক উৎকৃষ্ট। অনেক নারী অন্য নারীর পথের সহায় না হয়ে হয়েছে বাঁধা এটাও সত্য।

আমাদের নারী মানে মা,বোন, মনের মানুষ'দের বাহির জীবন সম্পর্কে প্রায় অজানা আজও। শহরের চিত্র হয়তো কিছুটা ভিন্ন।

ধন্যবাদ ভাই এত সন্দর সুচিন্তিত মতামতে জন্য, শুভকামনা রইল

১৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১০

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আমাদের ব্লগেই অনেক প্রতিভাবান লেখিকা আছে। শাকিল ভাই তাদের নাম নিয়েছেন তাই আর রিপিট করলাম না।

পারিপার্শ্বিক অবস্থা দায়ী। একজন লেখক যেমনি করে সময় শ্রম প্রেম দিতে পারে তার লেখাকে একজন লেখিকা পারে না। পরিবারের যাঁতাকলে তাদের সময় প্রেম সব দ্বিখণ্ডিত তৃখন্ডিত হয়ে যায়। নারীরা যে শুধুমাত্র গতানুগতিক কিছু লেখাতে সীমাবদ্ধ। এ কথায় যে বিশ্বাস করে সে বোকার স্বর্গে বাস করে। শুধু উপযুক্ত পরিবেশ এবং অবশ্যই সম্মানের মাধ্যমে অনেক লেখিকাই আত্মপ্রকাশ করতে পারে আমাদের মাঝে। ধন্যবাদ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৮

তানজির খান বলেছেন: রাজপুত্র, আমি আপনার মতামতকে সানন্দে গ্রহন করছি। খুব ভালভাবে অবজার্ভ করেছেন সমস্যা।

ধন্যবাদ ভাই , শুভকামনা রইল

১৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

কাজী মেহেদী হাসান। বলেছেন: প্রকৃতিগতভাবেই নারীরা পুরুষদের থেকে পিছিয়ে। সেটা বুদ্ধিবৃত্তিকতাই বলেন আর চিন্তার সম্প্রসারতাই বলেন। খুব কম লেখিকাই আছে যারা নীলাভ আকাশ, কষ্টের বুক, তোমার অভিমান এসব শব্দের বাইরে লিখেন। তারা ব্যাক্তিগত সীমা ছাড়াতে পারেন না। লেখায় মেয়েলী গন্ধটা থাকেই। তবে পারিপার্শ্বিকতা কিছুটা অন্তরায় হলেও হতে পারে। যদিও পারিপার্শ্বিকতা-কে এক ঝটকায় ফেলে দিয়েছেন অনেক নারী লেখিকাই। অনেকের কথা আপনি পোষ্টেই বলেছেন। ছোটবেলায় পড়েছি কুসুম কুমারী দাশের লেখা এবং আরো অনেকেই আছে। তবে আমি শুধুমাত্র তসলিমাকে লেখিকা বলতে রাজি নই। সে যা করছে সেখানে কতটূকু সাহিত্যমান আছে সেটা যথেষ্ট চিন্তার বিষয়।
তবে, সবকিছুর পরেও প্রতিটা সফল লেখকের আড়ালে যেমন একজন নারী থাকেন। সেভাবে নারীরা যদি ব্যাক্তিগত সীমা ছাড়িয়ে 'মানুষ' শব্দটা লিখতে পারে তখন তাদের প্রকাশ্যেই পুরুষের পাশাপাশি দেখতে চাইবো।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৫

তানজির খান বলেছেন: আপনার প্রথম লাইনের সাথে আমি একমত নই।

"খুব কম লেখিকাই আছে যারা নীলাভ আকাশ, কষ্টের বুক, তোমার অভিমান এসব শব্দের বাইরে লিখেন। তারা ব্যাক্তিগত সীমা ছাড়াতে পারেন না। "

এটা একদম ঠিক বলেছেন, নারী লেখক বেশীর ভাগই এমন। তবে অনেক লেখকরই এই সমস্যা আছে। ইভেন এখানে আমারো সমস্যা আছে।
তসলিমার কবিতা আমার কাছে ভাল লাগে। আমার যেটুকু মনে হয় উনার এখানে পারদর্শীতা আছে।

শেষের লাইনগুলিতে আমার নিজের অবজারভেশনো এমনই। শুভকামনা রইল ভাই, শুভেচ্ছা ও ভালবাসা নেবেন।

২০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩

রুদ্র জাহেদ বলেছেন:
আমি কোনো লেখা পড়তে গিয়ে নারী লেখক পুরুষ লেখক এরকম দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কোনো লেখা পড়ি না।ভালো লেখা মনোযোগ দিয়ে পড়তে বাধ্য হই খুবই ভালো লাগে।সেখানে নারী লেখক পুরুষ লেখক বিবেচনা করার প্রশ্নই আসে না।এটা অবশ্য ঠিক সমাজে পুরুষতান্ত্রিকতার ফলে এখনো সেভাবে নারীরা নিজেকে প্রতিফলিত করার সুযোগ পাচ্ছে না। আর প্রত্যক্ষ
করলে দেখা যায় নারী লেখককে অনেক সামাজিক সীমাবদ্ধতা ও বৈষম্যের স্বীকার হতে হয়,যার ফলে যারা একটু আধটু চর্চা করেন তাদের থেকে খুব অল্প সংখ্যক মৌল সাহিত্য-সিরিয়াস
সাহিত্য চর্চা ও সৃষ্টির সুযোগ পান।আর নারী-পুরুষ নির্বিশেষে নিজেদের মানুষ ভাবতে পারেইবা কজন।সমাজের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটছে,সেই সাথে যেভাবে মানবিক দিকের উন্নতি হওয়ার কথা বৈষম্য হ্রাস পাওয়ার কথা তা কিন্তু হচ্ছে বলে মনে হয় না।
উপরের কমেন্টে অনেকগুলা দুক উঠে আসছে।সেগুলোও পড়েছি।

খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা পয়েন্ট তুলে এনেছেন লেখায়।অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা প্রিয় লেখক-ব্লগার

প্রথম কমেন্ট টাইপো মিসটেক হইছে,মুছে দিবেন

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪২

তানজির খান বলেছেন: দুঃখিত ভাইয়া উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল। একটা ভাইভা দিতে ঢাকার বাহিরে ছিলাম কয়েকদিন তাই দেরী হয়ে গেল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। বেঁচে থাকুক সাহিত্য তা সে যার হাতেই রচিত হোক।

২১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

আরজু পনি বলেছেন:

খুব দরকারী ভাবনা শেয়ার করেছেন ।

আমি যখন নারী...তখন আমার পড়ার, ব্লগিং (লেখালেখি, মতামত জানানো) করার সময়ের আগে আমাকে সকালের নাস্তার যোগাড় করতে হয় যখন আপনারা পুরুষরা লেপ/কম্বরের নিচে আরামসে নাক ডাকছেন। আমাকে দৌড়াতে হয় যেনো বাচ্চার সকালের নাস্তাটা সে ঠিকমতো খায়, বরকে ঠিকমতো (তার মনমতো) নাস্তাটা পরিবেশন করতে হয়, বাচ্চার টিফিনটা যেনো ঠিক থাকে...শীতে সে গায়ে মুখে লোখন, ভেজলিন মাখলো কিনা নজর রাখতে হয়...বরের আন্ডারওয়ার, মোজাটা ঠিকমতো হাতের কাছে আছে কিনা দেখতে...বাচ্চাদের স্কুলে পৌছেঁ দিয়ে শাশুড়িরর নাস্তাটা ঠিকমতো পরিবেশন করতে হয়, চায়ের চিনির ব্যারেন্সটা যেনো ঠিক থাকে...

এবার ঘর গোছানোর পালা...তারপর শীতের বাড়তি ধুলা মুছো...কলেজে পড়াও? বাসায় বসে পরীক্ষার খাতা দেখো...ক্লাস লেকচারের জন্যে নোট তৈরী করো/আপডেট করো...।
দুপুরের খাবারটা যেনো ঠিকমতো হয়, সবার মনমতো সব পদ যেনো তৈরী থাকে নইলে একেকজন খাবার থেকে উঠে যাবে ঠিকমতো না খেযেই । বিকেলে নাস্তাটা যেনো ঠিক থাকে...নইলে স্বামী দেবতার কানে নালিশ চলে যাবে..."বইতো বাচ্চাদের ঠিকমতো খাওয়ায় না ।"
সব টিক রেখে দৌড়াতে দৌড়াতে যাও কলেজে...কাজ শেষে দৌড়াতে দৌড়াতে এসে...বাচ্চাদের নিয়ে পড়তে বসাও...তুমি ভার্সিটি থেকে এমএ করেছো কেন? বাচ্চাদের যদি পড়াতেই না পারো ? দিন শেষে রাত...স্বামীর মন রক্ষার জন্যে তৈরী থেকো কিন্তু...
আর অন্য কোন পেশার হলেতো কথাই নেই...ন'টা পাঁচটা চাকুরী করে ঘরে এসে ডাবল ডিউটি ।

বলুনতো নারী কখন পড়বে, লিখবে সাহিত্য রচনা করবে...প্রকাশিত বইয়ের প্রকাশনা উৎসব করবে...???
যখন শুধুমাত্র সংসার রক্ষা করতে সরকারী চাকরীটিও ছাড়তে বাধ্য হয় ?

অনেক অনেক কেস স্টাডি দিতে পারবো, তানজির !

অভিলাষি মন চন্দ্রে না পাক জোছনায় পাক ঠাঁই
কিছুটাতো চাই কিছুটাতো চাই ।

যাই...অনেক কাজ পড়ে আছে #:-S

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৯

তানজির খান বলেছেন: এই মন্তব্যের কি প্রতিউত্তর করব সে ভাষা আমার জানা নাই। আপনার বিশ্লেষণ আবেগের চেয়েও গভীর ছিল। আমার সাধারণ জানতে চাওয়ায় যে কত নারীর বেদনা মিশে আছে তা জেনে নিজেরই খুব কষ্ট হচ্ছে।

ক্ষমা চাই জননী,ক্ষমা চাই বোন,ক্ষমা চাই প্রেমিকা, ক্ষমা চাই সকল নারীর কাছে। আমরাই তোমাদের পথ রুদ্ধ করে রেখেছি।

ভাল থাকুন প্রিয় ব্লগার, শুভকামনা রইল।

বিঃদ্রঃ উত্তর দিতে দেরী হওয়ার জন্য দুঃখিত

২২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

আরজু পনি বলেছেন:
অনেকগুলো বানান ভুল চোখে পড়ছে...এডিট করার সুযোগ নেই...দুঃখিত...ঠিক মতো পড়ে নিয়েন ।

২৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার পোস্ট ভাবনা। একসাথে হুড়মুড়িয়ে অনেক গুলো কথা চলে আসলো লেখার জন্য। লিখতে গিয়ে গুছাতে পারছি না।

আরজুপনির মন্তব্য থেকে আপনি কিছুটা আঁচ করতে পারবেন সাহিত্যে তাদের পদচারণা কেন কম। আরজুপনি একটা নির্দিষ্ট স্টেজের নারীদের খণ্ডচিত্র তুলে ধরেছেন।

নাম উল্লেখ না করে বলতে পারি কোনো কোনো নারী লেখক( ব্লগার) ব্লগে হয়ত শখের বশে একটা নিক ওপেন করেন। তারপর নিজের স্পেশাল মানুষটিকে নিয়ে লিখতে থাকেন। অন্য কারো ব্লগে যাবেন না, তার ব্লগেও তার স্পেশাল মানুষটি এসে লুতুপুতু কমেন্ট দিবেন। তাদের কাছে সাহিত্য মানের ব্লগের নির্দিষ্ট একটা নিক আর ব্লগ পাতা। হয়ত এর পেছনে রিজন নিজের মানুষটিকে নিয়েই সে গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকতে পছন্দ করে। ফুল, লতাপাতা, চাঁদ, জ্যোৎস্না, বৃষ্টি আর এনিমেটেড কিছু ছবি মানেই তার সাহিত্যের জগত।

একজন নারী যখন বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হন তখন তার জগতটা তার অনিচ্ছাতেও অনেক সময় সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। কারো বা আবার ছোট বাচ্চা থাকে যাদের জন্য নিজের একান্ত সময়টুকু মা দিয়ে ফেলেন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে।

আমি আমার এক বন্ধুর কথা বলতে পারি। সে স্টুডেন্ট অবস্থাতেই লেখালেখি শুরু করেছিল। পুরস্কার পেয়েছিল বেশ কিছু। অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সাথে থিসিসের কাজও করেছে। যখন তুমুল প্রেমে হাবুডূবূ অবস্থা নিজের প্রেমিককেও লেখক বানিয়েছে। বর্তমানে সেই প্রেমিক স্বামী হাল্কা অনুযোগের সুরেও বলে কি দরকার লিখে তখন সে নারীটি নিজের অজান্তেই নিজেকে স্বার্থপর ভাবে। কিংবা বাচ্চা স্বামীকে ঘুম পারিয়ে নিজের লেখক সত্ত্বার ছটফটানিতে উঠে নিজের কিছু কথা ব্যক্তিগত ব্লগে, ডায়েরিতে লিখে রাখে। কিন্তু আমার বন্ধুটি পুরদস্তুর একজন লেখক। সরকারী আমলা, রাজনীতি, অফিস পলিটিক্স সবকিছুর বেড়াজালে আবদ্ধ হয়েও তার কমফোর্ট জোন -- গদ্য।

স্টুডেন্ট লাইফে আমিও লিখতাম --- তবে কৌতূহল থেকে। ২০১১ থেকে আমার টুকটাক লেখালেখির শুরু। আমার তুমুল আগ্রহটা তেমন স্পেশাল রিজন ছাড়াই ভাটা পড়েছে। কখনও মনে হয় আমার লেখা গুলো জোর করে আমার স্পেশাল মানুষটাকে পড়াতে হয় বলেই কি? মোটিভেশনটা কি ঠিক মত হচ্ছে না? কিংবা যখন মাথার মাঝে হাজার লেখার খই ফোটে তখন লেখার স্পেসটা থাকে না। যা লিখতে চাই সেই ভাষাটা গোছাতে পারি না, তাই অনেক সময় লিখতে পারি না। কিছু লিখতে গেলেই মনে হয় যা লিখবো সেটা যেন একটু আলাদা হয়। সেই আলাদা হবার ভাবনা থেকে লেখা আর হয়ে ওঠে না। সবমিলিয়ে লেখালেখির স্রোত থেকে অনেকটা ছিটকে গেছি এমন মনে হচ্ছে। আগের লেখা আর বর্তমানের লেখা পড়তে গেলে পার্থক্যটা স্পষ্ট হয় আরো। আমার লেখার সফট কপি যা পাব্লিশড ছিল না সব হারিয়ে ফেলেছি। দুঃখ বোধ নাই হারাবার জন্য। আবার নতুন করে কিছু লিখবার মুডও নাই!

আমি আমার অনেক লেখা পুরুষের জবানীতে লিখেছি যাতে কেউ নারী লেখক বলে আন্ডার এস্টিমেট না করে। কারো কারো কাছে নারী লেখকের চরিত্র পুরুষ হওয়াতে হয়ত অস্বস্তি লেগেছে।

তসলিমা নাসরিন জনপ্রিয় নন আমার মতে। সমালোচিত। আর সমালোচিত হবার পর তার মাঝে হিট সিকিং মেন্টালিটী এসেছে যতটা মনে হয়।

এই পোস্টের কমেন্ট গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০০

তানজির খান বলেছেন: অত্যন্ত সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভিন্ন আঙ্গিকে যে বিশ্লেষণ তুলে ধরলেন তা সত্যি অসাধারণ। হুম, তসলিমা সমালোচিত হওয়ার পরে অনেক পরিচিত হয়েছে। তবে তার কিছু লেখা আমার দারুণ লাগে।

লতাপাতা একটা শ্রেণী আছে। আমিও অনেকটা তার অন্তর্ভুক্ত বলতে পারেন। ঘুরে ফিরে লতাপাতা চলে আসে। এ ক্ষেত্রে অনেক সহব্লগারদেরো দেখি। রাজনীতি,সমাজ, বৈষম্য নিয়ে নারীকে কম লিখতে দেখেছি। কেউ কেউ লেখেন। আবার অনেকে শুধুই নারী স্বাধীনতা নিয়েই লেখেন। খুব চৌকস যুক্তি থাকে। আমি মুগ্ধ হয়ে পড়ি, আবার নিজেকেও গালি দেই পুরুষ হিসেবে কখনো কখনো। তাদের অনেকেই ইচ্ছে করলে এর পাশাপাশি বৈচিত্রময় লেখা লিখতে পারেন কিন্তু লেখেন না।

অনেক পুরুষই সঙ্গীর প্রতিভার হত্যাকারী এ কথা আমি মানি। দেখেছি নিজের বোনদের দিকে তাকিয়েও।


শুভকামনা রইল আপনার জন্য, আমার লেখায় আপনার সব সময় আমন্ত্রণ রইল

২৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনার লেখায় যে সত্যটুকু জানান দেয় তা অবশ্যই সত্যিই বটে তবে এখানেও কথা থেকে যায় এই নারী লেখিকাদের আগায়ে যাওয়া আমরাই ব্যহৃত করি উদাহরণ সরূপ দেখবেন একজন নারী ব্লগার এর যাই পাই আমরা সবাই হুমরে খেয়ে পরি তাতে নারী সে নিজেকে সেলিব্রেটি মনে করে এক যায়গা এসে থেমে যায় ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০২

তানজির খান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ভাই। শুভকামনা ও শুভেচ্ছা রইল। বারবার দেখা হবে লেখায়।

২৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০

জুন বলেছেন: আমার বলা কথাগুলো আরজুপনি বলে দিয়েছে তানজির খান । বিশেষ করে আমাদের দেশে অনেক প্রতিকুলতার মাঝে নারী সাহিত্যিকদের এগিয়ে যেতে হয় । তারপর হয়ত এক সময় আর না পেরে মুখ থুবড়ে পড়ে।
ভালোলাগলো আপনার লেখা।
+

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৩

তানজির খান বলেছেন: হুম, আরজুপনি আপুর লেখায় অনেক উত্তর পেয়েছি। ধন্যবাদ আপু, সেই সাথে রইল অশেষ ভালবাসা ও শুভকামনা।

২৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৬

তাসলিমা আক্তার বলেছেন: বেশ ক'দিন পরেই পড়া হলো লেখাটা। তুমুল জনপ্রিয় নারী লেখক না পাওয়ার আমার কাছে দুটো কারন। এক, সমাজ ব্যাবস্থা। দুই, পুরুষবাদ। ব্যাখ্যা করি। সমাজে নারীর কাজগুলোকে ভাগ(প্রায়) করে দেয়া আছে। গৃহকর্ম, সন্তান উৎপাদিন এবং প্রতিপালন। এর বাইরে যেতে হলে শিকল ভাংতে হয়। নারী হয়তো অনেক দুর এগিয়ে যানও। কিন্তু আঁচলে শক্ত হাতের টানটা শেষ পর্যন্ত আর উপেক্ষা করতে পারেন না। ব্যাতিক্রম কিছু থাকিবেই কিন্তু এই দৃশ্য ম্যাজরিটির। পুরুষবাদের কথা অনেকেই বলেছেন। সে আর বিষদ করতে ইচ্ছে করছেনা। আমার কথাই যদি রুপক অর্থে বলি, ফইসবুকে কিছু লিখলে লাইক দশ আর ছবি পোস্ট দিলে সেটা সত্তর আশি। কলম (এখন কি বোর্ড) নয়, নারীর হাতে মায়াবড়ি কিংবা আচারের বৈয়ামই পুরুষের চোখে সুশোভন। (বানানে ভূল থাকতে পারে-ফোন থেকে লিখেছি)।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৭

তানজির খান বলেছেন: "নারীর হাতে মায়াবড়ি কিংবা আচারের বৈয়ামই পুরুষের চোখে সুশোভন"

আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম আপু। ক্ষমা চাই সমস্ত পুরুষ জাতির হয়ে। মাপ করবেন আমি আর প্রতি উত্তর করতে পারছি না এই মন্তব্যের।

২৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭

অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: চমৎকার ভাবে বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। পোস্ট এ ভালো লাগা জানবেন।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৮

তানজির খান বলেছেন: ধন্যবাদ অভ্রনীল। শুভেচ্ছা ও ভালবাসা নিবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.