নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ হওয়ার সাধনা আমার চির বহমান, যদি চূড়ান্ত নিশ্বাসেও না হতে পারি তবে ক্ষমা করো বিধাতা, ক্ষমা করো হে প্রভু আর রহমান। ক্ষমা করো তোমরা যারা পেয়েছো আঘাত, তোমরা যারা পাবে অথচ থাকবে নিরাপরাধ।
সাত কোটি সন্তানেরে, হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালী করে, মানুষ কর নি।আবার রবীঠাকুরের অপ্ত বাক্য ভুল প্রমাণ করবার নতুন সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের সামনে। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শুরু করতে যাচ্ছে বেঙ্গল টাইগার্স। আজ ১৬ মার্চ বিকাল ৩.৩০ মিনিটে সুপার টেনে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ পাকিস্তানের বিপক্ষে।ক্রিকেটের ২২ গজে তরুণ টগবগে রক্ত এখন বধ করতে চায় সব প্রতিপক্ষকেই। কেউ এখন বাঘের থাবা থেকে নিরাপদ নয়। টাইগাররা যদি তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারে তবে শুধু পাকিস্তানের বিপক্ষে নয়, বিশ্বকাপটাও জিততে পারে- এমন মনোভাব বাঙালির সকল ক্রিকেট প্রেমীর।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরে দেয়া বঙ্গবন্ধুর ভাষণে দ্যার্থহীন কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছিল - "কবিগুরু বলেছিলেন সাত কোটি সন্তানেরে, হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালী করে, মানুষ কর নি। কবিগুরুর কথা মিথ্যা প্রমাণ হয়ে গেছে। আমার বাঙালি আজ মানুষ হয়েছে"।
২৫ বছর আগে ইডেনের মাঠে বাংলাদেশ খেলেছিল। সেই স্মৃতিও মন্দ না। শ্রীলংকার বিরুদ্ধে ৯৫ বলে ৭৮ রান করেছিলেন আতাহার আলী খান। শেষ পর্যন্ত যদিও ম্যাচটি হেরেছিল বাংলাদেশ। সময়ের বিবেচনায় সেই ম্যাচটিও অনেক অনুপ্রেরণার।কিন্তু আজ নতুন এক বাংলাদেশ বিশ্ব ক্রিকেটের মঞ্চে। ইডেন গার্ডেনে প্রায় এক লক্ষ দর্শক বসে খেলা দেখতে পারেন। সেই মাঠে সুপার টেনের প্রথম ম্যাচটি খেলতে নামবে টাইগার ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশ দলের সব ক্রিকেটাররা রোমাঞ্চিত ম্যাচটি ঘিরে। কলকাতাও কি রোমাঞ্চিত নয় বাঙালির এগারো সন্তানের খেলা দেখতে? তিলোত্তমা কলকাতাও কি অপেক্ষায় নাই বাঘের গর্জনের?
"আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি" ইডেনের প্রায় এক লক্ষ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন মাঠে যখন বেজে উঠবে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত তখন কেমন অনুভব হবে সবার মাঝে! তখন কি বাঙালীর ভালবাসার তরঙ্গ সবাইকে আন্দোলিত করবে না? সকল বাঙালি অপেক্ষায় আছে, অধীর অপেক্ষায় আছে সেই দৃশ্য দেখার। মাশরাফিদের সুরে সুর মিলিয়ে পুরো গ্যালারী গেয়ে উঠছে আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি, দৃশ্যটি বারবার কেন যেন ভাবতে ভাল লাগছে। এক টুকরো বাংলাদেশ ক্ষণিকের জন্য কবিগুরুর কলকাতার বুকে ভেসে উঠলে কে রুধিবে বাংলার জয়?
বিঃদ্রঃ আমার লেখাটি একটি অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:১৮
তানজির খান বলেছেন: ইন-শা-আল্লাহ জয় আমাদের হবেই। শুভকামনা রইল
২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:২৬
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: আমরা জিতবই।জয় আমাদের হবেই হবে
১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:১৯
তানজির খান বলেছেন: জয় হতেই হবে আমাদের। ধন্যবাদ ভাই
৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১২
বিজন রয় বলেছেন: রবীন্দ্রনাথের কলকাতায় আমার সোনার বাংলা পাকিস্তানের মুখোমুখি।
বাহ!
+++
১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯
তানজির খান বলেছেন: হেরে গেলাম ভাই। তাই মন খারাপ। সামনের ম্যাচ থেকে সব জিতব, আশারাখি
৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: সাম্প্রতিক সময়ে যে গ্যাঞ্জাম লাগসে, দাদাবাবুরা আমাদের সাপোর্ট করবে কি না তা নিয়ে সংশয়ে আছি। যাউক গা, না করলে নাই।
১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮
তানজির খান বলেছেন: আপনার আশংকা সত্য। দাদা বাবুরা পাকিদের চার-ছয়ে লাফাইছে খালি। কি যে বলব, অনেক আশা ছিল
৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯
বিজন রয় বলেছেন: দাদা বাবুরা পাকিদের চার-ছয়ে লাফাইছে খালি।
এহন তাইলে ইন্ডিয়ানরা পাকিস্তানগো চাইয়া আমাগো বড় প্রতিপক্ষ ভাবতাসে! এইডাই তো আমাগো বড় জয়!!
১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭
তানজির খান বলেছেন: এটা ভাল বলছেন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে বেশ মন খারাপ করছি। কলকাতা এমন করলে খুব খারাপ লাগে। পুরো ইন্ডিয়ার চাইতে কলকাতা আপন লাগে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০৩
মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: ইন-শাল্লাহ জয় আমাদের হবেই।