নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি জানবে আমায়? আমি ভেসে গেছি পদ্মপাতায়। ডুবে গেছি পৃথিবীর নিদারুণ অবহেলায়। ফেইসবুক https://www.facebook.com/tanzir.khan.3

তানজির খান

মানুষ হওয়ার সাধনা আমার চির বহমান, যদি চূড়ান্ত নিশ্বাসেও না হতে পারি তবে ক্ষমা করো বিধাতা, ক্ষমা করো হে প্রভু আর রহমান। ক্ষমা করো তোমরা যারা পেয়েছো আঘাত, তোমরা যারা পাবে অথচ থাকবে নিরাপরাধ।

তানজির খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার আব্বা ও আমি ( পর্ব- নরসুন্দর)

৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫০



ছোটবেলায় চুল কাটাতে চাইতাম না। কানের কাছে চুল আসতে না আসতেই আব্বা চুল কাটানোর জন্য বলা শুরু করতো। আব্বা চুল কাটার স্টাইল বলতে আর্মি কাটিং বুঝতো। এর ব্যাত্যয় সে কোন ভাবেই মেনে নিবে না। তার বদ্ধমূল ধারণা ছিল কোন ভাল ছেলের চুল বড় থাকতে পারেনা। আব্বার আরও কিছু বিশ্বাস ছিল যেমন ভাল ছেলেরা জিন্সের প্যান্ট পরেনা! এবং কোন ভাল মানুষের দুইটা সিম কার্ড থাকতে পারেনা।

শুক্রবার আসলেই সকালে বাজারে যাওয়ার সময় আব্বা জোর করে নিয়ে যেত চুল কাটাতে। রাগে,দুঃখে শেষে আবদার করতাম যেন আমাকে অবশ্যয়ই একটা টেনিস বল কিনে দেয়া হয় চুল কাটানোর পর। বলের নাম ছিল এ্যারোপ্লেন। বলটি সাধারণত সবুজ হতো। সেই বলে একটা অদ্ভুত ঘ্রাণ ছিল। যতদূর মনে পড়ে বলের দাম ছিল ১৮ টাকা। খেলা শুরু করার আগে বলটি নাকে নিয়ে শুকতাম বেশ কিছুক্ষণ।

যাইহোক, চুল কাটাতে দিয়ে আব্বা জলিল কাকার চায়ের দোকানে বসতো। ছিদাম নামে আমাদের বাজারে নাপিত আছে,সেই আমাদের পারিবারিক নাপিত ছিল। সম্ভবত এখন আর তার দোকান জমজমাট না। তবে তার মত দেশ সম্পর্কে সচেতন মানুষ কম দেখেছি। প্রখর রাজনৈতিক জ্ঞান সম্পন্ন লোক। জনকণ্ঠ পেপার তার মুখস্থ থাকতো। উনার সাথে আমার একটি মজার ঘটনা আছে। যখন আরও ছোট ছিলাম মানে স্কুলে তখনও যাই নাই।তখন আমরা পুরাতন বাড়ীতে থাকতাম, সেটা পাসের গ্রামে। উনি তখন আমাদের বাড়ী এসে চুল কাটিয়ে দিয়ে যেতেন। আমাকে দৌড়ে ঝাপটে ধরে চুল কাটিয়ে দিতেন। এমনি একদিন সবাই মিলে ধরে জোর করে চুল কাটিয়ে দিচ্ছেলেন আর আমি উনাকে রাগ করে বলছিলাম "আপনাকে আর আপনার নানীকে কূপে (আমরা বলতাম কুয়া)ফেল দেব!" সেই গল্প বড় হওয়ার পরেও চুল কাটাতে গেলে সবাইকে আমার সামনে বলতেন হেসে হেসে। ক্লাস নাইন-টেন পর্যন্ত উনার কাছে চুল কাটিয়েছি। লোকটা খুব ভাল একজন মানুষ। ভাবছি বাড়ী গেলে উনার দোকানে যাব একবার চুল কাটাতে। দেখবো এবার সে ওই গল্প করে কিনা।যদি যাই তবে তা হবে প্রায় ষোল বছর পর যাওয়া। উনার কি আব্বার সেই ছোট করে চুল কাটিয়ে দেয়ার কথা মনে আছে?

চুল কাটা শেষে জলিল কাকার চায়ের দোকানে বসে থাকা আব্বা কে দেখাতে যেতে হত ঠিক আছে কিনা সার্টিফিকেট নিতে! খুব কম বারই পাস করতাম একবারে! মানে আব্বা বলতো সামনে তো চুল এখনও বড়! অথচ বিশ্বাস করেন একদম ছোট থাকতো। তারপর আবার হাত ধরে নিয়ে যেয়ে এবার বসে থেকে আমার সবকটি চুল রিমান্ডে নেয়ার মত করে কাটিয়ে ছাড়তো। সেটাকে আর কোন হেয়ার স্টাইল বলা যেতনা। ছিদাম কাকাও নিখুতভাবে আব্বার ইচ্ছে বাস্তবায়ন করতো।

তারপর বড় হওয়ার পরেও, আর বড় করে চুল রাখা হয় নাই। এখন চুল বড় হলেই মাথা ব্যাথায়। এসএসসি দেয়ার পড়ে কলেজে পড়ার সময় রাজশাহী থেকে বাড়ী এলে আব্বা সকালে ঘুম থেকে উঠে বলতেন শার্টের পকেটে টাকা আছে চুল কেটে এসো আজ।

গত তিন মাস হল চুল কাটা হয় না। প্রায়ই মাথা ব্যাথায় প্রচন্ড। প্রতিদিনই ভাবি আজ কাটবো। চুলে কান ঢেকে গেছে প্রায়। এবার মে মাসে আব্বার মৃত্যুর দশ বছর পূর্ণ হবে। কেন যেন মনে হচ্ছে সকাল হলেই আব্বা বলবে পকেটে টাকা আছে আজ চুল কেটে এসো আব্বা। (আমার আব্বা আমাকে আব্বা বলে ডাকতেন আদর করে)।

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: খারাপ লাগছে!! :(

উনি যেখানেই থাকুন, যেন ভাল থাকেন সেই প্রত্যাশায়...

৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:০৫

তানজির খান বলেছেন:
সময় আমার অসময়ের হাতে বন্দী। নানা রঙের দিনগুলি হারিয়ে ফেলেছি.....

২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০২

রিপি বলেছেন:
গল্পটা দুবার এসেছে। ঠিক করে নিয়েন ভাইয়া।
আল্লাহ যেন আপনার আব্বা কে অনেক ভালো রাখেন দোয়া রইল।
ভালো লেগেছে আপনার স্মৃতিচারন।লেখা পড়ে আমার ও আব্বুর কথা মনে পড়ে গেল।
বাবা মায়ের মত পৃথিবীর আর কিছুই হয়না।

৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:০৯

তানজির খান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ঠিক করে নিয়েছি এখন। বাবা-মা যে কত বড় আস্থার জায়গা তা বলে শেষ করা যাবেনা। আব্বার মৃত্যুর কিছু দিন আগে ক্লাসে স্যার বলছিলেন বাবা বটবৃক্ষের মত। তখনও আব্বা মারা যাবে এমন কোন আলামত ছিলনা। সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ, সকাল সন্ধ্যা অফিস করছিলেন।
কতদ্রুত সময়টা অতীত হয়ে গেল।

ধন্যবাদ আপনাকে পাসে থাকবার জন্য

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৩৭

উল্টা দূরবীন বলেছেন: বাবার কথা মনে হলেই চোখের সামনে একটি নির্ভরতার মুখ ভেসে উঠে। বাবার বয়স হয়েছে কিন্তু এখনো প্রতিদিন ফোন করে সব খোঁজখবর নেন। টাকা পয়সা লাগবে কিনা জানতে চান। পরিবারের শত সমস্যার মাঝেও আমাদের আগলে রেখেছেন ইস্পাতের দৃঢ়তায়। বাবা এমনই হয়। দোয়াকরি বাবা যেন সুস্থ্যভাবে বেঁচে থাকেন অনেকদিন।

আপনার স্মৃতিচারণ পড়ে খুব কষ্ট পেলাম। বাবা আছে বলে হয়তো পুরো আবেগটা বুঝতে পারছিনা ঠিকই তবুও বলবো আল্লাহ যেন আপনার বাবাকে ওপারে শান্তিতেই রাখেন। উনি যেন চিন জান্নাতবাসী হোন।

৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:১৪

তানজির খান বলেছেন: বাবার বুক অনেক বড় এক বুক যেখানে হাউমাউ করে ্কান্না করা যায়। পথ খুঁজে পাওয়া যায় হারিয়ে ফেলার পর। যে কোন ব্যার্থতায় মানুষের একটা বুক লাগে যেখানে সব ভুল স্বীকার করে কান্না করা যায়। সেই বুক বাবা ছাড়া আর পাওয়া যায় না ভাই।
এখন এই যে ইটপাথরের নগরে বেওয়ারিশ হয়ে ঘুরছি কেউ খোজও নেয় না। অথচ আপনারই মত আমাকে প্রতদিন ফোন দিয়ে কি করছি,খেয়েছি কিনা, অসুস্থ কিনা জিজ্ঞেস করতো। হারিয়ে ফেললাম সব সময়ের ফেরে।

ভাল থাকবেন ভাই, আপনার বাবার সুস্থতা কামনা করি।

৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৪২

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনার আব্বা যেখানেই থাকুক, ভালো থাকুক।

সন্তানের সাথে বাবার সম্পর্ক এমনি হয়। আমার ছেলের চুল কাটাতে আমিই তাকে সেলুনে নিয়ে যায়। যখন ছোট ছিল তখন সারা রাস্তা ঘুরতে হত, আর যে চুল কাটতো সেই ছেলেও পেছন পেছন ঘুরে চুল কাটতো। এখন অবশ্য বসে থাকে চুপ করে। তবে দেশে গেলে তার ছোটবেলার সেলুনে নিয়ে গেলে ছেলেরা গল্প করে আমার ছেলের কাছে, কত্ত যন্ত্রণাই না সে করতো চুল কাটার সময়।

৩১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২২

তানজির খান বলেছেন: জী আপু। অনেক স্মৃতি থাকে বাবা-মায়ের সাথে। আমি ছিলাম আব্বা ঘেষা।
ভাল থাকবেন আপু, শুভকামনা রইল

৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:১১

বিজন রয় বলেছেন: আমারো অনেক স্মৃতি আছে।

কষ্ট পেলাম।

৩১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২৩

তানজির খান বলেছেন: কি বলব আর বলার কিছু নেই ভাইয়া। ভাল থাকবেন, শুভকামনা রইল

৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অামার অাব্বা বিদেশে ছিলেন দীর্ঘদিন । তাঁর সাথে শৈশবের স্মৃতি খুব একটা মনে পড়ে না । অামার যখন নয়/দশ বছর বয়স, তখন দেশে অাসেন । ততদিনে তাঁর সাথে কেমন দূরত্ব তৈরি হয়ে যায় ।
অামার অাম্মার সাথেই সখ্য ছিল চিরদিন । তিনিও অাপনার অাব্বার মত ছোট চুল রাখতে বলতেন অামাকে । বড় হয়েছি এখনো নিস্তার নেই । চুল কাটিয়ে অাসার পর অামি কখনো মায়ের মুখে শুনিনি চুল কাটা ঠিক অাছে । খুঁত তিনি ধরবেনই । একবার তো মাথা ন্যাড়া করে ফেল্লাম । তখন বললেন, "ভালো হয়েছে ।"


৩১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২১

তানজির খান বলেছেন: ন্যাড়া! হাহাহাহা

আমাদের বেড়ে ওঠার গল্প অনেক সময় মিলে যায়। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প একই হয় প্রায়। শুধু স্থান কাল পাত্র আলাদা হয়। আমার আব্বার সাথে সখ্যতা ছিল বেশী। আম্মা একটু করা করা কথা বলা মানুষ ছিলেন। এখন অবশ্য আম্মাও বদলে গেছেন। আর করা কথাও শোনা হয় না। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য

৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮

নীলকে রহমান রনি বলেছেন: হৃদয়টা ভিজে গেল!

৩১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২২

তানজির খান বলেছেন: হৃদয় ভিজে আছে গত দশ বছর ধরে ভাই। শুভকামনা রইল, ভাল থাকুন ভাই

৮| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০৩

মহা সমন্বয় বলেছেন: আমার মাথার চুল আমার আব্বার বড় শত্রু :-P কিন্তু বড় দাড়ি উনার খুব পছন্দ ভাবছি লম্বা দাড়ি রাখুম =p~

৩১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৩

তানজির খান বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহাহা বাবাদের কেন যে চুলের সাথে আড়ি তা খোদাই জানেন। সব বাবারা চুল দেখতে পারেনা।
দাড়ি রেখে দিলেও কয়েক দিন পড়ে বলবে সাইজ করে আয়। দাড়ি রাখবি তো ভাল করে রাখবি, এসব বলবে।

৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০৫

মহা সমন্বয় বলেছেন: চুল আমার সিন্ধান্ত আমার সুতরাং এইখানে কারও হস্তক্ষেপ চলবে না। :)

ভালো লেগেছে আপনার স্মৃতিচারন।

৩১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৪

তানজির খান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। খুব ভাল লাগছে আপনাদের ভালবাসা

১০| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩

জেন রসি বলেছেন: এমন কিছু স্মৃতি আছে যা মানুষকে সবসময় স্পর্শ রে থাকে।

শুভকামনা রইলো।

৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১০

তানজির খান বলেছেন:
যাপিত জীবনের সব স্মৃতি মাঝেমাঝে পোড়ায়

চোখটা এতো পোড়ায় কেন
ও পোড়া চোখ সমুদ্রে যাও
সমুদ্র কী তোমার ছেলে
আদর দিয়ে চোখে মাখাও ।।

শুভকমানা রইল একদিন কষ্ট গুলো শক্তি হবে।

১১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
স্মৃতিচারণ নস্টালজিক করে দিল।

ভাল থাকুক আপনার বাবা।

৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১০

তানজির খান বলেছেন:
দোয়া রাখবেন ভাই। স্মৃতিরা এমনই

১২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: বাবারা কেন যে চলে যায়!
আমার খুব শখ বড় চুল রাখার, কিন্তু তিন-চার মাস হলেই মাথা জাম ধরে যায়, ঘাড় চুলকায়। আমার আর বড় চুল রাখা হয় না! এবার অবশ্য ছয় মাস পূরণ করেছি। দেখা যাক কত দূর যেতে পারি!
শুভকামনা রইলো।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:৪২

তানজির খান বলেছেন: ভাইয়া আমারও সখ ছিল কিন্তু পূরণ হয় নাই। শীত আসলে মনে করি রিস্ক নিয়ে রেখে দেই কিন্তু তাও পারিনা। খুব ইচ্ছে ছিল বসন্ত বাতাসে বড় চুল নিয়ে হাটবো, আর মাঝেমাঝে চুলের মাঝে হাত দিয়ে চুল ঠিক করবো!!!!!!!

বাবারা কেন এমন হয় জানিনা ভাই। শুভকামনা রইল

১৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

সুমন কর বলেছেন: আপনার বাবার আত্মার শান্তি কামনা করি। লেখা হৃদয় ছুঁয়ে গেল।

আমারও চুল বড় হলে মাথা ব্যাথা করে, তাই আর বড় রাখা হয়নি। এখনো একটু বড় হলেই কেঁটে ফেলি।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:৪৪

তানজির খান বলেছেন: আমার সাথে মিলে গেল ভাইয়া।আমিও বড় চুল রাখতে পারিনা কিন্তু ভিষণ ইচ্ছে ছিল আগে। আপনার প্রার্থনা কবুল করুক সৃষ্টিকর্তা।

ধন্যবাদ ভাইয়া

১৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হে পিত, যেখানেই থাক সূখে থাক, শান্তিতে থাক। যেভাবে আমাদের শান্তি,সূকে রেখেছিলে শৈশবে..বরং তারচে বেশি।

আপনার আত্মার মুক্তির দোয়া রইল।

দারুন চুল কাটার স্মৃতি দিয় শৈশবে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন।+++++++++++++++++

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:৪৬

তানজির খান বলেছেন:
আল্লাহতালা আমাদের দোয়া কবুল করুণ। ধন্যবাদ ভাইয়া পাসে থাকবার জন্য।

১৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই সেই বাবা যার নেই তার প্রতিটি মহুর্তে চোখের কোনে একফুটা জল টলমল করতে থাকে। আপনার বাবার আত্না শান্তিতে থাকুক।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:৪৭

তানজির খান বলেছেন:
একদম সত্য বলেছেন। সেই কষ্ট দশ বছরেও ভুলতে পারছিনা। আল্লাহ মঙ্গল করুণ সবার।

১৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩০

পুলহ বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারণ পড়তে পড়তে টুকরো টুকরো ছবি মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো- আমার ছেলেবেলার ! সবুজ টেনিস বল, তার গন্ধ, অভিভাবকের শাসন ... আমরা সবাই ভিন্ন ভিন্ন মানুষ হলেও শৈশবের আনন্দ, বেদনা কিংবা মমতা- ভালোবাসার অনুভূতিগুলো বোধহয় সবার জন্য একই- উচ্ছ্বসিত, সরল আর জটিলতাবিহীন; অল্পতেই তুষ্ট।

আপনার বাবার মঙ্গল প্রার্থনা করছি। জগতের সকল বাবাই কল্যাণপ্রাপ্ত হোক !
শুভকামনা তানজির খান ভাই।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:৫৩

তানজির খান বলেছেন:
আমাদের মধ্যবিত্তের স্মৃতিগুলো প্রায়ই একই ভাই। তাছাড়া আমরা একই সময়ের। আপনার মত আমারও এক প্রার্থনা সবার বাবার মঙ্গল হোক। পাসে থেকে সান্তনা দেবার জন্য কৃতজ্ঞ ভাইয়া।

১৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



লেখাটা ফেবুতে আগেই পড়েছি।

ভাল থাকুন ভাই।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:৫১

তানজির খান বলেছেন: শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনারও মঙ্গল কামনা করছি।

১৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:১০

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: াড়িয়ে যাওয়া দিন গুলো

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:৪৮

তানজির খান বলেছেন: হারিয়ে যাওয়া দিন, ঠিক বলেছেন আপু। অনেক স্মৃতি, অনেক ভাল লাগা। স্বাগতমা আমার লেখায়।

১৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৩৫

জুন বলেছেন: মন ছুয়ে গেল লেখায় তানজির খান। ছোট একটি ছেলেকে পিড়ি পেতে নাপিতের সামনে দিব্যচোখে বসে থাকতে দেখলাম। এসব কি এখনো আছে দেশে গ্রামে? এখনতো সবখানেই সেলুন।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

তানজির খান বলেছেন: আপু, সত্যি সবকিছু কত তারাতারি অতীত হয়ে গেল। সেদিনও সব ছিল মনে হয়। এখন আর ওরকম দেখতে পাইনা কোথাও। গ্রামগুলোও এখন নব্বই এর শেষে শহর যেমন ছিল তেমন হয়ে গেছে। কোন কোনটি আধুনিক শহরের মতই লাগে।

জুন আপু অনেকদিন পর আমার লেখায় এলেন। আপনাকে কবিতায় খুব মিস করি। আপনার বিশ্লেষণ কবিতার মান উন্নয়নের জন্য খুব দরকার। শুভকামনা রইল আপু, ভাল থাকবেন,পাসে থাকবেন

২০| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৪৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:

বাবারা অন্যরকম। ভালো থাকুক তারা। এখানে কিংবা ওখানে।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

তানজির খান বলেছেন: বাবারা অন্যরকম, ঠিক বলেছেন। ভালবাসা রইল ভাই। দোয়া করবেন

২১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার স্মৃতিচারণ । এখনই বাবাকে ফোন দিবো - খুব বাবার কথা মনে পরছে ।
দোয়া করি আপনার বাবার আত্মা শান্তিতে থাকুক । ভালো থাকবেন ।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪২

তানজির খান বলেছেন:
হ্যা ফোন দিন এখনি। আমার আব্বা সকাল-বিকাল ফোন দিতেন। খুব ভাল বন্ধু ছিলেন আমার তবুও সব সময় ফোন দিলে ভাল লাগতো না। কখনও বিরক্ত হতাম। একদিন এমনি এক সময় ফোন দিয়ে আমার কিছুটা বিরক্তি দেখে বললেন 'তুমি কি বোঝ তোমার খবর না পেলে আমার শরীরের রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়"।

অথচ এখন ফোন বাজে কিন্তু যার ফোন চাই সে ফোন আর আসবে না কখনও

২২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬

লিযেন বলেছেন: কেন যে আপনারা এসব মনে করিয়ে দেন!!!!

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১৮

তানজির খান বলেছেন: মনে যদি বাজে সেই একই বেদনা তবে কি আর না মনে করিয়ে পারা যায়। আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি। মনে পড়ে যায় সব কথা নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনা।

২৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: তানজির খান ,



শুরুটা শৈশবে নিয়ে গেলেও শেষটা নিদারুন দুঃখ দিয়ে গেলো ।
বাবারা অমনই হয় । তাদের স্নেহের ফল্গুধারা বয়ে চলে গহন মনের কোনে নিরবে , বাইরে যার শব্দ শেনা যায়না ।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২২

তানজির খান বলেছেন: ভাইয়া, জীবন আজ এইখানে এনে দাড় করিয়েছে্‌। হারিয়ে ফেলেছি সেই সব ভালবাসার দিনগুলো। বাবারা আসলে এমনিই হয়। হয়তো একদিন দাম্পত্য জীবন শুরু করে আমিও তেমনই হয়ে যাব। আমার পিতা ভর করবে আমার মাঝে, জানিনা তার মত হতে পারব কিনা।

ভালবাসা ও দোয়া চাই ভাইয়া। শুভকামনা রইল

২৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:০৫

পাকাচুল বলেছেন: অসাধারণ শৈশব।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩

তানজির খান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। শুভকামনা রইল

২৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

প্রামানিক বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারণ পড়ে অতীতের অনেক কাহিনী মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

তানজির খান বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। হ্যা, আপনাকে ফেইসবুকে রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছি।

২৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আল্লাহ্‌ আপনার বাবাকে বেহেশত নসীব করুন। খুব হৃদয়স্পর্শী লেখা, সবাইকে শৈশবে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। আপনিও ভাল থাকুন, চুল কাটান, মাথা ব্যাথা সারিয়ে উঠুন। অনেক অনেক শুভকামনা রইবে আপনার প্রতি।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭

তানজির খান বলেছেন: শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। সবার মঙ্গল কামনা করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.