নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তন্ত্র,মন্ত্র যতই জপি না কেন জবানে,যৌবনের আসিলে ঋতু রাজে,কোকিল কুহু কুহু সুরে গান করে, আমি পাগল তোমারি,প্রেম সুধা পানে, ভোমর পান করে মধু ফুলে বসে ,সে হোক গোলাপ বৈকি ঘাঁস ফুলে।আমার পরিচয় ছন্দের মাঝে।।

তারেক সালমান জাবেদ

কবি

তারেক সালমান জাবেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামীলিগের রাজনৈতিক কৌশলে বি এন পি চুপ, সাধারন জনগনের বাচাঁর আকুতি। পর্ব-১

১৪ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:০২




এদিকে বিতর্কীত ৫ ই জানুয়ারীর নির্বাচনের পর আওয়ামীলিগ সরকারের মন্ত্রী মহোদয়গন একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিচ্ছেন।একের পর এক রদ বদল হচ্ছে মন্ত্রী পরিষদের।তবুও আওয়ামীলিগ সরকার ঠিকে আছে ক্ষমতায়,তার কারণ কি?এ দিকে বি এন পি আন্দোলন করে কোন সুফল পায়নি,কেন পায়নি এ সব প্রশ্ন আজ জনগনের মনে।

আওয়ামীলিগ রাজনীতিতে পাকা একটি দল,আওয়ামীলিগ জানে কিভাবে রাজনীতির মাঠে ঠিকে থাকা যাবে,যেহেতু বাংলাদেশের পাশ্ববর্তীদেশ ভারত সেহেতু বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব প্রতক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত ।আওয়ামীলিগ ধর্ম নিরেপেক্ষ দল হিসেবে ভারতের কাছে সমাদৃত।ভারত সরকার চায় আওয়ামীলিগ ক্ষমতায় থাকুক।

বাংলাদেশের মানুষ চায় যে সরকার দেশের উন্নয়ন করবে,দেশে শান্তি বজায় রাখবে সেই সরকার ক্ষমতায় যাক,সে আওয়ামীলিগ হোক কিংবা বি এন পি হোক। কিন্ত বতর্মানে আওয়ামীলিগ সরকারের একতরফা নির্বাচনের কারনে আজ দেশে অশান্তি বিরাজ করছে,এ কথাতে আমার সাথে কেউ একমত হবেন কি না জানি না,দেশের মধ্যে যত খুন,অকর্ম,কুকর্ম হচ্ছে তা করিতেছে হয় আওয়ামীলিগ,ছাত্রলীগ নতুবা র্যাব,পুলিশ প্রশাসন। তার কিছু বিবরন নিচে দেয়া হলো:

০১।মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন মায়া কাহিনি :জরুরি অবস্থা চলাকালে ২০০৭ সালের ১৩ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক নূরুল আলম সূত্রাপুর থানায় আওয়ামী লীগ নেতা মায়ার বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে ২৯ লাখ টাকার সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয় এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে।
এত গেল মন্ত্রী কাহিনি এবার যাওয়া যাক মন্ত্রী জামাতা তারেক সাইদ,আমরা সবাই জানি,গত ২৭ এপ্রিল ২০১৪ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। ৩০ এপ্রিল ও ১ মে শীতলক্ষ্যায় তাদের লাশ পাওয়া যায়। তাদের হত্যার ডকুমেন্টেরি বাংলাদেশ এমনকি ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়ার প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডে লে. কর্নেল তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ হোসেন ও এমএম রানা জড়িত ছিলেন বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
র‌্যাবের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাত খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত চাকরিচ্যুত র‌্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ এবং অপর দুই কর্মকর্তা সাবেক কোম্পানি কমান্ডার আরিফ হোসেন ও এমএম রানা জড়িত ছিলেন। তবে তারেক সাঈদ ও আরিফ হোসেন অপহরণ থেকে শুরু করে লাশ নদীতে ডোবানো পর্যন্ত পুরো ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলেও এমএম রানা অপহরণ পর্যন্ত আংশিক জড়িত ছিলেন। আর নুর হোসেন পালিয়ে ভারতে গেলেও সেখানে ধরা পড়েন।

০২।ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর কথায় আসি তিনি বলেছেন, আমি হজ আর তাবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী। তবে তার চেয়েও হজ ও তাবলিগ জামাতের বিরোধী।ও তাবলিগ জামাতের বেশি বিরোধী।নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি হোটেলে নিউ ইয়র্কস্থ টাঙ্গাইলবাসীদের সঙ্গে এক মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।হজ কীভাবে এসেছে এর ব্যাখ্যা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আব্দুল্লাহর পুত্র মোহাম্মদ চিন্তা করল এ জাজিরাতুল আরবের লোকেরা কীভাবে চলবে। তারাতো ছিল ডাকাত। তখন একটা ব্যবস্থা করলো যে আমার অনুসাসীরা প্রতিবছর একবার একসাথে মিলিত হবে। এরমধ্য দিয়ে একটা আয়-ইনকামের ব্যবস্থা হবে।
তাবলিগ জামাতের সমালোচনা করে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, তাবলিগ জামায়াত প্রতি বছর ২০ লাখ লোকের জমায়েত করে। নিজেদেরতো কোনো কাজ নেই। সারা দেশের গাড়িঘোড়া তারা বন্ধ করে দেয়।
টেলিভিশন ‘টক্ শো’রও কঠোর সমালোচনা করেন আলোচিত এই মন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে নিউ ইয়র্ক সফর করা লতিফ সিদ্দিকী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি বারবার উত্তেজিত হয়ে পড়েন। সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এক সাংবাদিককে ধমক দিয়ে বলেন, “আমি কি তোমার মতো কথা বলবো। আমি আমার মতো কথা বলবো। তুমি এখানে আসলা কেন, তোমাকে কে বলেছে আসতে?”
০৩।মৌলভীবাজার সদর,রাজনগর (৩) আসনের এম পি আওয়ামীলিগ সরকারের মাননীয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী আবার ও বিতর্কের জন্ম দিলেন।মন্ত্রী মহসীন আলী বিভিন্ন সময় নানা রকমের বিতর্কের সৃষ্ট করেন গত ৯ অগাষ্ট ২০১৪ ইং সিলেটের আদিবাসী দিবসে সাংবাদিকদের অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন ।মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সতর্ক করতে গিয়ে বলে আমি বিষধর সাপ।আরও কত কি যে বলেন বিভিন্ন সভায় তা লিখে শেষ করা যাবে না। ১৩ ই জুলাই ২০১৫ইং প্রথম আলো পত্রিকার বরাত দিয়ে লিখছি ,মৌলভীবাজারে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করে ৫৫ জনের তালিকা পাঠিয়েছিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী। তাঁর দেওয়া তালিকার ১৫ জনের চাকরি হয়েছে। অন্যদের চাকরি না হওয়ায় মন্ত্রী পুলিশের ওপর খেপেছেন সমাজ কল্যান মন্ত্রী মহসীন আলী,মন্ত্রীর সই করা ওই তালিকায় নাম তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কারও কারও কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) শ্রীকান্ত সূত্রধরের বিরুদ্ধে। নিয়োগের আশ্বাস দিয়ে ছয়জন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে মন্ত্রীর এপিএস ও দেহরক্ষী ১০ লাখ টাকা ‘উৎকোচ’ গ্রহণ করেছেন বলে পুলিশের বিশেষ শাখার এক প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়েছে।গত ১০ জুন মৌলভীবাজারে জেলা আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। এ ছাড়া পুলিশের সিলেট অঞ্চলের উপমহাপরিদর্শককে (ডিআইজি) ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে মন্তব্য করেন।

এই হলো আমাদের সোনার বাংলাদেশের আওয়ামীলিগের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়গন।তাদের আচরনে বাংলাদেশের মানুষ অতিষ্ঠ কিন্ত কেউ মুখ খুলে কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না। কেননা এখানে কারো জীবনের নিরাপ্তা নেই, আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী তা কি দেখতে পান না, এখন সময়ের দাবী এসব মন্ত্রী মহোদয়কে সু শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য রাজনীতির সঠিক তালিম দেয়া হোক। নতুবা বহিষ্কার করা হোক।

বি এন পি কেন আন্দোলনে সুফল পায়নি?

বি এন পি রাজনৈতিক কলা কৌশলে আওয়ামীলিগের কাছে মার খেয়ে ঘরে বসে আছে। বি এন পির সব আন্দোলন বিফল হয়েছে কেননা, রাজনীতিতে বি এন পির নেতা কর্মীদের নিষ্কৃয় ভুমিকার কারনে,বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার বড় বড় নেতারা আন্দোলনের সময় মাঠে নামে নাই,এমন কি অজ্ঞাত স্থান থেকে টেপ করে টিভি তে বাতর্া পেরন করে বহু বিতর্কের সৃষ্টি করেন।
বি এন পির সাথে তাদের শরিক দল জামায়াত ইসলামির কারনে বহিবিশ্বের কোন সক্রিয় সমর্থন পাচ্ছে না।কেননা ইসলামিক এই দলকে বহিবিশ্ব সমর্থন করে না।২য়,বি এন পি যখন আন্দোলনে নামে তখন দেখা যায় গাড়ী ভাংচুর,পেট্রোল বোমার ছড়াছরি,পেট্রোল বোমার আগুনে শত শত মানুষের প্রাণ গিয়েছিল অমানবিক ভাবে,আর এই বোমা কারা মারে তা সনাক্ত করতে পারে না সরকার,অথবা রাজনৈতিক কৌশল গত কারনে তা সনাক্ত করে না সরকার,অনেক সময় আমরা দেখেছি যে পেট্রোল বোমা তৈরি করতে গিয়ে অনেক সরকার দলের লোক প্রশাসনের হাতে ধরা পেরেছে ,এতে বুঝা যায় যে পেট্রোল বোমা ছুঁড়াতে সরকার দলের লোকের হাত আছে।যাই হোক বি এন পির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যখনই আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তখনি বালু ভর্তি টাকা এসে হাজির,অবরোধের ডাক দেয় বি এন পি অন্য দিকে অবরুদ্ধ হন বেগম জিয়া। এখন আসি মামলার বিষয়ে,বি এন পির প্রায় অধিকাংশ নেতা কর্মী আজ মামলার স্বীকার,প্রায় সব বড় নেতারা আজ জেলের ভাত খাচ্ছেন। নেতা সালাউদ্দিন আজ ভারতের জেলে বন্দি দিন কাল যাপন করছেন।গত কয়েক দিন পূর্বে প্রথম আলো দেখলাম বি এন পির ও জামায়াতের অনেক নেতারা মামলা ও সরকারের রুষানল থেকে বাঁচতে আওয়ামীলিগে যোগদান করছেন। অতএব ইলিয়াস আলীর মতো অনেক নেতারা গুম হচ্ছেন দিন দুপুরে।নেতা ও সঠিক নেতৃত্বের অভাবে বি এন পি আজ রাজনৈতিক ভাবে বিপন্ন।



















মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:১৩

যোগী বলেছেন:
মনে হয় না মানুষ এই সরকার কে সরাইতে চাইবে যতই এই সরকার বিতর্কিত নির্বাচন করুক। কারন দেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনে আছে, বিদ্যুৎ সমস্যা নাই, মানুষের হাতে যথেস্ট টাকা আছে। তাই মানুষ চাইবে না এই সরকার কে ফেলে দিয়ে তারেক খালেদা জামাত কে আবার ক্ষমতায় আনতে।
মানুষ গত খালেদা-জামাত সরকারের সাথে এই সরকারের তুলনা করে দেখেছে এই সরকার অল্প হোলেও ভালো।

২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৫২

ভিটামিন সি বলেছেন: লাঠি, অস্ত্র, পুলিশ, র্যাব, লেন্জাভাঙ্গা বিজিবি, মনগড়া আইন, বিচার বিভাগের দলীয়করণ, ছাত্রলীগ ক্যাডার, যুবলীগ ক্যাডার, শ্রমকিলীগ ক্যাডার, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা, অনলাইন ক্যাডার, ঠোট চেপে ধরা গণমাধ্যম, চাকুরী ক্ষেত্রে দলীয়করণ সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর কাজে আসে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.