![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লিখি-এটা আমার অভ্যাস,কখনো ব্লগে রাজনৈতিক,সামাজিক,আবার কখনো কবিতা লিখি।মাঝে মাঝে কবিতা নিয়ে ব্যস্ত থাকি আবার মাঝে মাঝে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে লিখি,আমার অনেক বন্ধুরাই বলে লেখা-লেখি করে কি লাভ,অনেকেই তো লিখছে - লিখে কি করতে পেরেছে ,লিখে কিছুই হবে না।সতি্যই কি লিখে কিছুই হবে না -খামোকা লিখা লেখি করি।আমি বাংলাদেশ কে ভালোবাসি বলেই লিখি আর যতদিন বেঁচে থাকবো লিখবো। অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবিচারের বিরুদ্ধে সত্যের পক্ষে লিখি যাবো। আমার কাছে সত্য যা মনে হয় আমি তা লিখি কিন্তু তা কারো পক্ষে আবার কার বিপক্ষে যায় তাই অনেকেই বলে আমি না কি সরকারের,পুলিশের সমালোচনা করি।
আজকের সমালোচনা মুলক লেখাটি হচ্ছে বর্তমান সরকার দলের অর্থাৎ আওয়ায়ামীলিগের শাখা-প্রশাখার লোকদের নিয়ে,পত্রিকার আলোকেই লিখি :- পাওনা টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সাচ্চু আলী (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে মারপিট করে গরম তেলের মধ্যে ফেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে রাজশাহীর স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা। আওয়ামীলিগ নেতাদের অত্যাচারে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ অসহায় কেননা পুলিশের কাছে সাহায্যর জন্য গেলে ও পুলিশ সাহায্যর বদলে হয়রানি করে,২৬/০৯/২০১৫রাতে সাচ্চু’র পরিবার নগরীর মতিহার থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে তাদের বাসায় পাঠিয়ে দেয়।কিন্তু এর কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করেনি ।সাচ্চুর পরিবার অভিযোগ দায়েরের পর রোববার সকাল থেকে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতার ভাইসহ স্থানীয় সন্ত্রাসীরা সাচ্চুর বাড়িতে আগুন দিয়ে তার কলেজপড়ুয়া মেয়েদের তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করার হুমকি দিয়ে আসছে।মহানগরীর মধ্যে বুধপাড়া এলাকার বাসিন্দা সাচ্চু আমের মৌসুমে স্থানীয় ৩০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রাব্বেল আলীর কাছে কয়েক দফা বাকিতে আম বিক্রি করেছিলেন। সেই সময় রাব্বেল আমের দাম বাবদ ৩ হাজার ৮শ টাকা পরে পরিশোধ করবে বলে জানায়। একই এলাকায় বসবাস করার সুবাদে মৌসুমী আম ব্যবসায়ী রাব্বেলকে সরল বিশ্বাসে বাকিতে আম দেয়। এছাড়াও সাচ্চু তার বসত বাড়ি সংলগ্ন একটি ছোট দোকানে দোকানদারি করে সংসার চালায়। রাব্বেল আমের টাকা পরিশোধ না করে আবারো সাচ্চুর দোকানে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে বাকিতে প্রায় ২ হাজার ৫শ টাকার খাবার নিয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় দোকানদার সাচ্চু আওয়ামী লীগ নেতা রাব্বেলের কাছে তার পাওনাকৃত ৬ হাজার ৩শ টাকা চাইলে, আজ দিবো কাল দিবো বলে টালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে গত মঙ্গলবার রাতে সাচ্চুর সঙ্গে পাওনা টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা রাব্বেলের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এসময় রাব্বেল সাচ্চুকে এলোপাতারি মারপিট করে। এক পর্যায়ে সাচ্চুকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার দোকানে থাকা কড়ায়ের গরম তেলের মধ্যে ফেলে দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা ওইদিনই রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাচ্চুকে সম্পূর্ণ দগ্ধ অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৯নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। সেখানে গিয়েও সাচ্চুর স্ত্রী শিমা বেগমকে রাব্বেলের ভাই আলাউদ্দিন ১ হাজার দিয়ে হাসপাতাল থেকে তার স্বামীকে বাসায় নিয়ে যেতে বলে। তা না হলে এ বিষয়টি মিডিয়াতে প্রকাশ পেলেও তাদের স্বপরিবারে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। তাদের হুমকিকে ভীত হয়ে সাচ্চুকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে তার পরিবার অজ্ঞাত স্থানে রেখে আসে। বিষয়টি স্থানীয় মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকদের নজরে আসলে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। বর্তমানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রাব্বেল আলী ও তার সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হুমকিতে এলাকা থেকে পালিয়েছে সাচ্চুর পরিবার। এ বিষয়ে নগরীর মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির জানান, এ ঘটনায় শনিবার রাত ১০টার দিকে সাচ্চুর পক্ষে তার স্ত্রী শিমা বেগম আওয়ামী লীগ নেতা রাব্বেল আলীসহ তার কয়েক ভাইকে বিবাদী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করছেন। তবে বর্তমানে অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রজু করে আসামিদের গ্রেফতার করা হবে। বিবাদী স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ায় অভিযোগটি খুব গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। এ ব্যাপারে আরএমপির অতিরিক্ত কমিশনার সরদার তমিজ উদ্দিন জানান, তিনি বিষয়টি জানতেন না। তবে এ ব্যাপারে প্রকৃত অপরাধীদের ধরতে ওসিকে নির্দেশ দেয়া হবে বলে জানান তিনি।এভাবে চলতে থাকেলে বাংলাদেশের অসহায় মানুষ গুলো বেঁচে থেকেও বার বার মরবে।তাদের পক্ষে আজ আর কথা বলার কেউ নেই,কারো কথা এখন আর এই আওয়ামীলিগ সরকারের নেতা কর্মী এমন কি পুলিশ শুনবে না,এখন বাংলাদেশ সরকারের নিয়ন্ত্রনে নয় পুলিশ কেননা আওয়ামীলিগ এখন সম্পর্ুন পুলিশ নির্ভরশীল। বিতর্কিত নির্বাচনের পর আওয়ামীলিগের উচিত ছিলো দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করে সাধারন জনগনের মনে বিশ্বাস স্থাপন করা এই যে,আওয়ামীলিগ সরকার জনগনের সরকার,আওয়ামীলিগ সরকার গরীব দুখীদের সরকার কিন্তু আজ আমরা তার বিপরিত দেখতে পাচ্ছি এখন কাউকে আওয়ামীলিগ সরকার কেমন প্রশ্ন করলে বলবে ভাই আস্তে বলোন আশে-পাশে আওয়ামীলিগের কেউ শুনলে রক্ষা নেই।মানুষ কেন আওয়ামীলিগ সরকার কে এতে ভয় পায়,তার কারন আওয়ামীলিগের অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ট।
টেন্ডার বাজী থেকে কুরবানির চামরা দালালিতে ও আওয়ামীলিগের নেতা কর্মীর অগ্রনী ভুমিকা দেখে মনে হয় আগামীতে আরো নিকৃষ্ট কোন কাজে তারা পিছ পা হবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৬
ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: অত্যাচার যদি হয়েই থাকে, তা হ'লে প্রতিবাদ জানানোর জন্য সংগঠিত হতে হবে, সেটাই মানব ধর্ম।