নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তন্ত্র,মন্ত্র যতই জপি না কেন জবানে,যৌবনের আসিলে ঋতু রাজে,কোকিল কুহু কুহু সুরে গান করে, আমি পাগল তোমারি,প্রেম সুধা পানে, ভোমর পান করে মধু ফুলে বসে ,সে হোক গোলাপ বৈকি ঘাঁস ফুলে।আমার পরিচয় ছন্দের মাঝে।।

তারেক সালমান জাবেদ

কবি

তারেক সালমান জাবেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৌরসভা নির্বাচনে বি এন পি বনাম আওয়ামীলিগজুট

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৫৯


প্রায় এক সাপ্তাহ হবে আমার প্রচন্ড জ্বর সাথে মাথা ব্যাথা মনে হয় অসুখ আমাকে জড়িয়ে ধরেছে,আমি দেশের বাহিরে থাকি তবু ও আমার রক্তে বাংলাদেশি পিতার-মাতার রক্ত বহিতেছে।যতই দেশ থেকে দুরে থাকি না কেন নিজের দেশের মানুষের জন্য কিছু একটা করতে মন চায়।কিন্তু কি করবো আমি আবার অত বড় ঘরের সন্তান হয়ে জন্ম গ্রহন করিনি বা কোন রাজনৈতিক নেতা হইতে ও পারিনি,কিভাবে দেশের সেবা করবো মাঝে মাঝে চিন্তায় চিন্তিত হই।যাই হোক আমি লেখা-লেখি করি তাই ভাবলাম এই অবসর সময়ে বর্তমান বাংলাদেশ নিয়ে সামান্য কিছু লিখি। আমি একটা ব্লগে লিখি ও আমার দুটা ফেইসবুক পেইজ ও আছে, মাঝে মধ্যে রাজনৈতিক বিষয়ক দু-এক কাথা লিখি, কিন্তু সর্বনাশ গত কয়েকদিন পূর্বে একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম,তা কিভাবে আমার স্ত্রী দেখে ফেলে এবং আমাকে ঐ দিন রাতে ঐ পোষ্ট মুছে দেয়ার জন্য অনুনয়-বিনয় করতে থাকে আর কি করা আমি মুছতে বাধ্য হলাম। ঐ রাতে সারা রাত আমার স্ত্রী আমাকে বুঝাতে থাকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বা বিপক্ষে এমন কি এরকম কোনো পোষ্টে আমি যেন কোন রকম লাইক কমেন্ট যেন না করি।আমি তার কারণ জানতে চাইলে আমার স্ত্রী হাউ-মাউ করে কেঁদে ফেলে।আমি আর কিছু বলিনি শুধু এই বলে আমার স্ত্রী কে আশ্বস্ত করেছি এরকম কিছু করবোনা,আপনারা ভাবতে পারেন যে,আমার স্ত্রী হয়তো আওয়ামীলিগ করেন কিন্তু না তিনি বা তিনির বাবার বাড়ির লোকেরা বি এন পি'র রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার স্ত্রী প্রায়ই পত্রিকা পড়েন তাই তিনি জানেন যে ফেইসবুক বন্ধ করে দিয়েছে সরকার এবং এ ও বলেছে যে সরকারের পরিপন্থী কোনো পোষ্ট এলে তা খতিয়ে দেখা হবে,এবং আমাদের তথ্যমন্ত্রী আবার "তথ্য প্রযুক্তি আইন"নামে আরেকটি তলোয়ার ঘাড়ের উপর কাত করে রেখেছেন।কার গর্দন কখন কাঁটা পরবে কে জানে।

অতএব-আমি যে বিষয়ে লেখাটি লিখতে চাইছিলা তা আবার নিউটন স্যারের সূত্রের মতো,নিউটন স্যার মধ্যে আকর্ষণ শক্তির সূত্র আবিষ্কার করেছিলেন কথিত গল্প আপেল গাছের নীচে বসে,গাছ থেকে আপেল নীচের দিকে নেমে আসতে দেখে স্যার আইজ্যাক নিউটন ভেবেছিলেন আপেলটি নীচে না নেমে উপরের দিকে উঠে গেলো না কেন।আর তা থেকেই মধ্যে আকর্ষণ শক্তির সূত্রের আবিষ্কার।
আমাদের দেশে একজন চাচা আছেন তিনি স্যার আইজ্যাক নিউটনের চাইতে ও জ্ঞাণী,তিনি দিনে কয়েক শত রাজনৈতিক সংঙা ও বক্তব্য দিয়ে থাকেন।আমরা সবাই উনাকে এরশাদ চাচা নামে চিনি।
বিগত সাপ্তাহ দু-এক পূর্বে চা বলেছিলেন বি এন পি'র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দেশে আসলে উনাকে গ্রফতার করা হবে। তা কি কারণে বলেছিলেন তিনিই ভালো জানেন,অতপর সরকারীদলের বিভিন্ন জন রটনা রটাচ্ছে উনি বিদেশে বসে দেশের ভেতরে বিদেশীদেরকে হত্যা করাচ্ছেন। এমন একটা কথা খুব রটনা করা হয়েছিল। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, এ বিষয়ে নাকি প্রমাণও আছে। পরে অবশ্য মাননীয় সড়ক যোগাযোগমন্ত্রী জানালেন, না। তাকে আটক করা হবে না। যতসব জল্পনা কল্পনার অবসান হলো বেগম জিয়া দেশে ফিরলেন। তবে বেগম জিয়ার মাথার উপর মামলার পাহার ঝুলিতেছে কখন যে উনি গ্রেফতার হন তার দিনক্ষন মানীয় আদালতই জানেন।

এ গেলো একখান বিষয় আগামীতে আসছে পৌরসভা নির্বাচন।নির্বাচনে দাঁড়াতে হলে আবার দলের মনোয়ন লাগবে,বি এন পি আর জামাত তো জুট ভাবে নির্বাচন করবে,আর অপর পক্ষে আমাদের এরশাদ চাচা সরকারদলের সাথে জুটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করবেন । কিন্তু দু:খের বিষয় এই যে নির্বাচনে আমাদের চাচা বাবুর দল কতটা পৌরসভায় সিটের জন্য মনোয়ন পাবেন তা আল্লাহ মালুম।
দেশের বাহিরে ও অনেক সময় আওয়ামীলিগ দলের নেতা-কর্মী এমন কি দেশের ভিতরের বড় বড় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা বলেন বি এন পি এখন তার অস্থিত্ব বিলীনের পথে আর জামাত সে তো গর্তে ঢুকে আছে। অনেকেই বলেন খালেদা জিয়ার বি এন পি এখন আর ক্যান্ডিডেট পাবে কোথায়,যারা কয়েকজন জেলের বাহিরে আছেন এবং তারা নির্বাচনের পায়তারা করছেন তাদের অনেকের মাথার উপর দশ বিশ টা মামলা ঝুলিতেছে।এমন করে বি এন পি কিভাবে নির্বাচনে দাঁড়াবে,দেশেকে রাজনৈতিক কঙ্কমুক্ত করতে অর্থাৎ যারা বোমা বাজী করে-ভাংচুর করে তাদেরকে দেশ থেকে নির্মুল করতে হবে বলে আমাদের জননেত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা শপথ নিয়েছেন।
এখানে একটি প্রশ্ন উঠতে পারে আপনাদের মনে যদি বি এন পি নির্বাচনে দাঁড়াতে না পরে তা হলে কি এই পৌরসভা নির্বাচন গ্রহন যোগ্য হবে,হ্যাঁ আমাদের সরকারদলীয় মন্ত্রী এম পি রা সাথে প্রধান মন্ত্রী এবং প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ দ্রূত এরশাদ চাচা ও মনে করেন আমরা যখন জাতীয় নির্বাচন একক ভাবে করতে পারলাম সে খানে গ্রহন যোগ্যতার প্রশ্ন উঠেও আমরা এখনো ক্ষমতায় আছি আমাদের কিছুই হয় নাই,এতো সামান্য এক পৌরসভা নির্বাচন গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে কার এত সাহস প্রশ্ন তুলবে।
পরিশেষে বলতে চাই আমরা জনগন এখন আর বাংলাদেশের মতো দেশে গনতন্ত্রের সংঙার আওতাভুক্ত নই,গনতন্ত্র এখন ভোটে নয় ক্ষমতার দাপটে ব্যস্ত।







মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


সরকার যদি আওয়ামী লীগের হয়, অন্য দলের পৌর সভার চেয়ারম্যান কি করবে সেখানে?

২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৩

রাফা বলেছেন: এলোমেলো লেখার ভাবার্থ হইতেছে আপনার কষ্ট লাগতেছে বিএনপি/জামাত নির্বাচন করতে পারবে কিনা।জামাত নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত দল নয় কাজেই নির্বাচন করার প্রশ্ন নেই সেখানে।
আর এখানে জোটবদ্ধ হয়ে কেউ নির্বাচন করছেনা।সব দলই পৃথকভাবে করবে।

আর আপনি কি নিয়ে পোষ্ট দিয়েছিলেন যে আপনার স্ত্রী এত ভয় পেলো?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.