শরণার্থীরাও আমার আপনার মতো মানুষ

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৩

মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য
একটু সহানুভূতি কি,মানুষ পেতে পারে
না ???
শরণার্থীরা আমার আপনার মতো মানুষ।
অধিকার নিয়ে তারাও বেচে থাকতে
চায়,আপনার আমার মতো করে।
নিজ ভূখন্ডে পরাধীনতার গ্লানী নিয়ে
শরণার্থী হতে বাধ্য হচ্ছে তারা।
সিরিয়ায় সর্বশেষ গৃহযুদ্ধ শুরু হয় ২০১১ সালে৷
সেদেশের প্রেসিডেন্ট বাশার আল-
আসাদের বিরুদ্ধে অসন্তোষ দ্রুতই সশস্ত্র
বিদ্রোহে রূপ নেয়৷ সেই বিদ্রোহের
পাশাপাশি এখন রয়েছে ‘ইসলামিক
স্টেটের' উৎপাত৷ ইতোমধ্যে খেলাফত
প্রতিষ্ঠার নামে সিরিয়ার বেশ কিছু অংশ
দখল করে নিয়েছে এই জঙ্গি গোষ্ঠী৷তাদের
হটাতে আবার লড়াই করছে কুর্দি
পেশমার্গা বাহিনী৷ আর সেই বাহিনীর
সহায়তায় চলছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন
বিমান হামলা৷
সবমিলিয়ে সিরিয়া এখন অন্তহীন
যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে৷ গত কয়েক বছর
ধরে চলা যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে অনেক
মানুষ৷ মৃত্যুর মিছিল থেমে নেই,
থেমে নেই যুদ্ধও৷ আর সেই যুদ্ধ এড়াতে
প্রাণপণ চেষ্টা করছেন কিছু নীরহ মানুষ।
এখন সিরিয়া নাম শুনলেই মনে হয়
যুদ্ধবিদ্ধোস্ত একটি দেশ।যেখানকার
আকাশ বাতাস মানুষের আহাজারিতে
ভারি,তপ্ত রোদও যেন এখন নিষ্ঠুর হয়ে
গেছে চোখের জলটুকু পর্যন্ত গরিয়ে পরার
সুযোগ দেয় না। অজস্র মানুষ এখন জীবনের
ভয়ে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে,কিন্তু কোথায়
যাবে,কে দিবে একটু আশ্রের জায়গা,এ তো
সব পথ কাটাতার দিয়ে ঘেরা তার ওপর
আবার ওপারে পুলিশ বন্দুক তাক করে
দাড়িয়ে আছে।ছোট্ট শিশুটি বাবার
কোলে কাটাতার ধরে ঝুলে আছে আর
ভাবছে ইশ যদি একটিবার যেতে পারতাম
ওপারে,
না এদের আকুতি মিনতি শোনার মতো কেউ
নেই,তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ যেন একটু
বেঁচে
থাকার চেষ্টা।
তাদের লক্ষ্য শুধু খেয়ে-পরে পৃথিবীতে
একটুবেঁচে থাকা। আর এই বেঁচে থাকার জন্যই
এখন অনেক বাবা তার শিশু সন্তানদের
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর পাড়ি দেয়ার
আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে,জানেনা
কোথায় যাবে কি খাবে।বিশ্ব মানবতার
বিবেক এখন মিডিয়ায় বন্দি।
মানবতা এখন যেন কাজীর গরু কিতাবে
আছে গোয়ালে নাই।
একটি সর্বাত্মক যুদ্ধই যেন এর শেষ বলে উঁকি
দিচ্ছে। শঙ্কা হলে, যুদ্ধ শুরু করা যায়,
হয়ত শেষও হয়। কিন্তু যুদ্ধ পৃথিবীকে
কোথায় নিয়ে যায় তা কেউ বলতে পারে
না।
যে যেখানেই গুলি ছুড়ুক
ঠিকই খালি হয় একটি মায়ের কোল।

০ টি +০/-০