নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনুবাদকঃ আমি ঘৃনার শব্দকে ভালোবাসায় অনুবাদ করি।
নিউজার্সির আটলান্টিক সিটি গিয়েছিলাম, পুরাটাই বাংগালি আর ইন্ডিয়ানদের দখলে! ছোট্ট এই জায়গায় নাকি সাত হাজার বাঙ্গালী থাকে! গাড়ি পার্ক যেখানে করছি সেটার দ্বায়ীত্বে ছিল এক বাংগালি ভাই, জিজ্ঞেস করলাম বাড়ি কোথায়। বলল গাজীপুর চৌরাস্তার কাছে। পার্কিং এর জন্য উনার কাছ থেকে টিকিট নিলাম ৫ ডলার দিয়ে। গাড়ি রাত নয়টা পর্যন্ত রাখতে পারবো কিন্তু আমাদের বলে দিলেন যে সারা রাত রাখলেও সমস্যা নেই, ব্যাপারটা উনি দেখবেন, হাজার হলেও দেশি ভাই। আমরা অবশ্য রাত নয়টার আগেই পার্কিং থেকে বের হয়ে যাই।
(কেউ যদি ইউটিউবে সমস্ত ভিডিওটি দেখতে চায় তার জন্য লিংক দিয়ে দিলাম)
লিংকঃ https://www.youtube.com/watch?v=BXHNjpNVh0c
সমুদ্রসৈকতের বোর্ডওয়াকে হাঁটার সময় কিছুক্ষন পরপরই বাংলা কথা কানে আসতে লাগলো এমনকি কিছু কিছু দোকানের সাদা সেলসম্যান আমাদের বাংলায় ডাকতে লাগলো, চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে বলছে "চলে আসো, চলে আসো"! অনেকে হয়ত প্রশ্ন করতে পারেন বোর্ডওয়াক কি জিনিস। এটা আসলে সমুদ্রসৈকত থেকে একটু দূরে কাঠের তৈরি হাটার রাস্তা। রাস্তার একধারে সারি সারি দোকান থাকে। বেশির ভাগই হচ্ছে শোপিছ আর কিছু খাওয়ার দোকান। পর্যটকরা সেখান থেকে বিভিন্ন জিনিস কিনে নিয়ে যায় স্মৃতি হিসেবে। আটলান্টিক সিটির সীবিচের বোর্ড ওয়াকে ঠেলাগাড়ির মতন একটা জিনিস দেখলাম, টুরিস্টদের বসিয়ে ঠেলতে ঠেলতে একমাথা থেকে আরেক মাথায় নিয়ে যায়, মিনিমাম একটা খরচে তারপর খুশি হয়ে যে যা দেয়। সেইগুলিও চালাচ্ছে বেশির ভাগ বাংগালী আর অল্প কিছু কালো লোক।
বোর্ডওয়াক আর সমুদ্রসৈকত বাদে ঐখানে দেখার মত আরেকটা উল্লেখযোগ্য জিনিস হচ্ছে ট্রাম্পের তাজমহল কেসিনো। বিশাল বড় আর অসম্ভব সুন্দর দেখতে তাজমহলের আদতে তৈরি কেসিনোটি বর্তমানে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পরে রয়েছে। ট্রাম্প ব্যাংকের লোন পরিশোধ করতে না পারায় কেসিনোটি ২০১৬ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কিছু দিন আগেই ফেইসবুক জুড়ে একটা খবর খুব ভাইরাল হয়েছিল, যে নিউইয়র্কে নাকি অধিকাংশ বাংগালীদের অনেক খারাপ অবস্থা কিন্তু এখানে এসে দেখলাম বাংগালীদের অবস্থা পুরা সোনায় সোহাগা অবস্থা। ঐখানে এক পরিচিত বাংগালীর বাসায় গিয়ে জানলাম তাদের নাকি নিউজার্সিতে তিন তিনটি বাড়ি। তাহলে বুজেন অবস্থা।
সমুদ্রসৈকতের পিয়ারের উপর একটি সুন্দর অ্যামিউজম্যান্ট পার্ক রয়েছে এছাড়াও একটি লন্ডন আইয়ের মত দেখতে বিশাল আকৃতির চর্কির মত রয়েছে। রাতের বেলায় লাইটিং এর কারনে সমস্ত সমুদ্রসৈকত এলাকাটা আরো সুন্দর দেখায়।
অবশেষে বলব অসম্ভব সুন্দর একটা জায়গা। তার উপর এত বেশি সংখ্যক দেশি মানুষ দেখে আরো ভালো লেগেছে। যাই হোক আজকের মত সবাইকে আল্লাহ হাফেজ। সবাই ভালো থাকবেন।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:১৪
আসিফ ইকবাল তােরক বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:০২
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: যাক আপনার সাথে সাথে আমরাও ঘুরে আসলাম।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:০২
আসিফ ইকবাল তােরক বলেছেন: আপনাদের ঘুরিয়ে আনতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি!
৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: লেখাটি ভালো লেগেছে।
ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:২১
আসিফ ইকবাল তােরক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার কমেন্টের জন্যে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।