নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের সন্ধানে.......

নূরুল্লাহ তারীফ

নূরুল্লাহ তারীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিশুর নাম নির্বাচন : ইসলামী দৃষ্টিকোণ

২৯ শে মে, ২০১০ রাত ২:৩২

শিশুর জন্মের পর তার জন্য একটি সুন্দর ইসলামী নাম রাখা প্রত্যেক মুসলিম পিতা-মাতার কর্তব্য। মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মুসলমানদের ন্যায় বাংলাদেশের মুসলমানদের মাঝেও ইসলামী সংস্কৃতি ও মুসলিম ঐতিহ্যের সাথে মিল রেখে শিশুর নাম নির্বাচন করার আগ্রহ দেখা যায়। এজন্য তাঁরা নবজাতকের নাম নির্বাচনে পরিচিত আলেম-ওলামাদের শরণাপন্ন হন। তবে সত্যি কথা বলতে কী এ বিষয়ে আমাদের দেশে অজ্ঞতা ও অসচেতনতা চরম পর্যায়ে। তাই ইসলামী নাম রাখার আগ্রহ থাকার পরও অজ্ঞতাবশত আমরা এমনসব নাম নির্বাচন করে ফেলি যেগুলো আদৌ ইসলামী নামের আওতাভুক্ত নয়। শব্দটি আরবী অথবা কুরআনের শব্দ হলেই নামটি ইসলামী হবে তাতো নয়। কুরআনে তো পৃথিবীর নিকৃষ্টতম কাফেরদের নাম উল্লেখ আছে। ইবলিস, ফেরাউন, হামান, কারুন, আবু লাহাব ইত্যাদি নাম তো কুরআনে উল্লেখ আছে; তাই বলে কী এসব নামে নাম রাখা সমীচীন হবে!? তাই এ বিষয়ে সঠিক নীতিমালা আমাদের জানা প্রয়োজন।



সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে- “আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় নাম হচ্ছে- আব্দুল্লাহ (আল্লাহর বান্দা) ও আব্দুর রহমান (রহমানের বান্দা)।” এ নামদ্বয় আল্লাহর প্রিয় হওয়ার কারণ হল- এ নামদ্বয়ে আল্লাহর উপাসনার স্বীকৃতি রয়েছে। তাছাড়া আল্লাহর সবচেয়ে সুন্দর দুটি নাম এ নামদ্বয়ের সাথে সমন্ধিত আছে। একই কারণে আল্লাহর অন্যান্য নামের সাথে আরবী ‘আব্দ’ (বান্দা) শব্দটিকে সমন্ধিত করে নাম রাখাও উত্তম। যেমন, আব্দুল খালেক (আলখালেক এর বান্দা), আব্দুল মালেক (আলমালেক এর বান্দা), আব্দুল আহাদ (আলআহাদ এর বান্দা), আব্দুল বারী (আলবারী এর বান্দা), আব্দুস সামী (আসসামী এর বান্দা), আব্দুল বাসির (আলবাসির এর বান্দা)। পক্ষান্তরে এই ‘আব্দ’ শব্দটিকে আল্লাহর নাম ছাড়া অন্য কোন শব্দের সাথে সমন্ধিত করে নাম রাখা হারাম। যেমন, আব্দুল ওজ্জা (ওজ্জার উপাসক), আব্দুশ শামস (সূর্যের উপাসক), আব্দুল কামার (চন্দ্রের উপাসক), আব্দুল কালাম (কথার উপাসক), আব্দুন নবী (নবীর উপাসক), আব্দুল আলী (আলী এর উপাসক), আব্দুল হোসাইন (হোসাইন এর উপাসক। তবে আমাদের সমাজে দেখা যায় নামের মধ্যে ‘আব্দ’ শব্দটা থাকলেও ডাকার সময় ‘আব্দ’ শব্দটা বাদ দিয়ে ব্যক্তির নাম ডাকা হয়। যেমন আব্দুর রহমানকে ডাকা হয় রহমান বলে। আব্দুর রহীমকে ডাকা হয় রহীম বলে। এটি অনুচিত। যদি দ্বৈত শব্দে গঠিত নাম ডাকা ভাষাভাষীদের কাছে কষ্টকর ঠেকে সেক্ষেত্রে অন্য নাম নির্বাচন করাটাই শ্রেয়।



তাছাড়া যে কোন নবীর নামে নাম রাখা ভাল। যেহেতু তাঁরা আল্লাহর নির্বাচিত বান্দা। নবীকরিম (সাঃ) তাঁর নিজের সন্তানের নাম রেখেছিলেন ইব্রাহিম। কুরআনে কারীমে ২৫ জন নবীর নাম উল্লেখ আছে। এর থেকে পছন্দমত যে কোন একটি নাম নবজাতকের জন্য নির্বাচন করা যেতে পারে। যেমন- মুহাম্মদ (محمد), আহমাদ (أحمد), ইব্রাহীম (إبراهيم), মুসা (موسى), ঈসা (عيسى), নূহ (نوح), হুদ (هود), লূত (لوط), শিছ (شيث), হারুন (هارون), শুআইব (شعيب), আদম (آدم) ইত্যাদি।



নেককার ব্যক্তিদের নামে নাম রাখাও উত্তম। এর মাধ্যমে নবজাতকের মাঝে সংশ্লিষ্ট নামের অধিকারী ব্যক্তির স্বভাব ও চরিত্রের প্রভাব পড়ার ব্যাপারে আশাবাদী হওয়া যায়। এ ধরনের আশাবাদ ইসলামে বৈধ। আরবীতে এটাকে তাফাউল বলা হয়। নেককার ব্যক্তিদের শীর্ষস্থানে রয়েছেন রাসূল (সাঃ) এর সাহাবায়ে কেরাম। তারপর তাবেয়ীন। তারপর তাবে তাবেয়ীন। এরপর আলেম সমাজ। বিশিষ্ট সাহাবী যুবাইর ইবনে আওয়াম তার ৯ জন ছেলের নাম রেখেছিলেন বদরের যুদ্ধে শহীদ হওয়া ৯ জন সাহাবীর নামে। তারা হলেন- আব্দুল্লাহ (عبد الله), মুনযির (منذر), উরওয়া (عروة), হামযা (حمزة), জাফর (جعفر), মুসআব (مصعب), উবাইদা (عبيدة), খালেদ (خالد), উমর (عمر)। ।[তাসমিয়াতুল মাওলুদ-বকর আবু যায়দ ১/১৭]



ব্যক্তির নাম তাঁর স্বভাব চরিত্রের উপর ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। শাইখ বাকর আবু যায়েদ বলেন, “কাকতালীয়ভাবে দেখা যায় ব্যক্তির নামের সাথে তার স্বভাব ও বৈশিষ্ট্যের মিল থাকে। এটাই আল্লাহর তাআলার হেকমতের দাবী। যে ব্যক্তির নামের অর্থে চপলতা রয়েছে তার চরিত্রেও চপলতা পাওয়া যায়। যার নামের মধ্যে গাম্ভীর্যতা আছে তার চরিত্রের মধ্যে গাম্ভীর্যতা পাওয়া যায়। খারাপ নামের লোকের চরিত্রও খারাপ হয়ে থাকে, আর ভাল নামের লোকের চরিত্রও ভাল হয়ে থাকে।” [তাসমিয়াতুল মাওলুদ-বকর আবু যায়দ ১/১০, তুহফাতুল মাওদুদ-ইবনুল কাইয়্যেম ১/১২১]



আমাদের দেশে শিশুর জন্মের পর নাম রাখা নিয়ে আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা দেখা যায়। দাদা এক নাম রাখলে নানা অন্য একটা নাম পছন্দ করেন। বাবা-মা শিশুকে এক নামে ডাকে। খালারা বা ফুফুরা আবার ভিন্ন নামে। এভাবে একটা বিড়ম্বনা প্রায়শঃ দেখা যায়। এ ব্যাপারে শাইখ বাকর আবু যায়দ বলেন, “নাম রাখা নিয়ে পিতা-মাতার মাঝে বিরোধ দেখা দিলে শিশুর পিতাই নাম রাখার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। ‘তোমরা তাদেরকে তাদের পিতৃপরিচয়ে ডাক। এটাই আল্লাহর কাছে ন্যায়সঙ্গত।’[সূরা আহযাব ৩৩:৫]” অতএব শিশুর পিতার অনুমোদন সাপেক্ষে আত্মীয় স্বজন বা অপর কোন ব্যক্তি শিশুর নাম রাখতে পারেন। তবে যে নামটি শিশুর জন্য পছন্দ করা হয় সে নামে শিশুকে ডাকা উচিত। আর বিরোধ দেখা দিলে পিতাই পাবেন অগ্রাধিকার।



ইসলামে যেসব নাম রাখা হারাম



আল্লাহর নাম নয় এমন কোন নামের সাথে গোলাম বা আব্দ (বান্দা) শব্দটিকে সম্বন্ধ করে নাম রাখা হারাম। যেমন, আব্দুল মোত্তালিব (মোত্তালিবের বান্দা), আব্দুল কালাম (কথার বান্দা), আব্দুল কাবা (কাবাগৃহের বান্দা), আব্দুন নবী (নবীর বান্দা), গোলাম রসূল (রসূলের দাস), গোলাম নবী (নবীর দাস), আব্দুস শামছ (সূর্যের বান্দা), আব্দুল কামার (চন্দ্রের বান্দা), আব্দুল আলী (আলীর বান্দা), আব্দুল হুসাইন (হোসাইনের বান্দা), আব্দুল আমীর (গর্ভনরের বান্দা), গোলাম মুহাম্মদ (মুহাম্মদের দাস), গোলাম কাদের (কাদেরের দাস) ইত্যাদি।



অনুরূপভাবে যেসব নামকে কেউ কেউ আল্লাহর নাম মনে করে ভুল করেন অথচ সেগুলো আল্লাহর নাম নয় সেসব নামের সাথে আব্দ বা বান্দা শব্দকে সম্বন্ধিত করে নাম রাখাও হারাম। যেমন- আব্দুল মাবুদ (মাবুদ শব্দটি আল্লহর নাম হিসেবে কুরআন ও হাদীছে আসেনি, বরং আল্লাহর বিশেষণ হিসেবে এসেছে) আব্দুল মাওজুদ (মাওজুদ শব্দটি আল্লহর নাম হিসেব কুরআন ও হাদীছে আসেনি)। শাহেনশাহ (জগতের বাদশাহ) নাম রাখা হারাম।[মুসলিম] মালিকুল মুলক (রাজাধিরাজ) নাম রাখা হারাম। সাইয়্যেদুন নাস (মানবজাতির নেতা) নাম রাখা হারাম।[তুহফাতুল মাওলুদ ১/১১৫]



সরাসরি আল্লাহর নামে নাম রাখা হারাম। যেমন- আর-রাহমান, আর-রহীম, আল-আহাদ, আস-সামাদ, আল-খালেক, আর-রাজেক, আল- আওয়াল, আল-আখের ইত্যাদি।



যেসব নাম রাখা মাকরুহ



 যেসব নামের মধ্যে আত্মস্তুতি আছে সেসব নাম রাখা মাকরুহ। যেমন, মুবারক (বরকতময়) যেন সে ব্যক্তি নিজে দাবী করছেন যে তিনি বরকতময়, হতে পারে প্রকৃত অবস্থা সম্পূর্ণ উল্টো। অনুরূপভাবে বাররা (পূন্যবতী)।

 শয়তানের নামে নাম রাখা। যেমন- ইবলিস, ওয়ালহান, আজদা, খিনজিব, হাব্বাব ইত্যাদি।

 ফেরাউনদের নামে নাম রাখা। যেমন- ফেরাউন, হামান, কারুন, ওয়ালিদ।[তুহফাতুল মাওদুদ ১/১১৮]

 বিশুদ্ধ মতে ফিরিশতাদের নামে নাম রাখা মাকরুহ। যেমন- জিব্রাইল, মিকাইল, ইস্রাফিল।

 যে সকল নামের অর্থ মন্দ। মানুষ যে অর্থকে ঘৃণা করে এমন অর্থবোধক কোন নাম রাখা। যেমন, কালব (কুকুর) মুররা (তিক্ত) হারব (যুদ্ধ)।

 একদল আলেম কুরআন শরীফের নামে নাম রাখাকে অপছন্দ করেছেন। যেমন- ত্বহা, ইয়াসীন, হামীম ইত্যাদি।[ তাসমিয়াতুল মাওলুদ-বকর আবু যায়দ ১/২৭]

 ইসলাম বা উদ্দীন শব্দের সাথে সম্বন্ধিত করে নাম রাখা মাকরূহ। ইসলাম ও দ্বীন শব্দদ্বয়ের সুমহান মর্যাদার কারণে।[ তাসমিয়াতুল মাওলুদ-বকর আবু যায়দ ১/২৫, তুহফাতুল মাওদুদ ১/১৩৬]

 দ্বৈতশব্দে নাম রাখাকে শায়খ বকর আবু যায়দ মাকরুহ বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- মোহাম্মদ আহমাদ, মোহাম্মদ সাঈদ। অনুরূপভাবে আল্লাহর সাথে আব্দ (দাস) শব্দ বাদে অন্য কোন শব্দকে সম্বন্ধিত করা। যেমন- রহমত উল্ল্যাহ (আল্লাহর রহমত)। শায়খ বকর আবু যায়দের মতে রাসূল শব্দের সাথে কোন শব্দকে সম্বন্ধিত করে নাম রাখাও মাকরূহ। যেমন- গোলাম রাসূল (গোলাম শব্দটিকে যদি আরবী শব্দ হিসেবে ধরা হয় এর অর্থ হবে রাসূলের চাকর বা বাছা তখন এটি মাকরূহ। আর যেসব ভাষায় গোলাম শব্দটি দাস অর্থে ব্যবহৃত হয় সেসব ভাষার শব্দ হিসেবে নাম রাখা হয় তখন এ ধরনের নাম রাখা হারাম যা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।)



নির্বাচিত আরো কিছু সুন্দর নাম



উসামা (أسامة-সিংহ), আফীফ (عفيف-পুতপবিত্র), হামদান (প্রশংসাকারী), লাবীব (لبيب-বুদ্ধিমান), রাযীন (رزين-গাম্ভীর্যশীল), রাইয়্যান (ريَّان-জান্নাতের দরজা বিশেষ), মামদুহ (ممدوح-প্রশংসিত), নাবহান (نبهان- খ্যাতিমান), নাবীল (نبيل-শ্রেষ্ঠ), নাদীম (نديم-অন্তরঙ্গ বন্ধু), আব্দুল ইলাহ (عبد الإله- উপাস্যের বান্দা), ইমাদ (عماد- সুদৃঢ়স্তম্ভ), মাকহুল (مكحول-সুরমাচোখ), মাইমূন (ميمون- সৌভাগ্যবান), তামীম (تميم), হুসাম (حُسَام-ধারালো তরবারি), (بدر-পূর্ণিমার চাঁদ), হাম্মাদ (حماد-অধিক প্রশংসাকারী), হামদান (حمدان-প্রশংসাকারী), সাফওয়ান (صفوان-স্বচ্ছ শিলা), গানেম (غانم-গাজী, বিজয়ী), খাত্তাব (خطاب-সুবক্তা), সাবেত (ثابت-অবিচল), জারীর (جرير), খালাফ (خلف), জুনাদা (جنادة), ইয়াদ (إياد), ইয়াস (إياس), যুবাইর (زبير), শাকের (شاكر-কৃতজ্ঞ), আব্দুল মাওলা (عبد المولى- মাওলার বান্দা), আব্দুল মুজিব (عبد المجيب- উত্তরদাতার বান্দা), আব্দুল মুমিন (عبد المؤمن- নিরাপত্তাদাতার বান্দা), কুদামা (قدامة), সুহাইব (صهيب) ইত্যাদি।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১৫/-৬

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০১০ রাত ২:৩৯

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: গোলাম শব্দটার বিরুদ্ধে একটু আপত্তি দেখা গেল। আচ্ছা, গোলাম আযম মানে কী? এই নাম রাখা জায়েজ আছে? আজিজুল হাকিম (জ্ঞানের বাদশা) কেমন নাম? কিংবা মুহাম্মদ রাজীব। আকাশ রহমান। বিপুল হাসান। পল্লব মোহাইমেন।তুষার জামান। সবুজ হোসেন। এই নাম গুলোর অর্থ কী?

২| ২৯ শে মে, ২০১০ রাত ২:৩৯

অ্যামাটার বলেছেন: বিরক্তিকর পোস্ট। মাইনাস দিলাম। নিজের সংস্কৃতি অবজ্ঞা করে আরবী নাম রাখা হীনমন্যতার পরিচায়ক। দুঃখ জনক, আমার নামটাও তাই।

২৯ শে মে, ২০১০ রাত ২:৫৫

নূরুল্লাহ তারীফ বলেছেন: আপনার সংস্কৃতি কোনটা খোলাসা করে বলেন না কেন?

৩| ২৯ শে মে, ২০১০ রাত ২:৫১

রাইয়া বলেছেন: হে অ্যামাটার,
আপনি নিজের সংস্কৃতি দ্বারা কি বুঝাচ্ছেন?
ঢোল বাজা কিন্তু হিন্দুদের সংস্কৃতি। ড্রাম বাজা ইহুদি ও খৃস্টানদের সংস্কৃতি। তাহলে আপনি কোনটা আপনার নিজের বলবেন? দুটোই তো তাদের। তবে আপনি খালি কলসি বাজাতে পারেন। কারণ এটি বাঁজে বেশি।

৪| ২৯ শে মে, ২০১০ রাত ৩:০১

নষ্ট ছেলে বলেছেন: নাম আরবি শব্দ হতে হবে এমন কোন কথা আছে নাকি?
নাম বাংলা শব্দ এবং সেটা যদি অর্থবহ হয় সমস্যা কোথায়? এমন তো না যে, খোদা বাংলা ভাষা বুঝেন না।

২৯ শে মে, ২০১০ রাত ৩:২২

নূরুল্লাহ তারীফ বলেছেন: অর্থবহ বাংলা শব্দে ইসলামী নীতিমালা লঙ্গিত না হলে তা দিয়ে কোন মুসলিম শিশুর নাম রাখতে কোন সমস্যা নেই। তবে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে মুসলিম ও অমুসলিমদের নাম রাখার মধ্যে প্রথাগত যে ঐতিহ্য রয়েছে তা মেনে চলা বাঞ্চনীয়।

বাংলা শব্দে কারো নাম যদি "চিরঞ্জীব" রাখা হয় অথবা "অনন্ত" রাখা হয় তাহলে এমন নামে ঘোর আপত্তি করার অবকাশ আছে।

৫| ২৯ শে মে, ২০১০ রাত ৩:৪৮

মাহমুদহাসান বলেছেন: ভালো। একখান পুস্ট দিতাসি, পাঠক পয়লা পাতায় খুঞ্জেন।

৬| ২৯ শে মে, ২০১০ রাত ৩:৫৮

শেলী বলেছেন: আমি সুরা আহযাবের ৫ তম আয়াতের পিতার সাথে অন্যান্য শব্দগুলি পেয়েছি। ইবিষয়ে একটু কেয়ারফুল হলে ভালো হত।

genetic parent ( পিতার স্হানে)
Click This Link
Proclaim their real parentage
Pickthall

এটা ইমপর্টেন্ট যে মায়ের আগে যেন পিতা না যায়। পিতা ২/৩ ভাগ পরে গুরুত্ব পাবেন।

৭| ২৯ শে মে, ২০১০ ভোর ৪:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: বাংলা শব্দে কারো নাম যদি "চিরঞ্জীব" রাখা হয় অথবা "অনন্ত" রাখা হয় তাহলে এমন নামে ঘোর আপত্তি করার অবকাশ আছে।

কিল্লিগা? মাইনাচ।

২৯ শে মে, ২০১০ রাত ৯:১৬

নূরুল্লাহ তারীফ বলেছেন: তয় আপনের পর পরদাদা, পরমাতা, পরনানা, নানীদের কেডা কেডা জীবিত আছেন...? থাকতো "চিরঞ্জীব" ও অনন্ত হবেন?

৮| ২৯ শে মে, ২০১০ ভোর ৪:১৯

অ্যামাটার বলেছেন: হাসান মাহবুব বলেছেন:...কিল্লিগা?---

জিগায়া লাভ নাই, এইটা পুরাই মৌলবাদী। মোটামুটি হালকা বিরল গোষ্ঠি। আগের পোষ্ট গুলান দেইখা কিলিয়ার। দেখেন, মজাক পাইবেন:)

২৯ শে মে, ২০১০ রাত ৯:২০

নূরুল্লাহ তারীফ বলেছেন: ৮৫% মুসলমানের মুসলিম সমাজে বিরল গোষ্ঠি আপনি না আমি? মাথা ঠান্ডা রেখে মন্তব্য করলে ভালো হয়।

৯| ২৯ শে মে, ২০১০ ভোর ৫:০৪

চ্যাংড়া বলেছেন: ইসলামিক নাম বলে কিছু নাই। মুসলমানদের সব নাম প্রি ইসলামিক যুগের বর্বর আরবদের নাম।

২৯ শে মে, ২০১০ রাত ৯:২৭

নূরুল্লাহ তারীফ বলেছেন: অন্ধকারে ঢিল মারা বুঝি খুব সুবিধা?!

২৯ শে মে, ২০১০ রাত ৯:২৭

নূরুল্লাহ তারীফ বলেছেন: অন্ধকারে না থেকে আলোতে চলে আসেন তাইলে ভালো থাকবেন।

১০| ২৯ শে মে, ২০১০ সকাল ৯:১৪

শিশির ভেজা ভোর বলেছেন: আব্দুন নবী (নবীর বান্দা), গোলাম রসূল (রসূলের দাস), গোলাম নবীর দাস,......................এসব নাম রাখা হারাম আপনারে কোন গাধায় কইছে। আপনার মত গোস্তাকে রাসুলদের জন্য আজ থেকে শত বছর পূর্বে ইমাম আহমাদ রেজা,"হাম হে আব্দুল মুস্তাফা,ফির নাজদিও তুজকো কেয়া"তাছাড়া তো জানেন আল্লাহ পাক নিজেই নবিকে বলেছেন হে নবি আপনি বলুন আমার বান্দা...কুল ইয়া ইবাদি...আমি জানি এসব বিষয়ে আপনার সাথে বাহাছ করে লাভ নাই কারন আপনার ব্রেন কে একটি বিশেষ আকিদায় প্রোগ্রামড করা হয়েছে।

২৯ শে মে, ২০১০ রাত ৯:২৩

নূরুল্লাহ তারীফ বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন- আমার ব্রেন সম্পূর্ণ ইসলামী আকিদায় প্রোগ্রামড করা। এজন্য আমি খুশি। আমি নিজে মুসলিম। সম্পূর্ণ ইসলামী আকীদা বিশ্বাস লালন করি। ইসলামী সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারে প্রীত হই। বিপরীত সংস্কৃতির ধারকদের কাছ থেকে তিরস্কার পেলে আমি নিশ্চিত হই আমি সঠিক পথে অটল আছি। ধন্যবাদ।

১১| ২৯ শে মে, ২০১০ সকাল ৯:২৬

অলস ছেলে বলেছেন: ভালো লেগেছে

২৯ শে মে, ২০১০ রাত ৯:২৪

নূরুল্লাহ তারীফ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১২| ২৯ শে মে, ২০১০ সকাল ১০:৪৮

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: জন্মের পর শিশুর একটি ভাল নাম রাখা পিতা-মাতার কতব্য। এব্যপারে হাদিসে স্পষ্ট উল্লেখ আছে।

১৩| ২৯ শে মে, ২০১০ বিকাল ৫:৪৯

অনন্ত দিগন্ত বলেছেন:


لانهاية

لا تنتهي



এগুলো তো আরবী নাম , এগুলো রাখতে কোন সমস্যা তো থাকার কথা না, তাই না .... কি কন ভাইজান ?




০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:০৩

নূরুল্লাহ তারীফ বলেছেন: অবশ্যই সমস্যা আছে।

শুধু আরবী হলেই নামটি ইসলামিক হবে তাতো নয়। নামটিতে ইসলামী নীতিমালা লঙ্গিত হলে সেটি যে ভাষায় হোক না কেন তা মুসলমানের নাম হতে পারে না।

"অনন্ত" একমাত্র স্রষ্টা আল্লাহ তাআলার গুণ। সৃষ্টি নশ্বর। এজন্য সৃষ্টির এ নাম রাখা চরম দৃষ্টতা। গানটা শুনেন নাই ভাইজান - অনন্ত, অসীম তুমি রহীম রহমান....

তবে আপনার নিকটি হয়তো অনৈসলামিক হবে না। যেহেতু আপনি অনন্ত শব্দটার সাথে দিগন্ত শব্দটা যোগ করে অনন্ত শব্দটা অর্থটাকে পরিসীমিত করেছেন।

১৪| ২৯ শে মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৬

অলস ছেলে বলেছেন: হাহাহাহা। ইসলামকে পচাইতে পার্লেই আমি ব্রেশ আধুনিক হই। সোজা হই কেবল যখন মেরুদন্ড বাঁকা হবার সময় আসে তখন।

১৫| ২৯ শে মে, ২০১০ রাত ৯:১৭

প্রবাসী১২ বলেছেন: অ্যমাটার এন্ড গংগকে বলছি: পাগলামি করেন, ঠিক আছে। তবে রাস্তা হারায়েননা। তাইলে খবর আছে।

১৬| ৩০ শে মে, ২০১০ সকাল ৯:১৯

ভ্রমণ বাংলাদেশ বলেছেন: ভাই যাদের এই পোষ্ট ভাল লাগছে না তারা দয়া করে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন । আমরা মহান আল্লাহর নগন্য বান্দা । আমরা শুধু আল্লাহর পথেই চলতে চাই । আপনাদের নাম আপনারা নিজেদের মত করে রাখুন । কোরআন শুধু বিশ্বাসিদের জন্য । আপনাদেরকে কেউ জোর করবে না বা করছে না । আমার মনে হয় লেখকের এই লেখার জন্য ++++++++++++++++++++++++++++++++++ দেয়া দরকার । লেখকের হয়তো কিছু ভুল থাকতেও পারে । যদি কোন ঙ্জানী ব্যক্তি ভুল ধরতে পারেন তাহলে দয়া করে তা সংশোধন করে দিবেন । যা আমাদের কাজে লাগবে । মহান আল্লাহকে ধন্যবাদ ।

৩১ শে মে, ২০১০ দুপুর ১:২৩

নূরুল্লাহ তারীফ বলেছেন: অবশ্যই মহান আল্লাহ তাআলার প্রতি লাখোকোটি শুকরিয়া। "তিনি যদি আমাদেরকে হেদায়েত না দিতেন, আমরা হেদায়েত পেতাম না।"[সূরা আরাফ: ৪৩]

১৭| ৩০ শে মে, ২০১০ সকাল ৯:৩১

অরণ্যচারী বলেছেন: বাল পোস্টে মাইনাস দাগানো হইল। আপনার মত মোল্লাদের নিয়া এই সমস্যা। নাম তো নাম, পারলে প্যান্ট খুইলা মুসলমান কিনা শিওর হইতে চান।

৩১ শে মে, ২০১০ দুপুর ১২:২৬

নূরুল্লাহ তারীফ বলেছেন: যদি (আজ) আপনি আমাদের নিয়ে উপহাস করেন, তবে আমরাও (একদিন) আপনাদের নিয়ে উপহাস করব।[সূরা হুদ ৩৮]

১৮| ৩০ শে মে, ২০১০ দুপুর ১:৪৭

অ্যামাটার বলেছেন: আপনার কেস বুচ্চি। ঘাড়ের রগ যদি জন্মগত ত্যারা হয়, তাহলে কিচ্ছু করার নাই। যাঝাকল্লাহ্ খাইরুন।

৩১ শে মে, ২০১০ দুপুর ১২:২৬

নূরুল্লাহ তারীফ বলেছেন: যদি (আজ) আপনি আমাদের নিয়ে উপহাস করেন, তবে আমরাও (একদিন) আপনাদের নিয়ে উপহাস করব।[সূরা হুদ ৩৮]

আল্লাহ আপনাকেও যাঝা দিন।

১৯| ২২ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:৪৫

অ্যামাটার বলেছেন: চরম অন্যায় করে ফেলেছি:(( আমাকে মাফ করে দিন আল্লাহর ওয়াস্তে।
এই ব্যাপারে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। Click This Link

২৮ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৪৬

নূরুল্লাহ তারীফ বলেছেন: উল্লেখিত লিঙ্কের পোষ্টের ব্যাপারে আমার মন্তব্য আল্লাহ তাআলার নিম্নোক্ত বাণীর মাধ্যমে দিতে চাচ্ছি-

"হে ঈমানদারগণ, কোন ফাসেক ব্যক্তি যখন তোমাদের নিকট কোন সংবাদ নিয়ে আসে তখন উক্ত সংবাদের ব্যাপারে নিশ্চিত হও...।"[সূরা হুজুরাত, আয়াত: ৬]

২০| ২৮ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৫২

সাহসী বলেছেন: 'পবিত্র সিংহ' নামটা ইসলামের দৃষ্টিকোন থেকে কেমন ? ছেলে সন্তানের নাম হিসাবে।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:২৮

নূরুল্লাহ তারীফ বলেছেন: রাখা যেতে পারে।

২১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:০৭

আলী নূর বলেছেন: অভিজ্ঞজনের কাছে নিবেদন
আমাকে নিম্ন নামের অর্থগুলি জানালে খুশী হব।

شاذنوش (শাযনুশ)
مرنوش (মারনুশ)
دبرنوش (দাবারনুশ)
يمليخا (ইয়ামলিখা)
مثلينا (মাসলিনিয়া)
مكسملينا (মাকসেলাইনিয়া)
كفشططيوش (কাফশাত্ তাইউশ)

এটি আসহাব-এ-কাহাফ-এর ৭ যুবকের নাম।
নামগুলির অর্থ জানালে খুশী হব।


১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০৭

নূরুল্লাহ তারীফ বলেছেন: দুঃখিত, এই নামগুলো আরবী নয়। কোন ভাষার শব্দ আমার জানা নেই। তাই অর্থ জানাতে পারলাম না।

২২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:৩৯

নভোচারী বলেছেন: ৭ নং মন্তব্যে হাসান মাহবুব জানতে চেয়েছেন চিরঞ্জীব বা অনন্ত নাম রাখলে সমস্যা কী?

সমস্যা আছে। কারণ চিরঞ্জীব মানে হল যে চিরদিন জীবিত থাকে, অনন্ত মানে হল যার কোন শেষ নেই। বলা যায় দুটি শব্দের অর্থ একই। এই দুটি শব্দ শুধুমাত্র আল্লাহর ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যায় কারণ একমাত্র তিনিই চিরদিন জীবিত থাকবেন। তাই এই নামে কাউকে ডাকলে তা আল্লাহর সাথে শরীক করার অপরাধ অর্থাৎ শিরক হবে।

বাংলায় বা আরবী ভিন্ন অন্য ভাষায় নাম রাখা যাবে না বলে আমার জানা নেই। তবে আমাদের দেশের মুসলিম সংস্কৃতিতে আরবীতে নাম রাখা যেহেতু প্রচলিত এবং আরবীতে নাম রাখলে যেহেতু মুসলিম কিনা তা জানা যায় তাই আরবীতেই নাম রাখা উচিত।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:০৮

নূরুল্লাহ তারীফ বলেছেন: এই সংযোজনীর আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

২৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:২৪

আমাকে বলতে দাও বলেছেন: অনেক সুন্দর পোস্ট ... জাজাক-আল্লাহ খায়র।

২৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:৩৫

সবুজ004 বলেছেন: পোষ্টটি অসাধারন! ধন্যবাদ লেখক ভাইকে ...

আমি ২. নং কমেন্টর "অ্যামাটার" কে বলছি, আপনি মুসলমান নাকি নাস্তিক নাকি অন্য ধর্মের তা আমরা জানিনা, আরবি হল আমাদের (মুসলমানদের) কোর-আনের ভাষা, তাই লেখক ভাই আরবিকে প্রাধান্য দিয়েছে, সংস্কৃতি অবজ্ঞা নয়। আপনি বাংলা দিয়ে নাম রাখুন আপনাকে না করছে কে? তাই বলে আরবিকে হীনমন্যতার পরিচায়ক বলা কতটুকু যুক্তিযুক্ত, বাংলা হলো মায়ের ভায়া, আরবী হলো কোরআনের ভাষা। কমেন্ট দেওয়ার আগে চারদিকে তাকিয়ে কমেন্ট করবেন।

২৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:৪২

সবুজ004 বলেছেন: অরণ্যচারী, আপনি প্যান্ট খুলে সবাইকে দেখান আপনি কি। হি:হি:

২৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

আমিভূত বলেছেন: নামের আগে বা পরে বিন বিনতে কখন লাগায় কেন লাগায় বলতে পারবেন কি ?

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৫৩

নূরুল্লাহ তারীফ বলেছেন: ব্যক্তির নিজের নামের পরে বিন/ইবনে/বিনতে সংযোগ করে তার পিতৃ পরিচয় দেয়া হয়। বিন/ইবনে অর্থ ছেলে। আর বিনতে অর্থ- মেয়ে। বিন/ইবনে/বিনতে এর আগের অংশটি ব্যক্তির নিজের নাম; পরের অংশটি পিতার নাম। এভাবে দাদা, পরদাদার নামও নিজের নামের সাথে সংযোগ করা যেতে পারে।

২৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

জুবায়ের বিন লিয়াকত বলেছেন: ভালো লেগেছে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

নূরুল্লাহ তারীফ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

ahsanhimu বলেছেন: যখন চার্চের পাদ্রিদের দ্বারা শিশু ধর্ষনের ঘটনা ঘটে তখন তথাকথিত মুসলমান নাম ধারী সুশিল সমাজের মুখে কোন প্রতিবাদ শুনিনা। কিন্তু যখন ৬০ বছরের কোন মুসলমান কোন কিশোরীকে বিয়ে করে তখন যেন সমস্থ পৃথিবীর পাপ কাজ সে একাই করে ফেলল এমন ভাবে প্রতিবাদ করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.