নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এখানে থাকা মানে... সবখানে থাকা

বাঁচি বলেই আছি। নাচি বলেই বাঁচি। আছি বলেই যাচি। যাচি বলেই মাছি।-মানুষের দশ দশা কখনো হাতি কখনো মশা।

স্মার্ত স্বাতী

স্মার্ত স্বাতী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যবিত্ত

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫

পাছায় আগুন জ্বালানো। মুখ ছিপিতে আটকানো। গায়ে সালু কাপড় মোড়ানো।

-আচ্ছা তাকে এতো মারছো কেন?

প্রশ্নে, মারের মাত্রা আরো বাড়ে। বোধহয় আপরাধটা আমিই করেছি। মারছো কেন? বলাটা আমার ভালো হয়নি। তাদেরই তো সব। তারাই তো মারবে। স্নান করাবে। তেল মালিশ করাবে। দরকার হলে অথ্রোপেডিকস্ চিকিৎসক এনে দোমড়ানো মোচড়ানো ঠিকঠাক করাবে ইত্যাদি ইত্যাদি।

-ভাই, প্লিজ আর মেরো না। এবার ওকে ছেড়ে দাও। ও ভীষণ কষ্ট পাচ্ছে।

-অ্যারে মিয়া ফ্যাসাল লাগাইয়েন না তো। আপন রাস্তা মাপেন। আর মেরো না....আর মেরো না ভ্যাঁ ...ভ্যাঁ। কানটা ঝালাপালা করে ছাড়লো। এতো দরদ না দেখিয়ে ভালোই ভালোই কেটে পড়েন।

-অসহ্য লাগছে। কান্নার রোল সারিবদ্ধ পিঁপড়ার মতো বয়ে চলেছে। এভাবে পেটালে ওর জীবন যে ক্ষয় হয়ে যাবে। এর একটা বিহিত আমাকে করতেই হবে। কিন্তু কী দিয়ে কী করি বুঝে-খুঁজে পাচ্ছি না। পথচারি লোকজনকে থামাতে চেষ্টা করি। তারা কাছে আসে ঠিকই কিন্তু কান্নার ঘ্রাণ নিয়ে চলে যায়। ঘ্রাণটাই যেনো ওদের কাছে সবচেয়ে বড়। অবশ্য ঘ্রাণের মুহুর্মুহু অবস্থা বর্ণনা করত গিন্নির গিন্নিপনায় ঘিন্নামি করে গিন্নিকে তারা ঠিকই কাঁদাবে।

এদিকে হাতে আছে জ্যান্ত শইল মাছ। অবশ্য নিষিদ্ধ পলিথিনে। বিবির দাবি মেটানো নিমিত্তে এ মাছের এমত কদর। নচেৎ এতক্ষণ কুচিকুচি হয়ে থাকতো। বোধহয় কান্নার শব্দ শইল মাছের কানেও গিয়ে থাকবে। সে-ই বারবার লাফিয়ে-দাপিয়ে উঠছে। ভাগ্যিস পলিথিনটা নিষিদ্ধ বলে বেশ শক্ত। একসময় মাছটা নিস্তেজ হয়ে পড়ে।

হায়! হায়! মারা গেলে যে বিপদ। পরখ করে দেখবার ফুরসত পাচ্ছি না। ঝাঁকের কৈ-এ মিশে আছি তো।

-অ্যারে ভাই আপনি এখনও গেলেন না? কী চান বলুন তো?

এবার বড়কর্তার সরাসরি প্রশ্ন।

-না ভাই, কিছু চাই না। আমি গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি। বলছিলাম কী-ওকে এতো মারছেন কেন। ও কষ্ট পায় না বুঝি। দেখেন ভাই বেচারার পাছায় আগুন জ্বালিয়েছেন আর আগুনের তা’য়ে শরীরটা কেমন ছটফট করছে। দেখেন ভাই, হাত দিয়ে দেখেন। ও অবুঝ বলে বলতে পারছে না, তাই বলে কী তার ওপর এমন নিষ্ঠুর স্টিম রোলার চালাবেন?

-আচ্ছা ভাই, ঠিক আছে। ...আর মারবো না। ...কোলে বসিয়ে ওকে আদর করবো। ...আহ্লাদ করবো। আসুন ভাই, আদর করে ওকে একটা চুম্মা দিয়ে কেটে পড়ুন। ......ভদ্র পাগলের জ্বালায় এই অভদ্র পরিবেশে এসেও যেনো রেহাই নেই।

-না, ভাই চুম্মা দিতে পারবো না। ওর প্রেমে পড়ে যাবো। তখন মহাবিপদ। আসলে কী বলবো- ওর প্রেমে এতক্ষণ আমি পড়েই ছিলাম। তাই ওর পাছার পাশ ধরে পায়চারি করছিলাম। ভাই ওকে কিন্তু আর মারিয়েন না। ওকে মারেন বলেই তো আমাকে বারবার ছুটে আসতে হয়। ছিপি আটকিয়ে ওকে শ্বাসরুদ্ধ করে রাখিয়েন না। খুলে দেন...তুলে নিন। হায়রে! তাতে তো আরো বিপদ। তবুও ভালো।

...ঘ্রাণ কাছে টানে জিবে আনে জল।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হে হে হে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.