ঈদে যাত্রা বিড়ম্বনা

২৫ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪২

ঢাকার গাবতলিতে মাজার রোডের মাথায় নাবিলের পাশেই মেহেরুনের কাউন্টার। নীলফামারীর সৈয়দপুর যাওয়ার জন্য যোগাযোগ মন্ত্রীকে না জানিয়ে তারা সিট প্রতি এক হাজার টাকা নিচ্ছেন। গাড়ি রাস্তার ঐপাড়ে রাখা, আর ছয়টা টিকেট বিক্রি হয়ে গেলেই রওনা। টিকেট নিয়ে দেখি খালেক পরিবহণ। জিজ্ঞেস করতেই কাউন্টার থেকে জানানো হলো - আমরা একই গাড়ি। বেশ, আমার গেলেই হলো!

টিকেট বিক্রি শেষ। এবার যাত্রীদের রাস্তার ঐপাড়ে নিয়ে যাচ্ছেন টিকেট বিক্রেতা। সাথে আমিও।

খালেক গাড়ি চোখে পড়ার আগেই সেই লোক রাজ পরিবহণ নামের এক গাড়িতে উঠতে বললেন। উঠলাম। এটাও নাকি তাদেরই গাড়ি! এরপর শুরু হলো টিকেট ছাড়াই ছাদের উপরে লোক উঠানো। এক সময় যাত্রা শুরু হলেও একটু পর পর বাস থামিয়ে যাত্রী ডাকা, দামাদামি এবং লোক ওঠানো সবই চলছিলো।

মন্ত্রী স্বাভাবিক বললেও আমাকে টাঙাইল টু যমুনা সেতুর রাস্তায় করতে হলো দীর্ঘ অপেক্ষা, পেলাম শ্লথ গতি। সেহেরীরর সময় নাম না জানা এক হোটেলে ছিল যাত্রাবিরতি, খেয়েছি, রোজাও আছি। বেশি নয়, মাত্র ১৪ ঘন্টার জার্নিতে প্রায় চারশো কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে রাজ পরিবহণে রাজকীয়ভাবে পৌঁছে গেলাম বাড়িতে। নীড়ে ফিরে শান্তি আর শান্তি। দোয়া করবেন। আমার মতো অনেকেই আজ ঈদের জন্য বাড়ি ফিরেছেন। সবার জন্য রইলো শুভকামনা ও ঈদ শুভেচ্ছা।

- ঈদ মোবারক।

০ টি +১/-০