![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্ন চেইন শপ তাদের পণ্যে নির্ধারিত মূল্যর অতিরিক্ত রাখার জন্য আমার দায়ের করা অভিযোগে, আজ ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হল। প্রথমে আমি বাদী হিসাবে অভিযোগ উত্থাপন করলাম। Liquid Anti-septic Dettol এই পণ্যটি স্বপ্নের বা তাদের কোন সিস্টার প্রতিষ্ঠানের তৈরি না। বাংলাদেশে কোন মোড়ক-আবৃত পণ্যে অবশ্যই MRP (Including VAT) অর্থাৎ ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত করে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ থাকতে হবে। Liquid Anti-septic Dettol এর গায়ে লেখা MRP (Including VAT) 42 BDT কিন্তু তারা রাখে ৪৩ টাকা।
এর পর স্বপ্ন চেইন শপের কমার্শিয়াল সেকশনের একজন কর্মকর্তা জানালেন সুপার শপের উপর ৪% ভ্যাট আছে, তাই তারা যোগ করেন। আমি কিছু বলার আগেই ম্যাজিস্ট্রেট বললেন, "সেটা নিজস্ব উৎপাদিত পণ্যর উপর - যেমন আড়ং নিজস্ব ব্রান্ডের পোশাক উৎপাদন করে, কিন্তু এই ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য হবে, কিন্তু যে কোন মোড়ক-আবৃত পণ্যে যেমন সাবান, শ্যাম্পু, টিসুপেপার, Liquid Anti-septic Dettol বা এই জাতীয় কিছু তারা তৈরি করেনি, তারা শুধুই মধ্যসত্ত্বভোগী। Liquid Anti-septic Dettol কোম্পানি নিজেরাই ভ্যাট নিচ্ছে এবং সরকারি কোষাগারে জমা দেয়। ডাবল টাক্সেশন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ।"
স্বপ্ন চেইন শপের লিগ্যাল এডভাইজার আমতা আমতা স্বরে বললেন, "আমরাতো ফেরেশতা না, ভুল হইতে পারে! তবে বিষয়টা নিশ্চিত হতে হবে"। ম্যাজিস্ট্রেটের প্রশ্নের জবাবে বললেন, তিনি এই আইনের কোন কপি সাথে নিয়ে আসেনন। বিষয়টা নিশ্চিত হওয়ার জন্য সময় চাইলেন। ম্যাজিস্ট্রেট বললেন,"আমি ১০ বছর ধরে ম্যাজিস্ট্রেসি করি, আমি নিশ্চিত, তবে সময় দিলাম, নয়তো বলবেন - আত্বপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই রায় ঘোষণা করছি। মুদি দোকান থেকে কিনলে বাড়তি টাকা লাগবে না, আপনারা বাড়তি নিবেন, এটাতো হইতেই পারে না"
এরপর ২৫ জুলাই ২০১৬ সকাল ১১ টায় পরবর্তী শুনানির তারিখ ঘোষণা করে আজকের মত মুলতবি করা হয়।
[+]
চুরির পরিমাণ আসলে কত কোটি টাকা? প্রশ্নটা ১ টাকার নয়, প্রশ্নটা অনিয়মের। বিন্দু বিন্দু জলে সিন্ধু হয়। প্রতিদিন কমপক্ষে এক হাজার ক্রেতার হতে যদি কমপক্ষে ১ টাকা ভ্যাটের নামে চুরি হয়, তবে মাসে একটি আউটলেটেই চুরি হয় তিরিশ হাজার টাকা। স্বপ্নের আউটলেট কয়টা বের করতে পারলাম না, কারন তাদের কোন ওয়েবসাইট গুগল সার্চ করে পেলাম না। যদি ১০টা হয়, মাসে ৩ লাখ। বছরে ৩৬ লাখ। এইটা নুন্যতম হিসাব। আমি গত বছরের নভেম্বর মাসের মানি রিসিপ্ট জমা দিছি। বহুদিন ধরে চলছে। সুপারশপ আরও আছে -আগোরা, মিনা বাজার, ক্যারি ফ্যামিলি, আর. এফ. এল. এবং আমার জানার বাইরে আরও নিশ্চয় আছে।
প্রথম পয়েন্টঃ ধরে নেই, তাদের কথাই ঠিক - "সুপার শপের উপর ৪% ভ্যাট আছে, এমনকি মোড়ক-আবৃত পণ্যে যেমন সাবান, শ্যাম্পু, টিসুপেপার, Liquid Anti-septic Dettol বা এই জাতীয় কিছু যা তারা তৈরি করেনিনি, যেখানে তারা শুধুই মধ্যসত্ত্বভোগী - তার উপরেও ভ্যাট বসাতে পারে"। অর্থাৎ আমি মামলায় হারলেও এই পয়েন্ট কার্যকর হবে যে ডাবল টাক্সেশন চলতে পারে না। মুদি দোকান থেকে কিনলে বাড়তি টাকা লাগবে না, সুপারশপে লাগবে কেন? এক্ষেত্রে এর পরের কাজ সংসদ সদস্যদের - আইন পরিবর্তন করে ডাবল টাক্সেশন বন্ধ করতে হবে। বিষয়টা পত্রপত্রিকায় তুলে ধরতে হবে।
দ্বিতীয় পয়েন্টঃ যদি আমি মামলায় জিতি, তাহলে প্রশ্ন তারা এই টাকা কি ভ্যাট হিসাবে সরকারি কোষাগারে জমা দিছে? সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে তাদের কাজ "ভুল" ছিল, আইন সম্পর্কে পর্যাপ্ত না জানা। প্রতি ক্রেতার পরিচয় লিপিবদ্ধ নাই। যাদের ক্রেডিট কার্ড আছে, তাদেরটা হয়ত বের করে ফেরত দেয়া যাবে। অনেকেই মেম্বারশিপ নিছে, তাদেরটাও ফেরত দেয়া যাবে। কিন্তু যারা আমার মত নগদ টাকায় কিনেছে, তাদের অর্থের শেষ গন্তব্যস্থল সরকারি কোষাগার! এই ক্ষেত্রে কাজ হবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের, মনে হয়!
তৃতীয় পয়েন্টঃ যদি এই তথাকথিত ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া না হয়, তবে কি ঘটবে? দিনেদুপুরে ডাকাতি! এটা "অন্যায়" এবং আর্থিক দুর্নীতি, সরাসরি মামলা, গ্রেফতার, কয়েক বছরের জেল! সেইসাথে টাকা বাজেয়াপ্ত করে দ্বিতীয় পয়েন্ট অনুসারে বিলিবন্টন। সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া না হলে মাথা ঘামাবে মূসক গোয়েন্দা, নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
[+]
আমি যখন চলে আসতেছিলাম - তখন আরেকটা মামলা এজলাসে উঠল, এইটাও একই স্বপ্নের বিরুদ্ধে। তারা ঘোষণা দিয়েছিল একটি সুনির্দিষ্ট পণ্য দুইটি কিনলে একটি ফ্রি। (মনে হয় শ্যাম্পু জাতীয় কিছু)। কিন্তু অনেকেই কেনার পর ক্রেডিট কার্ডে ৩ টার দাম নিয়েছে। গতকাল তারিফ স্বাধীন নামে একজনে কথা নেটে জানলাম, তার বেলায় মাছ কেনার সময় ওজন মাপার মেশিনে আগে থেকেই ৮৮ গ্রাম সেট করা ছিল।
আপনাদের পরিস্থিতি জানা দরকার, আগামী কয়েকদিন আপনারা কি একটু কষ্ট করে স্বপ্ন সহ বিভিন্ন সুপারশপে টুকটাক কেনাকাটা করবেন? সমাজের স্বার্থ রক্ষায় দুই বা তিন টাকা বেশি-ই দেন। তারপর এই ক্ষেত্রে বা অন্য কোথাও অসঙ্গতি ধরা পড়লে, সম্ভব হলে মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করে, আগামী ২৫ জুলাই ২০১৬ সকাল ১০টায় হোটেল সোনারগাঁওয়ের ঠিক উল্টোদিকে টি.সি.বি ভবনের আট তলায় চলে আসুন। ১২ টা পর্যন্ত থাকতে হবে, অফিস থেকে হাফ বেলা ছুটি নেন - মানে যারা চাকরি করেন আরকি; আর অন্য পেশায় থাকলে তো সমস্যা নাই।
[+]
অনুগ্রহ করে কমেন্ট করে আপনার অভিজ্ঞতার কথা জানান, আর আমার এক্টিভিটিজ সম্পর্কে বন্ধুদের জানান। একটা পার্মানেন্ট সমাধান দরকার।
[+]
যারা পূর্বের ব্লগ পড়েননি, তাদের জন্য ...
প্রথম পর্বঃ স্বপ্ন চেইনশপে অতিরিক্ত মূল্য আদায়, বৃহস্পতিবার ১০টায় টিসিবি ভবনে শুনানি
https://www.somewhereinblog.net/blog/tawhidurrahmandear/30145141
https://www.facebook.com/tawhidurrahmandear/posts/10209355475101327
আজকের লেখা ফেসবুকেঃ
https://www.facebook.com/tawhidurrahmandear/posts/10209365749438179
২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: স্যালুট!
অসাধারন কাজ করছেন।
এভাবেই শুরু করতে হবে। কি ভীষন শুভংকরের ফাঁকি! ভাবা যায়!
++++++++++++++++++++
৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:২৯
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: স্যালুট!
অসাধারন কাজ করছেন।
এভাবেই শুরু করতে হবে। কি ভীষন শুভংকরের ফাঁকি! ভাবা যায়!
++++++++++++++++++++
কিপ ইট আপ এন্ড কেরি অন বস।
গ্রান্ড সেল্যুট।
৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৩২
মানুষমানব বলেছেন: একটি সচেতন উদ্যোগ।
৫| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:১৭
রাজীব বলেছেন: কোন সাংবাদিক কি পারেন না বিষয়টি হাইলাইট করতে
৬| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭
নতুন বলেছেন: কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: স্যালুট!
অসাধারন কাজ করছেন।
এভাবেই শুরু করতে হবে। কি ভীষন শুভংকরের ফাঁকি! ভাবা যায়!
++++++++++++++++++++
কিপ ইট আপ এন্ড কেরি অন বস।
গ্রান্ড সেল্যুট।
৭| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০৮
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন:
চোর-বাটপার দের ঘাড় মটকানোর জন্য আপনার মত সচেতন নাগরিক আমাদের সমাজে আরো দরকার ।
এগিয়ে যান
৮| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:১৬
অশ্রুকারিগর বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: স্যালুট!
অসাধারন কাজ করছেন।
এভাবেই শুরু করতে হবে। কি ভীষন শুভংকরের ফাঁকি! ভাবা যায়!
++++++++++++++++++++
সমর্থন রইলো।
৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:২৬
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: নতুন বলেছেন: কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: স্যালুট!
অসাধারন কাজ করছেন।
এভাবেই শুরু করতে হবে। কি ভীষন শুভংকরের ফাঁকি! ভাবা যায়!
++++++++++++++++++++
কিপ ইট আপ এন্ড কেরি অন বস।
গ্রান্ড সেল্যুট।
১০| ৩১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:২০
তাওহীদুর রহমান ডিয়ার বলেছেন: নতুন আপডেটঃ Click This Link
১১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৩
নিলয় নীল বলেছেন: ভাইয়া আচ্ছা আমারা স্টার হোটেল এ যে পানিয় পান করি সেটা তো তাদের উংপাদিত না তাহলে সেটার উপর ভ্যাট কেন নেয়?
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:০৬
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার কাজ করে যাচ্ছেন....
উপস্থিত না থাকলেও সমস্যা জানিয়ে দিয়েছিলাম।
এসব বন্ধ হোক।