![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখা পড়া করেছেন কিন্তু প্রাইমারি স্কুলে পড়েননি এমন কেউ আছে বলে আমার জানা নেই। আবার স্কুলে পড়েছেন কিন্তু ছুটির খবর শুনে আনন্দিত হননি এমন পাবলিকইই বা কে আছে। বলছি প্রাইমারি মানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কথা। ক্লাসে স্যার কি পড়ালো তার খবর নেই। বাড়ির পড়াই বা কি দিলো তারও কোন খবর নেই। মাথায় ভূত একটি সবসময়ইভর করে থাকতো কখন ছুটি হবে। কতো কলম, বই, খাতা হাড়িয়েছি তার কোন হিসেবে নেই ছুটি দেওয়া মাত্রই টেবিলের উপর যা পেয়েছি তা নিয়েই ভৌঁ দৌড়। আর সমসূরে সবাই গেয়ে উঠতাম "ছুটি গরম গরম রুটি, এক কাপ চা সবাই মিল্লা খা। " স্কুল ছুটির ঘন্টাটি বেজে উঠার সাথে সাথেই সারা দিনের সকল ক্লান্তির কথা মনে থাকতো না। কার আগে কে যেতে পারবে সেই চেষ্টাই থাকতো।
কখনো যদি স্কুল দুই এক দিনের বন্ধ ঘোষণা করতো তাহলে তো কথাই নেই। কে দেখে কার খুশি। এতো জোড়ে জোড়ে ছুটি ছুটি বলে চিল্লাইতাম যেন পারলে সারা পৃথিবীকে আনন্দের সংবাদটি পৌছে দেই।
ছুটি নিয়ে এতো খুশির কথা বললাম কেন??
খবরে দেখলাম স্কুল ছুটির কথা শুনে আনন্দে চেচামেচি করার অপরাধে গাজিপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুম বন্ধ করে বাশেঁর লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মেরে শিক্ষার্থীদের মারাত্মক আহত করে। নিজে
শৈশবের কথা মনে পড়ে গেল। আমি / আমরাও তো এমন চেচামেচি করতাম। আর সেই চেচামেচি ছিলো আনন্দের। এই শিক্ষার্থীরাও তো সেই আনন্দ প্রকাশ করছিলো।
এমনিতেই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় কোন আনন্দ নেই। বই খুললেই মনে হয় এক বোঝা আমার উপড় চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার উপর যদি শিক্ষকের(সব শিক্ষক নয়) এমন অমানবিক আচরণের শিকার হতে হয় শিশু বয়স থেকেই তাহলে কি শিক্ষা নিয়ে বেড়ে উঠবে আগামী প্রজন্ম?
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০২
তাজুল ইসলাম নাজিম বলেছেন: ছুটির খবরে আনন্দ, শিক্ষকের পিটায় আহত শিক্ষার্থী