নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি যা তা আমি নিজেই। অন্যকিছু তুলনার বাহিরে। আমার মতো পৃথিবীতে দ্বিতীয় নেই!

তাজুল ইসলাম নাজিম

তাজুল ইসলাম নাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বন্ধি বিনিময় কার্যকর হোক, যেই দেশের বন্ধি সেই দেশে দেওয়া হোক!

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১:২৮

ভারতীয় এক বয়স্ক ৬২ বছরের বন্দী বিনাবিচারে ৫ বছর বাংলাদেশের রাঙামাটি কারাগারে কেন?
(মানবিক বিবেচনায় ছড়িয়ে দিন যেন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে)
ভারতীয় বন্দীর জন্য অামার এতো মায়াকান্না কেন? জেলখানার সেই নিষ্ঠুর নিপীড়িত নির্যাতিত দিন গুলো অামাকে অাজও কাঁদায়।

হয়তো ভারত সরকারও অামার দেশের হাজার হাজার বন্দীকে বিনাবিচারে বন্দীরে রেখেছেন নিশ্চিত।

শুধু মাত্র দক্ষিণ এশিয়ার দেশ গুলোতে বন্দি বিনিময় নেই বললে চলে।

সালটি ২০১২র ৪ এপ্রিল ২১ তারিখ। কোন এক মামলায় রাঙামাটি জেলখানাতে ২মাস ১৩ দিন জেল বন্দীশালায় অাটক ছিলাম। অামি রাঙামাটি জেলখানার ২ নম্বর রুমে ছিলাম সেই রুমে অামরা দেশী বিদেশী বন্দী সহ ৩০ জন এক সাথে ছিলাম। ভারতীয় বৃদ্ধ বন্দী কে অামাদের বাঙালী ও উপজাতি বন্দীরা কেউ ভালো চোখে দেখতে পারতোনা। বয়স্ক বন্দী হওয়ার কারনে সেই বন্দীর সাথে অামাদের বাঙালী বন্দীরা দুষ্টামি সহ যাবতীয় রাগান্বিত সব অাচরণ সব করতেন ভারতীয় বন্দীর সাথে। অামি ছিলাম হিতেবিপরীত লোক অামি সব বাঙালীর মতো তার পিছনে লাগার চেষ্টাতে দুরের কথা তাকে কোন প্রকার বিরক্তিকর কথাবার্তা পর্যন্ত বলতে চেষ্টা করতামনা? যাক এবার অাসি মূলকথায় ভারতীয় বন্দী অামাদের বাংলাভাষা জানেনা,সেই তার হিন্দীভাষা বলেন তাও অাবার খাঁটি অঞ্চলিক ভাষা, বুঝার মতো বিজ্ঞ লোক নেই বললে চলে। তার সব সময়ের একটি মুখের ভুলি ছিলো ''নেহি পাওয়া'' এই নেহি পাওয়া ভাষাটি সেই দৈনিক ২০০ হাজার বার বক্ক বক্ক করতেন। পরে অামাদের বাঙালীরা তার নাম রেখেছেন নেহি পাওয়া। তার সাথে বিভিন্ন অালাপ অালোচনার মাধ্যম গভীর সম্পর্ক হয় অামার সাথে, অাপনারা হয়তো জানেন প্রশাসনের চোর দের কারনে বর্তমানে জেলখানার অাসামীও কয়েদীদের অর্ধেক বাজেটের টাকা জেলখানার সুপারও ডিঅাইজি মেরেদেন,যে খাওয়া জেলখানার অাসামীদের প্রতিবেলা দেওয়া হয় তা খেয়ে অামাদের অাসামীদের কোন পেট ভরাট হয়না, এই ভারতীয় নেহি পাওয়া প্রতিদিন খাওয়ার পরে তার থাকাভাত গুলো অথবা না খেয়ে রেখে দেওয়া ভাত গুলো অামার জন্য খাওয়ার জন্য নিয়ে অাসেন, অামি সেই ভাতগুলো কয়েকজনকে ভাগ করেদি। অনেক সময় সেই নিজের খাওয়া ভাত না খেয়ে অামার মাধ্যম সবাইকে ভাগ করেদেন। সেই বন্দী কোন এক সময়ে অালাপকালে তার পারিবারিক পরিচয় জানতে চাইলে সেই চোখের জল ছেড়েদেন মুহুতের মাঝে অামাদের রুমে থাকা সকল বাঙালী উপজাতি বন্দীর হৃদয় নড়ে উঠলে। অামাদের সবাইকে কাঁদিয়ে সেই তার চোখের জলে অাধা হিন্দী ভাষাও অঞ্চলিক ভাষা দিয়ে সেই অামাদের জানালো অাপনারা মরে গেলেতো অাপনাদের লাশ নেওয়ার জন্য পরিবারপরিজন অাসবে অামার তরে কেউ অাসবেনা? অামি তো এই জেলকারাগারে একবন্দী অামার তো এই দেশে কেউ নেই, বাংলাদেশ সরকার অামাকে বছরের পর বছর বিনাবিচারে বন্দী রেখে এই জেলখানাতে অামার প্রাণ কেটে নেবেন। প্রতিদিন অাপনাদের বাঙালীদের বাড়ি থেকে কেউ না কেউ দেখতে অাসেন অামারতো কেউ দেখতে অাসেনা, অামি অাজ কোথায় অাছি অামার পরিবারের কেউ জানেননা? কোন এক সময়ে মৃত্যু বরণ করলে অামার দেহবড়ি মর্গে রেখে দিবে বছরের পর বছর। এই ভারতীয় নেহি পাওয়া অাজ পাঁচটি বছর বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলকারাগারে বন্দী রয়েছেন কবে নাগাদ তার মুক্তিমিলবে বলা বোকামি হয়তো এই কারাগারে তার মৃত্যুবরণ হবে এইটায় নিশ্চিত। শুধু মাত্র অামাদের দক্ষিণ এশিয়া মহাদেশের দেশ গুলো তেমন একটা বন্দীবিনিময় করেননা। বিনাবিচারে বাংলাদেশের অনেক বন্দী ভারতের বিভিন্ন কারাগারে বছরের পর বছর বন্দী অাটক অবস্থায় অাছেন। তেমনি তাদের অনেক বন্দীও রাঙামাটি খাগড়াছড়ি বান্দরবনের কারাগারে অাটক অাছেন। ভারতীয় এই বন্দীর জন্য অামার চোখের জল ঝড়ে রাতের অাধারে জেলখানার নির্যাতনের কথা মনে পড়লে। ভালো থেকো নেহি পাওয়া, তোমার জন্য শুভকামনা রইলো অামার পক্ষ থেকে।

মূল লেখক Md Shohel। যিনি তার বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:৩১

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: স্পর্ষি........... :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.