![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাভারে ভবন ধসে উদ্ধার তৎপরতায় বৃটেনসহ কয়েকটি দেশের সাহায্য বাংলাদেশ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দাবি করেছে বৃটিশ দৈনিক দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ।'উদ্ধারে বিদেশি সাহায্য প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের'
কূটনৈতিক বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে এ দাবি তুলেছে দৈনিকটি।
এ প্রসঙ্গে এক কর্মকর্তার বক্তব্যও প্রকাশ করেছে টেলিগ্রাফ। ওই কর্মকর্তা টেলিগ্রাফকে বলেন, "উদ্ধার তৎপরতায় প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পাওয়ার বিষয়টি জাতিসংঘ উল্লেখ করলেও তা প্রত্যাখ্যান করা হয়।"
'বিশেষজ্ঞ কারিগরি পরামর্শের' প্রস্তাব বাংলাদেশ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে টেলিগ্রাফকে নিশ্চিত করেন বৃটেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন দফতরের এক মুখপাত্র।
সহায়তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান প্রসঙ্গে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সি কিউ কে মোস্তাক আহমেদের সঙ্গেও কথা বলেছে টেলিগ্রাফ। সচিব পত্রিকাটিকে বলেন,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটি প্রস্তাব নাকচ করেছেন বলে তিনি শুনেছেন।
তবে এ বিষয়ে ‘সরাসরি’ কিছু জানেন না উল্লেখ করে সচিব বলেন, "আমি শুনেছি,তিনি বলেছেন এর [সহায়তার] প্রয়োজন নেই।"
রানা প্লাজা ধসে বিপুল সংখ্যক মানুষ আটকা পড়ার খবরে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা পশ্চিমা কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন বলে জানায় টেলিগ্রাফ। বাংলাদেশের এই মাত্রার উদ্ধার তৎপরতা চালানার সক্ষমতা আছে কি না তাই ছিল তাদের আলোচনার বিষয়।
বাংলাদেশের পক্ষে এই উদ্ধার তৎপরতা চালানো সম্ভব নয়- জাতিসংঘ ও পশ্চিমা কূটনীতিকরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান উল্লেখ করে দৈনিকটি বলেছে, এর পর তারা বৃটেনসহ বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে সাহায্যের প্রস্তাব তোলেন। প্রস্তাবে উদ্ধারকারী দল এবং ভারী যন্ত্রপাতি সরবরাহের কথা বলা হয়।
'তাদের দেখা' নথিপত্রের বরাত দিয়ে টেলিগ্রাফ বলেছে, "জাতির গর্ব ক্ষুণ্ন হতে পারে এই আশঙ্কায় সাহায্যের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।"
সাভারের পৌর যুবলীগ নেতা সোহেল রানার মালিকানাধীন নয় তলা ভবন 'রানা প্লাজা' বুধবার সকাল ৯টার দিকে ধসে পড়ে। ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৮১টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নয় তলা ভবনটির তৃতীয় থেকে নবম তলা পর্যন্ত ছয়টি গার্মেন্ট কারখানা ছিল। দুর্ঘটনার সময় সেখানে অন্তত তিন হাজার পোশাককর্মী কাজ করছিলেন বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য জানা গেছে।
ভবনের মালিক সোহেলসহ গার্মেন্ট মালিকদের ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার রাত থেকে ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তবে এই সময় জীবিত কেউ থাকলে তা শনাক্তে বিশেষ ক্যামেরা ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার হচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
©somewhere in net ltd.