![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
hope is a good thing, maybe the best of things, and no good thing ever dies.
এই মাসের ১০ তারিখ রাতে বান্দরবান রওনা দেই। উদ্দেশ্য ছিল মিয়ানমার বর্ডারে অবস্থিত সর্ব্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ সাকাহাফং জয় করার। কিন্তু আরাকান আর্মির উপস্থিতি জনিত সমস্যার কারণে থুইসাপাড়ার পর আমরা আর অগ্রসর হতে পারি নাই। অগত্যা প্ল্যান চেঞ্জ করে আমরা আমিয়াখুম এবং ক্রাইক্ষং ঝর্ণা দেখেই ফিরে আসি। এই দুর্গম, দীর্ঘ এবং অসাধারণ সুন্দর যাত্রাপথের বর্ণনা দেয়া সম্ভব না। এখানে কিছু ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করা হল।
আমিয়াখুম ঝর্ণা
বান্দরবান শহর থেকে চাঁদের গাড়ীতে করে থানচি যেতে হবে। সময় লাগবে ৩ ঘন্টার মত। থানচি থেকে বিজিবির অনুমতি ও গাইড নিয়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকা ঠিক করে পদ্মমুখে যেতে হবে। সময় লাগবে ২০ মিনিট এর মত। সেখান থেকে পদ্মঝিরি শুরু হবে। পদ্মঝিরি থেকে হাঁটা শুরু হবে। ৫/৬ ঘন্টা হাঁটার পর আসবে হরিশ্চন্দ্র পাড়া। সেখান থেকে আরো ৩ ঘন্টা হাঁটার পর আসবে থুইসাপাড়া। থুইসাপাড়া থেকে ৩ ঘন্টা পর আসবে আমিয়াখুম ঝর্ণা, বেলাখুম এবং সাতভাইখুম। থুইসাপাড়া থেকে ১ ঘন্টা পর আসবে ক্রাইক্ষং ঝর্ণাদুটি।
পদ্মঝিরি থেকে..
পদ্মঝিরির পথে গ্রীন ভাইপার সাপ
পদ্মঝিরি ঝর্ণা।
পদ্মঝিরিতে নাম না জানা একটি ঝর্ণা। বর্ষার সময় এরকম কিছু ঝর্ণা চোখে পড়বে।
হরিশ্চন্দ্র পাড়া।
খরস্রোতা রেমাক্রি খাল
থুইসাপাড়া।
আমিয়াখুম ঝর্ণা।
যাত্রাপথের কিছু ভিডিও
জোঁকের কামড় থেকে ব্লিডিং
থুইসাপাড়া তে রাতের খাবার। জুম চালের ভাত। আলু ভর্তা এবং ডাল।
ক্রাইক্ষং ঝর্ণা-১
ক্রাইক্ষং ঝর্ণা-২
আমিয়াখুম ঝর্ণার কাছেই বেলাখুম , সাতভাইখুম এবং নাইক্ষং মুখ। এই জায়গা গুলো অসাধারণ। দুই পাশের আঁকাবাঁকা পাহাড়ী পথের মাঝে বাঁশের ভেলায় চড়ে ভেসে যেতে হয়। আমিয়াখুমের ডাউনস্ট্রীমে সাত ভাই খুম এবং উপরের দিকে বেলাখুম। বেলাখুম ধরে আগালে নাইক্ষংমুখ। এবার ঝর্ণায় পানি এবং স্রোত বেশি থাকায় বাঁশের ভেলায় চড়া সম্ভব হয়নি।
এবছর এপ্রিলেও আমিয়াখুম ঘুরে এসেছিলাম। সেবার বেলাখুম আর সাতভাইখুমে ভেলায় চড়তে পেরেছিলাম। তখন নাফাখুম দেখে রেমাক্রি তিন্দু হয়ে থানচি এসেছিলাম। সেসব ছবি পরের লেখায় শেয়ার করব। সুবিধার জন্য সেই সময়ের র্যুট প্ল্যান সংক্ষেপে দিলাম।
দিন১- বান্দরবান- থানচি- পদ্মঝিরি- থুইসাপাড়া
দিন২- আমিয়াখুম- বেলাখুম- সাতভাইখুম- নাইক্ষংমুখ- ক্রাইক্ষং ঝর্ণা- থুইসাপাড়া
দিন৩- নাফাখুম- রেমাক্রি
দিন৪- তিন্দু- থানচি- বান্দরবান
আপাতত লেখাটা শেষ করলাম। পরে আরো বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৪০
নিভৃত নিঃশব্দ বলেছেন: wow.... সাকাহাফং কবে গিয়েছেন? আমারো অনেক ইচ্ছা যাওয়ার। এবার তো হলো না। ফেব্রুয়ারি তে আরেকবার চেষ্টা করে দেখব।
২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৮
পুলহ বলেছেন: ভাই সাকা হাফং কবে নাগাদ খুলতে পারে, এই ব্যাপারে কি কিছু জানেন?
থানচির রুটটা এক্সেপশনাল একটা রুট। আমরা নাফাখুম পর্যন্ত গিয়েছিলাম, নানা কারণে আর আগানো হয় নি...
শুভকামনা। ভাইপার স্নেকের ভিডিওতে স্পেশাল লাইক
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭
নিভৃত নিঃশব্দ বলেছেন: আমার জানা মতে সাকাহাফং যাওয়ার অনুমতি বিজিবি কখনো দিবে না। যারা সাকাহাফং গিয়েছেন অনুমতি ছাড়াই নিজ দায়িত্বে গিয়েছেন। সাজাই পাড়া এবং নেফিউ পাড়া তে প্রায় নাকি আরাকান আর্মির সদস্যরা আসা যাওয়া করে। আমরা থুইসাপাড়া যাওয়ার পর শুনি যে আরাকান আর্মি নাকি একমাস কাউকে ওইদিকে যেতে মানা করসে। তবে একমাস পর থেকে নাকি আবার যাওয়া আসা করা যাবে। আমি ফেব্রুয়ারি তে আরেকবার ট্রাই করবো যাওয়ার।
৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০
সুমন কর বলেছেন: ছবিগুলো দেখে গেলাম। আরো কিছু ছবি দিতে পারতেন।
ভিউিও-তে ক্লিক করলাম, খালি ঘুরে......সামু একটু স্লো.....!
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৫১
নিভৃত নিঃশব্দ বলেছেন: ভাই আরো ছবি দিতে চাইসিলাম। কিন্তু আপলোডের লিমিট শেষ। তাই আর আপলোড হয় নাই।
৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:০১
ব্লাকহোল বলেছেন: আমরা নাফাখুম পর্যন্ত গিয়া ফিরে আসছি। আবার যাওয়ার ইচ্ছা আছে। পরেরবার সব 'খুম' কমপ্লিট করে আসব।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:০০
নিভৃত নিঃশব্দ বলেছেন: অবশ্যই আমিয়াখুম বেলাখুম সাতভাইখুম যাবেন। অনেক সুন্দর যায়গাগুলো। তবে নাফাখুমের চেয়ে বেশ কঠিন পথ। শুভকামনা...
৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৫
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ভিডিওতে আরো ভাল হয়েছে। জায়গাগুলোই আরো ভালভাবে দেখা দেখে গেছে।
ভাল লাগলো।
ভ্রমণ গল্পে +।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:০১
নিভৃত নিঃশব্দ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:২১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অসাধারন পোস্ট!
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:০২
নিভৃত নিঃশব্দ বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ওহ্ ইচ্ছে করে এসব জায়গাগুলোতে বার বার ছুটে যেতে....সাকা হাফং যাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছিলো।