![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুধু ভাবি আমি কে? কোথা থেকে আমার সৃষ্টি? আর কোথায় বা আমার শেষ?
রাতুল আজ কয়েকদিন অত্যন্ত অসহায়বোধ করছে, একমূহুর্তের জন্যও সে ঐরাতের ঘটনা্টা মন থেকে মুছে ফেলতে পারছেনা। রাতুলের মনে অনেক প্রশ্ন, কি হয়েছিল মেয়েটির সাথে, তার এই পরিনতির কারন কি ?আবার পরক্ষনেই সে ভাবে দেশের যে অবস্থা মেয়েটি কোন র্দূ্ঘটনার শিকাড় হয়ে থাকতে পারে।কিন্তু র্দূ্ঘটনার শিকাড় যদি হয়ে থাকে তাহলে মানুষের চোখে পড়ল না কেন মেয়েটির লাশটা? কেন ওভাবে পথের ধার ঘেঁষে বেয়ে চলা নদীর ধাঁরে লাশটা পরে ছিল? তাছাড়া লাশটা ছিল অক্ষত এবং পানিতে ভাসমান দেখে মনে হয়না যে এটা প্রাণহীন একটা দেহ।
আজ তিন দিন হয় গ্রামে আসার কিন্তু আজকেই প্রথম বাইরে বের হয়েছে রাতুল।এই তিন দিন কেমন যেন একটা ঘোরের মধ্যে কেটে গেছে তার। সে হাত ঘড়িটার দিকে তাকায়, রাত ৯;৩৫ বাজে। সন্ধ্যার আগেই সে বের হয়েছে গ্রামের মেঠোপথে হাটার উদ্দেশ্যে কিন্তু কখন যে এত সময় বয়ে গেছে সে বুঝে উঠতে পারেনি। গ্রামের শেষ প্রান্তে বটতলায় অলোকান্তের চায়ের দোকানে বসে রাতুল। চায়ের সাথে সিগারেট টানতে টানতে সে এবার ফ্লাস ব্যাক এ ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করে। সে ঢাকা থেকে ৭ দিনের ছুটিতে গ্রামে ফিরতেছিল। অনেকবার বাবা মা পরিবারের সকলের সাথে গ্রামে আসা হলেও এবারে তার সফর সঙ্গী শুধু ড্রাইভার।ড্রাইভার আলম বয়সে ছোট হলেও ছেলেটা অনেক সাহসি। অধিক হারে চা-সিগারেটের বিরতি নেওয়ায় সেদিন ফিরতে তাদের বেশ রাত হয়ে যায়। সর্বশেষ আধা ঘন্টার পথ বাকি থাকতে তারা আর একবার বিরতি নেয় এবং তখন আনুমানিক রাত ১টা বা ২-১ মিনিট কম বেশি হবে। ঘটনার শুরু এখান থেকেই আলম যখন গাড়ি স্টার্ট দিতে যাবে তখন আর স্টার্ট হচ্ছিলো ন। বেশ কিছক্ষণ চেষ্টা করে আলম খুজে পেল যে গাড়ির ইঞ্জিনে পানি নেই।
আলম গাড়ির পেছন থেকে একটা জার বের করে এবং রাস্তার ধার বেয়ে নিচে নেমে যায় নদী থেকে পানি আনার জন্য। রাতুল এই অনাকাংখীত সমস্যার জন্য বিরক্তবোধ করে এবং গাড়িতে হেলান দিয়ে আর একটা সিগারেট জ্বালায়। শীতের দিন আর কুয়াশাও পরেছে প্রচন্ড, মাত্র কয়েক গজ দুরের কিছুই দেখা যায়না। রাতুলের সিগারেট শেষ হয়ে যায় কিন্তু আলম ফিরে আসেনা। সে ডাকে আলম কে কিন্তু তার কোন সারা শব্দ পাওয়া যায়না। এবার রাতুল নিচে নেমে যায় যে পথে আলম গিয়েছিল পানি আনতে। সে সাবধানে পানির কাছে পর্যন্ত নেমে যায় কিন্তু আলমকে সেখানে পায়না। রাতুল ভয় পেয়ে যায় কিন্তু সে বেপারটাকে স্বাভাবিক ভাবতে থাকে।
রাতুল ফিরে আসবে কিন্তু আকস্মিক হালকা পানির নিচে উজ্বল কিছু একটাতে তার দৃষ্টি আটকে যায়। কৌ্তুহলের সৃষ্টি হয় তার মনে, সে দেখতে চায় আসলেই বস্তুটা কি? সে বসে পরে এবং তার হাত নামিয়ে দেয় পানির নিচে উজ্বল বস্তু বরাবর। রাতুল স্পষ্ট বুঝতে পারে এটি একটি মৃত মানুষের হাত আর সেই উজ্বল বস্তুটি সেই লাশের ডান হাতের মধ্যঅঙুলিতে পরা একটি আংটি। আর কিছু বুঝে উঠার আগেই একটা মৃদু আলোর দ্যূতি ছড়ায় লাশটাকে ঘিরে। হঠাৎ করে মনে হয় এ যেন পূণিমার রাত। অপরুপ সুন্দরি একটি মেয়ের লাশ, অক্ষত, পরনে পাতলা সাদা সিল্কের শাড়ি আর ব্লাউজ, গায়ের রং ফর্সা আর কালোর মাঝামাঝি। রাতুল ভয় পায় কিন্তু স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে। সে সৃ্তি চারণ করে কয়েক সপ্তাহ আগের, সে লাশ দেখেছে, অনেক লাশ, দেখেছে লাশের মিছিল। খুব কাছ থেকে সে দেখেছে একে একে প্রায় ১১০০ মানুষের লাশ। হাত, পা, এমন কি মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পচিত গলিত লাশ সে দেখেছে। সেই লাশগুলোর গন্ধ এখনও সে পায়। প্রথম প্রথম লাশের গন্ধে তার বমি বমি মনে হতো কিন্তু এখন আর কিছু মনে হয় না। সঙ্গা ফিরে পায় রাতুল এবং সে দৌড়ে নদীর পার থেকে উপরে উঠে আসে।
গাড়িতে বসে সে ভাবতে থাকে এটা কি সত্যিই নাকি কল্পনা, না কয়েক সপ্তাহ আগের বিভৎস লাশগুলো দেখে তার কোন মানসিক সমস্যা হয়েছে। রাতুলের ভয় কাটে আলমের কন্ঠ শুনে, আপনে কথায় গেছিলেন ? আমি তো সেই কখন পানি ঢাইলা গাড়ি স্টার্ট দিছি। অনেক ডাকা ডাকি কইরাও তো আপনের কুন সারা শব্দ পাইলাম না। আপনে জানেন জীবনে আইজকে প্রথম আমি ভয় পাইছি? যহন পানি নিয়া আইসা দেহি আপনে নাই। রাতুল আর কিছু মনে করতে পারে না। তার চোখে ভাসে শুধু মেয়েটির লাশটা।
রাতুল চা সিগারেটের বিল দিয়ে আর একটা সিগারেট জ্বালায় এবং হাটতে শুরু করে বাসার দিকে। সে ভাবে ড্রাইভারকে জিঙ্গেস করবে পানি আনতে গিয়ে সেদিন সে কোন লাশ দেখেছিল কিনা নদীর ধারে। কিন্তু জিঙ্গেস করা কি ঠিক হবে হয়ত মানসিক অবসাদের কারনে এমন ভূ্ল হতে পারে।তার থেকে বরং নিজেই এর সমাধান খুঁজতে হবে, এখানে তিন গ্রাম মিলে একটাই মাত্র শ্বশান। শ্বশানের তত্বাবধান কারির কাছে গেলে হয়ত সে জানাতে পারবে বিগত তিন দিনে ঐরকম কোন লাশ এখানে দাফন করা হয়েছে কিনা।পরের দিন রাতুল শ্বশানে যায় কিন্তু সে জানতে পারে ঐধরনের কোন লাশ বিগত কয়েক দিনে সেখানে দাফন করা হয়নি।
রাতুলের ছুটি শেষ হতে আর দু-দিন বাকি। সে কি করবে ঠিক বুঝতে পারেনা। তাছাড়া গ্রামে আর ভালো লাগছেনা, তার উপর এইরকম একটা ঘটনা। আসার পর থেকে সে আলমের খোঁজ নেওয়ার সময় পায়নি। তার অবশ্য সমস্যা হওয়ার কথা না কারণ এর আগেও আলম অনেকবার এই গ্রামে এসেছে। কিন্তু বাসার লোকজনের কাছে রাতুল জানতে পারে আলমের ভীষন জ্বর। একি আলম তোর শরির তো জ্বরে পুরে যাচ্ছে, আলম ঠিকভাবে কথা বলতে পারছিল না। তারপরও সে উঠে বসে এবং বলতে থাকে সেদিন রাতে আসার পর থেকেই তার শরীরটা ভাল লাগছিল না। আর ঐরাত থেকে সে একটা ভয়ংকর স্বপ্ন দেখছে ঘুমাতে গেলেই। কি স্বপ্ন জিঙ্গেস করতে গিয়ে রাতুল থেমে যায়, তাহলে কি আলমও সেই রাতে ঐ লাশটাকে দেখেছে। লাশের ডান হাতে একটা আংটি ছিল সেটাও কি আলম দেখেছে। রাতুল আর কিছু জিঙ্গেস না করে আলমকে ঠিকভাবে ঔষুধ খেতে বলে ঘুমাতে যায়।
ঐরাতে রাতুলের ঘুমাতে বেশ দেরি হয়। ভোর রাতে আবছা ঘুমের ঘোরে সে স্বপ্ন দেখে যে আলম মারা গেছে। আলমের লাশ ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে রাতুল পরের দিন সন্ধ্যা বেলা ঢাকা রওনা দেয় একাই গাড়িতে। তার খুব খারাপ লাগে আলমের জন্য। একদিনের জ্বরে ছেলেটার অস্বাভাবিক মৃত্যু, তাছারা ঐ মেয়েটার লাশ। রাতুল রাত ২;৩০ এর দিকে টাঙাইল পৌছায়। দীর্ঘসময় গাড়ি চালানোর ক্লান্তি দূ্র করার জন্য সে টাঙাইল বাসস্টান্ডে চা আর সিগারেটের বিরতি নেয়। ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে রাতুল আবার রওনা দেয়। কিন্তু আবারও সমস্যা ঢাকা-টাঙাইল মহাসড়কের দুই ধারে জঙ্গলে ঘেরা একটা স্থানে পৌছারপর আকস্মিকভাবে গাড়ির হেডলাইট বন্ধ হয়ে যায়। রাতুলের সারা শরীরের লোম কাঁটার মত শক্ত হয়ে যায়, আর মনে হয় শরীরে শক্তি পূর্বের থেকে দশগুন বেরে গেছে। অন্যান্য দিনে গভীর রাতেও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকা অভিমুখী অনেক গাড়ি থাকে এই রাস্তায়। অনেক সময় জ্যামও থাকে এই স্থানে কিন্তু আজ অজানা কারণে রাস্তা পুরাই ফাঁকা। রাতুল লাশের ঘটনা মনে করে ভয়ে কেঁপে উঠে। সে ভাবে কোন গাড়ি আসলে সাহায্য চাবে কিন্তু দীর্ঘ্য সময় অপেক্ষা করেও কোন গাড়ি কিংবা মানুষ দেখতে পায়না রাতুল। আর অন্ধকারে যেটুকু অনুমান করা যায় তাতে আশেপাশে কোন ঘরবাড়ি আছে বলে মনে হয় না। রাতুল বুঝতে পারে গাড়িতে আবারও পানির সমস্যা। কিন্তু সে এখানে পানি পাবে কথায়, একটা অজানা ভীতি কাজ করে মনের মধ্যে। আজ আর আলম নেই যে ওকে বলবে পানির ব্যবস্থা করতে। রাতুলের কিছুটা ধারনা আছে সে শুনেছে যে ঐ এলাকায় কিছু গারো সাঁওতালের বসতি আছে। কিন্তু সাঁওতালদের বসতিগুলো হয় লোকালয় থেকে বেশ ভেতরে জঙ্গলের। সে গাড়ি থেকে একটা জার নেয় এবং রাস্তা থেকে জঙ্গলের ভেতরে চলে গেছে এমন একটা সরু পথে হাটতে শুরু করে। বেশ কিছু পথ হাটার পর রাতুল একটা আলো দেখতে পায় কিছু দূ্রে। সে আলো পর্যন্ত যায় এবং যা দেখতে পায় তাতে অভিভূত হয়ে যায়।
জঙ্গলের ভিতরে এত সুন্দর কোন বাড়ি থাকতে পারে যা কল্পনাও করা যায় না। বাড়িটা দেখতে পরিপাটি, জানালাগুলো খোলা, হালকা বাতাসে জানালার সাদা পর্দাগুলো বাইরে উড়ে আসছে। আর বাড়িটার বারান্দার মেঝেতে গাছের শুকনো পাতা পরে আছে। এই অন্ধকার জঙ্গলের ভেতরে হালকা আলোতে বাড়িটা অপরুপ এক কল্পনার বাড়ি বলে মনে হচ্ছে। রাতুল হাল্কা স্বরে ডাকে বাড়িতে কি কেউ আছেন? কোন স্বারা পাওয়া যায়না। রাতুল আবার ডাকে বাড়িতে কেউ আছেন কি, আমি একজন পথিক, পানি সংকটে পরেছি, কিন্তু এবারও কোন স্বারা পাওয়া যায়না। অনেক ডাকাডাকির পরেও কোন স্বারা না পেয়ে রাতুল ফিরে আসার মনস্থ করে। কিন্তু ঠিক তখনেই শুকনো পাতার উপর মানুষের হাটার শব্দে সে পেছন ফিরে তাকায়। একি দেখছে সে! অনন্ত যৌবনা, অপরুপ সুন্দরি একটি মেয়ে এক গ্লাস পানি হাতে তার দিকে দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটির মাথায় ঘোমটা দেওয়া, পরনে পাতলা সাদা সিল্কের শাড়ি আর ব্লাউজ। হালকা বাতাসে মেয়েটির পরনের শাড়ি উড়ছে আর গোলাপজল ও আতরের মিশ্রণে তৈরি হওয়া একধরনের গন্ধ পাচ্ছে রাতুল। দীর্ঘ্যসময় ভূতুরে পরিবেশের মধ্যে থেকে তৃষ্ণায় কাতর রাতুল হাত বাড়ায় পানির গ্লাসের দিকে। কিন্তু একি! কি দেখছে সে। রাতুল অবাক হয়ে যায় মেয়েটার ডান হাতের মধ্যঅঙুলিটি নেই যে হাতে পানির গ্লাস ধরে আছে। পানির গ্লাস দিয়ে মেয়েটি ঘুরে দাঁড়ায়, রাতুল ভাবে কিছু জিঙ্গেস করবে কিনা। সঙ্কা দূ্র করে সে মেয়েটিকে বলে আমার আর এক জার পানি লাগবে, কিন্তু আপনার হাতের মধ্যঅঙুলিটি নেই কেন? মেয়েটা অট্টহাসি দিয়ে বলে শুনবেন কি হয়েছি আমার আঙ্গুলটির? আর কে এর জন্য দায়ী? তাহলে শুনুন তখন পর্যন্ত আমি বেঁচে ছিলাম, সেদিন আমাদের বহনকারী বাসে ডাকাতি হয়। ডাকাতরা বাসে ডাকাতি শেষে ঐরাতে আমাকে তুলে নিয়ে যায়। আর এর পেছনে মুল কারণ ছিল আমার অপরুপ রুপযৌবন আর ডান হাতের হীরের আংটি। তারা আমার সব লুটে নেয় কিন্তু শত চেষ্টা করেও আংটি টি খুলতে না পেরে আধমরা অবস্থায় ফেলে রেখে যায় ঐখানে রাস্তার ধারে নদীতে। কিন্তু আপনাকে দেখে আমি বাঁচার আশ্বাস পেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম আপনি আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করবেন, কিন্তু আপনি যে একটা কাপুরুষ তা বুঝতে পেরেছিলাম যখন আপনার গাড়ির ড্রাইভার আপনার উদাসিনতার সুযোগে চাবির রিং এর সাথে থাকা ছোট্ট চাকু দিয়ে আমার আঙ্গুল কেটে আংটি টি নিয়েছিল। হ্যাঁ পরক্ষভাবে আপনিই দায়ী আমার এই আঙ্গুলটা না থাকার জন্য। রাতুল কিছু একটা বলতে যাবে ঠিক তখন ওর ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং একটা চাপা কষ্ট অনুভূত হয় বুকের ভীতর।
ঢাকায় ফেরার কিছুদিন পরে রাতুল আলমকে ঐব্যাপারে জিঙ্গাসা করে এবং সে সেদিনের ঘটনার সবকিছু রাতুলের কাছে খুলে বলে। হীরার আংটিও আলম রাতুলকে দেয় এবং সে ঐ ঘটনার পরে একদিনের জন্যও যে শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি তা রাতুলকে জানায়। অবশ্য এই ঘটনার কিছুদিন পরেই আলম আকস্মিকভাবে মারা যায় এবং তার লাশটা পাওয়া যায় তারই বাড়ির পাশের পুকুরের ধারে। রাতুল ঘটনার অন্তরালের ঘটনা অনুধাবন করতে পারে এবং যতটা পারে সময় ক্ষ্যাপন না করে আংটিটা সে সেই নদীতে ফেলে আসে যেখানে সে গ্রামে যাওয়ার পথে মেয়েটার লাশটা দেখেছিল।
আসলেই ঐ মেয়েটা কে, এ ব্যাপারে রাতুল কিছুই বের করতে পারে নি তবে গ্রামের মানুষদের কাছ থেকে যা জানা গিয়েছিলো তা হলো, অনেক আগে ঐ স্থানে ঢাকা থেকে আসা বাসে ডাকাতি হয় এবং ডাকাতি শেষে ডাকাতরা এক হিন্দু ভদ্রলোকের সুন্দরি মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। পরে অনেক সন্ধান করেও মেয়েটিকে আর পাওয়া যায়নি। রাতুল আবার দ্বিধায় পরে যায়, তাহলে কি ঐ লাশটাই সেই মেয়েটির। কারণ সে শুনেছিল যে অপমৃত্যু-বরণকারীর আত্মা নাকি যেখানটায় মারা যায়, সেখানটাতেই তাদের আনাগোনা থাকে, কথাটা কতটুকু সত্যি, তা সে জানেনা। কিন্তু সে অবিশ্বাসও করতে পারেনা।
( লোকমুখে শোনা গল্পের উপর ভিত্তি করে নিজের কল্পনা থেকে লিখা )
©somewhere in net ltd.