![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুধু ভাবি আমি কে? কোথা থেকে আমার সৃষ্টি? আর কোথায় বা আমার শেষ?
এখন যে তথ্যগুলো দিচ্ছি, আমি শতভাগ নিশ্চিত- এর একটিও ম্যাডাম জানতেন না। জানলে নিজের মান-সম্মান-ওজন রক্ষার জন্য হলেও এমন অদ্ভুত প্রস্তাবটি তিনি দিতেনই না। আর ম্যাডাম এতটা বেকুব অবশ্যই নন। এই পরিমান বেকুব হলে তিনি তিন-তিনবার প্রধানমন্ত্রী হতেই পারতেন না !
এবার তথ্যগুলো দিচ্ছি-
(১) ১৯৯৬ ও ২০০১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মোট ২০ জন উপদেষ্টার মধ্যে সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ এবং সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী দুই সরকারেরই উপদেষ্টা ছিলেন। ফলে মোট উপদেষ্টার সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে ১৮ জন, কোনোভাবেই ২০ জন নয়।
(২) এই ১৮ জন উপদেষ্টার মধ্যে ৪ জন এরই মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন। ফলে ১৯৯৬ ও ২০০১ -এই দুই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ১৪ জন উপদেষ্টা এই মুহুর্তে জীবিত আছেন।
(৩) জীবিত ১৪ জন উপদেষ্টার মধ্যে কয়েকজন অসুস্থ। বিশেষ করে ড. ওয়াহিউদ্দিন মাহমুদ এবং ড. নাজমা চৌধুরী বেশ অসুস্থ। ড. মুহাম্মদ ইউনূস নোবেলজয়ী ব্যাক্তিত্ব হলেও নানা কারণে বিতর্কিত।
(৪) সার্বিক বিবেচনায় মৃত, অসুস্থ ও বিতর্কিত ব্যাক্তিদের বাদ দিলে ১৯৯৬ ও ২০০১ -এই দুই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাত্র ১১ জন উপদেষ্টা এখনো রাষ্ট্রীয় কোনো দায়িত্ব নেয়ার মতো সক্ষম আছেন। এই ১১ জনের মধ্য থেকে ১০ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা গেলেই তবে বেগম জিয়ার প্রস্তাবটি বাস্তবে রূপ পাবে। এটা কিভাবে সম্ভব? ম্যাডাম নিজেও কি তা জানেন?
এবার ১৯৯৬ ও ২০০১-এর সেই ২০, কিন্তু আসলে ১৮ জন উপদেষ্টার প্রত্যেকের অবস্থা বলছি-
মারা যাওয়া ৪ উপদেষ্টার মধ্যে, ১৯৯৬ ও ২০০১ মেয়াদে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিশিষ্ঠ আইনজীবী সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দ্বায়িত্ব পালন করেন সাবেক সেনাকর্মকর্তা ব্রি. জে. (অব) আব্দুল মালেক। শিল্প, বাণিজ্য, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন সাবেক সেনাকর্মকর্তা মে. জে. (অব) মইনুল হোসেন। শিক্ষা, যুব ও ক্রীড়া এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য(১৮ তম) অধ্যাপক শামসুল হক। প্রয়াত এই ৪ উপদেষ্টা ম্যাডামের অলীক প্রস্তাবটি থেকে পুরোপুরি মুক্ত।
দু’জন উপদেষ্টা বেশ অসুস্থ। অর্থ এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিউদ্দিন মাহমুদ এখন শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থ। আর শ্রম ও জনশক্তি, সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমা চৌধুরী বর্তমানে শয্যাশায়ী। এই দু’জন বেঁচে থেকেও শারীরিক কারণে ম্যাডামের আজগুবি প্রস্তাব থেকে বেঁচে গেছেন।
৯৬ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. ইউনুস। বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংক ইস্যুতে বেশ বিতর্কিত অবস্থায় রয়েছেন এই নোবেল বিজয়ী। ক্ষেত্রবিশেষে তিনি কখনো-কখনো আওয়ামী লীগ বিরোধী, তথা বিএনপিপন্থী আচরণ প্রকাশ্যে দেখিয়ে দিয়েছেন। এসব মিলিয়ে ড. ইউনুসকে কোনোভাবেই নিরপেক্ষ বলার সুযোগ আর নেই। তাই নিরপেক্ষ সরকারের একজন হিসেবে তাঁকে চিন্তা করার মানেই হয় না। নিরপেক্ষতা হারিয়ে ড. ইউনুসও বলতে গেলে ম্যাডামের গোলকধাঁধা থেকে ‘চামে’ বেঁচে গেলেন।
এই সবাইকে বাদ দিলে বাকি থাকেন যে ১১ জন উপদেষ্টা, তারা হলেন-
(১) ৯৬ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শিল্প, বাণিজ্য, পাট এবং বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন সেগুফতা বখত চৌধুরী। বর্তমানে নিজস্ব সেক্টরে কাজ করছেন তিনি।
(২) তৎকালীন কৃষি, খাদ্য, মৎস্য ও পশুসম্পদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, এ জেড এম নাসির উদ্দিন। তিনি এখন রাজনৈতিক আলোচনার পুরোপুরি বাইরে। অবস্থান অজানা।
(৩) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মে. জে. (অব) আব্দুর রহমান খান। তিনিও বর্তমানে রাজনৈতিক আলোচনার বাইরে। অবস্থান অজানা।
(৪) সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী ৯৬ এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন; ৯৬ সালে যোগাযোগ, নৌপরিবহন, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। কৃষি, নৌ পরিবহন, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ২০০১ সালে। বর্তমানে একটি বেসরকারি ব্যাংকের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
(৫) বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী। বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক এর উপাচার্য হিসেবে কর্মরত রয়েছেন তিনি।
(৬) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাবেক বিচারপতি বিমলেন্দু বিকাশ রায় চৌধুরী। বর্তমানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে অনেক দূরে রয়েছেন। অবস্থান অজানা।
(৭) অর্থ, পরিকল্পনা, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন, সাবেক অডিটর জেনারেল হাফিজ উদ্দিন খান। তিনি এখন ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ব্যস্ত, অনেকটা অসুস্থও, প্রতিনিয়ত থেরাপি নিতে হয় তাঁকে।
(৮) তথ্য, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, খাদ্য, পরিবেশ ও বন এবং ভূমি মন্ত্রণালযয়ের দায়িত্ব পালন করেন মো. মুয়ীদ চৌধুরী। তিনিও এখন ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।
(৯) মহিলা ও শিশু বিষয়ক, সমাজকল্যাণ, শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন, বাংলাদেশের প্রথম মহিলা ব্যাংক ম্যানেজার ও ব্যাবসায়ী রোকেয়া আফজাল রহমান। বর্তমানে ব্যাবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআই’র দায়িত্বশীল পদে রয়েছেন তিনি।
(১০) যোগাযোগ, বিদ্যুত্, জ্বালাণি ও খনিজসম্পদ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, প্রকৌশলী আমানুল ইসলাম চৌধুরী। বর্তমানে নিজ সেক্টরে কাজ করছেন তিনি।
(১১) শিক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক এএসএম শাহজাহান। বর্তমানে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত রযেছেন তিনি।
এবার ম্যাডাম নিজেই বলুন দেখি, এ কেমন প্রস্তাব দিলেন আপনি? আপনি কি এতটাই বেকুব? আপনি তো এতটা বেকুব নন! তবে কোন বেকুবের বুদ্ধিতে এমন আজব প্রস্তাবটি আপনি দিলেন গো? ধরেন শালাকে, এক্ষুনি। ওই শালা কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বাস্তবসম্মত প্রস্তাবটির বিপরীতে আপনাকে একটা অবাস্তব-হালকা-অলীক-হাস্যকর প্রস্তাব ধরিয়ে দিয়েছে ম্যাডাম। বুঝেছেন তো এবার?
পুনশ্চঃ শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা এই ১১ উপদেষ্টার কেউ-কেউ এরই মধ্যে সরকারের মন্ত্রী কিংবা উপদেষ্টার দায়িত্ব নেয়া বিষয়ে অপারগতা জানিয়ে দিয়েছেন। ১১ জনেরিই বয়স সত্তরের ওপর। আর এরা কেউ খালেদা-হাসিনা’র চাবি দেয়া পুতুল কিংবা গৃহপালিত বুদ্ধিজীবী নন যে, কেউ বললেই নির্বাচন সফল করতে রেফারির ভূমিকায় নেমে যাবেন।
বি. দ্রঃ ১৯৯৬ ও ২০০১-এর দুই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে `৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমানের শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ, তিনি একা হাঁটাচলাও করতে পারেন না; আর ২০০১ সালের প্রধান উপদেষ্টা সাবেক প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমান একরকম অন্তরালেই থাকেন, কদাচিৎ দু’একটি সভা-সেমিনারে তার দেখা পাওয়া যায়। ম্যাডাম যেন আবার এই দুই সাবেক প্রধান উপদেষ্টাকে টার্গেট করে না বসেন। প্লিজ ম্যাডাম... এটুকু বেকুবতা করবেন না দয়া করে।
(সংগৃহীত)
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২১
বি কে রায় বলেছেন: ভাই যা কিছু ঘটছে তার সবই অদ্ভুত কি সব আবোল-তাবোল কথা বার্তা।
২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বেচে থাকা প্রাক্তন উপদেষ্টারা বেশিরভাগই অশীতিপর বয়োবৃদ্ধ, অনেকেই অসুস্থ, এদের অনেকেই দায়িত্ব নিতে রাজী হবেন না।
ইউনুসের মত বেশ কয়েকজন চরম বিতর্কিত! এরাও নিশ্চিত ভাবে রাজি হবেন না
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৯
বি কে রায় বলেছেন: সবকিছু জেনে শুনেই কি বিএনপি নেত্রী এই কাজটা করেছে না আবার এর পেছনে নতুন কিছু আছে? আমার অনুসন্ধানী মন এই মুহূর্তে কিছুই খুজে পাচ্ছে না। ঘটনাটা নিছক ভুলেই করেছে মনে হয় বেগম জিয়া তরিঘরি করে পালটা বক্তব্য দিতে গিয়ে, তাছারা দুই দিন তো এমনিতেই অতিবাহিত হয়ে গেছে। যদি এমন গাজাখোরী বক্তব্যের পেছনের কারণ অনুধাবন করতে পারেন তাহলে জানাবেন। ধন্যবাদ আপনাকে
৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫১
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: মহানগর ভুল করলেও গ্রাম বাংলা করবে না
খালেদা তুমি জেনে রাখো জয় বাংলা মরবে না।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫৬
বি কে রায় বলেছেন: আমি, আপনি আর আমরা সকলেই আশা নিয়ে বেঁচে থাকি। এটা দোষের কিছু না!!
৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫৩
বাংলাবাবা বলেছেন: উপদেষ্টাদের মধ্যে ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ এবং মেজর জেনারেল (অব.) মইনুল হোসেন চৌধুরী প্রয়াত হয়েছেন।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০০
বি কে রায় বলেছেন: হুম ভাই এখন পর্যন্ত যা জানতে পেরেছি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের উপদেষ্টাদের সম্পর্কে বর্তমানে তা নিম্নরুপঃ
সর্বমোট উপদেষ্টাঃ ১৮ জন
মৃতঃ৭ জন
শারীরিকভাবে অক্ষমঃ৪ জন
শারীরিকভাবে সক্ষমঃ৭ জন
উপদেষ্টা প্রয়োজনঃ ১০ জন
৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:২১
দার্শনিক ফিনিক্স বলেছেন: ব্রি.জে(অব) মালেক বেচেঁ আছেন,সুস্থও আছেন.
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫২
বি কে রায় বলেছেন: হুম উনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি.।
৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৩৮
ম্যাভেরিক বলেছেন: শিক্ষিত বাঙালিও যে নিজে পশ্চাতে থেকে অন্যের পশ্চাৎদেশ টেনে ধরে রাখতে কম পারদর্শী নয়, এ পোস্ট তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কী সূক্ষ্ম গাণিতিক হিসেব! ভাবখানা এমন যেন কর্মক্ষম উপদেষ্টাদের সংখ্যা কোনোভাবে <১০ জন প্রমাণ করতে পারলেই দেশের সমস্যার সমাধান হয়ে গেল, আমাদের আর কিছু করতে হবে না, সামনেও এগিয়ে যেতে হবে না। ভাগ্যিস কিছু উপদেষ্টা মরে গেছে, কিছু অথর্ব হয়ে গেছে। অবশ্য তা না হলেও সমস্যা ছিল না, বিতর্কিত কিছু তো আছেই <১০ বানানোর জন্য।
৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৩৯
ম্যাভেরিক বলেছেন: শিক্ষিত বাঙালিও যে নিজে পশ্চাতে থেকে অন্যের পশ্চাৎদেশ টেনে ধরে রাখতে কম পারদর্শী নয়, এ পোস্ট তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কী সূক্ষ্ম গাণিতিক হিসেব! ভাবখানা এমন যেন কর্মক্ষম উপদেষ্টাদের সংখ্যা কোনোভাবে <১০ জন প্রমাণ করতে পারলেই দেশের সমস্যার সমাধান হয়ে গেল, আমাদের আর কিছু করতে হবে না, সামনেও এগিয়ে যেতে হবে না। ভাগ্যিস কিছু উপদেষ্টা মরে গেছে, কিছু অথর্ব হয়ে গেছে। অবশ্য তা না হলেও সমস্যা ছিল না, বিতর্কিত কিছু তো আছেই <১০ বানানোর জন্য।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫
বি কে রায় বলেছেন: ম্যাভেরিক স্যার পশ্চাতে বলতে কি বুঝাতে চেয়েছেন তা স্পষ্ঠ না আর কর্মক্ষম উপদেষ্টাদের সংখ্যা কোনোভাবে কি ??????
৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৩৯
ম্যাভেরিক বলেছেন: শিক্ষিত বাঙালিও যে নিজে পশ্চাতে থেকে অন্যের পশ্চাৎদেশ টেনে ধরে রাখতে কম পারদর্শী নয়, এ পোস্ট তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কী সূক্ষ্ম গাণিতিক হিসেব! ভাবখানা এমন যেন কর্মক্ষম উপদেষ্টাদের সংখ্যা কোনোভাবে ১০-এর কম প্রমাণ করতে পারলেই দেশের সমস্যার সমাধান হয়ে গেল, আমাদের আর কিছু করতে হবে না, সামনেও এগিয়ে যেতে হবে না। ভাগ্যিস কিছু উপদেষ্টা মরে গেছে, কিছু অথর্ব হয়ে গেছে। অবশ্য তা না হলেও সমস্যা ছিল না, বিতর্কিত কিছু তো আছেই ১০-এর কম বানানোর জন্য।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮
বি কে রায় বলেছেন: ভাগ্যিস কিছু উপদেষ্টা মরে গেছে, কিছু অথর্ব হয়ে গেছে। অবশ্য তা না হলেও সমস্যা ছিল না, বিতর্কিত কিছু তো আছেই ১০-এর কম বানানোর জন্য।
যারা বেঁচে আছেন দেখেন তাদের এক জনকেও এই মহৎ কাজে আর রাজি করানো যায় কি না????
৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৪২
নীল_সুপ্ত বলেছেন: উপরে ম্যাভেরিক এর কমেন্টের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিলাম... যেকোন 'সংগৃহীত' তথ্য দেবার আগে নিজে তা যাচাই করে নেয়ার মানসিকতা থাকা দরকার, নতুবা 'স্রোতে ভাসা শৈবাল' এর সাথে পার্থক্য কোথায়?
আপনার জন্যঃ
Click This Link
Click This Link
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০২
বি কে রায় বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ তবে অবাক হই নি এটা ভেবে যে এখানেও আম্লিগ পন্থি আর বিম্পি পন্থি মিলে চুলা-চুলি শুরু হবে না !!!
১০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:২৮
স্বাধীকার বলেছেন:
দাদা, আগেই বলেছি আপনি ওপারের হলে আপনাকে সব সময় ক্ষমা করা যায়, আপনার জানার পরিধি দরবেশের টিভি, অনলাইন আর বাকশালী কিছু মিডিয়ার উপর নির্ভর করে। ছাত্রলীগের ছুপা হিসাবে আপনার প্রচারণাটি হালে পানি পায়নি।
অবস্থান অজানা-
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ব্যস্ত,
রাজি হবেন না,
বির্তকিত----------এসব দেখে মনে হচ্ছে এসব উপদেষ্টা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ব্যস্ত ছিলোনা উপদেষ্টা হওয়ার আগে। তাদের অবস্থান ধানমন্ডির ৩২ নম্বর না হলে সব অজানা, তাই না? থেরাপী নিতে হয়, আহারে কি মায়! আজ যদি হাফিজ উদ্দিনের সাক্ষাতকারটিও দেখতেন এরকম মুর্খতাসমৃদ্ধ একটি মতলবী পোস্ট দিতে পারতেন না। আপনাদের কুলাংগারীর কোনো সীমা পরিসীমা নেই। না জেনেই বাকশালী মিডিয়া উলংগপনায় পাছার কাপড় তুলে ধরলেন, একটু দম নিয়ে চিন্তা করে পোস্ট প্রসব করতে পারতেন!!!
আগে জানেন, তারপর কথা বলেন, বাকশালী মতলবী কেন? আপনার বাকশালী মিডিয়ার বেকুবী করার আগে একবার ভাবা দরকার ছিলো বিএনপি কোনো খবর না নিয়েই কি ইনাদের দিয়ে প্রস্তাব দিয়েছে? আসল সত্যটি হলো হাম্বারা শেখ হাসিনা ছাড়া কাউকেই নিরপেক্ষ মনে করেনা, কাউকেই সন্মান দিতে জানেনা, সেঞ্চুরীয়ানদের কাছে কি সন্মান আশা করা যায়?
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১১
বি কে রায় বলেছেন: আপনার ধারণা ভুল স্বাধীকার ছুপা আওয়ামিলীগ নয় আমি প্রকাশ্যে আওয়ামিলীগ আর আমি ওপার বাংলার না এই বাংলার। নিজের নামে ব্লগে লিখি আপনার মত আর দশটা নিক নামের আইডি দিয়ে নয়। আর মিডিয়ার কথা বলেছেন না !!নিজে একজন মিডিয়া কর্মি হিসাবে বলতে পারি বাংলাদেশের ৯০% মিডায়াই আওয়ামিলীগ পন্থি আর তা হল নৈতিকতার করনে।
১১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:৩৬
আরমান ভাই বিরাট টেনশনে বলেছেন: আমি চাই খালেদার প্রস্তাব হাসিনা গ্রহন করুক।
সহিংসতা কেউ দেখতে চায় না।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪
বি কে রায় বলেছেন: ধন্যবাদ আরমান ভাই বিরাট টেনশনে আমি আপনার সাথে একমত। আমিও চাই দুই দলেই হুমকি-ধুমকি বাদ দিয়ে একটা সিদ্ধান্তে পৌছাক অতি শিঘ্রোই আর সহজ কথাটাই এক শ্রেনীর আন্ধা বুঝতে চায় না।
১২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:০৩
জগ বলেছেন: ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দশজন উপদেষ্টা:
১.নোবেল বিজয়ী ডঃ মুহম্মদ ইউনূস( শারীরিকভাবে সক্ষম)
২.অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ( শারীরিকভাবে সক্ষম)
৩. ব্যবসায়ী সৈয়দ মনজুর এলাহী ( শারীরিকভাবে সক্ষম)
৪. শিক্ষাবিদ জামিলুর রেজা চৌধুরী( শারীরিকভাবে সক্ষম)
৫. সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ(মৃত)
৬.অধ্যাপক শামসুল হক(মৃত)
৭.সেগুফতা বখত চৌধুরী(মৃত) > আসলে জীবিত
৮. মেজর জে। (অব) আবদুর রহমান খান(মৃত) >আসলে জীবিত
৯. অধ্যাপক নাজমা আহমেদ( শারীরিকভাবে অক্ষম) [কোন ভিত্তিতে?]
১০.এ জেড এ নাসিরউদ্দীন (শারীরিকভাবে অক্ষম) [কোন ভিত্তিতে?]
২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দশজন উপদেষ্টা:
১.রোকেয়া আফজাল রহমান( শারীরিকভাবে সক্ষম)
২.এম হাফিজ উদ্দিন খান( শারীরিকভাবে সক্ষম)
৩.এ এস এম শাহজাহান( শারীরিকভাবে সক্ষম)
৪. ব্যবসায়ী সৈয়দ মনজুর এলাহী ( শারীরিকভাবে সক্ষম,১৯৯৬ সালে ও উপদেষ্টা ছিলেন)
৫. সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ(মৃত,১৯৯৬ সালে ও উপদেষ্টা ছিলেন)
৬. বিচারপতি বিমলেন্দু বিকাশ রায়চৌধুরী(মৃত)
৭. এ কে এম আমানুল ইসলাম চৌধুরী(মৃত)
৮. মেজর জেনারেল (অব.) মইনুল হোসেন চৌধুরী(মৃত)
৯. আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী(শারীরিকভাবে অক্ষম) [কোন ভিত্তিতে?]
১০. ব্রিগেডিয়ার আবদুল মালেক (শারীরিকভাবে অক্ষম) [তিনি নিজে ফোন রিসিভ করে জানান সুস্থ আছেন!]
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২১
বি কে রায় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, সব ঠিক আছে কিন্তু বললেন না যে তারা পুনরায় দায়িত্ব নিতে রাজি আছে কিনা ????
Click This Link
১৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:০৩
জগ বলেছেন: আপাতত সামারি দাড়াইল:
সর্বমোট উপদেষ্টাঃ ১৮ জন
মৃতঃ৭ জন - ২জন = ৫ জন
শারীরিকভাবে অক্ষমঃ৪ জন - ১ জন = ৩ জন {এই ৩ জন কোন ভিত্তিতে অক্ষম তা বিস্তারিত উল্লেখ করা হয় নাই}
শারীরিকভাবে সক্ষমঃ৭ জন + ৩ জন = ১০ জন
+ [আরো ৩ জন যদি শারীরিক ভাবে অক্ষমের তালিকা ভুয়া প্রমানিত হয়]
+ [মৃতের তালিকায় অলরেডি দুইজন জীবিতকে ভুয়া মৃত দেখানো হয়েছে, আরো যত জন ভুয়া মৃত বাড়বে, এই গ্রুপে লোক সংখ্যা বাড়বে]
উপদেষ্টা প্রয়োজনঃ ১০ জন
সো, দেখা যাচ্ছে ১০ জন উপদেষ্টা নিঃসন্দেহে জীবিত এবং সক্ষম আছেন এবং এই সংখ্যা আওয়ামী মিথ্যাচারের চাদর উম্মোচন সাপেক্ষে আরো বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা আছে।
-- এখন আওয়ামী সাপোর্টার রা কি বলতে চায়? -- কিউরিয়াস মাইন্ড ওয়ান্টস টু নো।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬
বি কে রায় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মত একজনো কি বিচক্ষন ব্যক্তি ম্যাডামের আশেপাশে ছিলেন না !!!যিনি এসব সমীকরণ করে দেন প্রস্তাবটা দিতেন নেত্রী, তাহলে আর এত ফালাফালি হইত না ।
১৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৩০
বিজন শররমা বলেছেন: যদি ১০ জন না পাওয়া যায় ৮ জন নিয়েও কাজ চালানো সম্ভব । আসল কথা, প্রধান মন্ত্রী যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা হলো আওয়ামী লীগকে আবার নির্বাচিত করে আনার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যেখানে নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোন সম্ভাবনা নেই । আর বেগম খালেদা জিয়া যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাব দিয়েছেন তাতে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবার সম্ভাবনা আছে ।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮
বি কে রায় বলেছেন: জি সম্ভব!!কিন্তু সেই সংখ্যা ৭ বা ৯ হলে কিন্তু আবার সমস্যা। তখন ভাগে কমবেশি নিয়ে শুরু হয়ে যাইবো
১৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮
এম আর ইকবাল বলেছেন:
যার বিয়ে তার খবর নেই ।
পাড়া পড়শীর ঘুম নেই ।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩
বি কে রায় বলেছেন: দ্যাশটারে ডিসিসির মত দুই ভাগ কইরা দুই জনের দিলে কেমন হয়???
তখন দ্যাশের নাম হতে পারে উত্তর বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ বাংলাদেশ !!!
১৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০৪
বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: B.K- Bakwas Rai...
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৭
ছৈয়দ সালাহউদ্দীন বলেছেন: আগে খেয়াল করিনি, এটাতো অদ্ভুদ আর বৈচিত্রময় প্রস্তাব।