নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জুয়ারী

আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে

সর্বনাশা

আমার জীবনী লিখে গেছেন বুদ্ধদেব বসু, ১৯৪৪-এ, আমার জন্মের বহু আগে, তাঁর 'রাধামাধব উপাধ্যায়ের শেষ উক্তি' কবিতায় : '.............................................. বালক বয়সে তাঁর মুখে কতদিন শুনেছি আমার প্রতিভা অপরিমিতা। কিন্তু আমার গ্রন্থে ছিল না মন, পড়েছি আকাশে রৌদ্র-ছায়ার লেখা, দ্বিপ্রহরের স্নিগ্ধ গাছতলায় বন্ধু ছাগলছানার পেয়েছি দেখা। ............................................ সুরার আবেশে কন্ঠে এসেছে গান, শুনে বলেছেন ওস্তাদ চাঁদ মিঞা, "রেওয়াজ করলে অনায়াসে হ'তে তুমি গৌড়ভূমির শ্রেষ্ঠ কীর্তনিয়া।" হায় রে আমার রেওয়াজে গেলো না মন। নর্তকীদের আসরে-আসরে ভেসে দ্বাদশ বরষ কাটিয়ে দিলাম হেসে। ............................................. সবাই বললে, রাধামাধবের মতো কখনো হয়নি এমন কর্মবীর। তবু তো আমার কর্মে গেলো না মন। শুধু মনে হ'লো, বন্যার জলরাশি অস্বাস্থ্যকর, ব্যর্থ, লক্ষ্যহারা অপব্যয়ের পয়ঃপ্রণালী ছাড়া। .......................................... তখন শুনেছি, ইচ্ছে করলে পারি রম্যতমাকে আনতে আপন ঘরে-- হায় রে আমার বিবাহে ছিল না মন। খেলা শেষ হ'লো, নেই আর কারো দেখা, লাল বাতি জ্বেলে আমি ব'সে আছি একা। .............................................. কৃপা ক'রে তাঁরা আমার দগ্ধভালে মোক্ষলাভের লক্ষণ দেখেছেন-- হায় রে আমার মোক্ষে গেল না মন। বৈতরণীর অবৈতনিক মাঝি পার ক'রে দিতে যদিও ছিলেন রাজি, তবু ফিরে এসে গলিতে, খোলার ঘরে কাব্যপুঁথিতে খেয়েছি চোখের মাথা, ইয়ার ছোঁড়ার রাত বারোটার গানে গুনগুন ক'রে সেধেছি বিকল গলা। এ-পক্ককেশ আমারে ব্যঙ্গ করে। ................................................. বিস্মৃতিলোকে মরেছে যে বেঁচে থেকে জানি না মরণ কী-ক্ষতি করবে তার। মৃত্যু পাবে না অশ্রুজলের ভেট, মুক্তির পথে পিছে টানবে না শোক, লজ্জায় শববাহীদের মাথা হেঁট। আমার মতন ভাগ্য কারো না হোক। হায় এ-জীবন ফিরায়ে পেতাম যদি তাহ'লে অবোধ ভাগ্যে ইচ্ছামতো চালিয়ে নিতাম সার্থকতার পথে। নব উদ্যমে সব তবে হ'তো শুরু.... সব এ-ই হ'তো, সব ঠিক এ-ই হ'তো !'

সর্বনাশা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি আপনাদের মুখে থু থু দেই, -- থুঃ

২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৯

আজ থেকে চার বছরেরও বেশী সময় আগে সামুতে একটি লেখা দিয়েছিলাম, “বাঙালির আত্মপ্রতিকৃতিঃ কীর্তিহীন এক জাতিসত্ত্বা ” শিরোনামে। খুব স্পষ্ট ভাষাতেই বলেছিলাম, আমি বাঙালি ও বাংলাদেশী পরিচয় দিতে লজ্জা বোধ করি। তথ্য-উপাত্ত দিয়ে দেখিয়েছিলাম যে, এই জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে সত্যিকার অর্থেই গর্ব করার মতো কোন অর্জন নেই, নেই কোন সুউচ্চ কীর্তিগাঁথা। প্রাচীন বিশ্ব থেকে শুরু করে মধ্যযুগ পেরিয়ে রেনেসাঁ, শিল্প বিপ্লব, উপনিবেশকাল মায় এই আধুনিক কালেও সভ্য মানুষের যাপিত জীবনের সকল শাখা-প্রশাখায়, গলি-ঘুঁপচিতে বাঙালি একটি দীনহীন জাতি হিসেবেই করুণভাবে টিকে ছিল এবং আছে – আমরা না চাইলেও এটিই ইতিহাসের অমোঘ সত্য। বাণিজ্য-অর্থনীতি-বিজ্ঞান-দর্শন-সংস্কৃতি-সাহিত্য-ক্রীড়া-রাজনীতি-মূল্যবোধ, মূল্যায়নের প্রতিটি নিয়ামকের তলানিতে বাঙালির বেদনাদায়ক অবস্থান।



কিন্তু ইতিহাসের একটি হিসাব আমি মেলাতে পারিনি, বার বার হোঁচট খেয়েছি, বিস্মিত- বিহ্বল হয়েছি, হাজার বছরের খেরোখাতায় একটি মাত্র ঘটনার বাঁকে। উনিশ শ’ একাত্তুরে বাঙালির রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনে সুমহান মুক্তিযুদ্ধ !! এই একটি ঘটনায়, মহত্ত্বে, বাঙালি তার সকল অতীতকে ছাপিয়ে ঊর্ধ্বে উঠে গেছে, এইখানে এসে আমার দৃষ্টি শ্রদ্ধায় অবনত হয়, আমি বাঙালিকে অভিবাদন জানাই, আমাকে অভিবাদন জানাই।



তবে এই কালজয়ী অর্জনে বাঙালি জাতিকে যে মূল্য দিতে হয়েছে তা শুধু এই যুগে নয়, গোটা মানব সভ্যতার ইতিহাসে বিরল ও করুণ। এই ভূ-খণ্ডের সমসাময়িক জনগোষ্ঠীর এক সুবৃহৎ অংশ নির্মম নির্যাতনের স্বীকার হয়, যার তুলনা পৃথিবীর সুদীর্ঘ সময়ের ঘটনাপ্রবাহে কদাচিৎ পাওয়া যায়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এই ভয়াবহ নৃশংসতায় নিহত হয় ত্রিশ লক্ষ মানব প্রাণ; নারীর সম্ভ্রম নিয়ে পৃথিবীর অন্যান্য নৃ-গোষ্ঠীর তুলনায় যে জনপদের অধিবাসীরা বহুলাংশে বেশী স্পর্শকাতর, সেই জনপদেই সম্ভ্রমহানি করা হয় প্রায় দুই লক্ষ উনত্রিশ হাজার নারীর। আরেকটি ভয়ানক সংযুক্তি হচ্ছে যে, হত্যা এবং ধর্ষণের শিকার মানুষের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ, নারী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক। এমন জঘন্য কর্মকাণ্ডটি সংঘটিত হয় দখলদার পাক বাহিনী, যারা কিনা সশস্ত্র যুদ্ধের কোন সভ্য নিয়ম-কানুনকে মোটেও পরোয়া না করে বন্য পশুর মতো আদিম বর্বরতা দেখিয়েছে, তাদের দ্বারা, আর বাঙালি জাতির একটি ক্ষুদ্র অংশের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায়।



বাঙালি জাতির হাজার বছরের যে একমাত্র অর্জন, মুক্তিযুদ্ধ, তাতে এক মণ দুধে এক ফোঁটা গো-চুনা এই স্বদেশী ঘাতকের দল, যারা সমগ্র সাফল্যকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, অর্জনকে উপহাসে পরিণত করেছে। যে যুদ্ধের পরিণতিতে এই দেশের ললাটে শোভা পাবার কথা ছিল সাফল্যের দীপ্ত রাজটীকা, পরিবর্তে জুটেছে মানবতার শত্রুদের অভয়স্থল হবার মতো অসভ্য দেশের কলঙ্ক-তিলক। সুদীর্ঘকাল ধরে আমি অপেক্ষায় ছিলাম, এটি দেখতে যে, এই অবিমৃষ্যকারী আত্মবিস্মৃত জাতি কি তার সহস্র বছরের ব্যর্থতার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করবে, না প্রমাণ করতে পারবে যে, একটি বিশ্বমানের কীর্তিকে তারা ধরে রাখার মতো যোগ্য হয়ে উঠেছে শেষতক। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হবার সময় থেকেই আমি সন্দিহান ছিলাম, এরা কি পারব, আদৌ ?? মধ্যবর্তী সময়ে বিভ্রান্ত হয়ে গেলাম সম্পূর্ণভাবেই !! একি, এ কোন জাতি, এ কোন দেশ, এ কোন জনপদ, এ কোন প্রজন্ম ?!! চারশত বছরের পুরানো শহরের প্রাণকেন্দ্রে রাজপথের চৌমাথায় ‘শাহাবাগ’ নামের এ কোন অগ্নিগর্ভ সাহসী জাতিসত্ত্বা ? আমার চেনা-জানার, পড়া-শোনার, গবেষণার, ইতিহাসের দীনহীন বাঙালি জাতির সাথে কোনভাবেই আমি মেলাতে পারছি না। আমি নিশ্চিত দেখছি বেঁচে থেকে, ওলন্দাজ, ব্রিটিশ, জার্মান কিংবা জাপানী অথবা হালের চীনা জাতি না, এটি আমার পিতৃপুরুষের সেই বাঙালি জাতি ! যাঁদের ইতিহাস বিষয়ে একটু নির্মোহ আগ্রহ আছে, তাঁরা হয়ত আমার বিস্ময়ের কারণ ও মাত্রাটা কিছুটা উপলব্ধি করতে পারছেন। যাই হোক, আমি যৌক্তিক মানুষের মতো নিজের এতদিনের পর্যবেক্ষণকে ভুল বলে স্বীকার করবার মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করলাম;- কিছু পরাজয়ও বুঝিবা চোখ ভিজিয়ে দেবার মতো মধুরতর হয়, আহা !



কিন্তু, হায়রে, এ কি মধু দত্তের প্রহসন ?



সোমবার, ৩১ আষাঢ়, ১৪২০ বঙ্গাব্দ, ৫ রমযান, ১৪৩৪ হিজরী, ১৫ জুলাই, ২০১৩ সন – আমি বাঙালি জাতির মুখে, আপনার মুখে একদলা থু থু দিয়ে গেলাম, -- থুঃ।

(জন্মসূত্রে, জাতিসূত্রে, মাতৃ ও পিতৃসূত্রে আমিও একজন নিখাদ বাঙালি)



[পরিশিষ্টঃ যে পশুটি নিজের মাকে ধর্ষণ করে জন্মের সময় আঁতুর ঘরে গলা টিপে এই দেশটিকে খুন করতে চেয়েছে, বয়স ও স্বাস্থ্য বিবেচনায় সেই দানবকে আরও দীর্ঘকাল এই দেশের আলো-হাওয়ায় বেঁচে থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে আয়েশী জীবনের ব্যবস্থা করে দিতে পেরে সকলে ধন্য ও পুলকিত বোধ করছে ! হে বাঙালি জাতি, গোলাম আযম কি তার নব্বই বছরের মানব(!)জন্মে একবারের জন্যও বলেছে যে, একাত্তুরে সে যা করেছে তা অন্যায়, তা মহাপাপ ? সে কি একবারের জন্যও বলেছে, ‘আমি অপরাধ করেছি, মাতৃসম দেশের সাথে বেঈমানী করেছি, কিন্তু এই বৃদ্ধ বয়সে এসে আমি অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাচ্ছি, আমাকে আপনারা মাফ করে দিন, দয়া করুন’ ... বলেছে কখনও ... নাকি এই নরঘাতক পিশাচটি তার কৃত কর্মকাণ্ডের জন্য গর্ব করে দম্ভভরে লাখো শহীদ, বীরাঙ্গনা, মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করে গেছে ক্রমাগত ?? হে বাঙালি জাতি, যে তোমাদের কাছে একটি বারের জন্যও কখনই ক্ষমা চায়নি, বরং অপরাধ করে উদ্ধত থেকেছে, কোন্ সুমহান মানবিক বিবেচনায় তোমরা এই নরপশুকে তথাকথিত এই উদারতা দেখাতে পারলে ? তা কি মার্কিন দূতের নিমন্ত্রণের আড়ালে নির্বাচনী বৈতরণীর সরকারী আঁতাতের পাশা খেলায় ? নাকি বিরোধী দলের ভুবনমোহিনী সন্ন্যাসী মৌনব্রতের জাদুমন্ত্রে ? এই দুর্ভাগা দেশে জাতির জনকও স্বাভাবিক মৃত্যুর সুযোগটি পাননি, জগৎশ্রেষ্ঠ বাঙালি তাজুদ্দিনের মতো মহৎ পুরুষের মৃত্যু হয়েছে ঘাতকের আঘাতে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে, অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করা বীরউত্তম জিয়াকে মরতে হয়েছে বেঘোরে, আর এই সময়ের শ্রেষ্ঠ ইবলিস গোলাম আযম পেয়েছে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি ক্লজ !! কি বিচিত্র এই মানব, দুঃখিত, বাঙালি জন্ম ! সব পরিচিত মুখগুলো, চেনা বুদ্ধিজীবিরা, এমনকি এতদিনের পরিচিত সামু্র ব্লগাররাও যেন সব কিছু মেনে নিয়েছেন, কেমন একটা শান্তি শান্তি ভাব সবার ভেতর !? কিন্তু কারো কি কিছুই বলার নেই, কেউ কি আসবে না বুকের আগুনটুকু বাইরে জ্বালিয়ে দিতে, কেউ কি নেই একটি গগনবিদারী চিৎকার দেবার ... “আয় তোরা ... ”]

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

রমিত বলেছেন: তথ্য-উপাত্ত দিয়ে দেখিয়েছিলাম যে, এই জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে সত্যিকার অর্থেই গর্ব করার মতো কোন অর্জন নেই, নেই কোন সুউচ্চ কীর্তিগাঁথা। প্রাচীন বিশ্ব থেকে শুরু করে মধ্যযুগ পেরিয়ে রেনেসাঁ, শিল্প বিপ্লব, উপনিবেশকাল মায় এই আধুনিক কালেও সভ্য মানুষের যাপিত জীবনের সকল শাখা-প্রশাখায়, গলি-ঘুঁপচিতে বাঙালি একটি দীনহীন জাতি হিসেবেই করুণভাবে টিকে ছিল এবং আছে – আমরা না চাইলেও এটিই ইতিহাসের অমোঘ সত্য। বাণিজ্য-অর্থনীতি-বিজ্ঞান-দর্শন-সংস্কৃতি-সাহিত্য-ক্রীড়া-রাজনীতি-মূল্যবোধ, মূল্যায়নের প্রতিটি নিয়ামকের তলানিতে বাঙালির বেদনাদায়ক অবস্থান।

আপনার কথা ঠিক নয়। আজ আমার সময় কম। দুয়েক দিনের মধ্যেই তথ্য-উপাত্ত দিয়ে আমি আরেকটি আর্টিকেল লিখে আমার কথার প্রমান দেব। আপাততঃ নিম্নোক্ত আর্টিকেলটি পড়ুন।
Click This Link

২| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যাঁ থুতু দেয়া যেতেই পারে।

ঐ জামাত শিবির এবং রাজাকারদের ঘৃনা করার জন্য আমার কোন রাজনৈতিক পরিচয় থাকার দরকার নেই। আমি একজন বাংলাদেশী হিসেবেই আমি এদেরকে প্রচন্ড ঘৃনা করি। আমৃত্যুর আমি তাদের ঘৃনা করে যেতে চাই। আরো মনে রাখবেন, যেদিন আমরা এদেরকে ঘৃনা করার জন্য কোন রাজনৈতিক পরিচয় থাকা বাধ্যতামূলক করে দিব, সেদিনই বুঝবেন আমরা একটি নিকৃষ্ট জাতিতে পরিনত হয়েছি। রাজাকারদের কোন দল নেই। শুয়রদের কোন দল থাকতে নেই।

আমি তীব্র নিন্দা জানাই আমার কষ্টের ট্যাক্সের টাকায় রাজাকারের আজীবন ভরন পোষনের। আমি তীব্র নিন্দা জানাই এই প্রহশনের। আমার ট্যাক্সের টাকা ঐ অবহেলিত মুক্তিযোদ্ধাকে দেয়া হোক, যিনি কিনা সামান্য দুই বেলা দুই মুঠো খাবারের জন্য রিক্সাচালান, ভিক্ষা করেন। মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। যে জাতি তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান করতে জানে না, তারা পৃথিবীর সবচেয়ে কলংকিত জাতি আর আমি কোন কলংকিত জাতির সন্তান হতে চাই না।

৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪

আমিনুর রহমান বলেছেন:


নিজের মুখে থু থু দেয়া ছাড়া সম্ভবত আমাদের আর কিছু করা নেই। নিজ দেশে আজ আমরাই পরাধীন। ঘাতকদের কথায় এদেশ চলছে এখন। আমাদের বড় দুইদলই তাদের হাতে জিম্মি !!!


একক দল হিসেবে ঘাতক জামাতীদের ক্ষমতায় আসার অপেক্ষায় রইলাম ...

৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

সর্বনাশা বলেছেন:


@রমিত, প্লীজ, দ্রুত প্রমাণ করুন। তাহলে সবচেয়ে যে ব্যক্তিটি বেশী খুশী হবে, সে হচ্ছি আমি। স্বজাতির এই লজ্জা আর বইতে ভাল লাগে না।

তবে, ১৫ জুলাই এর আমাদের মহান অর্জন নিয়েও কিছুটা আলোকপাত করবেন আশা রাখি। এই কীর্তিও কম না !

৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

রমিত বলেছেন: Use of Mathematics in Business in the ancient and mediaeval Bangladesh
আমার উপরোক্ত আর্টিকেলটি কি পড়েছেন?

, “বাঙালির আত্মপ্রতিকৃতিঃ কীর্তিহীন এক জাতিসত্ত্বা” শিরোনামে লেখা আপনার আর্টিকেলটি আমি খুলতে পারছি না

৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১

সর্বনাশা বলেছেন:

@রমিত, আমার লিংকটি কি কাজ করছে না ? যদি কষ্ট করে আমার ব্লগে যেয়েঁর১৩ জুন ২০০৯ এর লেখাটি দয়া করে দেখে নিতেন।

আপনার লিংকটিও আমি প্রথমে খুলতে পারিনি। পড়ে নিচ্ছি সময় করে।
অনেক ধন্যবাদ।

৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

লেখোয়াড় বলেছেন:
এক বৎসরেরও বেশি সময় পর আপনার লেখা দেখলাম।
কোথায় ছিলেন এতদিন?

গত বৎসরের সেই ভীষণ দিনগুলির কথা ভুলিনি।
লজ্জিত সত্ত্বা নিয়ে দিন বয়ে চলেছি, আমরা এত অসহায় কেন বলতে পারেন?

একটি অসাধারণ লেখা নিয়ে হাজির হলেন, স্যালুট ব্রাদার।
প্রতিদিন আমাদের অনেক কাজ, অনেক কথা, সেসব বলতে হবে সমাজকে, অমানুষকে বদলানোর জন্য, থামলে চলবে না।

জামাত-শিবিরকে ঘৃণা করার জন্য হিন্দু, মুসলমান বা বাঙালী হওয়ার দরকার নেই, মানুষ হলেই চলবে।

ফিরে এসেছেন দেখে ভাল লাগল।
থাকুন, লিখুন, ভাল থাকুন।

৮| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৯

সর্বনাশা বলেছেন:

লেখোয়াড় ভাই, স্যালুট আপনাদের, যারা নিরন্তর লিখে চলেছেন এই ঘূণে ধরা সমাজকে পরিবর্তনের অক্লান্ত চেষ্টায়।

আর পারি না ভাই, আর পারি না।

জামাত-শিবিরকে ঘৃণার কথা জানি না, শুধু বোঝার চেষ্টা করছি, এই বাংলাদেশ বা বাঙালি জাতি না, মানব ইতিহাসের এক ভয়াবহ অপরাধী এতটুকুও অনুতপ্ত না হয়ে কিভাবে পার পেয়ে যায়।

কারো কি কিছুই বলার নাই ???? কিছুই না ... আমার মতো নপুংসকদের কথা না হয় বাদ দেন, আপনাদের মতো সাহসী মানুষেরা আজ কোথায় ? একটা আর্ত চিৎকার দেবার মতো একজনও কী নেই এই পোড়ার দেশে ???

৯| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৮

সর্বনাশা বলেছেন:

@কাল্পনিক_ভালবাসা ভাই, আমি কোন, কারো রাজনৈতিক পরিচয় খুঁজতে যাইনি। জাতি হিসেবে এমন এক নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর কথা বলছি, যার প্রতিনিধিত্ব আমি নিজেই করি। এই জাতি তার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জনকে ধুলিসাৎ করছে নিজ হাতে।

আমার আফসোস, আমার জীবদ্দশায় চর্মচক্ষে এটি আমাকে দেখে যেতে হচ্ছে, অসহায়, নিরুপায় হয়ে । আপনাদের মতো মানুষদের ওপর আস্থা রেখেছি অনেক সময়। আমাদের মতো বৈষয়িক গৃহপালিত মানুষেরা আপনাদের ডাকের অপেক্ষায় কান পেতে থাকি, যাতে করে আমাদের সন্তানদের কাছে অন্তত এটুকু বলতে পারি যে, তোদের পিতৃপুরুষ, পূর্বপুরুষদের মাঝেও কেউ কেউ ছিল, যাঁরা রক্তের সাথে বেঈমানী করে নাই, যাঁরা জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছে সেই বাণীটি ... "জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়"।

গোলামের মুক্তির মধুচন্দ্রিমা দেখার আগে আমি আমার বাঙালিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।

১০| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪০

আলাপচারী বলেছেন: ভেবে দেখি।

১১| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১০

সর্বনাশা বলেছেন:

@আলাপচারী, চলেন সবাই মিলে ভাবতে বসি। এত্ত বড় একটা কাজ করে ফেললাম, না চাইতেই পৃথিবীর সবথেকে বড় ইবলিসের একটাকে ক্ষমা করার মতো মহত্ত্ব দেখাতে পারলাম, চলেন এই সুখে সব বাঙালি মিলে একসাথে ভাবতে বসি।

১২| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৯

সর্বনাশা বলেছেন:

@আমিনুর রহমান ভাই, ঠিকই বলছেন। নিজের গায়ে যখন কেরোসিন ঢেলে আগুন দিতে পারছি না, তখন নিজের মুখে থু থু দেয়া ছাড়া আর কিই বা আমরা করতে পারি ! গোলামের গুপ্ত-প্রকাশ্য কোন প্রকার কেশাগ্র তো আমরা স্পর্শ করতে পারব না, যেহেতু দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাবান দুইজন সেটার হেফাজতের দায়িত্ব নিয়েছেন, তখন আমাদের মতো আমজনতার আর করার কি আছে।

ইয়ে, মানে ... সামনের বার আল্লামা গোলাম আযমকে দেশের রাষ্ট্রপতি করার প্রস্তাবটা কেমন বলে আপনার মনে হয় ?

১৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১২

আমিনুর রহমান বলেছেন:


আমি আজ এক ব্লগারকে বলছিলাম যে জামাত-শিবির তো রাজাকার-ঘাতক এদেরকে ঘৃনা করতেও আমার ঘৃনা হয় কিন্তু আমাদের বড় দুই দল যে গত ৪২ বছর এদের লালন-পালন করল তাদেরকে কি করা উচিত !!! উত্তর কই পাই ?

আমাদের দেশ-নেত্রী আর আপোষহীন নেত্রী দুজনের জন্য ছোট্ট একটা অনুরোধ - আপনাদের উদ্দেশ্য তো এক ও অভিন্ন শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়া, তাহলে কেন ভোটাভুটি করে টাকা নষ্ট করছেন, দেশটাকে সমান দুই ভাগ করে দুজন দুইপাশে ক্ষমতা নিয়ে বসে থাকেন। তাও আমাদের ক্ষেমা দেন। খাই বা না খাই আর অপমানিত হতে চাই না আর। দয়া করে ঘাতক-দালালদের ফাঁসি নিয়ে আমাদের লজ্জা মুক্ত করেন। তাতে সারাজীবন আপনাদের গোলাম হতে ও রাজি আছি ...


আল্লামা গোলাম আযমকে দেশের রাষ্ট্রপতি করার প্রস্তাবে আমার সহমত রইল !!!

১৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আমি কষ্ট করে চাকরী করে যা আয় করি সেখান থেকে সরকারকে ট্যাক্স দেই। অথচ সেই টাকা দিয়ে একজন জানোয়ার পালা হবে যে কিনা দেশের স্বাধীনতা চায়নি। আর যারা আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে তারাই তিন বেলা খেতে পায় না ঠিক মত। অথচ দেশে মুক্তিযোদ্ধা নামক একটি মন্ত্রনালয় নাকি আছে আবার এই নামে সংগঠন আছে একটি তাদের কাজটা ঠিক কি ? আমি আমার ট্যাক্সের টাকার সঠিক ব্যবহার চাই আর যদি তা দেখতে না পাই তাহলে শুধু থু থু কেন পানের পিক ফেলতে চাই ।

১৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৯

সর্বনাশা বলেছেন:

@কাণ্ডারী অথর্ব ভাই, বিশ্বাস করেন, গত বছর ধার করে আমাকে ইনকাম ট্যাক্সের টাকা দিতে হয়েছে। আমার রক্ত পানি করা উপার্জনের অর্থ আমি সরকারকে দেই, আর তা দিয়ে আমাদের সরকার ...

-- সেই ট্রাইব্যুনাল চালায়, যেই ট্রাইব্যুনাল এতটাই মানবিক যে, গোলাম নিজে লজ্জিত না হলেও ট্রাইব্যুনাল তাকে ফাঁসি দিতে লজ্জা পায়

-- শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে রেখে অসুরটাকে মধু খাওয়ায়

আর আমরা তা দেখে বিমলানন্দ পাই।
আহা, বেশ, বেশ, বেশ ...
আহা, বেশ, বেশ, বেশ ... ওয়াকক্

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.