নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তবে একটা সময় নারীরা বুঝতে পারে তারা নির্যাতিত হচ্ছে এবং পুরুষরা তাদেরকে পুতুল বানিয়ে রেখেছে তারা তাদের মর্যাদা পাবার জন্য তখন মাঠে নামে। বহু আন্দোলনের পর শতাব্দীকাল আগে তারা নারী পুরুষের সমান মজুরীর দাবী আদায় করতে সমর্থ হয়। তবে আমাদের মত দেশগুলোতে এখনও সমান মজুরী সুপ্রতিষ্ঠিত হয়নি। বিগত ১ হাজার বছরের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে নারীর অবস্থা ছিল সবথেকে শোচনীয়। বিবাহিত নারীকে কাজ করে তার সন্তানকে লালন-পালন করতে হতো। পুরুষ দায়ীত্ব এড়িয়ে গেছে সব সময়। সমাজ ছিল পুরুষের পক্ষে। নারী পুরুষের মত যুদ্ধের ময়দানে শক্তিমত্তা প্রদর্শন করতে পারে না, তাই সে ধিকৃত, অযোগ্য। সে শুধু দাসী হয়েই বাচঁতে পারে। পুরুষের দয়াই তার পাথেয়। এ নীতিই সুপ্রতিষ্ঠিত ছিল।
আজকের দিনে যেসব দেশকে আমরা তারকা জ্ঞানে অনুসরণ করি তাদের নারীদের অবস্থা এখনও ভাল নয়। আমরা শুধু মিডিয়ার প্রচারণায় বিমোহিত, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্নতর। পৃথিবীতে মার্কিনিরা সবথেকে বেশী পরিমানে স্ত্রী নির্যাতন করে। কিছুদিন আগে এ রেকর্ড ছিল জাপানের কাছে। তাদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষী বাহিনীও সামান্য সুযোগ পেলেই তাদের নারীদের ধর্ষণ করতে ভুল করে না। ২০০৬ সালে আমেরিকার কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবলে পড়া মানুষদেরকে খাদ্য,পানি ছাড়া যে বিষয়ে সবথেকে বেশী চিন্তিত,আতঙ্কিত দেখা গেছে তা হলো ধর্ষণ। সেখানে তাদের সামরিক বাহিনীর ভূমিকা দেখে মনে হচ্ছিল-তারা ধর্ষণের উৎসবে যোগ দিতে এসেছে। এর কিছুদিন আগে একটি অঙ্গরাজ্যে কয়েকদিন বিদ্যুৎ ছিল না,তখন নারীদেরকে সবথেকে বেশী আতঙ্কগ্রস্ত দেখা গেছে ইজ্জত সামলানোর ব্যাপারে। তারা ঘরে থাকতে পারছিল না, কারণ বিদ্যুৎ ছাড়া তাদের যান্ত্রিক জীবন প্রায় অচল,আবার বাইরে আসতে পারছিল না, কারণ গণ ধর্ষনের ভয়। আমরা দেখেছি আইন শৃঙ্খলা রক্ষী বাহিনীকে তারা বিশ্বাস করতে পারেনি তাই রাস্তায় শুয়ে থাকা মানুষদের কিছু অংশ নিজেদের পাহারায় নিযুক্ত ছিল। এ চিত্র শুধু মার্কিন মুলুকের নয় গোটা পাশ্চাত্য সমাজের। সেখানে নারী দামী সামগ্রী ব্যবহার করছে বটে তবে সেখানে নারীর সত্ত্বা সবথেকে সস্তা। তবে তাকে এমন বুদ্ধিবৃত্তিক উপায়ে ব্যবহার করছে যে, নারীদের কিছু অংশ ভাবছে তারা অধিকারপ্রাপ্ত হয়েছে।
চলছে.....
২| ১৭ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চলুক সাথেই আছি
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ৭:৩১
আল্লামা ইকবাল বলেছেন:
সেখানে নারী দামী সামগ্রী ব্যবহার করছে বটে তবে সেখানে নারীর সত্ত্বা সবথেকে সস্তা। তবে তাকে এমন বুদ্ধিবৃত্তিক উপায়ে ব্যবহার করছে যে, নারীদের কিছু অংশ ভাবছে তারা অধিকারপ্রাপ্ত হয়েছে।