নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব... নচেত চুপ থাকিব...

সত্য তখনই দাম পায়, যখন তার পাশে মিথ্যা নামক অদৃশ্য বস্তুটি স্থান পায়......

নহে মিথ্যা

নহে মিথ্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সব থেকে দ্রুত গতির ১৫টি উড়োজাহাজ

০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৩৪

গতির মধ্যে যে কেমন এক উন্মাদনা লুকিয়ে আছে তা নিজে অনুভব না করলে বলে বুঝানো যাবে না। আর মানুষ সব সময় যেন এই উন্মাদনার পিছে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে। তাইতো বিভিন্ন সময়ে মানুষ এমন যান বানাবার চেষ্টা করেছে যা প্রতিবার দ্রুততার সীমাকে করেছে লংঘন। তবে এই সীমা লংঘনের ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি এগিয়ে আছে উড়োজাহাজ গুলি। আর তাইতো মানুষের তৈরি এই উড়োজাহাজ গুলি সব যানের মধ্যে সব থেকে বেশি গতিশীল। আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব এমন ১৫টি উড়োজাহাজের সাথে যে গুলি গতির সীমার লংঘন করেছে বৃদ্ধা আংগুল দেখিয়ে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।







০১) X-43:

অনেকে বলে ইতি মধ্যে এই উড়োজাহাজের অস্তিত্ব আছে আবার অনেকে বলে নেই, তবে আছে শুধু পরিকল্পনার মাঝে। আবার অনেক সামরিক বিমান বাহিনীর সদস্য দাবি করেছে মাত্র ৯০ মিনিটে চাঁদেকে প্রদিক্ষন করে পৃথিবীতে ফিরে এসেছে এই X-43 উড়োজাহাজ। আছে কি নেই তার প্রমান এখন পর্যন্ত নেই; হয়ত আছে এড়িয়া ৫১ এর মত গোপন কোন জায়গায়। কিন্তু সে যাই হোক কাগজ কলমে বা নকশায় কিন্তু এই প্লেন আছে ভবিষ্যতে উড়বার আশায়। এই প্লেনের গতির তুলনা পৃথিবীর অন্য কোন যানের সাথে করা চলে না। এই প্লেনের গতি শব্দের গতির থেকে দশ গুন বেশি, আর গাণিতিক ভাষায় বললে মাক ৯.৮। যদি এই প্লেনের অস্তিত্ব থেকে থাকে তাহলে এটি বিশ্বের সব থেকে দ্রুত গতির উড়োজাহাজ। আর অস্তিত্ব না থাকলেও ভবিষ্যতের সব থেকে দ্রুত উড়োজাহাজ কেননা এটি বানাবার পরিকল্পনা অনেক আগেই নিয়েছে আমেরিকার সামরিক বিমান বাহিনী।







০২) X-15:

মনুষ্যবাহী সব থেকে দ্রুতগতির উড়োজাহাজ হচ্ছে এই X-15। এটির গতি মাক ৬.৭ অর্থাৎ শব্দের গতির ৭ গুন বেশি গতিতে ছুটতে পারে X-15।







০৩) SR-71 Blackbird:

আমেরিকার বিমান বাহিনীতে এই বিমানের ব্যাবহার রয়েছে। এই SR-71 Blackbird এর গতি মাক ৩, আর এটি তৈরি করা হয় ১৯৬৪ সালে এড়িয়া ৫১ এ। এটি এত দ্রুত গতিতে উড়ে যায় যে একে নিশানা করে যদি কোন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয় তাহলে এই উড়োজাহাজের একটুও দিক পরিবর্তন না করে শুধু মাত্র সোজা উড়ে গেলেই চলবে, কেননা এর গতির সাথে পারবে এমন ক্ষেপনাস্ত্র এখনও আবিস্কারই হয়নি।







০৪) Xb-70 Valkyrie:

নিউক্লিয়ার বোমা বহন করতে সক্ষম এই বিমান শব্দের তিন গুন দ্রুত গতিতে ছুটতে পারে। এই বিমান তৈরি করা হয় ১৯৬৪ সালে।







০৫) Mig 31 Foxhound:

এই উড়োজাহাজ ব্যাবহার করা হয় রাশিয়া এবং কাজাকিস্থানের সামরিক বিমানবাহিনীতে। এর প্রতিটির মূল্য ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আর এই উড়োজাহাজের গতি প্রতি ঘন্টায় ৩০০০ কিঃমিঃ







০৬) Mig 25 Foxbat:

রাশিয়ায় তৈরি এই উড়োজাহাজ চলতে পারে শব্দের গতির তুলনায় ২.৮ গুন দ্রুত গতিতে আর এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১৮,০০০ ফুট উঁচুতে উড়তে সক্ষম।







০৭) F-15 Eagle:

McDonell Douglas F-15 Eagle এই উড়োজাহাজের গতি মাক ২.৭। এটি ১৯৭০ সাল থেকে ইসরাইল, আমেরিকা, জাপান এবং সৌদি আরবের বিমান বাহিনীতে ব্যাবহৃত হয়ে আসছে।







০৮) X-1:

X-1 উড়োজাহাজের কথা না বললে যেন লেখাটাই অসম্পূর্ন থেকে যাবে। কেননা এই X-1 উড়োজাহাজে করে মানুষ সর্ব প্রথম শব্দের গতি টপকে গিয়েছিল। এটি ছিল আমেরিকার আরেকটি গোপন কার্যক্রম। যা সম্পর্কে তৎকালীন সময়ে কাউকেই জানতে দেওয়া হয়নি।







০৯) Su-24 Fencer:

রাশিয়ার তৈরি এই উড়োজাহাজে সবার প্রথম ডিজিটাল প্ররিব্রমন ব্যাবস্থা এবং ডিজিটাল নিশানা করার প্রযুক্তি ব্যাবহার করা হয়। বর্তমানে এই বিমান রাশিয়া এবং ইরানের সামরিক বিমান বাহিনী ব্যাবহার করে।







১০) Mig-23 Flogger:

Mikoyan-Gurevich Mig-23 Flogger নামের এই উড়োজাহাজ তৈরি করা হয় সোভিয়েত শাষন আমলে ১৯৬৭ সালে। বর্তমান সময়ে এই বিমান সিরিয়া, লিবিয়া এবং কিউবার সামরিক বিমান বাহিনীতে ব্যাবহার করা হয়।







১১) Su-27 Flanker:

১৯৮৪ সালে সোভিয়েত শাষনা আমলের সময় রাশিয়াতে এই বিমান তৈরি করা হয়। এই বিমানে ২ জন চালক বসার ব্যাবস্থা আছে।







১২) F-14A Tomcat:

Grumman F-14 Tomcat উড়োজাহাজে ব্যাবহার করা হয়েছে দু'টি ইঞ্জিন। আর এর সর্বোচ্চ গতি মাক ২.৩৪। এই উড়োজাহাজ বর্তমানে শুধুমাত্র ইরানের সামরিক বিমান বাহিনী কতৃক ব্যাবহৃত হচ্ছে।







১৩) F-106 Delta Dart:

আমেরিকার তৈরি এই উড়োজাহাজকে বলা হয় "Ultimate Interceptor", বর্তমান প্রজন্মের সকল ড্রোন এই উড়োজাহাজের নকশায় বানানো হয়েছে।







১৪) English Electric Lightening:

এটা মনে হয় ইংল্যান্ডের তৈরি এক মাত্র উড়োজাহাজ যা শব্দের গতির সীমা অতিক্রম করে লিষ্টে জায়গা করে নিয়েছে। এই উড়োজাহাজের গতি মাক ২.৩ আর এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭৫,০০০ ফুট উচ্চতায় উড়তে সক্ষম।







১৫) Tornado ADV:

Panavia Tordnado ADV এর গতি মাক ২.২ অর্থাৎ শব্দের গতির দিগুন। এই বিমান মূলত আকাশ সীমা প্রতিরক্ষার খাতিরেই বেশি ব্যাবহার করা করা।



লেখাটি প্রথম এখানে লিখে ছিলামে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
F15, F14, Mig23 ও Tornado ছাড়া সব বিমানই অবসোলেট। ডিকমিশনড করা হয়েছে অনেক আগেই

তবে তালিকায় ম্যাক 2.2 স্থান পেল কিন্তু ম্যাক 2.6 এর মিগ২৯ স্থান পেলনা কেন?
এই বিমান তো এখনো অপারেশনাল। রাশিয়া, লিবিয়া, ভিয়েতনাম, ইরান, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ব্যাবহার করছে।

ব্যাপক ব্যাবহৃত ও সবচেয়ে কার্যকর F18 ও আপনার তালিকায় নেই।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১৬

নহে মিথ্যা বলেছেন: ধন্যবাদ... আপনার মন্তব্য পড়ে বেশ ঘাবড়ে গেছি... দেখি কতটুকু গ্রুনযোগ্য প্রতি উত্তর দিতে পারি...

প্রথমত, ঠিক বলেছেন অনেক গুলি বর্তমানে ব্যাবহার হচ্ছে না বা ভবিষ্যতে হবে। তালিকা নির্বাচনের সময় আমি খেয়াল রেখেছি গতীর উপর, তবে শুধু গতীর উপর তা নয়, কোন বিমান গুলি ইতিহাসের সব থেকে গুরুত্বপূর্ন অংশ ছিল। যেমন X-1, এটাকে তালিকার বাইরে রাখাটাই অন্যায় কেননা এই বিমানে প্রথম মানুষ শব্দের থেকে গ্রুত গতীতে ছূটে গিয়েছিল।

২য়ত, MiG 29 বা Mikoyan MiG-29, এটার নাম লিষ্টে না রাখা বেশ অন্যায়ের কাজ কিন্তু ভাই এই MiG-29 এর আবার দুটা সিরিজ আছে, MiG-29K এবং MiG-29M, আপনি কোনটার কথা বলেছেন?

Mikoyan MiG সিরিজে এপর্যন্ত ১৬টা মডেলের যুদ্ধ বিমান সফলতার সাথে বিভিন্ন দেশের বিমান বাহিনীতে কাজ করছে সেই ১৯৪০ সাল থেকে। আর সর্বোশেষ MiG-35D তৈরি হয়েছে মাত্র তিনটা তাই একে আর লিষ্টে না রেখে Mig 31 Foxhound কে রেখেছি... তবে কয়েকটি পুরাতন MiG এর কথা উল্লেখ করতে অনেকটা বাধ্য হয়েছি কেননা তাদের গতীর জন্য।

আপনি যেহেতু বিমান সম্পর্কে বেশ জানেন তাই একটু দেখলেই বুঝে যাবেন কেন লিষ্টে এই নাম গুলি রেখেছি।

সব শেষে ভাই এগুলা আমার বানানো লিষ্ট... আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত কোন লিষ্ট না... তাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন...

পড়ার জন্য আর পড়ে অন্ধের মত বিশ্বাস না করে আপনার মতামত জানাবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ... :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.