![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অ্যান্ড দি অস্কার গোজ টু… ‘জুলিয়ান মুর!’ ইন বেস্ট অ্যাকট্রেস ক্যাটাগরি!
নাহ, জুলিয়ান মুর আসলে সেরা অভিনেত্রী নন। প্রতিটা নারীই নিজ নিজ জীবনে অভিনেত্রীর ভূমিকা পালন করে যায় আর এতটা নিখুঁত অভিনয়ে নিজেকে জড়িয়ে নেয় যার কদর একটা অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড দিয়ে নির্ধারন করা যায় না। যাবে না। এই অভিনয় পুরস্কারের উর্ধে।
অভিনয় আসলে মিথ্যে কথা বলার শিল্প বই আর তো কিছু নয়।
শুরুটা হয় শৈশব পেরোনর পর থেকেই। ১২-১৪ বছর বয়স থেকে পিরিয়ড শুরু হওয়ার পরেই একটা মেয়ে বুঝে যায় সে আলাদা। হঠাত সহপাঠিনী অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই পাশের বেঞ্চের ছেলেটি জানতে চায় কি হল? মিথ্যে কথার শুরুটা সেখানেই। কারন সব কিছু সবাইকে বলা যায় না, বলতে নেই।
স্কুলে যাওয়ার পথে বখাটে ছেলেপিলে গুলোর ছুঁড়ে দেয়া অশ্লীল মন্তব্য শুনতে না পারার ভান করে হন হন করে হেটে যায় তেলমাখা বেনী বাঁধা মেয়েটি। কিচ্ছু শোনেনি সে।
একটা ডিম দুভাগ করে ছেলেমেয়ের প্লেটে তুলে দেয় মা নিজের খাবারের চিন্তা ভুলে। হয়ত মুখে লোকমা তুলতে গিয়ে ছোট ছেলেটি জিজ্ঞেস করে বসে- ‘মা তুমি খাওনি?’
মুচকি হাসির সাথে উত্তর আসে- ‘আমি তোদের আগে খেয়েছি। তোরা খা।’ নিশ্চিন্তে হাল্কা পোড়া ডিমভাজা ভাতের সাথে মেখে মুখে পুরে দেয় সন্তানেরা। পাশে বসে তাতেই যেন তৃপ্তি মেটে জননীর।
বসুন্ধারা সিটির দেশী দশের চকচকে লাইটের আলোয় লাল পাড় দেয়া শাদা শাড়িটার দিকে মুগ্ধতা মাখা দৃষ্টিতে তাকায় হয়ত সদ্য বিবাহিত তরুণীটি। হাতের মেহেদীর রঙ মোছেনি এখনো। কিন্তু কিনলে মাসের খোরাকির টাকা থাকবে তো? হাসি মুখে লিফট বেয়ে নিচে নেমে ছোটে মধ্যবিত্তের মার্কেটে। যেন লাল-শাদা শাড়িটা চোখেই পড়েনি। শখের মূল্যের চাইতে মূল্য বেশি সঙ্গীর আর্থিক দীনহীনতার চিন্তার।
জীবনসঙ্গীর সাথেই জীবনটা শুরু করে মেয়েরা অভিনয় দিয়ে। বাবা-মার মুখের হাসির জন্য হয়ত নিজের পছন্দের মানুষটাকে জোর করে কান্নাভেজা বিদায় জানাতে বাধ্য হয়; আর ঠিক তারপরেই বসে পড়তে হয় হাতে মেহেদী মেখে বউয়ের সাজে। কেউ জানবে না ‘হ্যা’ বলতে গিয়ে সে কতটুকু ত্যাগ স্বীকার করেছে নিজের ভালোবাসার।
বাসর ঘরে বৈধতার সার্টিফিকেট দেখিয়ে লাইটের সুইচটা অফ করে এগিয়ে আসে সদ্য পরিচিত হওয়া মানুষটি যাকে পাওয়ার কথা ছিল না; কিন্তু ভাগ্যের ফেরে ঘরে আজকে সে-ই।
অভুক্ত বাঘকে যখন খাঁচার ফাঁক দিয়ে মাংস ছুঁড়ে দেয়া হয় তখন বাঘের অন্যদিকে হুঁশ থাকে না। মাংসের স্বাদ আস্বাদন করতে উম্মাদ হয়ে পড়ে বাঘ। মাংসের প্রমাণ হিসেবে রয়ে যায় রক্ত মাখানো হাড়ের টুকরো গুলো।
তেমনি কামনার ক্ষুধা নিবারণ করার জন্য লাল শাড়ি পড়া মাংসপিন্ডটা ছাড়া তখন ঘরে কেউ থাকে না। হাতের পেষণে পিষ্ট হয় শরীরের নরম অংশ গুলো। প্রমাণ হিসেবে রয়ে যায় সদ্য সতীত্ব হারানোর তীক্ষ্ণ ব্যথা আর শরীরের ভাঁজে ভাঁজে জমা হওয়া ঘামের ফোঁটা গুলো।
আর এত কেবলই শুরু।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৯
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: ভবিষ্যতে আরো গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করব। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:১৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অভুক্ত বাঘকে যখন খাঁচার ফাঁক দিয়ে মাংস ছুঁড়ে দেয়া হয় তখন বাঘের অন্যদিকে হুঁশ থাকে না। মাংসের স্বাদ আস্বাদন করতে উম্মাদ হয়ে পড়ে বাঘ। মাংসের প্রমাণ হিসেবে রয়ে যায় রক্ত মাখানো হাড়ের টুকরো গুলো।
সামুর লিখা গুলিকেও এমনিভাবে গোগ্রাসে পাঠ করতে ইচ্ছে জাগে ।
ভাল লাগল লিখাটি ।
শুভেচ্ছা রইল ।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৭
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: এমন বা এর চাইতে উৎকৃষ্ট লেখার সমারোহ আমাদের এই সামু। খুঁজতে থাকুন, দেখতে থাকুন, পড়তে থাকুন। সময় কোনদিক দিয়ে চলে যাবে টেরও পাবেন না।
লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ রইল আপনাকে।
৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর প্রতিউত্তরের জন্য ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭
সুমন কর বলেছেন: আরো একটু গুছিয়ে লিখতে পারতেন।
ভালো হয়েছে।