![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেতন দেরিতে হওয়ায় ১০ তারিখের মধ্যে এমাসে ভাড়া দিতে পারি নি। প্রতি মাসে ৫ - ৬ তাররিখের মধ্যে ভাড়া দিয়ে আসাতে বাড়ি ওয়ালাকে ১১ নভেম্বর এ ভাড়া দিতে চাইলে তিনি হাসি মুখেই মেনে নিলেন।
১১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬ টা বা ৬.৩০ হবে, অফিস থেকে বের হয়ে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ২ নং গেটের দিকে বুথ থেকে টাকা তুলতে যাচ্ছি। আমি রাস্তা পার হতে খুব ভয় পাই, এককথায় অপটু বলা চলে। ১ নম্বর গেটের সামনে যেয়ে দেখি রাস্তা ফাঁকা, সেই সুযোগে চট করে রাস্তা পার হলাম।
ফুটপাত দিয়ে কিছুদূর যেতেই দেখি মাঝবয়সী এক মহিলা অর্ধনগ্ন অবস্হায় একটি বাচ্চা কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। প্রথমে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আর একবার তাকিয়ে নিশ্চিত হলাম যে ভুল ভাবি নি। মাথা টা ঘুরে গেল কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। কয়েক পা এগিয়ে একপাশে দাঁড়িয়ে রইলাম, আর ভাবতে লাগলাম কি করা যায়। চট করে মাথায় একটা বুদ্ধি এলো, আমি আবার হিজাব ছাড়া বের হই না, তো ভাবলাম হিজাবটা খুলে মহিলাটাকে দিয়ে ওড়নাটা মাথায় পেঁচিয়ে বাসায় যাবো। হিজাবের পিন খুলে হিজাবটা খুলতে গিয়ে আর সাহস হলো না। মনের মধ্য একটা ভয় কাজ করতে শুরু করলো, ঐ মহিলাটার তো নিশ্চয় মাথায় সমস্যা তা না হলে তো এভাবে বের হতো না! আমার মনে হলো যদি আমার হাতে কামড় দেয় বা আমাকে পিটুনি দেয়। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম কিন্তু সাহস হলো না। মহিলাটি আমার চোখের সামনে দিয়ে চলে গেল আমি শুধু মাথা নিচু করে থাকলাম! নিজেকে খুব অপরাধী মনে হতে লাগলো, পুরো শরীর কাঁপতে শুরু করলো, আমার কাছে তো পর্যাপ্ত কাপড় ছিলো কিন্তু মহিলাকে দেয়ার সাহস হলো না। ছি! কতটা খারাপ আমি!
আর পা চলতেছিলো না, একটা রিক্সা নিলাম বাসায় যাওয়ার জন্য, যদিও রোজ আমি হেঁটেই যাই।
বারবার একটা কথাই মনে হচ্ছে, ছি আমার সুযোগ থাকা সত্বেও কেন আমি মহিলাটিকে সাহায্য করলাম না! আবার আমি নিজেও একজন মেয়ে! ছি! কেমন করে এমনটা করলাম আমি! ছি!
হে আল্লাহ্ আমায় সাহস দিন, পরের বার এমন পরিস্হিতে পরলে আমি যেন অসহায় মানুষের উপকার করতে পারি।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১২
টিয়া রহমান বলেছেন:
অণুশোচনায় কি হলো, আমি তো সাহায্য করলাম না!
বাসায় যেয়ে নিজের ও মনে হচ্ছিলো যে, আমি সাহায্য করার পর ওখান থেকে দৌড় দিতে পারতাম!
তবে এবার আমি শপথ নিয়েছি পরে এমন কোন পরিস্হিতিতে পরলে অবশ্যই সাহায্য করবো, ইনশা- আল্লাহ্
আপনাদের সাথে শেয়ার করার এটাই উদ্দশ্য যাতে আপনাদের অণুপ্রেরনায় নিজেকে সাহসী করে তুলতে পারি। আসলে ব্লগটা পরিবারের মত! আপনার জন্য ও শুভকামনা।
২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৯
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আপনার চিন্তা ভালো। হয়তো সুযোগ পেলে ভবিষ্যৎ কালে সাহায্য করবেন। এই চেতনা টুকু ধরে রাখুন। আপনার মঙ্গল কামনা করি । ভালো থাকুন
১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪
টিয়া রহমান বলেছেন: ভালো চিন্তা তো মনেই থেকে গেলো, সাহায্য তো করার সাহস হলো না!
তবে এবার আমি শপথ নিয়েছি পরে এমন কোন পরিস্হিতিতে পরলে অবশ্যই সাহায্য করবো, ইনশা- আল্লাহ্
আপনাদের সাথে শেয়ার করার এটাই উদ্দশ্য যাতে আপনাদের অণুপ্রেরনায় নিজেকে সাহসী করে তুলতে পারি। আসলে ব্লগটা পরিবারের মত!
আপনার জন্য ও শুভকামনা।
৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনি একজন ভালো মানুষ।
এ সমাজে ভাঙন ধরেছে, আপনার আমার কিছুই করার নাই।
আমার এমন একটা লেখা আছে, পড়ে দেখবেন----
http://www.somewhereinblog.net/blog/abcd11/30255762
১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২
টিয়া রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার জন্যও শুভকামনা।
৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৩
সুব্রত দত্ত বলেছেন: ভালো আর খারাপের পার্থক্যটা হলো- খারাপ ঐক্যবদ্ধ আর ভালো বিচ্ছিন্ন। আপনি এবং আপনার মতো অনেক ভালোই ছড়িয়েছিটিয়ে আছে আমাদের সমাজে কিন্তু সাহস এবং ঐক্যের অভাবে তারা এগিয়ে যেতে পারে না। তবে এই ঘটনা আপনার ভেতর যে গভীর প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে তাতে আশা করা যায় আপনি পরের বার অবশ্যই সাহায্য করবেন। সেই গল্পটাও লিখবে আশা করি এবং আমাদের সাহস জোগাবেন। ধন্যবাদ।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩
টিয়া রহমান বলেছেন: জ্বি দাদা, এবার আমি শপথ নিয়েছি পরে এমন কোন পরিস্হিতিতে পরলে অবশ্যই সাহায্য করবো, ইনশা- আল্লাহ্
আপনাদের সাথে শেয়ার করার এটাই উদ্দশ্য যাতে আপনাদের অণুপ্রেরনায় নিজেকে সাহসী করে তুলতে পারি। আসলে ব্লগটা পরিবারের মত! আপনার জন্য ও শুভকামনা।
৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপু ,
অল্প কথায় সকালবেলায় আপনার অনুভূতি টি জানালেন । সম্প্রতি কলকাতাতে ব্যাপক জনসচেতনতা শুরু হচ্ছে এই বলে যে কখনো রাস্তার কোন ছোটবাচ্চাকে আপনি আপনার খাবারের কোন অংশ ওকে খেতে দেবেন না। সাধারণত এমন ক্ষেত্রে যদি কোন দয়ালু অভুক্ত কোন বাচ্চাকে খাবার দেয় তাহলে বাচ্চাটি কিছুক্ষণ পর বমি করা শুরু করে এবং পাশে থাকা তার অভিভাবকরা দাতা ব্যক্তিটিকে চেপে ধরে। এটা এক ধরনের ফাঁদ বটে । খাবারের সঙ্গে কি খাইয়ে বাচ্চাটিকে পাচার করার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন করতে থাকে। দাতা ব্যক্তি কোন সদুত্তর দিতে না পেরে শেষে অপরাধী সাব্যস্ত হয় এবং একটা বিরাট পরিমাণ ক্ষতি পূরণের বোঝা নিয়ে কোনোক্রমে রেহাই পায়। রাস্তার বাকি পথচলতি মানুষের কিন্তু কোন একজন মানুষকে নিয়ে হঠাৎ করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না । কাজেই এখন ছোট বাচ্চা বা দরিদ্র মানুষদের উপযাজক হয়ে উপকার করার বিড়ম্বনাও নেহাত কম নয়।
শুভকামনা ভালোবাসা জানবেন।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩
টিয়া রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া,
আপনার মন্তব্য পড়ে আমার নিজের প্রতি রাগটা কমলো।
আপনার জন্য ও শুভকামনা।
৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৪
নীল আকাশ বলেছেন: বাসায় যেয়ে নিজের ও মনে হচ্ছিলো যে, আমি সাহায্য করার পর ওখান থেকে দৌড় দিতে পারতাম! তবে এবার আমি শপথ নিয়েছি পরে এমন কোন পরিস্হিতিতে পরলে অবশ্যই সাহায্য করবো, ইনশা- আল্লাহ্
কষ্টের কোন কারন নেই, আপু। আপনার মনের মাঝে যেটা এসেছে সেটা হলো মানবতা, এটাই আসল কারন। এটাই আজকাল বিবেক থেকে প্রায় হারিয়ে গেছে। মানুষ থেকে আজকাল আমরা পশু শ্রেনিতে পরিনত হওয়া শুরু করেছি। আপনার লেখাটা অনেক অনেক অনুপ্রেরনাদায়ক। আল্লাহ মানুষের বিবেক কে এভাবেই যেন জাগ্রত করে দেয়....আমীন।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮
টিয়া রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬
সৈকত জোহা বলেছেন: ভবিষ্যতে হয়ত কাউকে সাহায্য করার সুযোগ নাও পেতে পারেন। এই ধরনের সুযোগ খুব কম আসে
১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬
টিয়া রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া,
আসলে আমি চাই ও না এমন সুযোগ আমি বা কেউ পাক, আমি চাই সবাই ভালো থাকুক।
৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬
আখেনাটেন বলেছেন: বিষয়টার জন্য আপনি কষ্ট পাচ্ছেন এটা প্রমাণ করে আপানর মধ্যে এখনও মানবকিতা বিষয়টা বেশ ভালো ভাবেই গ্রোথিত আছে।
শহুরে কংক্রিটের জঞ্জালে আমরা বেশির ভাগই শুষ্ক কাঠ হয়ে গেছি অনেকেই।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮
টিয়া রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া,
আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন।
৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২
ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ টিয়া রহমান- আপনাকে একটা পুরানো আরবী প্রবচন বলি।
" If you see a blind man, kick him.
Why should you be kinder than God ? ".
১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০১
টিয়া রহমান বলেছেন: আপনাদের সবার মন্তব্য পড়ে নিজেকে অনেকটা হালকা মনে হচ্ছে, ঐ জন্যই পোষ্ট করলাম যে আপনাদের সবার কাছ থেকে অণুপ্রেরণা ও সাহস পাবো।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
১০| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: চেতনাকে বাঁচতে দিন, সুযোগ আসবে আবারো..
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৪
টিয়া রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য ও শুভকামনা।
১১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: নিজেকে ভালোবাসুন- তাহলেই হবে।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৫
টিয়া রহমান বলেছেন: জ্বি ভাইয়া অবশ্যই নিজেকে ভালোবাসবো, আপনার জন্য ও শুভকামনা।
১২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫২
আহমেদ জী এস বলেছেন: টিয়া রহমান,
সহজ সরল উপলব্ধি ।
সম্রাট ইজ বেস্ট এর সুন্দর করে দেয়া ব্যাখ্যাটি এরকম একটা উপলব্ধির জন্যে যথার্থ । এই অনুশোচনাই হয়ত ভবিষ্যতে আপনাকে এরচাইতে বড় কোন কাজে শক্তি যোগাবে। তার বলা এই কথাটিতে তেমন প্রার্থনাই রইলো ।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৬
টিয়া রহমান বলেছেন: ইনশা আল্লাহ্
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য ও শুভকামনা।
১৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৯
নতুন নকিব বলেছেন:
এই অনুভূতিটুকুকে লালন করে যান। এরই নাম মানবতা। এসবের ভেতরেই লুকিয়ে থাকে মানবিক সহৃদয়তার স্নিগ্ধ অনুভূতি। +++
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৮
টিয়া রহমান বলেছেন: আমরা সবাই যেন ভালোভাবে বাঁচতে পারি।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য ও শুভকামনা।
১৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: কঠিন পরিস্থিতি।
তবে এ শহরে সাহায্যের জন্য ফাঁদ পাতা হয়, সাবধানে থাকবেন আপনার মানবিকতায় আপনি বড়। কিন্তু
যতটুকু পারা যায় সতর্ক থাকা উচিত।
পাদতিক ভাইয়ের সাথে সহমত।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮
টিয়া রহমান বলেছেন: জ্বী ভাইয়া, আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন।
১৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১
রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার চিন্তা ভালো।কিছু না করে ভালই করেছেন। আজকাল সমাজে মানুষকে ধোঁকা দেয়ার জন্য অনেক কিছু করে মানুষ কল্পনা করতে পারবেন না একধরনের ইঞ্জেক্সান ব্যাবহার করে পা ফুলিয়ে কিডনি রোগ হয়েছে বলে ভিক্ষা করে ার উলঙ্গ হয়ে মানুষকে অপ্রিতিকর অবস্থায় ফেলতে এদের জুরি মেলা ভার। নিজেকে দোষী ভাবার কিছুই নাই, দেখুন গিয়ে যে বাচ্চাটা কোলে দেখেছেন ওটা ভাড়া করা বাচ্চা।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩
টিয়া রহমান বলেছেন: জ্বি ভাইয়া, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: নিজেকে ধিক্কার দেয়ার প্রয়োজন নেই। আসলে আমাদের সমাজটাই এমন যে আপনি আগবাড়িয়ে কারো উপকার করতে গেলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিড়ম্বনার শিকার হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাই হয়ত আপনি দোদুল্যমানতায় ভুগছিলেন। কিন্তু আপনার মন খুব করে চাইছিল যে আপনি তাকে সাহায্য করেন। সাহস করে সাহায্য করে ফেললে হয়ত পরিস্থিতি যতটা খারাপ হবে ভাবছিলেন ততটা খারাপ না-ও হতে পারত। তারপরও আপনার মনে অনুশোচনা এসেছে এটাই বা কম কিসে? এই অনুশোচনাই হয়ত ভবিষ্যতে আপনাকে এরচাইতে বড় কোন কাজে শক্তি যোগাবে।
শুভকামনা রইল!