নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিরোনাম হীন

নূরুল আজম

নূরুল আজম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কয়েকটি কমদামী শাকের গুণাগুণঃ

০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

১.কলমিশাকের গুণাগুণ





কলমি হলো একটি জলজ শাক। এর বৈজ্ঞানিক নাম আইপোসিয়া অ্যাকোয়াটিকা। কলমি শাক পুষ্টিগুণে ভরা। এ শাক দারুণ উপকারী। ক্যালসিয়াম থাকায় এটি হাড়ের গঠনকে মজবুত রাখে। আবার লোহা থাকায় এই শাক খেলে রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন এমন রোগী উপকার পাবেন।

ভিটামিন ‘সি’ থাকায় এটি স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আঁশ থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়। কলমির ভেষজগুণও আছে। কলমি শাক খেলে দেহে বসন্ত রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে। মায়েদের স্তনে দুধের পরিমাণ কম থাকলে কলমি শাক খেলে বুকে দুধের পরিমাণ বাড়ে। এ ছাড়াও হিস্ট্রিয়া রোগের বেলায় কলমি শাক ভীষণ উপকারী।





২. কচু শাকের পুষ্টি







কচু একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর সবজি। এ দেশে কচু তেমন সমাদৃত নয় এবং অনেকটা অবহেলার দৃষ্টিতে দেখা হয়। অথচ কচু শাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’, ক্যালসিয়াম, লৌহ ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এ শাক দুই প্রকার যথা :



(১) সবুজ কচু শাক ও

(২) কালো কচু শাক।



খাদ্য উপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম সবুজ ও কালো কচু শাকে যথাক্রমে ১০২৭৮ ও ১২০০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন রয়েছে। এ ক্যারোটিন থেকেই আমরা ভিটামিন ‘এ’ পেয়ে থাকি। এ ছাড়া প্রতি ১০০ গ্রাম সবুজ কচু শাক থেকে ৩.৯ গ্রাম প্রোটিন, ৬.৮ গ্রাম শর্করা, ১.৫ গ্রাম স্নেহ বা চর্বি, ২২৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১০ মিলিগ্রাম লৌহ, ০.২২ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১ (থায়ামিন), ০.২৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ (রাইবোফেবিন), ১২ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ ও ৫৬ কিলো ক্যালোরি খাদ্যশক্তি পাওয়া যায়।



সবুজ কচু শাকের চেয়ে কালো কচু শাক অনেক বেশি পুষ্টিকর। প্রতি ১০০ গ্রাম কালো কচু শাকে ৬.৮ গ্রাম প্রোটিন, ৮.১ গ্রাম শর্করা, ২.০ গ্রাম চর্বি, ৪৬০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৩৮.৭ মিলিগ্রাম লৌহ, ০.০৬ মিলিগ্রাম ভিটামিনি বি-১ (থায়ামিন), ০.৪৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ (রাইবোফেবিন), ৬৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ ও ৭৭ কিলোক্যালোরি খাদ্যশক্তি রয়েছে। দেহের পুষ্টি সাধনে এসব পুষ্টি উপাদানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।



কচু শাকে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকায় এ শাকের লৌহ দেহ কর্তৃক সহজে আত্তীকরণ হয়। প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দেয়া ছাড়াও প্রাচীনকাল থেকে কচুকে বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। মুখী ও পানিকচুর ডগা দেহের ত রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া জ্বরের রোগীকে শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য দুধকচু খাওয়ানো হয়। ওলকচুর রস, উচ্চরক্তচাপের রোগীকে প্রতিষেধক হিসেবে খাওয়ানো হয়। আবার মান কচুর ডগা ও পাতা বাতের রোগীকে খাওয়ানোর প্রথা এ দেশের ঘরে ঘরে প্রচলিত রয়েছে। কচু শাকে পর্যাপ্ত আঁশ থাকায় এটি দেহের হজমের কাজে সহায়তা করে।



মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: বেশি কয়রে শাক খান সব সময় ভাল থাকুন । :)

২| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫১

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল পোষ্ট ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.