![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দেশে একটা চালু কথা আছে। " মইরা গেলে কান্দে সবাই, বাইচা থাকলে জিগায় না।" কথাটা শুনতে লঘু শোনালেও এর অন্তর্নিহিত অর্থটি খুব মর্মান্তিকভাবে আমাদের সমাজের জন্য প্রযোজ্য। দেশের অনেক বরেণ্য মানূষ তার মৃত্যুর পরই যথাযথ মর্যাদা পেয়েছেন।
কিছুদিন আগে প্রয়াত বিশিস্ট নাট্যকার এবং অভিনেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন, জীবন সায়াহ্নে বেশ একাকি হয়ে পড়েছিলেন। তাছাড়া মিডিয়াতেও কোন এক অজ্ঞাত কারণে তার খবরাখবরও তেমন ছিল না। অথচ মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে চারিদিকে হুলুস্থল পড়ে গিয়েছিল। অথচ তাকে প্রায় নিঃশব্দেই চলে যেতে হয়েছিল।
বরণ্যে কিংবা অখ্যাত যেই হোন না কেন, তার শেষকৃত্য তার বিশ্বাসের সাথে মিল রেখেই করা হয়। যেমন মুসলমান, ক্রিস্টান এবং ইহুদিদের কবর দেয়া হয়। আবার হিন্দু, বৌদ্ধ দের শবদাহ করার চল রয়েছে।
এর ব্যাতয়ও ঘটে থাকে অবশ্য। যেমন ঘোষনা দিয়ে ধর্মত্যাগি আমেরিকায় প্রবাসি একজন লেখিকা মিনা ফারাহ, তার অকালে প্রয়াত মুসলমান ধর্মানুলম্বি পুত্রের শবদাহ করেছেন। যা তার পুত্রের ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক কিন্ত মিনা ফারার পৈত্রিক ধর্মের সাথে সামঞ্জশ্যপুর্ণ। তবে কি ধর্ম ত্যাগের কথা বললেও পৈত্রিক ধর্ম ত্যাগ করেননি? যদি তাই হয়, তবে এই ধর্মহীনতার মুখোশ পড়ে আছেন কেন? উত্তরটা তার ইসলাম বিরোধি অশ্লিল কথাবার্তা সম্বিলিত বই পত্রের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব।
ব্লগে অনেকে ঘোষনা দিয়ে ধর্ম সংক্রান্ত পোস্টে মাইনাস প্রদান করে থাকেন। পোস্টদাতার বিরুদ্ধে অশ্লিল মন্তব্যও করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে তাদের নাস্তিক বলেই ধরা উচিত। যদিও তারা ধর্মের বিরুদ্ধেই বলে থাকেন, তবে লক্ষনীয় যে ইসলাম নিয়ে পোস্ট দিলেই সেটার বিরুদ্ধে আক্রমন করলেও, অন্য ধর্ম নিয়ে পোস্ট দিলে এরা অনেকেই বাহবা দিয়ে থাকেন। কিন্তু কেন? অনেকে আছেন যারা ভিন্নধর্মি হলেও নাস্তিকতার আড়ালে এসে ইসলামকে এক হাত দেখে নেন।
এরা মারা যাবার পর, এদের শেষকৃত্য কোন পদ্ধতিতে হবে, সেটা আগাম জানিয়ে দিলে ভালো হয়। শুনেছি, হুমায়ুন আযাদের শেষকৃত্য নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়েছিল। শেষ মেশ কোনমতে চুপিচুপি মাটিচাপা দিয়ে কোনমতে অবস্থা সামাল দেয়া হয়েছিল। ব্যাপারটা নাস্তিকরা ভেবে দেখবেন বলে আশা করি। আর যারা ভিন্নধর্মি হয়েও বিশেষ উদ্দেশ্যে নাস্তিকতার আড়ালে লুকিয়ে থাকেন, তাদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানই বলে দেবে তাদের আসল পরিচয়।
০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:১০
ধীবর বলেছেন: হুম... নিকের প্রথম দুই অক্ষরও দেখি বাইরে আইসা পড়সে।
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:১৩
এস্কিমো বলেছেন: মনে হচ্ছে আপনি একটা ফিউরন্যাল হোম খোলার পরিকল্পনা করছেন।
০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:১৬
ধীবর বলেছেন: সব কিছু নিয়েই যখন ব্যাবসা চলছে, তখন এই আইডিয়াটা মন্দ না। কি বলেন?
৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:১৮
চাচা িময়া বলেছেন: ইহুদিদের কবর দেয়া হয় - এই ব্যাপারে কি আপনি নিশ্চিত ?...কারণ আমি জানি তাদের কে ক্রিমেটোরিয়াম ( বৈদ্যুতিক চুল্লীতে ) পোড়ানো হয়।
৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:২১
চাচা িময়া বলেছেন: দুঃখিত, আপনিই ঠিক ইহুদিদের কবর দেয়া হয় ।
০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:২৭
ধীবর বলেছেন: ধন্যবাদ চাচামিয়া।
৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:৩২
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: যারা নাস্তিক তাদের অনেকেই আরজ আলী মাতুব্বরের মত দেহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রয়োজনে দান করে যান । দেহ কে ধবংশ করে নষ্ট করে দেয়ার চেয়ে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ মানুষের প্রয়োজনে দান করার অধিকতর মহৎ। অনেক সময় পারিবারিক চাপে ধর্মীয় পদ্ধতিতে সৎকার করা ছাড়া উপায় থাকে না ।
=====
একটি বোকা দিবসের কবিতা : Click This Link
০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:৪০
ধীবর বলেছেন: চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিস্তারিত খুব বেশি কিছু জানি না। শুনেছি, মারা যাবার ঘন্টা খানেকের মধ্যেই যদি মৃত ব্যাক্তির কিছু অরগান সরিয়ে ফেলা হয়, তবে সেটা আরেকজনের দেহে প্রতিস্থাপন করা যায়। আরজ আলির মতবাদে বিশ্বাসিদের অনেকেই তার পথ অনুসরণ করা উচিত। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:০৫
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: +। আসলে প্রকাশ্যে ইসলামের বিরুদ্ধে তো কিছূ বলতে পারে না তাই ব্লগে ইসলামের বিরুদ্ধে যেয়ে নিজেদের মন কে মিথ্যা শান্তি দেয় নাস্তিক, কিছু হিন্দু, খ্রীষ্টান ও অন্যরা।
০২ রা এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:৩৭
ধীবর বলেছেন: নাস্তিকদের নিয়ে আসলে কোন সমস্যা নেই। তাদের অনেককেই আমি ব্যাক্তিগত ভাবে চিনি। তারা তাদের মত থাকেন। সমস্যা হলো সেগুলিকে নিয়ে যারা অন্য ধর্মি। কিন্তু ইসলামের নামে বিকৃতি আর কুৎসা রটনার জন্য নাস্তিকতার আশ্রয় নেন। এই ছিল আমার এই লেখার মুল সুর। বোঝাই যাচ্ছে এরা কারুপুষ ও ভন্ড।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:০৮
হোলসেল বলেছেন: