নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নদীর নাম

মুক্ত আকাশ দেখব বলে বয়ে চলা। আকাশ কেন মুক্ত হয় না।

তিতাস একটি নদীর নাম

নদীর মত বয়ে চলা--এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। দিগন্ত দেখা হয় না। কিন্তু উৎস পিছু টানে। ফিরে যেতে পারি না। একবার যার চলন শুরু হয়েছে সে যে আর ফিরে যেতে পারে না। এইতো নদীর নিয়ম।

তিতাস একটি নদীর নাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাগলিঙ্গমঃ পরিচিতি আর কিছু ভ্রান্তিকর তথ্য

০৭ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৩২





বাংলা নামঃ নাগলিঙ্গম

ইংরেজী নামঃ Canon Ball Tree

বৈজ্ঞানিক নামঃ Couroupita guianensis

আরও যে নামে পরিচিতঃ কামান গোলা

আদি নিবাসঃ দক্ষিন আমেরিকা







বৈশিষ্ট্যঃ উচ্চতায় ৩৫-৪০ মিটার পর্যন্ত হয়। আর চওড়ায় ১০ফুট বা আরো বেশী হতে দেখা যায়। অনিন্দ্য সন্দর এই গাছটিতে ফুল এবং ফল একসাথে ফোঁটে। গাছের কান্ড ভেদ করে ফুল ও ফল বের হয়। দর্শনীয় ব্যাপার হচ্ছে ফুল অসাধারন সুন্দর আর ফল আকৃতিতে অনেক বড় (প্রায় ২০ সেন্টমিটার) হয়। নাগলিঙ্গমের ফুল উজ্জ্বল গোলাপি রঙের। ফুলের মাঝের অংশে পরাগচক্র সাপের ফনার মতো বেঁকে থাকে। কাছ থেকে দেখতে অবাক করা সুন্দর। নাগলিঙ্গম নাম হয়েছিল সাপের ফণার মতো বাঁকানো পরাগচক্রের কারণে বলে ধারনা করা হয়। কিন্তু ফল যখন পেকে ফেটে যায় তখন দূর্গন্ধ বের হয়। পাতা লম্বা, ডগা সুচালো। শাখার সঙ্গে প্রায় লেগে থাকে। কাণ্ড ধূসর। ফলে অজস্র বীজ থাকে, তা থেকে চারা তৈরি করা যায়। নাগলিঙ্গম ফলের ঔষধিগুনও রয়েছে। নাগলিঙ্গমের তলা অজস্র পাপড়িতে ছেয়ে থাকে শরতকাল থেকে বসন্ত পর্যন্ত।







বাংলাদেশে নাগলিঙ্গমঃ জনশ্রুতি আছে ময়মনসিংহ জেলার কালীপুরের ততকালীন জমিদার উপেন্দ্র কিশোর রায়চৌধুরী প্রায় দেড়শ' বছর আগে ভারত থেকে ওই নাগলিঙ্গম গাছের চারা এনে তার বাসভবনে রোপণ করেছিলেন। প্রধানতঃ হাতির পেটের অসুখের প্রতিষেধক হিসেবে ওই গাছের কচিপাতা কার্যকর ভূমিকা রাখত বলে জমিদার এ গাছ রোপণ করেছিলেন বলে জনশ্রুতি আছে। আমাজান অঞ্চলের এ গাছটি দেশের প্রতিকূল আবহাওয়ায় বাঁচিয়ে রাখতে জমিদার নিজে মালির সঙ্গে গাছটির পরিচর্যা করতেন। তবে স্থানীয়রা সব সময় মনে করত, এ গাছের ফুল নাগ ও নাগিনী পাহারা দেয়। এ কুসংস্কারের কারণে প্রতি বছর নাগপঞ্চমীতে এ গাছের গোড়ায় পূজা-অর্চনা করে নাগকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করা হতো।







বাংলাদেশের উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের আমাদের দেশে এই গাছটির অবস্থান সম্পর্কে ধারনা আছে কিনা আমার জানা নেই। তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম তথ্য দেন এবং সংবাদপত্রেও নানারকম ভ্রান্তিকর তথ্য পাওয়া যায়।

আমার ব্যাক্তিগত তথ্য মতে নাগলিঙ্গম গাছ আছেঃ ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯টি, রমনা উদ্যান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, নটরডেম কলেজ সংলগ্ন ও বলধা গার্ডেনে। কুমিল্লা রামমালা ছাত্রাবাসে ২টি, যশোর শিক্ষা বোর্ড চত্বরে ১টি, ময়মনসিংহের গৌরীপুরের পুরনো জমিদার বাড়িতে ১টি। মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল এর চা গবেষনা ইনস্টিটিউট(বি,টি,আর,আই) এক একটি গাছ আছে। বরিশালের বি,এম, কলেজে ১টি।







নাগলিঙ্গমের জীবন্ত যাদুঘর ঢাকার শেকৃবি চত্বরঃ ঢাকা শহরে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অপার সৌন্দর্য্য নিয়ে আপনাদের জন্যে অপেক্ষা করে আছে। শুধু কি তাই! নাগলিংগমের যাদুঘরও এখানে। না ঠিক সে অর্থে যাদুঘর নয়। ৯টি বিশাল আকারের গাছ সৌন্দর্য্যের ডালি সাজিয়ে বসে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভবনগূলোর পাশে কেন্দ্রীয় গবেষনাগারের সামনে ৪টি গাছ আর বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের ভিতরে ৫টি গাছ-হলের ভিতরে হলেও বাইরে থেকে সুন্দর দেখা যায়।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৪৮

বাক স্বাধীনতা বলেছেন: কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের বাইরে যে গাছগুলি আছে সেগুলি দেখলেই যে কেউ মুগ্ধ হয়ে যাবে।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৭:১১

তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ
আসলেই যে গাছগুল শেকৃবি তে আছে সেগুলো অনেক অনেক সুন্দর।

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৪৯

আর.এইচ.সুমন বলেছেন: দারুন জিনিস তো !!!

০৮ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৭:০৭

তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: হা বেশ সুন্দর। ঢাকাতে থাকলে একবার দেখে আসবেন। মন ভাল হয়ে যাবে আমি নিশ্চিত।

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৫৫

নষ্ট কবি বলেছেন: B:-)

০৮ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৭:০৭

তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:২৪

ডাইনোসর বলেছেন:
মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল এর চা গবেষনা ইনস্টিটিউট(বি,টি,আর,আই) এক একটি গাছ আছে। এগাছটি মাঝারি আকারের, আমি ফলদেখে প্রথম চিনতে পারি। মোবাইলে ছবিও তুলেছিলাম কিন্তু ভালতুলতে পারিনি।


০৮ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৭:০৯

তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: আপনার তথ্যটি জেনে বেশ লাগছে। আমি আপডেট করে দিচ্ছি। আসলে আমাদের দেশে সে অর্থে কোন কিছুতেই ভাল মানের সমীক্ষা হয় না---আর সেতো একটা গাছ। মানুষের আদমশুমারীও ঠিকঠাক হয় কিনা আমার সন্দেহ।

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৩৫

শহিদুল ইসলাম বলেছেন: নটরডেম কলেজের গাছটা অনেক বড়।।এ গাছ থেকে প্রায়ই ফুল ছিড়ি ।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৯:৫৮

তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: হেহেহে ফুল ছিড়া ভাল না।
ধন্যবাদ কমেন্টের জন্যে।

৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৭:২০

শায়েরী বলেছেন: ভালো লিখাছেন

০৮ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৯:৫৯

তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: ধন্যবাদ পড়েছেন আর মন্তব্য করেছেন এই জন্যে

৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৯:৩৬

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: নাইস পোষ্ট

০৮ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৫৩

তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ০৮ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:৪০

স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। অল্প কিছু হলেও নতুন জানলাম। গাছটা দেখলে হয়তো এবার নাম বলতে পারব।

১০ ই জুন, ২০১১ সকাল ৯:৪০

তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: ধন্যবাদ।
সময় করে উঠতে পারিনা। তাই বিস্তারিত লেখা হয়ে উঠে না। আশা করি গাছটা দেখলে এখন অবশ্যই চিনতে পারবেন।
শুভকামনা।

৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৯

মোরশেদ পারভেজ বলেছেন: বরিশালের বি,এম, কলেজে একটা আছে। মানে ১ বছর আগেও দেখে এসেছিলাম।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৭

তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনি সময় করে অনেক দিন আগের লেখাটা পড়েছেন। আমি আপডেট করে নিচ্ছি।
মূল্যবান তথ্য পেয়ে বেশ ভাল লাগল।

১০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৪২

ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:

দেখছি কিন্তু প্রায় কিছুই জানা ছিল না।

এবারে আপনাকে ধন্যবাদ ,
জানতে পারলাম।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৫

তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ সময় করে পড়েছেন।

১১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৮

মামুন হতভাগা বলেছেন: ধন্যবাদ,নতুন করে চিনলাম গাছটিকে

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৯

তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.