নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বই এর পোকা, স্কেচ এর নেশা, পেশায় স্থপতী আর বাংলাদেশের প্রতি অসীম ভালবাসা
আজকে একটা পোস্ট পড়লাম ব্লগার "আরব বেদুইন" ভাই, যেখানে তিনি বলতে চেয়েছেন যে, রক্ষণশীল মুসলিম নারীদের মত ইহুদী
নারীরাও পর্দাশীন!---তথ্যটি শতভাগ সত্য। কারন, স্বয়ং নিউ ইয়র্ক শহরেই এদের বাস প্রচুর! এই প্রসংগেই আমার আজকের লেখা..খুব ডিটেইলে না, শুধু একটু আলোকপাত করছি অর্থোডক্স এবং বুখারীয়ান ইহুদী কালচার আর তাদের রক্ষণশীল নারীদের নিয়ে।
নিউ ইয়র্ক এর ব্রকলীন শহরে উইলীয়াম্স্বার্গ এলাকায়, বিশেষত কেন্ট আ্যভিনীউ, নস্ট্রানড্ আ্যভিনীউ তে অর্থোডক্স(হাসিদীক গোস্ঠী) ইহুদীদের একটা বিরাট অংশের বসবাস বহুদিন ধরে। তাদের নিজস্ব কালচার, পোষাক, খাবার দাবার সবার থেকে আলাদা; হঠাৎ ওখানে গেলে মনে হবে, কট্টর কোনো মুসলিম এলকায় এসে পরেছেন..সাথে এক গাঁদা বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে মাথায় কাপর দেয়া, লম্বা ঝুলের স্কার্ট পরা মহিলারা একমনে রাস্তা দিয়ে হেটে তাদের স্কুলে পৌছে দিচ্ছে! লোকগুলোও মাথায় টুপি পরা, লম্বা ঝুলের কোট গায়ে, হাতে পবিত্র তোরাহ গ্রন্থ নিয়ে সিনাগগে ছুটছে..
(কেন্ট আ্যভিনীউ, নিউ ইয়র্ক এর ইহুদীদের নিত্যনৈমিত্যক দৃশ্য, ছবি গুগল থেকে)
উজবেকিস্তানের বুখারা শহর থেকে প্রচুর অর্থোডক্স ইহুদীরা এসে আমেরিকায়, বিশেষ করে, নিউ ইয়র্কে বসত করা শুরু করে ৭০ থেকে ৮০ সালের দিকে। আনুমানিক ৫০,০০০ এরও বেশী এদেরকে বুখারীয়ান ইহুদী বলে। নিউ ইয়র্কের কুইন্স কাউন্টির ফরেস্ট হীল এলাকায় এদের ব্যপক উপস্থিতি দেঝা যায়..অনেকে এখন এই এলাকাকে "কুইনিস্তান" বলে! ভীষণ কট্টর এরা..নিজেদের রান্না করা খাবার অথবা, বুখারীয়ান হালাল/কোশের দোকানের খাবার ছাড়া কিচ্ছু মুখে দিবেনা! আমার অফিসের কলীগ দুই আর্কিটেক্ট বুখারীয়ান জুইশ..কখোনই কোনো প্রোগ্রামের নন-কোশের/হালাল খাবার খাবেনা (কারন, ওরা দূগ্ধজাত উপকরণের সাথে মাংশ মেশাবেনা!, আরও কি কি যেন নিয়ম আছে!) যাহোক, ওরা ওদের কালচার, ধর্মীয় রীতিনীতি, খাদ্যাভাস ধরে রেখেছে এই বৈরী পরিবেশেও! এমনকি, বাচ্চাদেরও ওরা বেশীরভাগ ধর্মীয় স্কুলে পাঠায়, জন্মনিয়ন্ত্রনও খুবি অনুপস্থিত ওদের মাঝে! আসলে ওরা চায় ওদের কমিউনিটি বড় হোক!
কিছু ছবি দেখা যাক বুখারীয়ান ইহুদীদের জীবনযাত্রার...সব গুগল থেকে নেয়া, বেশীরভাগ কুইন্স, নিউ ইয়র্কের।
১।
(টিপীক্যাল বুখারীয়ান ইহুদী ফ্যামিলী)
২।
(বিয়ের দৃশ্য)
৩।
(নিজস্ব স্টাইলের খাবার)
৪।
(কুইনিস্তান, ...আসলে, কুইন্সের ফরেস্ট হীল)
২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৮
চানাচুর বলেছেন: পোস্ট ছোট হলেও অজানা কিছু জানা হল
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৭
কাতিআশা বলেছেন: থ্যাংকস চানাচুর!..আমার খুব প্রিয় স্ন্যাক্স এটা!
৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৭
প্রামানিক বলেছেন: ইহুদিরা বোরখা পড়ে এটা জানা ছিল না। পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৪
কাতিআশা বলেছেন: খুব কট্টর টাইপের ইহুদী মহিলারা মাথায় স্কার্ফ পরেন।
৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:৪৮
মলাসইলমুইনা বলেছেন: বোরখা শুধু মুসলিম মেয়েরাই পড়ে না আমিষ মেয়েরাও(খ্রিস্টানদের একটা সেক্ট)পড়ে | মর্মনরাও(এরাও খ্রিস্টানদের একটা ভাগ) খুবই রক্ষণশীল |
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৫৫
কাতিআশা বলেছেন: ঠিক বলেছেন..
৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৫৩
মাহের ইসলাম বলেছেন: ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:১০
কাতিআশা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: ওদের সম্বন্ধে আগে জানা ছিলনা। অনেক কিছু জানতে পারলাম আপনার এ পোস্টের মাধ্যমে। ধন্যবাদ।
পোস্টে ভাল লাগা + +
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:২৭
কাতিআশা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য! কাজের চাপে উত্তর দিতে একটু দেরী করে ফেললাম!..ভালো থাকবেন।
৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কষ্ট হলো ওদের কেউ মৌলবাদি বলে গাল দেয়না। তাদের বোরখা পড়া নিয়ে কোন আদালতে যেতে হয়না (হয়কি?)
যত দোষ নন্দঘোষের পলিসিতে সব নিন্দা মুসলমানদের কপালে!
অবশ্য মুসলিমরাও বিচ্ছন্নতা দ্বীপে বহুধা বিভক্তিতে নিজেরাই ক্ষতবিক্ষত। আর সে সুযোগে সবাই যেন চেপে বসছে!!!
বিস্তারিত জানানোয় ধন্যবাদ্
পোষ্টে ++++
৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:২৮
কাতিআশা বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৭
চানাচুর বলেছেন: পোস্ট ভাল লেগেছে।