নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বই এর পোকা, স্কেচ এর নেশা, পেশায় স্থপতী আর বাংলাদেশের প্রতি অসীম ভালবাসা
কাজের চাপ, ইলেকশন, করোনা ইত্যাদি নিয়ে খুব ব্যস্ত যাচ্ছে দিনগুলো..মাঝেমাঝে ঢু মারি ব্লগে, এই যা!
আমাদের যে সমস্ত কনস্ট্রাকশনের কাজগুলো বন্ধ ছিলো করোনার জন্য, সেগুলো সব খুলে গেছে...এজন্য খুবি কাজের চাপ! এর মধ্যে শুরু হলো আমেরিকার ইলেকশন---কি যে টান টান উত্তেজনায় গেল সপ্তাহগুলো, বলার মত না! এক ডিকটেটরের শোচনীয় পরাজয় হলো, কিন্তু সে সেটা মানতে পারছেনা--বিশ্রী একটা ভয়াবহ অবস্থা এখন এদেশে। আজ পঁচিশ বছর হলো এদেশে আছি, কতগুলো ইলেকশন দেখলাম--কখনো এমন দেখিনি!
আমেরিকার অসংখ্য ক্ষতির মধ্য একটি বেশী ক্ষতি করে দিয়ে গেছে ট্রাম্প, সেটা হলো--রেসিজম/মানুষের মধ্য ভয়ংকর বিভাজন! একটা উদাহরণ দেই---গত সপ্তাহে আমার একটা ইন্সপেকশনের কাস ছিল ম্যানহাটানের একটা স্কুলে বিকেলের দিকে (করোনার জন্য স্কুল শেষের পরেই ২/৩ টার দিকে এখন ইন্সপেকশন হয়)। সারা স্কুলে শুধু কাস্টোডিয়ান, একজন সিকিউরিটি গারড আর আমার সাথে এক কনট্রাক্টর। আমি সেই কনট্রাক্টরকে নিয়ে সেলার(বেইজমেন্ট) এ গেলাম কাজ দেখতে, মাটির অনেক নীচে সেই ফ্লোর। বাইরের ঝকঝকে রোদের কিছুই আসছেনা সেখানে! অনেক উঁচু সিলিং হাইট, লাল টকটকে মেঝে, পুরোনো প্লাসটার খসে পরা দেয়াল, অন্ধকার বেজমেন্টে একটা গা ছমছমে পরিবেশ! আমার সাথের কনট্রাক্টর একজন সাদা আমেরিকান-- বেশ লম্বা চওড়া, শরীরে ট্যাটু আঁকা, ভীষন গম্ভীর প্রকৃতির..আমার কাজ সম্পর্কিত প্রশ্ন গুলোর জবাব ভালোভাবে দিচ্ছেনা। হটাৎ একটা ভয় আমাকে ছেয়ে বসল---এই লোক এখন যদি আমার কোন ক্ষতি করে, কেউ তাৎক্ষনিত ভাবে টের পাবে না---কারন, সেই কাস্টোডিয়ান আর সিকিউরিটি গারড এখন কি করছে কে জানে! আমার এই অহেতুক ভয়ে আমিই বিব্রত! আমি জানি কিছুই হবেনা---তবু ঐ যে মাথার মধ্যে ঢুকে গেছে রেসিজমের বিভাজন!---কেন জানি এরকম মানুষ দেখলে মনে হয় এরা বেশিরভাগই ট্রাম্প সাপোর্টার (এর কদিন আগে বাইডেনের জয়লাভ হয়েছে, তার সমর্থকদের আনন্দের পাশাপাশি ট্রাম্প সাপোর্টারদেরও মিছিল হয়েছে আমাদের টাউনেও..সে কি তাদের লম্ফঝম্ফ, সে কি গালিগালাজ!) মোটামুটি দ্রুতভাবে কাজ সেরে উপরে চলে এলাম, ---বাইরে এসে যেন মুক্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। কিন্তু সেদিন ঐ লেকটির কাছ থেকে যে শীতল ব্যবহার পেয়েছিলাম, এরপর থেকে বিকেলের ইন্সপেকশেনে যেতে খুব ভয় লাগে! অথচ এর আগে কত বছর কাজ করেছি সাইটে, কতদিন রাত করে অফিস থেকে বাড়ী ফিরেছি--কখনো এত ভয় বা, আন কম্ফোরটেবল লাগেনাই! সব কিছু যেন কেমন হয়ে যাচ্ছে---কত মানুষ মারা গেল এদেশে করোনার কারনে, অথচ এই ডিকটেটরের সমর্থকরা বেশির ভাগই মাস্ক পড়েনা! তারা তাদের সেই নেতার মতই সায়েন্সে বিশ্বাসী না!
তবুও আশাকরি আলো একদিন ফুটবেই টানেলের অন্য প্রান্তে, মানুষের বিভাজন কমে যাবে, সবাই সচেতন হবে--মানুষ কি না পারে? এই করেোনা, এই ভেদাভেদ, এই অরাজকতার একদিন পতন হবেই ইনশাল্লাহ!
সবাই ভালো থাকুন, সময় পেলে আবার লিখব কিছু--বাসা থেকে কাজ করছি, এই মুহূর্তে শেষ বিকেলর পড়ন্ত রোদ এসে পড়ছে আমাদের ডাইনিং টেবিলে--যেখানে আমাদের দুজনের অস্থায়ী হোম অফিস! সবাইকে রোদেলা বিকেলের শুভেচ্ছা!
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪৯
কাতিআশা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া পড়ার জন্য! দুঃসময় কাটবেই ইনশাললাহ!
২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৩
ফয়সাল রকি বলেছেন: এরপর এমন ইনপেকশনে গেলে সাবধানে থাকবেন।
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪৯
কাতিআশা বলেছেন: দোয়া করবেন, ধন্যবাদ ভাইয়া!
৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: কাজে ব্যস্ত থাকা ভালো। এটার চেয়ে আনন্দের আর কিছু নাই।
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫১
কাতিআশা বলেছেন: হ্যা ভাল, তবে এখন অনেক ক্লান্ত লাগে---দেশে চলে যেতে ইচ্ছে করে!
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: ভাল লাগলো আপনার লেখা পরে। আমেরিকার দুঃসময় কেটে যাবে শীঘ্রই ।