নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঝংকার

জীবনের মুহূর্তগুলো ভালবাসার স্পর্শে রঞ্জিত হোক,জীবনের মুহূর্তগুলো স্বাধীনতার স্পর্শে মুখরিত হোক **

তিথির অনুভূতি

মানবতা, সুস্থ উপলোব্ধি ও সঠিক মূল্যবোধ ও সত্যিকারের ভালবাসার চর্চা হোক **

তিথির অনুভূতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামিক শরিয়ত জানা উচিত( স্বামীর হক বা স্ত্রীর কর্তব্যসমূহ) **

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮

বলা বাহুল্য যে আল্লাহরই ইচ্ছানুযায়ী মানব বংশ বিস্তার ও তার জন্য দাম্পত্য ও পারিবারিক জীবন যাপনের উদ্দেশ্যে স্বামীকে-স্ত্রীকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একটি শান্ত, নিরালা ও সুশৃঙখল পরিবেশের সৃষ্টি করতে হয় এবং তজ্জন্য স্বামী-স্ত্রী

দুজনকেই যথাযথভাবে আপনাপন কর্তব্যসমূহ সাধন করতে হয়।

এদের একজনের প্রতি অন্যজনের বিভিন্ন রকম কর্তব্য আছে। পরিবার ও সংসার সুখময় এবং শান্তিপূর্ন করে তুলতে চাইলে সেই কর্তব্যসমূহ সুষ্ঠূ ও সুন্দরভাবে পালন করতে হয়। প্রথমেই স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্যসমূহ আলোচনা করব।

স্মরন রাখবে যে, স্বামীর প্রতি স্ত্রীর দুধরনের কর্তব্য আছে।এক হল স্বামীর মিলন ক্রিয়ায় তার সঙ্গী হয়ে তার দেহ ও মনের শান্তি সম্পাদন করা। আর দ্বিতীয় হল, স্বামীর গৃহ, মাল আসবাব, ধন-সম্পদ ও সন্তান - সন্ততির ত্বত্তাবধান করা ও রক্ষনাবেক্ষন করতঃ স্বামীর জন্য তথা উভয়ের জন্যই সুখী সংসার গড়ে তোলা।

স্ত্রীর মনে রাখবার কথা যে, সেবাই তার ধর্ম। নারী জাতির সেবা লাভ না করলে বিশ্ব সংসারের লোক শান্তির মুখ দেখত না। তাদের অন্তর শুষ্ক মরুতে পরিণত হত।মানুষের শিশু- সন্তানগুলি বুঝি আতুড়ঘরেই থেকে যেত। তারা স্বামীর সেবায় বিমুখ থাকলে পুরুষেরা সংসাররূপ কর্মক্ষেত্রে শান্তির মুখ দেখতে পেত না।

সত্যি হে নারীগণ ! এ বিশ্ব সংসারে শুধু তোমরাই ইচ্ছে করলে শান্তির ধারা বইয়ে দিতে পার।

আর মূলতঃ তাই তোমাদের প্রধান কর্তব্য তোমরা মনে রেখ স্বামীই তোমাদের কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মানিত ও শ্রদ্ধেয় জন, সাথে সাথে সর্বাধিক প্রিয় ও আদরের বস্তু।

নারীদের মনে রাখা দরকার, স্বামী ধনী, দরিদ্র, সুশ্রী , শিক্ষিত, মূর্খ যাই হোক না কেন সে অতি সম্মানিত। সে একান্ত শ্রদ্ধেয়। আল্লাহ স্বয়ং পবিত্র কোরআনে ঘোষনা করেছেন ঃ আমি পুরুষদের স্ত্রীদের উপরে ক্ষমতাবান বা কর্তৃত্বের ও শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী করেছি।

হযরত রাসুলে করিম সাঃ বলেন, “তোমরা নিজ নিজ স্বামীদের সন্তুষ্টি বিধান কর। যেহেতু তাদের সন্তুষ্টির মধ্যে তোমাদের ইহ- পারলৌকিক মঙ্গল নিহিত রইয়েছে। তোমরা সারা জীবনের ইবাদতের দ্বারাও স্বামীর অসন্তুষ্টির কারনে বেহেশতে যেতে পারবে না।”

স্বামীদের কাছে স্ত্রীদের লজ্জ্বার কিছু নেই। স্বামী তাকে যেভাবে দেখতে চায়, তার সেভাবেই সেজে-গুজে স্বামীকে দেখানো উচিত। স্বামীর সম্মুখে সদা হাসিমুখে ও পরিচ্ছন্নভাবে থাকা কর্তব্য। এক শ্রেনীর নারী যখন পিতৃগঘ বা অন্য কোথাও যায় তখন তারা ভালো কাপড় চোপড় ও গহনা-পত্র পরিধান করে, আর স্বামীর নিকট অবস্থান করে যেনতেন প্রকারে। এটা তাদের স্বামীর প্রতি একান্ত অবহেলা। অথচ আল্লাহ ও রাসূল সাঃ এর নির্দেশে ও বিধান এই যে, নারীরা উত্তম বেশে সজ্জিত হয়ে স্বামীকে মনোরঞ্জন করবে।

স্বামীই তার স্ত্রীর দেহ ও রূপ- সৌন্দর্যের একমাত্র অধিকারী ও প্রকৃত দাবীদার, সুতরাং স্বামীকে ব্যতীত অন্য কাউকে তা প্রদর্শন করলে এটা স্ত্রীর জন্য কঠোর গুনাহের কারন হবে। স্বামীর সাথে কথা বলবার কালে হাসিমুখে কথা বলা চাই। স্বামীর সাথে কোন বিষয় নিয়ে তর্কবিতর্ক করতে নেই। স্বামী যা খুশি কিনে এনে দেয়, একান্ত আগ্রহের সাথে গ্রহন করবে। যদি তা অপছন্দ করে বলে,”এটা কি এনেছ! এসব কাপড়-চোপড় বা এ ধরনের কম মূল্যের গহনাপত্র আমরা পরি না”, তবে তা অত্যন্ত অন্যায় ও গুনাহের কারণ হবে।”

স্বামীর নিকট নিজ পিতৃগৃহের ধন-সম্পদের বড়াই করে গর্বের ভাব প্রকাশ করবে না। কোন বিষয়ে স্বামীর দুর্বলতা থাকলে সেদিক তুলে ধরে বার বার তাকে অপ্রস্তুত করবে না।

স্বামীর নিকট কোন কিছু আবদার করলে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, তার শক্তি ও সাধ্যের সীমা কতদূর। স্মরন রাখবে, স্বামী স্ত্রীর দাবী মিটাতে না পারলে তার মনে এমনিতেই অশান্তি বিরাজ করে।

স্বামির সাথে এ ধরনের কথা বলবে না যাতে তার মনে আঘাত লাগতে পারে। স্বামীর উপর কখনও সন্দেহ পোষন করবে না। স্বামীর সাথে বেহায়াপনা প্রদর্শন করবে না। স্মরন রাখবে,”লজ্জ্বা নারীর প্রধান ভূষণ। লজ্জ্বিতা নারী স্বামীর হৃদয় আকর্ষন করতে যতখানি সক্ষম, লজ্জ্বাহীনা নারী ততটা সক্ষম নয়। বিচক্ষনা ও বুদ্ধিমতী নারীগণ সর্বদা সতর্ক দৃষ্টি রাখে যে, তার স্বামীর নিকট কোন ধরনের চাল- চলন কথা-বার্তা , আচর-আচরন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও গহনাদি পরিধান রীতি এবং সাজ-সজ্জ্বা পছন্দনীয়। তা লক্ষ্য করে বুদ্ধিমতী নারিগণ ঐভাবে সবকিছু করতঃ স্বামীকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করে। কেননা তার বিপরীত চলার কারনে স্বামীর হৃদয় অন্যদিকে ধাবিত হতে পারে।”

স্মরণ রাখবে যে, স্বামীর চক্ষু ও মনের পবিত্রতা রক্ষা করার প্রধান দায়িত্ব স্ত্রীর উপর/ স্ত্রী যদি স্বামীর প্রতি এ বিষয়ে অবহেলা করে তবে তার স্বামীর ও নিজের উভয়েরই ক্ষতির কারন হবে। আর যদি এদিকে সজাগ থাকে তবে তার সুফল উভয়েই লাভ করতে পারবে ।

স্বামীর নিকট স্ত্রী কখনও অন্য কোন পুরুষের রূপ ও গুনের বিষয় আলোচনা করবে না। স্বামীর মনে কোনরূপ সন্দেহ আসতে পারে, ভুলেও এরুপ কার্য করবে না। স্বামীর সাথে মান-অভিমান করে মনোকষ্টের কারণ ঘটাবে না। অবশ্য কখনও কখনও কৃত্রিম অভিমান দ্বারা উভয়ের প্রতি নতুন আকর্ষন ও গভীর আগ্রহ সৃষ্টি করতে কোন বাধা নেই বরং তা উত্তম।



স্বামীকে মন- প্রাণ দিয়ে ভালবাসবে ও তার হৃদয়ে আনন্দ বর্ধনের চেষ্টায় নিয়োজিত থাকবে। স্বামীর যে কোন নির্দেষ ও উপদেশ মেনে চলবে। কখনও কোন বিষয় নিয়ে নিজের স্বামীর সাথে অন্য পুরুষের তুলনা করবে না।

পর্দা-পুশিদা রক্ষা করে চলাফেরা করবে। তাতে স্বামীর মন সন্তুষ্ট থাকবে। বাইরে কোথাও কখনও যেতে হলে স্বামীর অনুমুতি গ্রহন করে নেবে।স্বামী যেসব বস্তু ভালোবাসে ও পছন্দ করে স্ত্রীও তা ভালবাসবে ও পছন্দ করবে। স্বামীর গৃহ তার আসবাবপত্র এবং স্বামীর নিজস্ব জিনিসপত্র ও পোষাক-পরিচ্ছদের প্রতি লক্ষ্য রাখবে ও তার বিশেষ যত্ন করবে। নিজেদের সন্তান-সন্ততিদেরকে বিশেষ যত্ন ও স্নেহ করবে। স্বামীর পিতা-মাতা, ভ্রাতা-ভগ্নিদেরকে শ্রদ্ধা, সম্মান ও আদর-যত্ন করবে। সকলের সাথে উত্তম ব্যবহার এবং শ্বশুর-শাশুড়ির খেদমত করবে।



স্ত্রী স্বল্পভাষিনী হয়ে স্বামী ও তার আত্মীয়-স্বজনদেরকে তুষ্ট রাখতে হবে। স্মরন রাখবে, রুক্ষ ও কটুভাষিণী স্ত্রী কখনও স্বামীর প্রীতিলাভে সক্ষম হইয় না। স্বামী যখন বাহির হতে গৃহে ফিরে আসবে, তখন এগিয়ে এসে তার প্রয়োজনীয় জিনিস করতে সাহায্য করবে। বিদেশে অবস্থানরত স্বামীর নিকট যথারীতি চিঠিপত্র লিখবে এবং তার পত্রের জবাব দেবে। স্বামী বিদেশ হতে প্রত্যাগমনকালে তোহফা প্রভৃতি যা কিছু নিয়ে আসবে পরম আনন্দে তা গ্রহন করবে। কোন জিনিস পছন্দ হয়নি বলে মুখ ভার করে থাকবে না। স্বল্প আয়ের স্বামীর প্রতি সহনাভূতিশীল থাকবে। আধুনিক হাল-চালের জগতে বাইরের কোন রংয়ে স্বামীর মন ভুলে যেতে পারে। সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখে প্রয়োজনে নিজেকেও শরীয়ত সিদ্ধ আধুনিক বানিয়ে নেবে।

স্বামী একা উপার্জন করে কুলোতে না পারলে বিভিন্ন হস্তশিল্প ও কুটির শিল্প জাতীয় কাজ-কর্ম / নিজের উপার্জন দিয়ে আয় রোজগার করে স্বামীর বোঝার ভার কিছুটা লাঘব করবে।

নেয়ামুল কোরআন হতে প্রাপ্ত

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

আহসান২০২০ বলেছেন: ভালো লাগল। সুন্দর করে লিখেছেন নেয়ামুল কোরআন থেকে।

২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: হুম ।

৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০০

গ্রাম্যবালিকা বলেছেন: সুন্দর, নতুন করে জানলাম আবার।

দোয়া করবেন যেন কাজে লাগাতে পারি ভবিষ্যতে :#> :) :P

৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ২য় ভালোলাগা +++++++

ভালো থাকবেন :)

৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

তিথির অনুভূতি বলেছেন: রাসূল (সাঃ) বলেন.. যখন
স্বামী স্ত্রী পরস্পরের সাথে প্রেম
চাহনির বিনিময় করেতখন আল্লাহ পাক
উভয়ের দিকে করুনারদৃষ্টি দেন.. অতঃপর
যখন স্বামী স্ত্রীরহাত ধারন করে তখন
তাদের আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে পাপরাশিঝরে পড়ে.. » যখন কোন স্ত্রী স্বামীর
দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হাসে তখন
আল্লাহ তাআলাও তাদের উভয়ের
দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হাসেন। :

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.