নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঝংকার

জীবনের মুহূর্তগুলো ভালবাসার স্পর্শে রঞ্জিত হোক,জীবনের মুহূর্তগুলো স্বাধীনতার স্পর্শে মুখরিত হোক **

তিথির অনুভূতি

মানবতা, সুস্থ উপলোব্ধি ও সঠিক মূল্যবোধ ও সত্যিকারের ভালবাসার চর্চা হোক **

তিথির অনুভূতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্তর থেকে একমুঠো আলো

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৬





আজ খুব ব্যস্ত, অফিসে গিয়ে একদিকে প্রশ্নপত্র জমা দিতে হবে, গতকাল ছিল জমা দেবার শেষ দিন।কিন্তু একদিকে বাসা থেকে একমাস থেকে মা-সেজবাবু চলে গিয়েছে। পুরা বাসা কেমন জানি ফাকা পড়ে আছে। খা খা করছে। আমাকে দেখে কলিগেরা গতকাল জিজ্ঞেস করছিল, কি শরীর খারাপ না মন খারাপ। খারাপ লাগছিল আমি সবার আগেই প্রশ্নপত্র জমা দিতাম। চারটা করার পর খবর আসল কিজানি প্রশ্নে মডারেট হয়েছে। সবার প্রশ্নে নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চেঞ্জ করতে হবে।

আমার রুমমেট স্যার বললেন।‘ফারহানা তোমার কারনে প্রশ্ন ফেরত এসেছে।’ আসলেই অনাকাঙ্খিত এরকম সবার প্রশ্ন ফেরত আসাটা খুব আশ্চর্যের ঘটানা। পন করলাম বাসায় এসেই সব শেষ করে প্রশ্ন জমা দিব। কিসের কি সেই ওর সাথে মান - অভিমান করে আবার সেই দুপুর দুটা বেজে গেল। ক্লাস আর প্রশ্ন করে যখন শেষ করলাম, কোঅরডিনেটর মুখের উপর ধাম করে বলে বসল “ফারহানা তুমি তো স্লো ছিলে না। খুব ফাস্ট ছিলে।” মনে পড়ল গতবার সেরা ইমপ্লোয়ির খেতাব মুখে মুখে প্রশংসা পেয়েছিলাম।



স্যার কিছুটা বিরক্ত হয়ে চলে গেলেন। কিন্তু অফিসে গিয়ে বাকী কলিগের সবাইকে প্রশ্নে সাহায্য করা। প্রতিদিনের মত তাদের কাছ থেকে থ্যাংকু পাচ্ছিলাম। দিনশেষে কোঅরডিনেটর ম্যাডামের সাথে মাস্তি করে যখন ফিরছিলাম।

এক ভিখারী এসে ভিক্ষা চাইল। ১০০ টাকার নোট বের করলাম। বেচাড়া দুটাকার নোটের গুচ্ছ বের করল।

ওকে আশ্বাস দিলাম ওকে টাকা দিব। সামনে দোকান থেকে শিক- কাবার কিনে যখন ওকে ১০ টাকা দিলাম । এত্ত খুশি হল। দেখে এত ভাল লাগছিল । আমি বললাম , আপনি ৫টাকা রাখেন । আমাকে কালকে রিক্সা ভাড়া দিতে হবে।আপনার জন্যই আমি কিনলাম। ওনি ৫টাকা আমাকে ফেরত দিলেন। রাস্তা পার হয়ে যখন ওনার(ভিক্ষারির) মুখ দেখছিলাম। এত্ত খুশি ছিল। এই ছোট্ট ছোট্ট খুশিই আমার জীবনে অনেক বড় পাওনা মনে হয়। একেকটা এভারেস্ট জয়ের মত আনন্দ লাগে।



এই একটু আমার পাশের কলিগের মুখে হাসি কিংবা ছাত্র- ছাত্রীকে ধরে ধরে কাউন্সিলিং। সবাইকে ছোট ছোট খুশি দেওয়া এর থেকে বড় খুশি আর কিছু নেই। সবাইকে খুশি রাখা সাধ্যের মধ্যে। না করলেই বা কি । কিন্তু কেন জানি করতে ভাল লাগে । এই ছোট্ট ছোট্ট থ্যাংকু আর তাদের অন্তর থেকে বের হওয়া খুশিটা দেখতে খুব ভাল লাগে।

যেন অন্তর থেকে একমুঠো আলো ঠিকরে বেরিয়ে আসে।

এই অন্তর থেকে দোয়া বেরুনো মুহুর্তগুলি ঝিনুকের মধ্যে রেখে দেই। একেকটা মুক্তোর মত অমূল্য এই মুহুর্তগুলো।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

দেবদাস. বলেছেন: :)

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০২

তিথির অনুভূতি বলেছেন: :) **

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৬

অণুজীব বলেছেন: কেমন আছেন?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৮

তিথির অনুভূতি বলেছেন: আমি সবাইকে ভাল রাখি,
সবার খুশিই আমার খুশি
তার ফাকে আমি ভাল আছি,

ছাত্র-ছাত্রীদের ভাল মানুষ হবার মন্ত্র দেই।

ভালত্বের মধ্যে এক স্বর্গীয় সুখ আছে,
কিছু কিছু এমন সুখে আছি ।

৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

রাতুল_শাহ বলেছেন: পড়ে ভাল লাগলো।

৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৫

স্বপনবাজ বলেছেন: ভালো লাগলো !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.