![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানবতা, সুস্থ উপলোব্ধি ও সঠিক মূল্যবোধ ও সত্যিকারের ভালবাসার চর্চা হোক **
এখনও বিয়ের পিড়িতে বসিনি, তাও একটা মাত্র বড় ভাই রাগ হলে হুঙ্কার দেয় বিয়ের পর থেকে তোর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই, তোকে আমি কোনদিন ভালবাসিনি। তুই জামাই বাড়ি গেলে আর কোনদিন আসবি না। তোর কোন গন্ডগোল লাগলে আমরা এতে নেই। অথচ তার বউ আর তার সব সমস্যার সমাধান করে দিতে এই অধম বোনটিকেই লাগে। খুটি নাটি বিবিধ কারনে ভাবী আর আমি বন্ধুর মত। অথচ আমার স্বামীর সাথে নাকি ও খুব খারাপ ব্যবহার করবে আগে থেকেই যেন প্রস্তুত হয়ে আছে। আবার এমন মনোভাবও যে আমার স্বামী যেমন হবে তেমন আপ্যায়ন হবে।সে যদি অবস্থা ভাল হয় একরকম আপ্যায়ন, সে যদি স্টাবলিশ না হয় আরেকরকম আপ্যায়ন।
কিন্তু আমি কিন্তু ভাবীর অবস্থা ভেদে তার সাথে আচরন করছি না । আর শ্বশুর বাড়িতে এক শালা ও এক সম্বন্ধীর থেকে আচার ব্যবহার দেখেও কি ওর বোধদয় হয় না । বোনদের জন্য নাকি কোন ভাই করে না । এই কথা উঠতে বসতে শুনাচ্ছে। মাঝে সাঝে এও বলে তোর তো বিয়ে হচ্ছে না আমার বাচ্চা পালবি, আমার সংসারে আগুন লাগাবি না।
এর মাঝে আমার আম্মা তো আছেনই সারাক্ষন ঘ্যানর ঘ্যানর তুই এই করতে পারবি না, সেই করতে পারবি না এই বাসায় যেতে পারবি না ঐ বাসায় যেতে পারবি না।
এই বাসায় গেলে এই হবে , সেখানে বিবাহযোগ্য কোন ছেলে থাকলে যাবি না।
ছোট থেকে এপর্যন্ত অনেক বাসাতেই যাওয়া হয়নি, কোন বিবাহযোগ্য ছেলেদের সাথে কথা বলারও ইচ্ছে আমার ছিল না।
বাসাতেই থাকি সারাক্ষন, কোন কাজ থাকলে বেড়ুই নাহলে কাজ করি। কোথাও যাওয়ার মনও নাই। গেলে দেখি এর সংসার তার সংসার। জীবনটা ত্যানা ত্যানা হয়ে গিয়েছে।
বোনদের প্রতি ভাইদের বিদ্বেশ ও না করার মন মানসিকতা খুব খারাপ। এজন্য মায়েরা দায়ী। যেসব মায়েরা ছেলেদের অতিরিক্ত আদর করতে গিয়ে মেয়েকে আদর করেন না ও মেয়েদের ভাল মন্দ দেখেন না তাদের ভাইরা ও মায়েরা মেয়েকে অত্যাচার করে মহানন্দ পান।
বাবা মায়ের সম্পত্তির উপর ভাই ও বোনের দুজনের অধিকার আছে।কিন্তু কজন মানুষ নিজের বোনদের সম্পত্তি দেন ও সেই বোনটির খোঁজ রাখেন। বোন কি শ্বশুড় বাড়িতে ভাল আছে নাকি মন্দ আছে তার অবস্থা কেমন তা খোজ নেওয়ার দায়িত্ব ভাইটির। যদি বোনটির স্বামী ও শ্বশুড় বাড়ির লোক তার উপর যেন অত্যাচার না করতে পারে সেজন্য তাদেরকেই ভাল সম্পর্ক ও মনোভাব রাখতে হবে।
আমাদের দেশ না সব দেশের মানুষই তার নিজের বউ ও তার শ্বশুড় বাড়িকে অত্যাচার করে মহানন্দ পান। মেয়েটির ভাই যেন তার মহাশত্রু। একটু পান থেকে চুন খসলেই ভাই ভাল না , মা বাবা ভাল না অমুকে ভাল না তমুকে ভাল না।
সবচেয়ে বড় কথা সেই মেয়েটিকে বিয়ে না করলে অন্য কোন মেয়েকে নিয়ে সে সুখে থাকতে পারত। এর চেয়ে লজ্জ্বাজনক কিছু নেই , যে বহুবিবাহের বেড়াজাল থেকে কিছুটা বেরুলেও এখনও যে ব্যাটারা বহুগামীতার হাত থেকে নিজেদের সরাতে পারে না।
ভাই বোন বাবা মা ও শ্বশুড় শ্বাশুড়ি জামাই বউ নিয়ে যখন তর্ক উর্ধে, তার মাঝে আরো কিছু বিতর্ক বাধে যখন আত্মীয় স্বজন অমুক তমুকের বিবিধ বিষয় নিয়ে পড়ে থাকে। অমুকে কেন এই দিল না সেই করল না ।
মনে হয় জীবনটা যেন বাঙ্গালীরা এই প্যাচাপ্যাচিতেই নিজেদের আবদ্ধ করে রাখবে।
ওদের মুখে কোনদিন শুনলাম না বা করে দিতে দেখলাম না যে ঐ মানুষটি দুখে আছে বা ঐ পরিবারে এই সমস্যার মাঝে আছে তাদের এটা ঠিক করে দেই।
তাদের খালি ক্যাচকালি করা একটা অভ্যাস, ওদের জীবনটাই ঘুরপাক খায় এর মাঝেই।
কেউ নিয়ম কানুন মানতে চান না । ভাই বোনকে ঠকাতে চায়, মা তার নিজের মেয়েকে ঠকাতে চায়। বউকে স্বামী ঠকাতে চায়। একটা জিনিস পর্যবেক্ষন করলাম মেয়েদের ঠকানোর জন্যই যেন সমাজ ব্যবস্থা, যদি মেয়েটি রাগ করে চিৎকার না করা পর্যন্ত মেয়েটিকে ঠকানোর জন্য সবাই ব্যস্ত। আর মেয়েটি তার প্রাপ্যতা আদায় না করতে পারলেই মেয়েটি আহাম্মক।
অধিকার এত ঠুনকো কেন হবে রাগ করে বা চিৎকার চেচামেচি করে আদায় করতে হবে আর সমাজ ব্যবস্থা কেন এমন হবে মেয়েদের পদে পদে ঠকানোর জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকবে ?
যেসব মেয়েরা সাহসী আচরন করছে, দুচারটা প্রেম করছে বা চিৎকার করছে তাদের সবাই ভয় পাচ্ছে, যতদিন কোন মেয়ে নিজেদের খারাপ না বানাচ্ছে সে অধিকার আদায়ে গড়িমসি খাচ্ছে, অধিকার আদায়ের জন্য মেয়েদের কেন খারাপ হতে হবে ও বদমেজাজী হতে হবে আর মেয়েদেরকে যখন তখন যা তা কেন শুনানো হবে?
এত সেক্রিফাইস ও বাসার সব কাজ করার পরেও কেন মেয়েটিকে শুনতে হচ্ছে মেয়েটি ভাল না ?? মেয়েটি আহাম্মক, যেন মেয়েদের নানান খারাপ বিশেষনে বিশেষায়িত করার জন্যই সবাই প্রস্তুত হয়ে আছে।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০১
তিথির অনুভূতি বলেছেন: ভালো চরিত্রের ও নম্র স্বভাবের মেয়েরা নাকি আহাম্মাক, বলদ ।
আর বদমেজাজী মেয়েরা অনেক সাহসী ও সব অধিকারও পাচ্ছে ।
অধিকার আদায়ের জন্য কেন বদমেজাজী হতে হবে ??
২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কোন ভাই তার বোনের খারাপ চায় না কিংবা কোন বাবা-মা তার সন্তানের খারাপ চায় না। যদি ভাই অথবা বা-মা দেখে সন্তান কোন ভুল সিদ্ধ্যান্ত নিচ্ছে তাহলে তারা বাঁধা দিবেই। এটা শুধু নারীর ক্ষেত্রেই নয় একজন পুরুষের ক্ষেত্রেও হয়। আর আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এখনও পাশ্চাত্য ব্যবস্থাকে অনুসরণ করে চলতে পারেনা তাই ঘরের মেয়েদের ব্যাপারে একটু অতিরিক্ত সতর্কতা নিতেই হয়। নতুবা দেখছেনইতো কত রকম ফাঁদে পড়ে মেয়েদের সর্বনাশ হয়।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৬
তিথির অনুভূতি বলেছেন: আপনি আসলে মিথটা ধরতে পারেন নাই, আমাদের গোটা সমাজ ব্যবস্থায় শুধু ক্যাচাল , আপনি বলেছেন ছেলেদেরও এমন অনেক কিছুর সম্মুক্ষীন হতে হয়, কিন্তু এই ক্যাচালে যেটা হয় সবাই এংগ্রি বার্গ হচ্ছে, আর রাগ করে চিল্লাচিল্লি করে সব সময় টেনসনের মধ্যে থেকে পারিবারিক মাধুর্য হারাচ্ছে। আর এইসব ছোটলোকদের মত আচরন তো আমাদের কাউকেই মহত বানাচ্ছে না ।
ভাইরা বোনদের সম্পত্তি দিচ্ছে না বা মারাও ছেলেদের প্রতি এত টান দেখাচ্ছে যেটা মেয়েটার প্রতিও থাকা উচিত।
কারন মেয়েটিকেও তিনি জন্ম দিয়েছেন। কারন মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেলেও দুখের সময় মেয়েরাই পাশে দাঁড়ায় ছেলেরা কমই দাঁড়ায়।
তবে ছেলে আর মেয়ের প্রভেগটা বা পার্থক্যাটা বাসাতেই মা এমন করে দেন যে পরে ট্যাবত সমাজেই এটা প্রকট হয়ে দাঁড়ায়।
সবাই যার যার নিজের কর্তব্য করলেই পারে। অধিকার জোর করে নেওয়ার কি আছে ??
৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৫
বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: আপু বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বিতর্কের অবকাশ রয়েছে।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮
তিথির অনুভূতি বলেছেন: এটার সমাধান চাই , বিতর্ক করে আর কি হবে বল ।
চল কিভাবে সমাধান করা যায় তার ব্যবস্থা নেই।
৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪
বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: সমমনা কিংবা কাছাকাছি মানসিকতার সকলকে একটা নির্দিষ্ট ফ্ল্যাটফর্মে আসতেই হবে। আর মানবিক বোধগুলোও জাগাতে হবে সকলের মাঝে।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫
তিথির অনুভূতি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া তোমার কথার মাঝে দারুন একটা উপলব্ধিবোধ পেলাম, এই উপলব্ধি সবার মাঝে জাগ্রত করতে হবে ।
আর সমাজের মধ্যে ভাল বোধ ও কাজ করার মানসিকতা আনতে হবে ।
৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯
বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, ভাল থাকবেন।
৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৮
ধমনী বলেছেন: মনে হয় জীবনটা যেন বাঙ্গালীরা এই প্যাচাপ্যাচিতেই নিজেদের আবদ্ধ করে রাখবে।
এই প্যাচাপেচি নিয়ে রচিত হবে উপন্যাস, কবিতা, নাটক। নির্মিত হবে টিভি সিরিয়াল। ঘরের নারীরা হা করে বসে বসে দেখবে আর বঞ্চনার হাহাকার করবে।
তারপর সুযোগ অনুযায়ী অন্য কোন নারীকে শোষণ করে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে চাইবে। এভাবেই চলছে দিনের পর দিন যুগের পর যুগ....
আপনার নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষণ প্রশংসনীয়।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৯
তিথির অনুভূতি বলেছেন: ওপার বাংলার ও ইন্ডিয়ার সিরিয়ালগুলি জঘন্য, না আছে কোন ভাল কিছু , খালি কিভাবে পারিবারিক অশান্তি লাগানো যায় ও কিভাবে কে কার পিছনে কিভাবে লেগে কাকে নিশ্বেষ করছে তাই থাকে। এমনিতেই প্রযুক্তির মাত্রারিক্ত উন্নয়নে সবার প্রাণ উষ্ঠাগত তার মাঝে যদি পারিবারিক রাজনীতি লেগে থাকে । উফ জীবনটা যেন ঝালাপাড়া।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮
শাহাদাত হোসেন বাবলু বলেছেন: যেসব মেয়েরা সাহসী আচরন করছে, দুচারটা প্রেম করছে বা চিৎকার করছে তাদের সবাই ভয় পাচ্ছে, যতদিন কোন মেয়ে নিজেদের খারাপ না বানাচ্ছে সে অধিকার আদায়ে গড়িমসি খাচ্ছে, অধিকার আদায়ের জন্য মেয়েদের কেন খারাপ হতে হবে ও বদমেজাজী হতে হবে আর মেয়েদেরকে যখন তখন যা তা কেন শুনানো হবে।
।
। ভালো লাগলো