![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গতকালের পর্বে একজন ব্লগারের মন্তব্য ভুলবশত মুছে ফেলায় তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
পূর্বকথাঃ খিট খিটে ইংরেজ বুড়ো জোনাথন হার্ট অসহায় নিপিন মন্ডলকে চুরির দায়ে দোষারপ করে, ঠিক সেদিন রাতেই নিপিনের উপর হামলা করে অজানা অদ্ভুত এক কালো পোষাকধারী। নিপিন কী সেই কালো পোষাকধারী পিশাচের হাতে মারা গেছে? না-কি সে ভেজা বেড়াল, পালিয়ে বেড়াচ্ছে চুরির দায় ঠেকাতে!............
২২শে জানুয়ারী, ১৯৩৮।
গত কাল সন্ধ্যে পর্যন্ত যেখানে চুরির মামলায় সকলেই ব্যস্ত ছিল আজ সেখানে নিপিন নিপিন করে সবাই ব্যস্ত। ওর পরিবারের লোকেরা কেউ ওর কোন লাশেরও গন্ধ পাচ্ছেনা। স্টেশন মাস্টার রুস্তম বেপারী রাত ২টা বাজেও নিপিনকে দেখেছে চেয়ারের উপর বসে থাকতে। তারপরে আর কেউ দেখেনি তাকে।
সারাদিন অপেক্ষার পর বুড়ো জোনাথন হার্ট এল। এসেই রুস্তমের দিকে আড় চোখে বারবার চাইতে লাগল। কিন্তু লাশ না পাওয়া যাওয়ায় কাউকেই খুনের দায়ে দোষারোপ করতে পারবেনা কেউ। নিপিন আদৈ মরেছে কিনা তাও কেউ জানেনা। জোনাথন হার্টের ভাব ভঙ্গিতে রুস্তম বুঝে গেছে কোন মতে যদি নিপিনের লাশ পাওয়া যায় তাহলে খুনের দায়ে এই ইংরেজ তাকে ফাসিয়ে দিবে। তাই যেভাবেই হোক, নিপিনকে খুজে বের করতে হবে।
এদিকে রাত বাড়ার আগেই বুড়ো ইংরেজ গুদামঘর ও এর আশে পাশে পাহাড়া বসিয়ে দিল।
২৫শে জানুয়ারী, ১৯৩৮।
তিন দিনের মাথায় নিপিনের গল্প বলা সকলে বন্ধ করে দিয়েছে, কারণ এবার কাহিনীর মোড় নিয়েছে অন্য দিকে। গত দুই দিন থেকেই রাতের বেলায় গ্রামের অনেকেই দেখেছে কেউ হাড়িকেন হাতে করে ঠিক নিপিনের মত করেই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। নিপিনদের সমাজ থেকে বলা হচ্ছে এটা নিপিনের অতৃপ্ত আত্মা। অন্যরা তা শুনে দিনের বেলায় মুচকি হেসে রাতে খুব তাড়াতাড়ি দরজা বন্ধ করছে।
এইদিকে রুস্তমের কারো কথায় কান দেবার সময় নেই। আজই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পুলিশ এসেছিল। তারা তাকেই সন্ধেহ করছে। সে জন্য যেভাবেই হোক নিপিনকে জীবিত কিংবা মৃত পেতে হবে। জীবিত পেলে বুড়োকে এক হাত নেয়া যাবে আর মৃত পেলে লাশ গুম করতে হবে।
রাত ২টা
বাইরে কেউ ফুপিয়ে কাঁদছে। ভূতুরে মেয়ে কান্না নয় সেটা। গম্ভীর গলার নাকি সুর। রুস্তমের সমস্ত শরীরের লোম দাঁড়িয়ে তার ভয়ের জানান দিচ্ছে। সে স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে কেউ কাঁদছে। কিন্তু কে কাঁদছে তা বের হয়ে দেখার সাহস হচ্ছেনা। ভয় কাটাতেই রুস্তম হাড়িকেনের আলো বাড়াতে টেবিলের উপরে হাত দিল। অসাবধানতা বশত টেবিলের উপরে তালার চাবির উপরে হাত পরল। সেটি রাতের নিস্তব্ধতাকে কাটিয়ে ঝনঝন আওয়াজ করে মাটিতে আছড়ে পরল। সাথে সাথেই বাইরের কান্নার আওয়াজ বন্ধ হয়ে গেল। কারো ধুপ করে মাটিতে পরে যাবার আওয়াজ আসল। রুস্তম কি করবে ভেবে পাচ্ছিলনা। কিছুক্ষন সময় নিয়ে সে সিদ্ধান্ত নিল বাইরে বের হবে। হাড়িকেনের আলো বাড়িয়ে দিয়ে সে বাইরে বের হয়ে এল। বাইরে শুধু কুয়াশা দেখতে পেল। কেউ নেই। ভয় পেল এই ভেবে কে এতক্ষণ কাঁদছিল? নিপিনের আত্মা! কিছুক্ষণ পরেই রুস্তম কারো হেঁটে যাবার আওয়াজ পেল। স্বভাবতই হাড়িকেনটা সে আওয়াজের দিকে ধরল। আবছা আলোয় চাদড় পরিহিত অবস্থায় কাউকে সে দেখল। মনে পরে গেল গ্রামবাসীর কথা। আবার ভাবল সে কেন তার কোন ক্ষতি করছেনা? এই সাহস নিয়েই চাদড় পরা লন্ঠন ধারির পিছু নিল। বাইরে ফাঁকা জায়গায় এসে সেতিকে দেখে তার নিপিনই মনে হল। কারন চাদর আর হাড়িকেন দুটিকেই তার নিপিনের মনে হল। পাচ বছর ধরে এক সাথে আছে তারা। রুস্তম সাহস করে ডাকল, ‘এ্যাই নিপিন’। কিন্তু সেটা পিছনে ফিরে তাকালো না। আগের গতিতেই সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। এদিকে রুস্তম এই লণ্ঠনধারীর পেছনে আসতে আসতে গোরস্থান পর্যন্ত চলে এসেছে। কিন্তু সেটা আর থামছে না। এবার রুস্তম পুরো ভয় পেয়ে গেল। ওটার সাথে গোরস্থানের ভেতরে ঢুকবার সাহস পেলনা। ঠায় দাঁড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণ কী করবে তা ভাবল। তারপর স্টেশনে ফিরে আসতে লাগল।
ষ্টেশনের খুব কাছা কাছি আসার পর রুস্তম বুঝতে পারল কেউ তার পিছু নিয়েছে। তাই সে একটি রেলগাড়ির বগির আড়াল হল। আরো কাছাকাছি কারো আওয়াজ পাওয়াতে সে ভয় পেয়ে বগির ভেতরেই ঢুকে গেল। ভেতরে আসতেই দম বন্ধ হবার যোগাড়। সে হাড়িকেন উচিয়ে চারদিকে তাকাতেই নিপিনের চাদড়টি দেখতে পেল। সামনে এক কদম আগাতেই পিচ্ছিল কোন কিছু উপরে পা পড়তেই ধরাম করে নরম কিছুর উপর গিয়ে পড়ল রুস্তম। তার শরীরের নিচে নরম কি আছে তা দেখতে যেয়েই দেখল তার দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে সাদা চেহারার প্রায় রক্তিম লাল দুটি চোখ যেন ঠিকরে বেরুচ্ছে। আর সেটির হাত তার ঘাড়ের উপরে।
পরবর্তি পর্বঃ তাহলে নিপিন কি জোনাথন হার্টকে মেরে ফেলল? না-কি সত্যি সেটি ভূত, গ্রামবাসীর কথাই কি সত্য? আশা করি শেষ পর্বে এর জবাব দেবার ইচ্ছে রইল। শুভকামনা চাই এর জন্য।
চলবে .....................
পূর্বের পর্বঃ Click This Link
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: আজ রাতেই পেয়ে যাবেন।
২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
অহন_৮০ বলেছেন: আবারও ঝুলাইলেন ??????????
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: মনে থাকলে আজ রাতেই পেয়ে যাবেন।
৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৭
কামরুল আহসান খান বলেছেন: কামডা থিক করলেন্না মিয়া ...আরেকটু হইলেই জ্ঞান হারাইতাম ......জলদি পরের পর্ব দেন
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: জ্ঞান হারাইয়েননা। সামনে আরো জটিল অবস্থা আসতাছে।
৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫৬
নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: O.M.G miss করে গেছিলাম ।
তবে ভয় পাইতেছি ।
৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনি কোন ধরনের লেখা ব্লগে দেন তা জানাবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৪
অপু তানভীর বলেছেন: আপনে মিয়া আসলেই লোক ভালা না !! আবারও মাঝ পথে ভয় দেখেইয়া কন চলবে......।
পরের পর্ব জলদি দেন কইলাম.........