![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঢাকা মহানগরে ভাড়াটিয়া হিসেবে টিকে থাকতে জব করেছি ১৫ বছরে ১৯ টি। জব ছিল সবসময় অামার যন্ত্রণা। সাব-এডিটর দিয়ে শুরু হলেও কখনো ছিলাম জাতীয় দৈনিকের সাহিত্য সম্পাদক, কখনো ফিচার এডিটর, কখনো এডিটরিয়ালে সহকারি সম্পাদক। ছিলাম অ্যাডফার্মে স্ক্রিপ্ট রাইটর, ছিলাম কখনো টেক্সটাইলে শাড়ির ডিজাইনার। এনজিওতে পাবলিকেশন্সে ডকুমেন্টেশন ও পাবলিকেশন্স অফিসার, থেকেছি মিডিয়া ম্যানেজার। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এইচ কিউ-সামরিক জাদুঘর 'বিজয় কেতন'এ ছিলাম মুক্তিযুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সম্মুখ সমরের ইতিহাসের টেক্সট এডিটর। কিছু টিভি অনুষ্ঠানও করেছি। কিছুদিন ছিলাম একটা স্যাটেলাইট টেলিভিশনের নামকাওয়াস্তে অনুষ্ঠান প্রধান। কখনো ছিলাম বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠনের এক্সপার্ট। বক্তৃতাই তখন পেশা। একদিন যেমন টিউশনি করেছি, একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টারিও করেছিলাম কিছুদিন। কিছুতেই পোষায়নি আমার। মূলত কোনো পেশাতেই অামার পোষায় না।
*****
পঞ্চম শ্রেণিতে পড়বার সময় বাড়ির বাহির-উঠোনে নাটক করেছিলাম, মমতাজউদ্দীর অাহমদ রচিত 'বকুলপুরের স্বাধীনতা'। আমিই নির্দেশক। অামি ছাড়াও সে-নাটকে অভিনয় করেছিল অামার বড়কাকার ছেলে এবং অামাদের পাড়ার কয়েকজন বাচ্চা-কাচ্চা। তারপর আমাদের গাড়াগজ্ঞ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক স্কুল নাটকে অভিনয় করি। তারপর ঝিনাইদহ কেশবচন্দ্র কলেজে উঠে যোগ দিই বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার-এর শাখা সংগঠন মাইকেল মধুসূদন দত্ত অঞ্চলের 'ঝিনেদা থিয়েটার'এ। এরপর খুলনা যাত্রা। তারপর ঢাকায় এসে ভর্তি হই ঢাবি চারুকলা ইনস্টিটিউটে। শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার স্যারের সঙ্গে তিনবছর পাপেট থিয়েটার করেছি। পাপেট শো করতাম, ভোকাল দিতাম। টানা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত পাপেট চালাতে পারতাম। মন্টু স্যারের কাছে অনেক কিছুই শিখেছি। তারপর যুক্ত হই নাট্যদল 'নাট্যকেন্দ্র'-এ। তিন-চার বছর যুক্ত ছিলাম। ছবি অাঁকা-কবিতা লেখার কাজটাও করে যাই। সিনেমা নির্মাণের লালিত-স্বপ্ন তো ছিলই। 'ব্ল্যাকঅাউট' প্রথম। ৯৭ মিনিটের প্রডাকশন। তারপর ছয়ঋতুর ওপর ছয়টা শর্টফিল্ম করেছি, যথাক্রমে, গ্রীষ্মের 'তরমুজ' বর্ষার 'শালিক দিবস' শরতের 'দি গ্রেট অস্কার' হেমন্তের 'শুধু শুধু' শীতের 'ওয়ানস অাপন অা টাইম' এবং বসন্তের 'স্প্রিং উইদাইট স্ক্রিপ্ট'। গান তো গাইতে পরি না, শুনি কেবল, ডুবে মরি গানে। ভালো লাগে। গাছের পাতায় অালোর নাচন দেখি। ভালো লাগে। টোটাল আর্টেই নেশা অামার। আমি নেশাখোর।
এসময় 'সামান্য কিছু' নামে একটা শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির সাময়িকী সম্পাদনা করছি। 'সৈয়দ শামসুল হক' ইস্যুটাই প্রথম সংখ্যা, প্রকাশিতব্য। ক্রাউন সাইজ ২২ ফর্মা। 'সামান্য কিছু'র নির্বাহী সম্পাদক এ সময়ের চিন্তাশীল তরুণ প্রতিভা সাদ্দাম সিকদার। 'সামান্য কিছু'র সঙ্গে সর্বাঙ্গীন যুক্ত থেকে কাজ করে যাচ্ছেন নির্মাতা মোস্তফা মনন, শাকিল সৈকত, শাশ্বত মিত্র, সাদিয়া মিজান, শিল্পী ধ্রুব এষ, কথাসাহিত্যিক অানোয়ারা সৈয়দ হক এবং অারো কয়েকজন ডেডিকেটেড সংস্কৃতিকর্মী।
এ বছর সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিযোগিতা করে দুটো ফিল্মে অনুদান পেয়েছি। যথাক্রমে ফুললেন্থ 'কাঁটা' ও শর্টলেন্থ 'রাজপুত্তুর' বর্তমানে নির্মাণাধীন।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান: ভার্মিলিয়ন রেড।
তিনবারের নিঃশ্বাস দুইবারে ফেলছি, সময় কম...
২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৭
মুম রহমান বলেছেন: চালিয়ে যান, সময় কম/বেশি বেল কিছু নেই, কতোটা সময়ে কতোটা কাজ হলো তাই দেখার বিষয়, আর যদি কাজটা ভাল হয় তাহলে তো সোনায় সোহাগা। হৃদরুগীকে হৃদয় থেকে দুটো ফিলে্মর জন্য এক লক্ষ শুভেচ্ছা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৩
মহিদুল বেস্ট বলেছেন: সময় কম