নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৩২ পৃষ্ঠায় খড়, ৩৩ পৃষ্ঠায় অাগুন

টোকন ঠাকুর

কবিতা গল্প লিখি, ছবি আঁকি-বানাই, একাএকা গান গাই...

টোকন ঠাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রঙস্তুতি

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৯

রঙস্তুতি



সিয়েনা শহর পুড়ে গেছে। সেই পোড়া শহরের কালারই হচ্ছে বান্র্টসিয়েনা। যারা ছবি আঁকে, তাদের কেউ কেউ এ কালার পছন্দ করে বটে।



হঠাৎ রোদ মিষ্টি লাগে। হঠাৎ চৌচির করে দিয়ে যায় বখাটে হাওয়া। ঠেকানো যায় না, এমন দুর্বার, এমন মাতাল। এমনকি কী নেই কী নেই বলে বুকের মধ্যে উষ্ণ জলের গুড়গুড়ি বেজে ওঠে, খুব ফাঁকা ফাঁকা লাগে, স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে একা বসে থাকি। একটা শালিক আরেকটা বালিকা শালিকের খোঁজে ছটফট করতে থাকে। তখন রোদ মিষ্টি, হাওয়া চৌচির...



হঠাৎ ভালোবাসার আঁচে, আভায়, লাভায় মন পুড়ে যায়। কৃষ্ণচূড়ার ফুল কিংবা ভার্মিলিয়ন রেড ঝুপঝাপ ঝরে পড়ে শূন্যপটে। তখন হয়তো সবে হেমন্ত, ভালোবাসা কুয়াশা হয়ে আসে। কুয়াশার আধিক্য এমন যে, এক হাত সামনে-পেছনেও কিছু দেখা যায় না। যথেষ্ট বিভ্রম ছড়ানো পথে বাড়ি ফেরা দায় হয়ে যায়। পুরো শীতকাল ভালোবাসা শিশির হয়ে ঝরে। ভোরবেলা হাঁটতে গেলেই মাথা ভিজে যায়, পা ভিজে যায়। পুরো শরীর ভিজে ওঠে ভালোবাসায়। এরপর আসে বসন্ত, কুয়াশা তখনো কিছু অবশিষ্ট উঁকি মারে আর তলে তলে মন বেলে সিঁদুরে লেপ্টে যায়। এককথায়, ভালোবাসা সন্ত্রাস ঘটাতে চায়। বনে বনে অর্কেস্ট্রা বাজে। খুব ভালো লাগে, লাগে বলেই হঠাৎ ভালোলাগা রিভার্স হয়। হলে, তখন তো আর মোটেই ভালো লাগে না। লোনলি লোনলি লাগে। ভালোলাগার ফর্ম চেঞ্জ হয়ে যায়।



পোড়া শহর, পোড়া মনের আলাদা আলাদা কালার ফুটে ওঠে। তখন হয়তো কবিতা লেখা হয়, সেই কবিতা ছাপাখানায় যায়। তারপর সেই কবিতা কেউ হয়তো পড়ে, পুড়ে যাওয়ার আশায়, ঘৃণায়, ভালোবাসায়...







(ভার্মিলিয়ন রেড-এর ভূমিকা)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.