নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তমাল। তমাল মানে তমাল বৃক্ষ! আমি বৃক্ষের মতোই সরল, সহজ এবং মোহনিয়। পেশায় একজন পুরঃ কৌশল প্রকৌশলী। কাজ করেছি দেশের স্বনামধন্য কোন এক দপ্তরে। বর্তমানে উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানীতে অবস্থান করছি। আমি ভালবাসি মানুষ,দেশ এবং পরিবেশ। ধন্যবাদ।

মুহাম্মদ তমাল

একুশ শতকের অদৃষ্ট,সুপথের সন্ধানী তবু পথভ্রষ্ট,পূর্নতায় হৃদয় সিক্ত,রজক জয়ন্তী পূর্ন বন্দি অবশেষে মুক্ত।

মুহাম্মদ তমাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

পোল্যান্ডে উচ্চ শিক্ষাঃ আপনার উচ্চ শিক্ষার নতুন পথ হতে পারে পোল্যান্ড

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৮


পোল্যান্ডে বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে কিছু হায়ার ইনস্টিটিউট রয়েছে যেখানে বিভিন্ন বিষয়ে ভোকেশনাল কোর্স করানো হয় এবং জব প্লেসমেন্টের জন্য সেগুলোর উপর বাস্তব চর্চাও করানো হয়। এছাড়া ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় এখানে পড়াশোনার খরচও কম। বর্তমানে পোল্যান্ডে প্রায় পাঁচ হাজার বিদেশিসহ প্রায় ১৪ লাখ ২১ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী বিভিন্ন পর্যায়ে পড়াশোনা করছে।

শিক্ষাব্যবস্থা:
পোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বর্তমানে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পোল্যান্ডের শিক্ষাস্তর প্রধানত ৪টি। এখানে পোল্যান্ডের শিক্ষাস্তরের সাথে বাংলাদেশের শিক্ষাস্তরের তুলনা দেয়া হলো যাতে এদেশের শিক্ষাস্তর সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা করা যায়।
পোল্যান্ডে একজন ছাত্রের শিক্ষাজীবন শুরু হয় প্রাইমারি অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন ধাপের মাধ্যমে এ ধাপের মেয়াদ ১২/১৩ বছর।এরপরই শিক্ষার্থীরা হায়ার এডুকেশন ধাপে পদার্পণ করতে পারে। এদের হায়ার এডুকেশন ধাপের কোর্সের নাম লাইসেনজেট অথবা ইঞ্জিনিয়ার এবং এ ধাপ সম্পন্ন করতে সময় লাগে ৩/৪ বছর। এরপর শুরু
হয় প্রফেশনাল টাইটেল অ্যাওয়ার্ড প্রদান
পর্ব যাকে ম্যাজিস্টার কোর্স বলা হয় এবং এ ধাপের মেয়াদ ২ বছর। অপরদিকে আমাদের দেশে শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন শুরু হয় প্রাইমারি ধাপের মাধ্যমে। এ ধাপের মেয়াদ ৫ বছর। তারপর শুরু হয় সেকেন্ডারি ধাপ যার মেয়াদ ৬ বছর। এরপর শুরু হয় হায়ার সেকেন্ডারি ধাপ যার মেয়াদ ২ বছর এবং তারপর শুরু হয় গ্রাজুয়েশন কোর্স/অনার্স। যার মেয়াদ ৪ বছর। গ্রাজুয়েশনের পর শুরু হয় ১ বছর মেয়াদি মাস্টার্স কোর্স।
পোল্যান্ডের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভক্ত- ১. ইউনিভার্সিটি, ২. টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি, ৩. মেডিক্যাল একাডেমিস, ৪. এগ্রিকালচারাল একাডেমিস, ৫. ইকোনমিক্যালি একাডেমিস, ৬. হায়ার টিচার এডুকেশনাল স্কুল, ৭. একাডেমিস অব মিউজিক, ফাইন আর্টস, থিয়েটার এন্ড সিনেমাটোগ্রাফি, ৮. একাডেমিস অব ফিজিক্যাল এডুকেশন, ৯. থিওলজিক্যাল একাডেমিস, ১০. মারচেন্ট মেরিন একাডেমিস, ১১. মিলিটারি স্কুল, ১২. স্কুল অব পুলিশ, ১৩. স্টেট স্কুল অব হায়ার ভোকেশনাল এডুকেশন, ১৪. নন পাবলিক স্কুল, ১৫. নন স্টেট স্কুল অব হায়ার ভোকেশনাল এডুকেশন।


পড়াশোনার বিষয় : মিউজিকোলজি, মিউজিক্যাল এডুকেশন, ফটো, ফিল্ম অ্যান্ড টিভি ক্যামেরা ইত্যাদি বিষয় পোল্যান্ডে সবচেয়ে আদর্শ হলেও অন্যান্য যুগোপযোগী বিষয়েও উচ্চশিক্ষা অর্জন করা যায়। যেমন- জার্নালিজম অ্যান্ড সোশ্যাল কমিউনিকেশন্স, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, আর্ট এডুকেশন, ইকোনমিক্স, এডমিনিস্ট্রেশন, মেডিক্যাল এনালাইসিস, বায়োটেকনোলজি, ফার্মেসি, ফিলোসফি, জিওগ্রাফি, ইনফরমেটিক্স, ফরেস্ট্রি, ল, নার্সিং, থিওলজি, ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড হিউম্যান নিউট্রিশন, এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফরেস্ট টেকনোলজি, ডেন্টিস্ট্রি, আর্কিওলজি, এথনোলজি, আর্ট হিস্ট্রি, কালচারাল স্টাডিজ, কালচারাল হেরিটেজ প্রোটেকশন, পেপার অ্যান্ড পলিগ্রাফসহ ইন্জিনিয়ারিং-এর অন্যান্য বিষয়।

পোল্যান্ডে বর্তমানে নার্সিং প্রোগ্রাম খুবই চাহিদাসম্পন্ন। বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা নার্সিংয়ে গ্রাজুয়েশন তাদের জন্য পোল্যান্ড সরকার নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। পোল্যান্ডে নার্সদের অত্যাধিক। যারা নার্সিংয়ে পড়াশোনা করবে তাদেরকে সাথে সাথে দেশে ওয়ার্ক পারমিট এমনকি পারমানেন্ট রেসিডেন্টশিপ গ্রহণের সুযোগ দিয়ে থাকে। আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা ইচ্ছে করলেই এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারবে।


যে ভাষায় পড়াশোনা : পোল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় ভাষা পোলিশ হলেও এখানে ইংরেজি ও জার্মান ভাষায় শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ আছে। তবে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে পোলিশ ভাষায় পড়ানো হয়। তাই বিদেশি শিক্ষার্থীদের অবশ্যই পোলিশ ভাষায় দক্ষ হতে হবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেই দক্ষতার প্রমাণ দেখাতে হবে। নতুবা ইংরেজিতে খুব ভাল দক্ষতা থাকতে হবে।

পড়াশোনার খরচ : পোল্যান্ডে পড়াশোনা করতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সাধারণত বছরে ২- ৪ হাজার ইউরো খরচ হয়। এ ছাড়া থাকা-খাওয়ার খরচ
তো আছেই।

কাজের সুযোগ : পোল্যান্ডের সরকার সে দেশে পড়াশোনা করতে আসা শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে ১০ ঘণ্টা পার্টটাইম কাজের সুযোগ দেয়। আর জুন থেকে আগস্ট এ তিন মাস গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে ফুলটাইম কাজের সুযোগ আছে। এখানকার জনবহুল ও ব্যস্ত নগরীগুলোয় কাজের সুযোগ তুলনামুলক বেশি। পোলিশ এবং ইংরেজিতে পারদর্শী হলে রেস্টুরেন্ট, দোকান ও শপিংমলে কাজ করে ৮-১২ ইউরো
আয় করা যায়।

আবেদন প্রক্রিয়া : পোল্যান্ডের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা, যেমন- এইচএসসি বা সমমান পাশ, ভাষা দক্ষতা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ফিটনেস ইত্যাদি অর্জিত হলে আপনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি ভর্তির আবেদন পাঠাতে পারবেন।


প্রথম ধাপ:
প্রথমে আপনি http://www.studyinpoland.pl/en/ যান। তারপর choose field of study মানে আপনি কোন বিষয়ে পড়াশুনা করতে চান, তারপর choose type of degree মানে কোন ডিগ্রী নিতে চান- ব্যচেলর না মাস্টারর্স, তারপর search ক্লিক করুন। ব্যাস।

দ্বিতীয় ধাপ:
search এর পরে অাপনি অনেকগুলি ইউনিভারসিটি এবং সাবজেক্ট দেখতে পাবেন। ওই সাবজেক্টগুলোতে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর প্রথমে ইউনিভারসিটির ঠিকানা, ফোন নং, ইমেইল, ওয়েবসাইট দেয়া থাকে। এরপর নিচে যে সাবজেক্ট পড়তে চাচ্ছেন, তার সময়কাল, টিউশন ফি, ডেডলাইন, যোগাযোগ, কি কি লাগবে প্রতিটি তথ্য দেয়া থাকে। যদি না দেয়া থাকলে প্রত্যেকটা ইউনিভারসিটি নিজস্ব পেজে পাবেন।

৩য় ধাপ :
যে সাবজেক্ট-এ পড়তে চান, তার দ্বিতীয় ধাপে তো সময়কাল, টিউশন ফি, ডেডলাইন, যোগাযোগ, কি কি লাগবে, সব বুঝে গেলেন। এবার সরাসরি ওদের ইমেইল করুন এবং বলেন, আমার বাপের টাকা আছে, পড়তে চাই , এডমিশন লাগবে। দিবি কিনা বল ! (মাজা করলাম) কিভাবে ইমেইল করবেন সেটা চতুর্থ ধাপ।

চতুর্থ ধাপ:
কিভাবে ইমেইল করবেন , তার নমুনা , চাইলে কপি মারতে পারেন। কপি-পেষ্ট করার সময় কোন ডিগ্রী এবং কি কোর্স করবেন, তা উল্লেখ করবেন।

''Dear sir/madam, Greetings from Bangladesh I am looking forward to take a degree bachelor/Master in..... Course from a reputed university like yours. I would like to start from the next semester in 2017. I completed School/Bachelor of Laws from Bangladesh.
Let me know what kind of procedure should need to continue for getting admission in your university.I will be waiting for your mail.
Thanks''

৫ম ধাপ :
ধের্য করুন এবং ফ্রি সময়ে বেশি করে যিরা পানি খান । মাজা হবে কিন্তু, সম্প্রতি এই জিনিসটা হেভি লাগছে । ধের্য করুন ১-৭ দিন , মাঝে মাঝে ১-২ সপ্তাহ । উত্তর দিতে বাধ্য ।


৬ষ্ট ধাপ :
ইউনিভারসিটি উত্তরে বলবে , কিভাবে আবেদন করবেন লিংক দিবে । ওই লিংকে গিয়ে দেখুন কি কি চায় ! ভাই, ধের্য ধরে পড়ুন , ধের্য্যর ফল মিঠা। ইংরেজী দেখলে আমাদের গায়ে জ্বর ওঠে। জ্বর কমানোর দুইটা উপায়। এক, ফামের্সি থেকে ওষুধ কিনে খেলে ২-৩ দিন পর সুস্থ এবং দুই.ডাক্তার কাছে যাওয়া । ডাক্তার বেটা অনেক টেস্ট দিবে এবং শেষমেশ ওষুধ দিবে ফামের্সির ওটাই। সুতরাং ২-৩ দিন ধের্য ধরে পড়ুন এবং পড়ুন এবং আমরা তো আছি মানে ফামের্সি। আর না পড়লে কসাই ডাক্তার ভূমিকায় বসে আছে এজেন্সী।

শেষ ধাপ :
অনেক ইউনিভারসিটি অনলাইনে সিস্টেম যেমন অনেকটা আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির মত, আবার অনেক ইউনিভারসিটি ম্যানুয়াল সিস্টেম, যেমন প্রাইভেট ইউনিভারসিটির মত, ফরম নিবেন , ফিলাপ করবেন, ইমেইলে জমা দিবেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১২

কালীদাস বলেছেন: পোলিশ না জানলে কোন জব পাওয়া যায়না এমনকি মেজর শহরগুলোতেও। গোদের উপর বিষফোড়া হল বাংলাদেশে থেকে স্টাডি ভিসা নিয়ে যাওয়া সোনামনিরা ধুমসে পালিয়েছে পোল্যান্ড থেকে গত কয়েক বছর, যে কারণে পোলিশ এম্বেসি বাংলাদেশের ছাত্রদের ভিসা দেয়া আগের চেয়ে অনেক কমিয়ে দিয়েছে।

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৩

মুহাম্মদ তমাল বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। পোল্যান্ডে যেতে হলে নিজে চলতে ফিরতে পারা যায় অন্তত্ত এতটুক পোলিশ শিখতে হবে। আর সবার আগে পড়াশোনা করার মানসিকতা নিয়ে ওখানে যেতে হবে।আর ইউরোপ এর কোন দেশেই এখন বেশী ভিসা দিচ্ছে না। এটার কারন শরণার্থী সমস্যা, জঙ্গিবাদ, অর্থনৈতিক মন্দা ইত্যাদি। পোল্যান্ডে গিয়ে ডিগ্রী কমপ্লিট করতে পারলে ভাল ফল আসবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.