নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একুশ শতকের অদৃষ্ট,সুপথের সন্ধানী তবু পথভ্রষ্ট,পূর্নতায় হৃদয় সিক্ত,রজক জয়ন্তী পূর্ন বন্দি অবশেষে মুক্ত।
২৯ শে মার্চ, রাত ১০:৩০।
বিছানায় পিঠ মিলিয়েছি চরম বিরক্তি এবং ক্লান্তিতে। সিলিং ফ্যান ঘুরছে ভো ভো করে। রুমের লাইট বন্ধ। সিলিংয়ে বসনো ফ্লোরোসেন্ট চাঁদ- তারা গুলো টিমটিম করে জ্বলছে। কলিজার টুকরা ভাগ্নিটার আজ জন্মদিন ছিলো, প্রতিবারের মতো এবারও যাওয়া হয়নি বাড়িতে । সবকিছু বন্ধ। মানুষে সব গতি অথবা দুর্গতি।
সময়টা কেমন যাচ্ছে, কিংবা কি হচ্ছে, না হচ্ছে বুঝতে পারছি না। মনেহচ্ছে, একটা দুঃসপ্নের নিদ্রারত অবস্থায় আছি। কেমন যেন একটা গোলক ধাঁধা, ঘুরছে সবকিছু, ওলট পালট, অকল্পনীয়। চারিদিকে এক ভয়, মৃত্যুর ভয়, ভয় প্রিয় মানুষকে ছেড়ে যাবার, প্রিয় সময় সমূহ গুলো হারিয়ে ফেলার ভয়। ভয় চেনা পথ গুলো ভুলে যাবার।
সব কিছু থেমে গিয়েছে, থেমে গিয়েছে সব উচ্ছ্বাস, আলোক সজ্জা, আলোর মিছিল, পাপিষ্ঠের কোলারব। পুরো ধরিত্রী জুড়ে শুধুই বেঁচে থাকার আকুতি। আগুনের দিন। সময়টা বড়ই কঠিন। বারবার মনেহয় সপ্ন দেখছি, হয়তো কিছুক্ষণ বাদেই সপ্ন ভেঙে যাবে। ফিরে আসবে সেই ব্যস্ততম সেই সকাল। বিরক্তিকর সেই এলার্ম, ঘুম চোখে নৈমিত্তিক স্নান করে, সস্তা লাঞ্চ বক্সে করে, অফিসের জন্য ভো দৌড়। তবে যা হচ্ছে সবই বাস্তব। যা কিছুদিন আগেই ছিলো অকল্পনীয় তা এখন জ্বলজ্বল করে জ্বলতে থাকা সত্য। সে সত্যটা সবাইকে গ্রাস করছে, ধ্বংস করছে সভ্যতার মুখোশে গড়ে ওঠা অসভ্যতা। বন্ধ হয়ে গেছে মানুষে মানুষের হানাহানী, অস্ত্রের ঝনঝনানি। ইয়ামেনের ক্ষুদার্থ শিশুর চিৎকার মাবুদের কানে ঢোলের মতো বেঁজেছে। অথবা সৃষ্টিকর্তা শুনেছেন ফিলিস্তিন থেকে ইয়ামেন, কাশ্মীর থেকে উইঘুরের নিপীড়িত জনতার অর্তনাদ। সেই গোলাবারুদের বোটকা গন্ধ বাতাস থেকে মিলিয়ে গিয়েছে। ক্ষমতার দাম্ভিকতা চূর্ন হয়েছে পলকে।
সবাই মুখোমুখি এখন একটা সরল রেখায় দাড়িয়ে.....
সব অপশন বন্ধ হয়ে গেছে, দুইটা অপশন এখন শুধুই দুইটা অপশন, মৃত্যু অথবা প্রান ভিক্ষা পাওয়া। সব বড়াই থেমে গিয়েছে। ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি বলে বলে গলা শুকিয়ে গেছে,
বাঁচা মেলেনি এখনো। ঘনীভূত হচ্ছে অন্ধকার, পুরো মানব জাতী নির্বিকার।
মানুষ তোমার কি অনুসূচনা হয়না?
অনুসূচনা, অনুসূচনা শুধুই অনুসূচনা।
মানুষ, তুমি মানুষ হও......
৩০ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৫৪
মুহাম্মদ তমাল বলেছেন: আমি সারাদিন ঘুমাই, সারারাত জেগে থাকি। কারন দিনের বেলা ঘরে বসে থাকাটাই সবচেয়ে কঠিন ব্যপার। ঘুমের মাঝেমধ্যে ব্রেক নেই খাদ্য গ্রহনের জন্য। আহা! কি সুন্দর জীবন। প্রচুর উপভোগ করছি এই সময়টা। আপনিও ভাল থাকুন। ধন্যবাদ।
২| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:২৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: । আল্লাহ সবাইকে সহী সালামতে রাখো।
৩০ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৫৪
মুহাম্মদ তমাল বলেছেন: আমিন।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:১২
রাজীব নুর বলেছেন: করোনার লকডাউনে সকালের নাস্তা খাই বেলা পৌনে ১১ টায়। অফরুন্ত অবসর জীবন। সবাই আমার মত লকডাউনে থাকুন। নিজে সুস্থ থাকুন অন্যকে সুস্থ রাখুন।