![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একুশ শতকের অদৃষ্ট,সুপথের সন্ধানী তবু পথভ্রষ্ট,পূর্নতায় হৃদয় সিক্ত,রজক জয়ন্তী পূর্ন বন্দি অবশেষে মুক্ত।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত কনডেম সেলের বন্দীও ,
আমাদের থেকে ভাগ্যবান। অন্তত সে জানে কবে, কখন, কীভাবে তার অন্তর্লোকে অন্তিম যাত্রা শুরু হবে।
তার সামনে মৃত্যুর দিন, সময়, মুহূর্ত স্পষ্ট এক নির্ধারিত সত্য। তাই চাইলে সে বুকের জমানো সব গল্প, বলে যেতে পারে, অগোচরে লুকানো ভালোবাসা প্রকাশ করে যেতে পারে, কিংবা প্রিয়জনের কানে শেষবারের মতো ফিসফিসিয়ে বলতে পারে “ভালোবাসি”। চাইলে নিতে পারে প্রাণভরে শেষ নিঃশ্বাস, শেষ কান্না কিংবা এক চূড়ান্ত চিৎকার। সে পারে ক্ষমা চাইতে, শেষ ভালোবাসার কথা জানাতে, অসমাপ্ত অনুভূতিগুলো বাতাসে ভাসিয়ে দিতে।
তার মৃত্যু নিশ্চিত তবুও প্রস্তুত,
পূর্বাভাসে জানা এক অনিবার্য পথচলা।
কিন্তু আমরা?
আমরা প্রতিদিন হাঁটি এক অনিশ্চিত নিয়তির পথে,
যেখানে নেই কোনো ঘোষণা, নেই কোনো সতর্কবার্তা, নেই কোনো প্রস্তুতির সময়।
মৃত্যু আসে আমাদের কাছে বিনা নোটিশে কখনো ভোরের শিশিরে, কখনো এক আকস্মিক ঝড়ে,
কখনো এক অদৃশ্য নিস্তব্ধতায়।
কি নির্মম! কি করুন! কি নিদারুণ!
তবুও এটাই চূড়ান্ত সত্য।
আমরা বেঁচে থাকি ভুলে গিয়ে যে সময় কারও জন্য থেমে থাকে না। ঘড়ির কাঁটা ঘোরে, টিক টক টিক সমান্তরালে, নির্দয় নিয়মে। আমরা জমিয়ে রাখি হাজারো কথা, কোটি বছরের অনুচ্চারিত অনুভূতি। মুখে আটকে থাকা অর্ধেক বাক্যগুলো নীরবতার শূন্যে মিলিয়ে যায় কারও অপছন্দ হবে ভেবে, বা সাহসের অভাবে। আমরা ভালোবাসা চাপা রাখি, কাছে টানার ইচ্ছেগুলোকে নিষেধের শৃঙ্খলে বন্দী করি। ক্ষমাগুলো হয়ে থাকে অনুচ্চারিত ক্ষমা করে দেওয়া কিংবা ক্ষমা চাওয়ার সেই মহেন্দ্রক্ষণ আসতে আসতে আর আসে না।
কিন্তু কে জানে, আগামীকাল আদৌ আসবে কিনা?
তাই যা বলার, এখনই বলো।
ভালবাসলে এখনই বাসো, ঘৃণা করলে এখনই কারো….
কারণ সময়ের কাছে কেউই অবিনশ্বর নই।
-মুহাম্মাদ তমাল
পৃথিবীর অন্য কোন এক প্রান্ত থেকে......
©somewhere in net ltd.