নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তন্দ্রাবিলাসে আপনাদের স্বাগতম

তন্দ্রা বিলাস

আমি একজন কৃষকের ছেলে, এই হাতে হাল চালাই, এই হাতেই কলম চালাই আবার এই হাতেই কীবোর্ড চালাই। সবকিছুই করার প্রচেষ্টা আমার মধ্যে রয়েছে।

তন্দ্রা বিলাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথম শ্রেণী হতে মাধ্যমিক পর্যন্ত পাঠ্য সকল ছড়া ও কবিতার সংকলন। (৩য় পর্ব)

২২ শে নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৪

প্রথম পর্ব

দ্বিতীয় পর্ব

চতুর্থ পর্ব

আসুন আজ আমরা মনে করে দেখি কে কে ছোটতে খুব মজা করে এসব ছড়া ও কবিতাগুলি পড়তাম। অনেকেই হয়তো আবৃত্তি করে অনেক পুরস্কার পেয়েছি। আবার কারো পড়তেই ভাল লাগত না। কেও মাষ্টারের বেতের ভয়ে পড়েছি। আসুন আজ আর এক বার সেসব ছড়া কবিতা গুলি পড়ি আর স্মরণ করি আমাদের ফেলে আসা সোনালী অতীতকে।

আজ চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠ্য সকল ছড়া কবিতা সমূহ তুলে ধরা হল। আপনারা ইচ্ছা করলে প্রথমদ্বিতীয় পর্ব পড়তে পারেন।



হেমন্ত

সুফিয়া কামাল



সবুজ পাতার খামের ভেতর

হলুদ গাঁদা চিঠি লিখে

কোন পাথারের ওপার থেকে

আনল ডেকে হেমন্তকে?



আনল ডেকে মটরশুঁটি,

খেসারি আর কলাই ফুলে

আনল ডেকে কুয়াশাকে

সাঁঝ সকালে নদীর কূলে।



সকাল বেলায় শিশির ভেজা

ঘাসের উপর চলতে গিয়ে

হালকা মধুর শীতের ছোঁয়ায়

শরীর ওঠে শিরশিরিয়ে।



আরও এল সাথে সাথে

নতুন গাছের খেজুর রসে

লোভ দেখিয়ে মিষ্টি পিঠা

মিষ্টি রোদে খেতে বসে।



হেমন্ত তার শিশির ভেজা

আঁচল তলে শিউলি বোঁটায়

চুপে- চুপে রং মাখাল

আকাশ থেকে ফোঁটায় ফোঁটায়।



স্বদেশ

আহসান হাবীব



এই যে নদী

নদীর জোয়ার

নৌকা সারে সারে,

একলা বসে আপন মনে

বসে নদীর ধারে

এই ছবিটি চেনা।

মনের মধ্যে যখন খুশি

এই ছবিটি আঁকি

এক পাশে তার জারুল গাছে

দুটি হলুদ পাখি,

এমনি পাওয়া এই ছবিটি

করিতে নয় কেনা।

মাঠের পরে মাঠ চলেছে

নেই যেন এর শেষ

নানা কাজের মানুষগুলো

আছে নানান বেশ,

মাঠের মানুষ যাই মাঠে আর

হাটের মানুষ হাটে,

দেখে দেখে একটি ছেলের

সারাটা দিন কাটে।

এই ছেলেটির মুখ

সারা দেশের সব ছেলেদের

মুখেতে টুক টুক।



প্রার্থনা

গোলাম মোস্তফা



অনন্ত অসীম প্রেমময় তুমি

বিচার দিনের স্বামী।

যত গুণগান হে চির মহান

তোমারি অন্তযামি।



দ্যুলোক-ভূলোক সবারে ছাড়িয়া

তোমারি চরনে পড়ি লুটাইয়া

তোমারি সকাশে যাচি হে শকতি

তোমারি করুনাকামী।



সরল সঠিক পুণ্য পন্থা

মোদের দাও গো বলি

চালাও সে পথে যে পথে তোমার

প্রিয়জন গেছে চলি।



যে-পথে তোমার চির-অভিশাপ

যে-পথে ভ্রান্তি, চির-পরিতাপ

হে মহাচালক, মোদের কখনও

করো না সে পথগামী।



বঙ্গভূমি ও বঙ্গভাষা

কায়কোবাদ



বাংলা আমার মাতৃভাষা

বাংলা জন্মভূমি।

গঙ্গা পদ্মা যাচ্ছে ব’য়ে,

যাহার চরণ চুমি।

ব্রহ্মপুত্র গেয়ে বেড়ায়,

যাহার পূণ্য গাথা!

সেই-সে আমার জন্মভূমি,

সেই সে আমার মাতা!



আমার মায়ের সবুজ আঁচল

মাঠে খেলায় দুল!

আমার মায়ের ফুল বাগানে,

ফুটছে কতই ফুল!

শত শত কবি যাহার

গেয়ে গেছে গাথা!

সেই-সে আমার জন্মভূমি

সেই-সে আমার মাতা!



আমার মায়ের গোলা ছিল,

ধন ধান্যে ভরা!

ছিল না তার অভাব কিছু,

সুখে ছিলাম মোরা!

বাংলা মায়ের স্নিগ্ধ কোলে,

ঘুমিয়ে রব আমি!

বাংলা আমার মাতৃভাষা

বাংলা জন্মভূমি!



মুক্তির ছড়া

সানাউল হক

তোমার বাংলা আমার বাংলা

সোনার বাংলাদেশ-

সবুজ সোনালি ফিরোজা রুপালি

রূপের নেই তো শেষ।

আমি তো মরেছি যতবার যায় মরা,

নবিন যাত্রী তমাকে শোনায় ছড়া।

এদেশ আমার এদেশ তোমার

সবিশেষ মুজিবের,

হয়ত অধিক মুক্তিপাগল

সহস্র শহীদের।



বীরপুরুষ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর



মনে করো, যেন বিদেশ ঘুরে

মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে।

তুমি যাচ্ছ পাল্‌কিতে, মা চ’ড়ে

দরজা দুটো এক্তুকু ফাঁক ক’রে,

আমি যাচ্ছি রাঙা ঘোড়ার প’রে

টগ্‌বগিয়ে তোমার পাশে পাশে।

রাস্তা থেকে ঘোড়ার খুরে খুরে

রাঙা ধুলোয় মেঘ উড়িয়ে আসে।।

সন্ধে হল, সূর্য নামে পাটে,

এলেম যেন জোড়াদিঘির মাঠে।

ধূ ধূ করে যেদিক পানে চাই,

কোনখানে জনমানব নাই,

তুমি যেন আপন মনে তাই

ভয় পেয়েছ ভাবছ, ‘এলেম কোথা।’

আমি বলছি ‘ভয় করো না মা গো,

ওই দেখা যাই মরা নদীর সোঁতা।’

আমরা কোথায় যাচ্ছি কে তা জানে-

অন্ধকারে দেখা যায় না ভালো।

তুমি যেন বললে আমায় ডেকে,

‘দিঘির ধারে ওই-যে কিসের আলো!’

এমন সময় ‘হাঁরে রে রে রে রে’

ওই যে কারা আসতেছে ডাক ছেড়ে?

তুমি ভয়ে পাল্‌কিতে এক কোণে

ঠাকুর দেবতা স্মরণ করছ মনে,

বেয়ারাগুলো পাশের কাঁটাবনে

পালকি ছেড়ে কাঁপছে থরোথরো।

আমি যেন বলছি তোমায় ডেকে,

‘আমি আছি, ভয় কেন, মা, করো!’

তুমি বললে ‘যাস্‌ নে খোকা ওরে,’

আমি বলি ‘দেখো-না চুপ করে।’

ছুটিয়ে ঘোড়া গেলেম তাদের মাঝে,

ঢাল তলোয়ার ঝনঝনিয়ে বাজে,

কী ভয়ানক লড়ায় হল মা যে

শুনে তোমার গায়ে দেবে কাঁটা।

কত লোক যে পালিয়ে গেল ভয়ে,

কত লোকের মাথা পড়ল কাটা।।

এত লোকের সঙ্গে লড়ায় ক’রে,

ভাবছ খোকা গেলই বুঝি মরে।

আমি তখন রক্ত মেখে ঘেমে

বলছি এসে, ‘লড়ায় গেছে থেমে,’

তুমি শুনে পালকি থেকে নেমে

চুমো খেয়ে নিচ্ছ আমায় কোলে

বলছ, ‘ভাগ্যে খোকা সঙ্গে ছিল

কী দুর্দশাই হতো টা না হলে!’





পারিব না

কালীপ্রসন্ন ঘোষ



পারিব না এ কথাটি বলিও না আর

কেন পারিবে না তাহা ভাব একবার,

পাঁচ জনে পারে যাহা,

তুমিও পারিবে তাহা,

পার কি না পার কর যতন আবার

এক বারে না পারিলে দেখ শত বার।

পারিব না বলে মুখ করিও না ভার,

ও কথাটি মুখে যেন না শুনি তোমার,

আলস অবোধ যারা

কিছুই পারে না তারা,

তোমায় তো দেখি না ক তাদের আকার

তবে কেন পারিব না বল বার বার?

জলে না নামিলে কেহ শিখে না সাঁতার

হাঁটিতে শিখে না কেহ না খেয়ে আছাড়,

সাঁতার শিখিতে হলে

আগে তবে নাম জলে,

আছাড়ে করিয়া হেলা, হাঁট বার বার

পারিব বলিয়া সুখে হও আগুসার।





মা

কাজী নজরুল ইসলাম



যেখানেতে দেখি যাহা

মা-এর মতন আহা

একটি কথায় এত সুধা মেশা নাই,

মায়ের মতন এত

আদর সোহাগ সে তো

আর কোন খানে কেহ পাইবে না ভাই।

হেরিলে মায়ের মুখ

দূরে যায় সব দুখ,

মায়ের কোলেতে শুয়ে জুড়ায় পরান,

মায়ের শীতল কোলে

সকল যাতনা ভোলে

কত না সোহাগে মাতা বুকটি ভরান।



যখন জনন নিনু

কত অসহায় ছিনু,

কাঁদা ছাড়া নাহি জানতাম কোন কিছু,

ওঠা বসা দূরে থাক-

মুখে নাহি ছিল বাক,

চাহনি ফিরিত শুধু মা’র পিছু পিছু!



পাঠশালা হ’তে যবে

ঘরে ফিরি যাব সবে,

কত না আদরে কোলে তুলি’ নেবে মাতা,

খাবার ধরিয়া মুখে

শুধাবেন কত সুখে

‘কত আজ লেখা হলো, পড়া কত পাতা?’

পড়া লেখা ভালো হ’লে

দেখেছ সে কত ছলে

ঘরে ঘরে মা আমার কত নাম করে!

বলে, ‘মোর খোকামণি।

হীরা মাণিকের খনি,

এমনটি নাই কারো!’ শুনে বুক ভরে!

দিবানিশি ভাবনা

কিসে ক্লেশ পাব না,

কিসে সে মানুষ হব, বড় হব কিসে;

বুক ভরে ওঠে মা’র

ছেলেরি গরবে তার

সব দুখ সুখ হয় মায়ের আশিসে।



কাজ্‌লা-দিদি

যতীন্দ্রমোহন বাগচী



বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই-

মাগো, আমার শোলোক বলা কাজ্‌লা-দিদি কই?

পুকুর ধারে, নেবুর তলে থোকায় থোকায় জোনায় জ্বলে,-

ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, একলা জেগে’ রই;

মাগো, আমার শোলোক বলা কাজ্‌লা-দিদি কই?



সে দিন হ’তে দিদিকে আর কেনই বা না ডাক,

দিদির কথায় আঁচল দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো?

খাবার খেতে আসি যখন দিদি বলে’ ডাকি, তখন

ও-ঘর থেকে কেন মা আর দিদি আসে নাকো,

আমি ডাকি,-তুমি কেন চুপটি করে’ থাক?

বল্‌ মা, দিদি কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে?

কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুল-বিয়ে হবে!

দিদির মতন ফাঁকি দিয়ে আমিও যদি লুকাই গিয়ে-

তুমি তখন একলা ঘরে কেমন করে’ র’বে?

আমিও নাই দিদিও নাই-কেমন মজা হবে!



ভুঁইচাপাতে ভরে গেছে শিউলি গাছের তল,

মাড়াস নে মা পুকুর থেকে আনবি যখন জল;

ডালিম গাছের ডালের ফাকে বুলবুলিটি লুকিয়ে থাকে,

দিস না তারে উড়িয়ে মা গো, ছিঁড়তে গিয়ে ফল;-

দিদি এসে শুনবে যখন, বলবে কী মা বল্‌!



বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই-

এমন সময়, মাগো আমার কাজলা দিদি কই?

বেড়ার ধারে, ধারে পুকুর পাড়ে ঝিঁঝিঁ ডাকে ঝোপে ঝাড়ে;-

নেবুর গন্ধে ঘুম আসে না –তাইতো জেগে রই;

রাত হ’ল যে, মাগো আমার কাজ্‌লা-দিদি কই?





পাল্কীর গান

সতেন্দ্রনাথ দত্ত



পাল্কী চলে!

পাল্কী চলে!

গগন-তলে

আগুন জ্বলে!



স্তব্ধ গাঁয়ে

আদুল গায়ে

যাচ্ছে কারা

রৌদ্রে সারা!



ময়রা মুদি

চক্ষু মুদি’

পাতায় ব’সে

ঢুলছে ক’ষে।



দুধের চাঁছি

শুষ্‌ছে মাছি,-

উড়ছে কতক

ভনভনিয়ে।

আস্‌ছে কারা

হন্‌ হনিয়ে?



হাটের শেষে

রুক্ষ বেশে

ঠিক দু’পুরে

ধায় হাটুরে!



কুকুর গুলো

শুঁক্‌ছে ধূলো,-

ধুঁক্‌ছে কেহ

ক্লান্ত দেহ।



গঙ্গা ফড়িং

লাফিয়ে চলে;

বাঁধের দিকে

সুর্য্য ঢলে।



পাল্কী চলে রে,

অঙ্গ টলে রে!

আর দেরি কত?

আর কত দূর?



জানাজানি

আসাদ চৌধুরী



বাংলাদেশের পাখি কেন মধুর সুরে ডাকে,

জানো?

জানি জানি জানি।

পাখির ভাষার মান দিতে যে

বাঙালি দেয় জান-

পাখি যে তা জানে,

তাইতো পাখি পাগল করে,

বিহান বেলার গানে।



বাংলাদেশের আকাশ কেন কপালে টিপ আঁকে,

জানো?

জানি জানি জানি।

উদার আকাশ যে – ইসারায়

ডাক দিয়ে যায় প্রাণে,

বাঙালি তা জানে।

তাইতো আকাশ টিপ দিয়ে যায়,

ললাটের মাঝখানে।



নিমন্ত্রণ

জসীমউদ্‌দীন



তুমি যাবে ভাই- যাবে মোর সাথে আমাদের ছোট গাঁয়,

গাছের ছায়া লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়;

মায়া মমতার জরাজরি করি

মোর গেহখানি রহিয়াছে ভরি,

মায়ের বুকেতে, বোনের আদরে, ভায়ের স্নেহের ছায়,

তুমি যাবে ভাই- যাবে মোর সাথে আমাদের ছোট গাঁয়।

ছোট গাঁওখানি- ছোট নদী চলে, তার একপাশ দিয়া,

কাল জল তার মাজিয়াছে কেবা কাকের চক্ষু নিয়া।

ঘাটের কিনারে আছে বাঁধা তরী,

পরের খবর টানাটানি করি;

বিনাসূতী মালা গাঁথিছে নিতুই এপার ওপার দিয়া;

বাঁকা ফাঁদ পেতে টানিয়া আনিছে দুইটি তটের হিয়া।

তুমি যাবে ভাই- যাবে মোর সাথে ছোট সে কাজল গাঁয়,

গলাগলি ধরি কলা বন যেন ঘিরিয়া রয়েছে তায়।

সরু পথ খানি সূতায় বাঁধিয়া

দূর পথিকেরে আনিছে টানিয়া,

বনের হওয়ায়, গাছের ছায়ায়, ধরিয়া রাখিবে তায়;

বুকখানি তার ভরে দেবে বুঝি মায়া আর মমতায়।

তুমি যদি যাও- দেখিবে সেখানে মটর লতার সনে,

সীম–আর-সীম – হাত বাড়ালেই মুঠি ভরে সেইখানে।

তুমি যদি যাও সে – সব কুড়ায়ে,

নাড়ার আগুনে পোড়ায়ে পোড়ায়ে,

খাব আর যত গেঁয়ো চাষীদের ডাকিয়া নিমন্ত্রণে,

হাসিয়া হাসিয়া মুঠি মুঠি তাহা বিলাইব জনে জনে।







প্রথম পর্ব

দ্বিতীয় পর্ব



©আহমেদ সজীব আমান

লেখকের আনুমতি ছাড়া এই পোস্টটা কপি পেস্ট করে কোথাও প্রকাশ করা নিষেধ ।আসুন আজ আমরা মনে করে দেখি কে কে ছোটতে খুব মজা করে এসব ছড়া ও কবিতাগুলি পড়তাম। অনেকেই হয়তো আবৃত্তি করে অনেক পুরস্কার পেয়েছি। আবার কারো পড়তেই ভাল লাগত না। কেও মাষ্টারের বেতের ভয়ে পড়েছি। আসুন আজ আর এক বার সেসব ছড়া কবিতা গুলি পড়ি আর স্মরণ করি আমাদের ফেলে আসা সোনালী অতীতকে।

আজ চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠ্য সকল ছড়া কবিতা সমূহ তুলে ধরা হল। আপনারা ইচ্ছা করলে প্রথমদ্বিতীয় পর্ব পড়তে পারেন।



হেমন্ত

সুফিয়া কামাল



সবুজ পাতার খামের ভেতর

হলুদ গাঁদা চিঠি লিখে

কোন পাথারের ওপার থেকে

আনল ডেকে হেমন্তকে?



আনল ডেকে মটরশুঁটি,

খেসারি আর কলাই ফুলে

আনল ডেকে কুয়াশাকে

সাঁঝ সকালে নদীর কূলে।



সকাল বেলায় শিশির ভেজা

ঘাসের উপর চলতে গিয়ে

হালকা মধুর শীতের ছোঁয়ায়

শরীর ওঠে শিরশিরিয়ে।



আরও এল সাথে সাথে

নতুন গাছের খেজুর রসে

লোভ দেখিয়ে মিষ্টি পিঠা

মিষ্টি রোদে খেতে বসে।



হেমন্ত তার শিশির ভেজা

আঁচল তলে শিউলি বোঁটায়

চুপে- চুপে রং মাখাল

আকাশ থেকে ফোঁটায় ফোঁটায়।



স্বদেশ

আহসান হাবীব



এই যে নদী

নদীর জোয়ার

নৌকা সারে সারে,

একলা বসে আপন মনে

বসে নদীর ধারে

এই ছবিটি চেনা।

মনের মধ্যে যখন খুশি

এই ছবিটি আঁকি

এক পাশে তার জারুল গাছে

দুটি হলুদ পাখি,

এমনি পাওয়া এই ছবিটি

করিতে নয় কেনা।

মাঠের পরে মাঠ চলেছে

নেই যেন এর শেষ

নানা কাজের মানুষগুলো

আছে নানান বেশ,

মাঠের মানুষ যাই মাঠে আর

হাটের মানুষ হাটে,

দেখে দেখে একটি ছেলের

সারাটা দিন কাটে।

এই ছেলেটির মুখ

সারা দেশের সব ছেলেদের

মুখেতে টুক টুক।



প্রার্থনা

গোলাম মোস্তফা



অনন্ত অসীম প্রেমময় তুমি

বিচার দিনের স্বামী।

যত গুণগান হে চির মহান

তোমারি অন্তযামি।



দ্যুলোক-ভূলোক সবারে ছাড়িয়া

তোমারি চরনে পড়ি লুটাইয়া

তোমারি সকাশে যাচি হে শকতি

তোমারি করুনাকামী।



সরল সঠিক পুণ্য পন্থা

মোদের দাও গো বলি

চালাও সে পথে যে পথে তোমার

প্রিয়জন গেছে চলি।



যে-পথে তোমার চির-অভিশাপ

যে-পথে ভ্রান্তি, চির-পরিতাপ

হে মহাচালক, মোদের কখনও

করো না সে পথগামী।



বঙ্গভূমি ও বঙ্গভাষা

কায়কোবাদ



বাংলা আমার মাতৃভাষা

বাংলা জন্মভূমি।

গঙ্গা পদ্মা যাচ্ছে ব’য়ে,

যাহার চরণ চুমি।

ব্রহ্মপুত্র গেয়ে বেড়ায়,

যাহার পূণ্য গাথা!

সেই-সে আমার জন্মভূমি,

সেই সে আমার মাতা!



আমার মায়ের সবুজ আঁচল

মাঠে খেলায় দুল!

আমার মায়ের ফুল বাগানে,

ফুটছে কতই ফুল!

শত শত কবি যাহার

গেয়ে গেছে গাথা!

সেই-সে আমার জন্মভূমি

সেই-সে আমার মাতা!



আমার মায়ের গোলা ছিল,

ধন ধান্যে ভরা!

ছিল না তার অভাব কিছু,

সুখে ছিলাম মোরা!

বাংলা মায়ের স্নিগ্ধ কোলে,

ঘুমিয়ে রব আমি!

বাংলা আমার মাতৃভাষা

বাংলা জন্মভূমি!



মুক্তির ছড়া

সানাউল হক

তোমার বাংলা আমার বাংলা

সোনার বাংলাদেশ-

সবুজ সোনালি ফিরোজা রুপালি

রূপের নেই তো শেষ।

আমি তো মরেছি যতবার যায় মরা,

নবিন যাত্রী তমাকে শোনায় ছড়া।

এদেশ আমার এদেশ তোমার

সবিশেষ মুজিবের,

হয়ত অধিক মুক্তিপাগল

সহস্র শহীদের।



বীরপুরুষ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর



মনে করো, যেন বিদেশ ঘুরে

মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে।

তুমি যাচ্ছ পাল্‌কিতে, মা চ’ড়ে

দরজা দুটো এক্তুকু ফাঁক ক’রে,

আমি যাচ্ছি রাঙা ঘোড়ার প’রে

টগ্‌বগিয়ে তোমার পাশে পাশে।

রাস্তা থেকে ঘোড়ার খুরে খুরে

রাঙা ধুলোয় মেঘ উড়িয়ে আসে।।

সন্ধে হল, সূর্য নামে পাটে,

এলেম যেন জোড়াদিঘির মাঠে।

ধূ ধূ করে যেদিক পানে চাই,

কোনখানে জনমানব নাই,

তুমি যেন আপন মনে তাই

ভয় পেয়েছ ভাবছ, ‘এলেম কোথা।’

আমি বলছি ‘ভয় করো না মা গো,

ওই দেখা যাই মরা নদীর সোঁতা।’

আমরা কোথায় যাচ্ছি কে তা জানে-

অন্ধকারে দেখা যায় না ভালো।

তুমি যেন বললে আমায় ডেকে,

‘দিঘির ধারে ওই-যে কিসের আলো!’

এমন সময় ‘হাঁরে রে রে রে রে’

ওই যে কারা আসতেছে ডাক ছেড়ে?

তুমি ভয়ে পাল্‌কিতে এক কোণে

ঠাকুর দেবতা স্মরণ করছ মনে,

বেয়ারাগুলো পাশের কাঁটাবনে

পালকি ছেড়ে কাঁপছে থরোথরো।

আমি যেন বলছি তোমায় ডেকে,

‘আমি আছি, ভয় কেন, মা, করো!’

তুমি বললে ‘যাস্‌ নে খোকা ওরে,’

আমি বলি ‘দেখো-না চুপ করে।’

ছুটিয়ে ঘোড়া গেলেম তাদের মাঝে,

ঢাল তলোয়ার ঝনঝনিয়ে বাজে,

কী ভয়ানক লড়ায় হল মা যে

শুনে তোমার গায়ে দেবে কাঁটা।

কত লোক যে পালিয়ে গেল ভয়ে,

কত লোকের মাথা পড়ল কাটা।।

এত লোকের সঙ্গে লড়ায় ক’রে,

ভাবছ খোকা গেলই বুঝি মরে।

আমি তখন রক্ত মেখে ঘেমে

বলছি এসে, ‘লড়ায় গেছে থেমে,’

তুমি শুনে পালকি থেকে নেমে

চুমো খেয়ে নিচ্ছ আমায় কোলে

বলছ, ‘ভাগ্যে খোকা সঙ্গে ছিল

কী দুর্দশাই হতো টা না হলে!’





পারিব না

কালীপ্রসন্ন ঘোষ



পারিব না এ কথাটি বলিও না আর

কেন পারিবে না তাহা ভাব একবার,

পাঁচ জনে পারে যাহা,

তুমিও পারিবে তাহা,

পার কি না পার কর যতন আবার

এক বারে না পারিলে দেখ শত বার।

পারিব না বলে মুখ করিও না ভার,

ও কথাটি মুখে যেন না শুনি তোমার,

আলস অবোধ যারা

কিছুই পারে না তারা,

তোমায় তো দেখি না ক তাদের আকার

তবে কেন পারিব না বল বার বার?

জলে না নামিলে কেহ শিখে না সাঁতার

হাঁটিতে শিখে না কেহ না খেয়ে আছাড়,

সাঁতার শিখিতে হলে

আগে তবে নাম জলে,

আছাড়ে করিয়া হেলা, হাঁট বার বার

পারিব বলিয়া সুখে হও আগুসার।





মা

কাজী নজরুল ইসলাম



যেখানেতে দেখি যাহা

মা-এর মতন আহা

একটি কথায় এত সুধা মেশা নাই,

মায়ের মতন এত

আদর সোহাগ সে তো

আর কোন খানে কেহ পাইবে না ভাই।

হেরিলে মায়ের মুখ

দূরে যায় সব দুখ,

মায়ের কোলেতে শুয়ে জুড়ায় পরান,

মায়ের শীতল কোলে

সকল যাতনা ভোলে

কত না সোহাগে মাতা বুকটি ভরান।



যখন জনন নিনু

কত অসহায় ছিনু,

কাঁদা ছাড়া নাহি জানতাম কোন কিছু,

ওঠা বসা দূরে থাক-

মুখে নাহি ছিল বাক,

চাহনি ফিরিত শুধু মা’র পিছু পিছু!



পাঠশালা হ’তে যবে

ঘরে ফিরি যাব সবে,

কত না আদরে কোলে তুলি’ নেবে মাতা,

খাবার ধরিয়া মুখে

শুধাবেন কত সুখে

‘কত আজ লেখা হলো, পড়া কত পাতা?’

পড়া লেখা ভালো হ’লে

দেখেছ সে কত ছলে

ঘরে ঘরে মা আমার কত নাম করে!

বলে, ‘মোর খোকামণি।

হীরা মাণিকের খনি,

এমনটি নাই কারো!’ শুনে বুক ভরে!

দিবানিশি ভাবনা

কিসে ক্লেশ পাব না,

কিসে সে মানুষ হব, বড় হব কিসে;

বুক ভরে ওঠে মা’র

ছেলেরি গরবে তার

সব দুখ সুখ হয় মায়ের আশিসে।



কাজ্‌লা-দিদি

যতীন্দ্রমোহন বাগচী



বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই-

মাগো, আমার শোলোক বলা কাজ্‌লা-দিদি কই?

পুকুর ধারে, নেবুর তলে থোকায় থোকায় জোনায় জ্বলে,-

ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, একলা জেগে’ রই;

মাগো, আমার শোলোক বলা কাজ্‌লা-দিদি কই?



সে দিন হ’তে দিদিকে আর কেনই বা না ডাক,

দিদির কথায় আঁচল দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো?

খাবার খেতে আসি যখন দিদি বলে’ ডাকি, তখন

ও-ঘর থেকে কেন মা আর দিদি আসে নাকো,

আমি ডাকি,-তুমি কেন চুপটি করে’ থাক?

বল্‌ মা, দিদি কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে?

কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুল-বিয়ে হবে!

দিদির মতন ফাঁকি দিয়ে আমিও যদি লুকাই গিয়ে-

তুমি তখন একলা ঘরে কেমন করে’ র’বে?

আমিও নাই দিদিও নাই-কেমন মজা হবে!



ভুঁইচাপাতে ভরে গেছে শিউলি গাছের তল,

মাড়াস নে মা পুকুর থেকে আনবি যখন জল;

ডালিম গাছের ডালের ফাকে বুলবুলিটি লুকিয়ে থাকে,

দিস না তারে উড়িয়ে মা গো, ছিঁড়তে গিয়ে ফল;-

দিদি এসে শুনবে যখন, বলবে কী মা বল্‌!



বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই-

এমন সময়, মাগো আমার কাজলা দিদি কই?

বেড়ার ধারে, ধারে পুকুর পাড়ে ঝিঁঝিঁ ডাকে ঝোপে ঝাড়ে;-

নেবুর গন্ধে ঘুম আসে না –তাইতো জেগে রই;

রাত হ’ল যে, মাগো আমার কাজ্‌লা-দিদি কই?





পাল্কীর গান

সতেন্দ্রনাথ দত্ত



পাল্কী চলে!

পাল্কী চলে!

গগন-তলে

আগুন জ্বলে!



স্তব্ধ গাঁয়ে

আদুল গায়ে

যাচ্ছে কারা

রৌদ্রে সারা!



ময়রা মুদি

চক্ষু মুদি’

পাতায় ব’সে

ঢুলছে ক’ষে।



দুধের চাঁছি

শুষ্‌ছে মাছি,-

উড়ছে কতক

ভনভনিয়ে।

আস্‌ছে কারা

হন্‌ হনিয়ে?



হাটের শেষে

রুক্ষ বেশে

ঠিক দু’পুরে

ধায় হাটুরে!



কুকুর গুলো

শুঁক্‌ছে ধূলো,-

ধুঁক্‌ছে কেহ

ক্লান্ত দেহ।



গঙ্গা ফড়িং

লাফিয়ে চলে;

বাঁধের দিকে

সুর্য্য ঢলে।



পাল্কী চলে রে,

অঙ্গ টলে রে!

আর দেরি কত?

আর কত দূর?



জানাজানি

আসাদ চৌধুরী



বাংলাদেশের পাখি কেন মধুর সুরে ডাকে,

জানো?

জানি জানি জানি।

পাখির ভাষার মান দিতে যে

বাঙালি দেয় জান-

পাখি যে তা জানে,

তাইতো পাখি পাগল করে,

বিহান বেলার গানে।



বাংলাদেশের আকাশ কেন কপালে টিপ আঁকে,

জানো?

জানি জানি জানি।

উদার আকাশ যে – ইসারায়

ডাক দিয়ে যায় প্রাণে,

বাঙালি তা জানে।

তাইতো আকাশ টিপ দিয়ে যায়,

ললাটের মাঝখানে।



নিমন্ত্রণ

জসীমউদ্‌দীন



তুমি যাবে ভাই- যাবে মোর সাথে আমাদের ছোট গাঁয়,

গাছের ছায়া লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়;

মায়া মমতার জরাজরি করি

মোর গেহখানি রহিয়াছে ভরি,

মায়ের বুকেতে, বোনের আদরে, ভায়ের স্নেহের ছায়,

তুমি যাবে ভাই- যাবে মোর সাথে আমাদের ছোট গাঁয়।

ছোট গাঁওখানি- ছোট নদী চলে, তার একপাশ দিয়া,

কাল জল তার মাজিয়াছে কেবা কাকের চক্ষু নিয়া।

ঘাটের কিনারে আছে বাঁধা তরী,

পরের খবর টানাটানি করি;

বিনাসূতী মালা গাঁথিছে নিতুই এপার ওপার দিয়া;

বাঁকা ফাঁদ পেতে টানিয়া আনিছে দুইটি তটের হিয়া।

তুমি যাবে ভাই- যাবে মোর সাথে ছোট সে কাজল গাঁয়,

গলাগলি ধরি কলা বন যেন ঘিরিয়া রয়েছে তায়।

সরু পথ খানি সূতায় বাঁধিয়া

দূর পথিকেরে আনিছে টানিয়া,

বনের হওয়ায়, গাছের ছায়ায়, ধরিয়া রাখিবে তায়;

বুকখানি তার ভরে দেবে বুঝি মায়া আর মমতায়।

তুমি যদি যাও- দেখিবে সেখানে মটর লতার সনে,

সীম–আর-সীম – হাত বাড়ালেই মুঠি ভরে সেইখানে।

তুমি যদি যাও সে – সব কুড়ায়ে,

নাড়ার আগুনে পোড়ায়ে পোড়ায়ে,

খাব আর যত গেঁয়ো চাষীদের ডাকিয়া নিমন্ত্রণে,

হাসিয়া হাসিয়া মুঠি মুঠি তাহা বিলাইব জনে জনে।







প্রথম পর্ব

দ্বিতীয় পর্ব



©আহমেদ সজীব আমান

লেখকের আনুমতি ছাড়া এই পোস্টটা কপি পেস্ট করে কোথাও প্রকাশ করা নিষেধ ।

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:০৬

দহন আহমেদ বলেছেন: চমৎকার!!!! এই লন +++++++++

২২ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:১২

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।

২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:১৩

মাক্স বলেছেন: ++++++

২২ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:১৭

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।

৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪৬

ভোরের রোদ বলেছেন: আমার প্রথম ভালো লাগা ও মন্তব্য খানা এখানেই দিলাম। +++++++

২২ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫১

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সামুতে স্বাগতম। ভালো থাকবেন।

৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪৯

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: সোজা প্রিয়তে!!!

২২ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫৩

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: আপনাকেও সোজা ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন ভাই।

৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪০

টুন্টু কুমার নাথ বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে ভাইয়া । সেই ছোট্ট বেলার মায়ের ঝাঁড়ি আর মাস্টারের বেতের বাড়ির কথা মনে পড়ে গেল।

২২ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:০৮

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: ধন্যবাদ। 'আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।'

৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪১

ভোরের রোদ বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট। এই সিরিজের সব গুলো কে প্রিয়তে নিলাম।

২২ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:১৪

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: সবাই শৈশবে ফিরে যেতে চায়। কিন্ত......

৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫৪

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: বীরপুরুষ,পারিব না,কাজ্‌লা-দিদি এই তিনটা কবিতার কথা মনে আছে।
+++

২২ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:১৯

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪২

ভোরের রোদ বলেছেন: পোস্ট টা নির্বাচিত পাতায় যাচ্ছে না কেন?

২২ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৯

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: চলে গেছে ভাই।

৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:১১

মহাজাগতিক পাগল বলেছেন: :(( আবার ইস্কুলে যাইতে মুঞ্চায়

২৪ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৫৮

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: আমারও আবার ইস্কুলে যাইতে মুঞ্চায় কিন্তু কিসসু করার নাই।

১০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:০৯

আমি তুমি আমরা বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম। চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:০০

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।

১১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:০৬

প্র ভা ষ ক বলেছেন: *... +...

২৪ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:০৩

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: ধন্যবাদ প্র ভা ষ ক সাহেব।

১২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:০৮

নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: +++++

২৪ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:০৪

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। কেমন আছেন?

১৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৩৩

অনিক সি বলেছেন: অনেক ভাল উদ্যোগ :) :) :) পোস্টে +++++++++ আর ভাল লাগা দিলাম।

ভাই আমার একটা কবিতা লাগত।
কিন্তু কবিতার নামটা মনে নাই আর কোন ক্লাসের তাও মনে নাই,

কবিতাটা এই রকমঃ

কি যেন একটা নাম কহিল সরাস পাখিরে
শুন আমার কথা

আপনার জানা থাকলে প্লিজ দিবেন।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:০৮

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: আপনার ভালো লাগা গ্রহন করলাম। ধন্যবাদ।

১৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৩৩

অনিক সি বলেছেন: অনেক ভাল উদ্যোগ :) :) :) পোস্টে +++++++++ আর ভাল লাগা দিলাম।

ভাই আমার একটা কবিতা লাগত।
কিন্তু কবিতার নামটা মনে নাই আর কোন ক্লাসের তাও মনে নাই,

কবিতাটা এই রকমঃ

কি যেন একটা নাম কহিল সরাস পাখিরে
শুন আমার কথা

আপনার জানা থাকলে প্লিজ দিবেন।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:১০

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: অবশ্যই দিব, যদি খুঁজে পাই। ভালো থাকবেন।

১৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৩৫

নীরব নিলয় বলেছেন: পুরাই নস্টাজিক করে দিলেন ভাই। সেই পিচ্ছি কারে সুর করেচিল্লাই চিল্লাই আবৃতি করা কবিতা সব।

সবুজ পাতার খামের ভেতর
হলুদ গাঁদা চিঠি লিখে
কোন পাথারের ওপার থেকে
আনল ডেকে হেমন্তকে?

আনল ডেকে মটরশুঁটি,
খেসারি আর কলাই ফুলে
আনল ডেকে কুয়াশাকে
সাঁঝ সকালে নদীর কূলে।

সকাল বেলায় শিশির ভেজা
ঘাসের উপর চলতে গিয়ে
হালকা মধুর শীতের ছোঁয়ায়
শরীর ওঠে শিরশিরিয়ে।

আরও এল সাথে সাথে
নতুন গাছের খেজুর রসে
লোভ দেখিয়ে মিষ্টি পিঠা
মিষ্টি রোদে খেতে বসে।

হেমন্ত তার শিশির ভেজা
আঁচল তলে শিউলি বোঁটায়
চুপে- চুপে রং মাখাল
আকাশ থেকে ফোঁটায় ফোঁটায়। :)


প্লাস কয়টা দিব বলেন? একটাই দিলাম আপাওতত।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫৪

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: হেমন্ত কবিতাটি আমার খুব প্রিয় কবিতা । কত বার যে পড়েছি...

১৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৩৯

নীরব নিলয় বলেছেন: মাঠের মানুষ যাই মাঠে আর
হাটের মানুষ হাটে,
দেখে দেখে একটি ছেলের
সারাটা দিন কাটে।
এই ছেলেটির মুখ
সারা দেশের সব ছেলেদের
মুখেতে টুক টুক। :D


যে-পথে তোমার চির-অভিশাপ
যে-পথে ভ্রান্তি, চির-পরিতাপ
হে মহাচালক, মোদের কখনও
করো না সে পথগামী। :|

বাংলা আমার মাতৃভাষা
বাংলা জন্মভূমি।
গঙ্গা পদ্মা যাচ্ছে ব’য়ে,
যাহার চরণ চুমি। B-)

মনে করো, যেন বিদেশ ঘুরে
মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে।
তুমি যাচ্ছ পাল্‌কিতে, মা চ’ড়ে
দরজা দুটো এক্তুকু ফাঁক ক’রে,
আমি যাচ্ছি রাঙা ঘোড়ার প’রে
টগ্‌বগিয়ে তোমার পাশে পাশে। B-) B-)) 8-|

এক বারে না পারিলে দেখ শত বার। :#)

২৪ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫৬

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: এক বারে না পারিলে দেখ শত বার। :#) :#) :#)

১৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০০

রাইহান খাইরুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ।
++++++

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৫

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: :) :) :) :)

১৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২১

চারশবিশ বলেছেন: ছোট বেলার কথা মনে পরে গেল
কাজ্‌লা-দিদি পড়ে মনটা আবারও খারাপ হয়ে গেল

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৮

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: আমার মনটাও তো খারাপ হয় কিন্তু কিচ্ছু করার নাই।

ধন্যবাদ।

১৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৫

হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: sei din gulo.....

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৭

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: :) :) :)

২০| ২৭ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

নীল_সুপ্ত বলেছেন: এক্কেবারে প্রিয়তে...

২৮ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

২১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬

শাশ্বত স্বপন বলেছেন: ভাই, অামার হাতে নোবেল থাকলে, একটা দিতাম। এত কষ্ট করেছেন!

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫২

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: নো বেল!!! অনেক ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.